Ai ইডিটেবল ফাইল মুল্য ২০০ টাকা
বিকাশ: 01997724281
১. তাকদিরের ওপর বিশ্বাস
২. আল্লাহর ব্যাপারে সুধারণা পোষণ
৩. নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া
৪. বেশি বেশি ইস্তেগফার
৫. অধিক হারে দুরুদ পড়া
৬. ধৈর্য ধারণ
৭. সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ
৮. দোয়া করা
আল্লাহ আমাদের সবাইকে নেক আমল করার তৌফিক দান করুন আমীন।
এ ব্যাপারে তিনটি মত:
ক. ইমাম ইবনে তাইমিয়া, আল্লামা সানআনী প্রমুখ বলেছেন, নবীজী ﷺ থেকে হযরত ইউসুফ আ. বেশি সুন্দর ছিলেন। কেননা বুখারীর বর্ণনায় এসেছে, নবীজী ﷺ বলেছেন—
ﻗﺪ أعطي ﺷﻄﺮ ﺍﻟﺤﺴﻦ
নবী ইউসুফকে পৃথিবীর অর্ধেক সুন্দর দান করা হয়েছে। (দ্র. মাজমূউল ফাতাওয়া, আততানবীর শরহুল জামিইস সাগীর)
খ. ইমাম ইবনুল মুনায়্যির, ইমাম নাসাফী, ইমাম ইবনুল কায়্যিম, হাফিয ইবনে হাজার আসকালানী প্রমুখের মত হল, নবী ইউসুফ থেকে আমাদের নবী বেশি সুন্দর ছিলেন। কেননা তিরমিযীর বর্ণনায় এসেছে, নবী ﷺ বলেছেন—
ﻣﺎ ﺑﻌﺚ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﺒﻴﺎ ﺇﻻ ﺣﺴﻦ ﺍﻟﻮﺟﻪ ﺣﺴﻦ ﺍﻟﺼﻮﺕ، ﻭﻛﺎﻥ ﻧﺒﻴﻜﻢ ﺃﺣﺴﻨﻬﻢ ﻭﺟﻬﺎ ﻭﺃﺣﺴﻨﻬﻢ ﺻﻮﺗﺎ
অর্থাৎ সকল নবীকে সুন্দর চেহারা ও সুন্দর কণ্ঠ দিয়ে আল্লাহ দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সব থেকে বেশি সুন্দর চেহারা ও সুন্দর কণ্ঠ দেওয়া হয়েছে তোমাদের নবীকে। (দ্র. ফতহুল বারী, তাফসিরে নাসাফী, বাদায়িউল ফাওয়ায়েদ)
উভয় দলের আরো দলিল আছে। আবার প্রতিউত্তরও আছে। প্রতিউত্তরের খণ্ডনও আছে।
গ. আল্লামা ফখরুদ্দীন মুরাদাবাদী রহ. দুই মতের মধ্যে সমন্বয় করেছেন এভাবে যে, কাঠামোশুশ্রী ও লাবণ্য উভয়ই সুন্দরের অন্তর্ভুক্ত। নবীজী ও হযরত ইউসুফ উভয়ই বেশি সুন্দর ছিলেন। তবে নবীজীর চেহারা-সূরত ছিল বেশি কমনীয় ও লাবণ্যময়। আর নবী ইউসুফ ছিলেন কাঠামোগতভাবে বেশি সুদর্শন ও শুশ্রী। (ঈজাহুল বুখারী শরহে সহীহুল বুখারী)
উপমহাদেশের অধিকাংশ আলেম দ্বিতীয় মতকেই প্রধান্য দিয়ে থাকেন। সুফিয়ানে কেরামের কাছে এ মতটিই মুখতার।
⭕ ঘটনা - ১
ইন্টারভিউ টেবিলের স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন । তারপর, ভারী গলায় বললেন - বাহ ! তোমার সার্টিফিকেট তো বেশ ভালো ! তোমাকে আর প্রশ্ন করতে চাচ্ছি না ! ধরে নাও তুমি চাকরিটি পেয়ে গেছো ! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে ! এক সপ্তাহের মধ্যে টাকাটা জমা করে দাও ! তারপর তোমার নিয়োগ হবে ! ছেলেটি ইন্টারভিউ রুম থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে তার বাবাকে জানালো, ৫ লাখ টাকা না হলে তার চাকরিটা হবে না ! গ্রামের সহজ সরল বাবা নিজের ছেলের চাকরির জন্য ভিটা বাড়ি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা জোগাড় করলেন ! তারপর বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেটি চাকরি পেয়ে গেলো !
⭕ ঘটনা - ২
আজ বড় স্যারের ছেলের জন্মদিন ! বাড়িতে বিশাল পার্টির আয়োজন করা হয়েছে ! তিনি বাড়িতে ঢুকেই তার ছেলের নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেন ! ছেলে কাছে আসতেই বড় স্যার “হ্যাপি বার্থডে মাই সান” বলতে বলতে ছেলের হাতে ৫ লাখ টাকার বাইকের চাবি তুলে দিলেন ! বাইক পেয়ে ছেলেটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে বললো - আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা !
⭕ ঘটনা - ৩
বড় স্যারের ছেলে আজ বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে রাজপথে ছুটে চলেছে বাইক ! হঠাৎ ট্রাকের সাথে ধাক্কা সবকিছু থেমে গেলো ! বড় স্যারের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো হাসপাতালের বড় ডাক্তার সাহেব জানালেন আপনার ছেলের অবস্থা ভালো না, খুব জটিল একটা অপারেশন করাতে হবে, কাউন্টারে ১০ লাখ টাকা জমা করে দিন ! বড় স্যার কোনও উপায় না দেখে মেয়ের বিয়ের জন্যে ব্যাংকে জমিয়ে রাখা টাকাটা কাউন্টারে জমা করে দিলেন !
⭕ ঘটনা - ৪
বড় ডাক্তার সাহেব আজ খুব খুশি ! ৩-৪ লাখ টাকার অপারেশনের জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন, পুরোটাই লাভ ! খুশিতে তিনি তার একমাত্র মেয়ের জন্য স্বর্ণের নেকলেস কিনে বাসায় ফিরলেন ! বাসায় ঢুকেই তিনি তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে মামুনি মামুনি বলে ডাকতে শুরু করলেন ! ডাক্তার সাহেবের বউ কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাদের মেয়ে এখনও বাসায় ফেরেনি ! বড় ডাক্তার সাহেব তার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন, কোথাও কোনও খোঁজ না পেয়ে তিনি যখন দিশেহারা হয়ে পড়লেন, ঠিক তখনই অপরিচিত এক নাম্বার থেকে ফোন এলো ! ফোনেও ঐ প্রান্ত থেকে জানালো, আপনার মেয়ে আমাদের কাছে, মেয়েকে ফেরত পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে ! কথাটা শুনে বড় ডাক্তার সাহেবের স্ত্রী স্ট্রোক করলেন !
⚫🔴 শিক্ষাঃ আপনি অতীতে যা করেছেন, বর্তমানে যা করছেন, ভবিষ্যৎ তার চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপে আপনার কাছে ফিরে আসবেই !!
প্রত্যেক ক্রিয়ার-ই একটা সমান ও বিপরীতমূখী প্রতিক্রিয়া আছে! (নিউটনের গতিবিষয়ক তৃতীয় সূত্র)
সুতরাং সময় থাকতেই সাবধান থাকুন!!
সৎ পথে চলার অভ্যাস করতে হবে। ভালো কাজে অংশ গ্রহন ও মানুষের উপকারে আসলেই তাহলে ভালো থাকতে পারবেন।
সংগৃহীত
পরলোকগত কুয়েতি লেখক আব্দুল্লাহ যারাল্লাহ র মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া কিছু অনুভূতি -
"মৃত্যু নিয়ে আমি কোনো দুশ্চিন্তা করবো না, আমার মৃতদেহের কি হবে সেটা নিয়ে কোন অযথা আগ্রহ দেখাবো না। আমি জানি আমার মুসলিম ভাইয়েরা করণীয় সবকিছুই যথাযথভাবে করবে।"
يُجَرِّدُونَنِي مِنْ مَلَابِسِي
তারা প্রথমে আমার পরনের পোশাক খুলে আমাকে বিবস্ত্র করবে,
يَغْسِلُونَني
আমাকে গোসল করাবে,
يَكْفِنُونَنِي
(তারপর) আমাকে কাফন পড়াবে,
يُخْرِجُونَنِي مِنْ بَيْتِي
আমাকে আমার বাসগৃহ থেকে বের করবে,
يَذهَبُونَ بِي لِمَسَكِنِي الجَدِيدِ (القَبْرُ)
আমাকে নিয়ে তারা আমার নতুন বাসগৃহের (কবর) দিকে রওনা হবে,
وَسَيَأتِي كَثِيرُونَ لِتَشْيِيْعِ الجَنَازَتِي
আমাকে বিদায় জানাতে বহু মানুষের সমাগম হবে,
بَلْ سَيَلْغِي الكَثِيرُ مِنهُم أَعْمَالَهُ وَمَوَاعِيدَهُ لِأَجْلِي دَفْنِي
অনেক মানুষ আমাকে দাফন দেবার জন্য তাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম কিংবা সভার সময়সূচী বাতিল করবে,
وَقَدْ يَكُونُ الكَثِيرُ مِنهُم لَمْ يَفَكِّرْ في نَصِيحَتِي يَوماً مِنْ الأيّامِ
কিন্তু দুঃখজনকভাবে অধিকাংশ মানুষ এর পরের দিনগুলোতে আমার এই উপদেশগুলো নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করবে না,
أَشْيَائِي سَيَتِمُّ التَّخَلُّصُ مِنهَا
আমার (ব্যক্তিগত) জিনিষের উপর আমি অধিকার হারাবো,
مَفَاتِيحِي
আমার চাবির গোছাগূলো,
كِتَابِي
আমার বইপত্র,
حَقِيبَتِي
আমার ব্যাগ,
أَحْذِيَتِي
আমার জুতোগুলো,
وإنْ كانَ أَهْلِي مُوَفِّقِينَ فَسَوفَ يَتَصَدِّقُونَ بِها لِتَنْفَعَنِي
হয়তো আমার পরিবারের লোকেরা আমাকে উপকৃত করার জন্য আমার ব্যবহারের জিনিসপত্র দান করে দেবার বিষয়ে একমত হবে,
تَأَكِّدُوا بِأَنَّ الدُّنيا لَنْ تَحْزَنْ عَلَيَّ
এ বিষয়ে তোমরা নিশ্চিত থেকো যে, এই দুনিয়া তোমার জন্য দু:খিত হবে না অপেক্ষাও করবে না,
وَلَنْ تَتَوَقَّفْ حَرَكَةُ العَالَمِ
এই দুনিয়ার ছুটে চলা এক মুহূর্তের জন্যও থেমে যাবে না,
وَالاِقْتِصَادُ سَيَسْتَمِرُ
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা ব্যবসাবাণিজ্য সবকিছু চলতে থাকবে,
وَوَظِيْفَتِي سَيَأتِي غَيرِي لِيَقُومَ بَها
আমার দায়িত্ব (কাজ) অন্য কেউ সম্পাদন করা শুরু করবে,
وَأَمْوَالِي سِيَذْهَبُ حَلَالاً لِلوَرَثِةِ
আমার ধনসম্পদ বিধিসম্মত ভাবে আমার ওয়ারিসদের হাতে চলে যাবে,
بَينَمَا أنا سَأُحَاسِبُ عَليها
অথচ এর মাঝে এই সম্পদের জন্য আমার হিসাব-নিকাশ আরম্ভ হয়ে যাবে,
القَلِيلُ والكَثِيرُ.....النَقِيرُ والقَطمِيرُ......
ছোট এবং বড়….অনুপরিমাণ এবং কিয়দংশ পরিমান, (সবকিছুর হিসাব)
وَإن أَوَّلَ ما مَوتِي هو اِسمِي !!!!
আমার মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম যা (হারাতে) হবে, তা আমার নাম!!!
لِذَلكَ عِنْذَما يَمُوتُ سَيَقُولُونَ عَنِّي أَينَ "الجُنَّةُت"...؟
কেননা, যখন আমি মৃত্যুবরণ করবো, তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলবে, কোথায় “লাশ”?
وَلَن يَنَادُونِي بَاِسمِي....
কেউ আমাকে আমার নাম ধরে সম্বোধন করবে না,
وَعِندَما يُرِيدُونَ الصَّلاةَ عَلَيَّ سِيَقُلُونَ اُحْضُرُوا "الجَنَازَةَ" !!!
যখন তারা আমার জন্য (জানাযার) নামাজ আদায় করবে, বলবে, “জানাযাহ” নিয়ে আসো,
وَلَن يُنَادُونِي يِاسْمِي ....!
তারা আমাকে নাম ধরে সম্বোধন করবে না….!
وَعِندَما يَشْرَعُونَ بِدَفنِي سَيَقُولُونَ قَرِّبُوا المَوتَ وَلَنْ يَذكُرُوا اِسمِي ....!
আর, যখন তারা দাফন শুরু করবে বলবে, মৃতদেহকে কাছে আনো, তারা আমার নাম ধরে ডাকবে না…!
لِذَلِكَ لَن يَغُرَّنِي نَسبِي وَلا قَبِيلَتِي وَلَن يَغُرَّنِي مَنْصَبِي وَلا شَهرَتِي ....
এজন্যই দুনিয়ায় আমার বংশপরিচয়, আমার গোত্র পরিচয়, আমার পদমযার্দা, এবং আমার খ্যাতি কোনকিছুই আমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে,
فَمَا أَتْفَهُ هَذِهِ الدُّنْيَا وَمَا أَعْظَمَ مُقَلِّبُونَ عَليهِ .....
এই দুনিয়ার জীবন কতই না তুচ্ছ, আর, যা কিছু সামনে আসছে তা কতই না গুরুতর বিষয়…
فَيا أَيُّهَا الحَيُّ الآنَ ..... اِعْلَمْ أَنَّ الحُزْنَ عَليكَ سَيَكُونُ على ثَلَاثَةٍ أَنْواعٍ:
অতএব, (শোন) তোমরা যারা এখনো জীবিত আছো,….জেনে রাখো, তোমার (মৃত্যুর পর) তোমার জন্য তিনভাবে দু:খ করা হবে,
1ــ النَّاسُ الَّذِينَ يَعْرِفُونَكَ سَطْحَيّاً سَيَقُولُونَ مِسْكِينٌ
১. যারা তোমাকে বাহ্যিক ভাবে চিনতো, তারা তোমাকে বলবে হতভাগা,
2ــ أَصْدِقَاؤُكَ سَيَحْزُنُونَ سَاعَات أَو أَيَّامَاً ثُمَّ يَعُودُونَ إِلَى حَدِيثِهِم بَلْ وَضَحِكَهُم.....
২. তোমার বন্ধুরা বড়জোর তোমার জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন দু:খ করবে, তারপর, তারা আবার গল্পগুজব বা হাসিঠাট্টাতে মত্ত হয়ে যাবে,
3ــ الحُزْنُ العَمِيقُ فِي البَيْتِ سَيَحْزُنُ أَهْلِكَ أُسْبُوعاً.... أُيسْبُوعَينِ شَهراً ....شَهرَينِ أَو حَتَّى سَنَةً وَبَعْدَهَا سَيَضْعُونَكَ فِي أَرْشِيفِ الذَّكَرِيّاتِ !!!
৩. যারা খুব গভীর ভাবে দু:খিত হবে, তারা তোমার পরিবারের মানুষ, তারা এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, একমাস, দুইমাস কিংবা বড় জোর একবছর দু:খ করবে। এরপর, তারা তোমাকে স্মৃতির মণিকোঠায় যত্ন করে রেখে দেবে!!!
اِنْتَهَتْ قِصَّتُكَ بَينَ النَّاسِ وَبَدَأَتْ قِصَّتُكَ الحَقِيْقِيّةِ وَهِيَ الآخِرةُ ....
মানুষদের মাঝে তোমাকে নিয়ে গল্প শেষ হয়ে যাবে, অত:পর, তোমার জীবনের নতুন গল্প শুরু হবে, আর, তা হবে পরকালের জীবনের বাস্তবতা,
لَقدْ زَالَ عِندَكَ:
তোমার নিকট থেকে নি:শেষ হবে (তোমার):
1ــ الجَمَالُ
১. সৌন্দর্য্য
2ــ والمَالُ
২. ধনসম্পদ
3ــ والصَحَّةُ
৩. সুস্বাস্থ্য
4ــ والوَلَدُ
৪. সন্তান-সন্তদি
5ــ فَارقَت الدَّور
৫. বসতবাড়ি
6ــ القُصُورُ
৬. প্রাসাদসমূহ
7ــ الزَوجُ
৭. জীবনসঙ্গী
وَلَمْ يَبْقِ إِلَّا عَمَلُكَ
তোমার নিকট তোমার ভালো অথবা মন্দ আমল ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না,
وَبَدَأَتِ الحَيَاةُ الحَقِيقَيَّةُ
শুরু হবে তোমার নতুন জীবনের বাস্তবতা,
وَالسُّؤَالُ هُنا : ماذا أَعْدَدْتَ لِلقُبَرِكَ وَآخِرَةَكَ مِنَ الآنَ ؟؟؟
আর, সে জীবনের প্রশ্ন হবে: তুমি কবর আর পরকালের জীবনের জন্য এখন কি প্রস্তুত করে এনেছো?
هَذِهِ حَقِيقَةٌ تَحْتَاجُ إلى تَأمَّلٍ
*ব্স্তুত: এই জীবনের বাস্তবতা সম্পর্কে তোমাকে গভীর ভাবে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন,*
لِذَلِكَ أحرصُ عَلى :
এজন্য তুমি যত্নবান হও,
1ــ الفَرَائِضِ
১. ফরজ ইবাদতগুলোর প্রতি
2ــ النَّوَافِلِ
২. নফল ইবাদতগুলোর প্রতি
3ــ صَدَقَةُ السِّرِّ
৩. গোপন সাদাকাহ’র প্রতি
4ــ عَمَلُ الصَّلِحِ
৪. ভালো কাজের প্রতি
5ــ صَلاةُ اللَّيلِ
৫. রাতের নামাজের প্রতি
لَعَلَّكَ تَنْجُو....
যেন তুমি নিজেকে রক্ষা করতে পারো….
إِنْ سَاعَدْتَ عَلى تَذْكِيرِ النَّاسِ بِهَذِهِ المُقَالَةِ وَأنتَ حَيُّ الآنَ سَتَجِدُ أَثَرَ تَذكِيرِكَ في مِيزَانِكَ يَومَ القِيامَةِ بِإِذْنِ اللهِ .....
এই লিখাটির মাধ্যমে তুমি মানুষকে উপদেশ দিতে পারো, কারণ তুমি এখনো জীবিত আছো, এর ফলাফল আল্লাহ’র ইচ্ছায় তুমি কিয়ামত দিবসে মিজানের পাল্লায় দেখতে পাবে,
قال الله تَعالى : ((فَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَ تَنْفَعُ المُؤمِنِينَ))
আল্লাহ বলেন: ((আর স্মরণ করিয়ে দাও, নিশ্চয়ই এই স্মরণ মুমিনদের জন্য উপকারী))
لِمَاذَا يَخْتَارُ المَيِّتِ "الصَّدَقَةَ لو رَجَعَ للدُّنيا....
তুমি কি জানো কেন মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ প্রদানের আকাঙ্খা করবে, যদি আর একবার দুনিয়ার জীবনে ফিরতে পারতো?
كَمَا قَالَ تَعَالى: ((رَبِّ لَو لا أَخَّرْتَنِي إلى أَجَلٍ قَرِيبٍ فَأَصَّدَّমৃত ব্যাক্তি সেদিন বলবে।(হে আমার রব)আবার যদি দুনিয়ায় একবার যেতে পারতাম তাহলে ছাদকার কাজ করতাম।
ولَمْ يَقُلْ :
তারা বলবে না,
لِأعتَمَرَ
উমরাহ পালন করতাম,
أو لِأُصَلَّي
অথবা, সালাত আদায় করতাম,
أو لِأصُومُ
অথবা, রোজা রাখতাম,
قالَ العُلَماءُ : ما ذَكَرَ المَيِّتُ الصَّدَقَةَ إلا لِعَظِيمِ مَا رَأى مِن أَثَرِها بَعدَ مَوتِهِ
আলেমগণ বলেন: মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ’র কথা বলবে, কারণ তারা সাদাকাহ প্রদানের ফলাফল তাদের মৃত্যুর পর দেখতে পাবে,
فَأَكْثِرُوا مِنَ الصَّدَقَةِ وَمِن أَفضَلِ ما تَتَصَدَّقُ بِهِ الآنَ 10 ثَوَان مِنْ وَقْتِكَ لِنشَرِ هذا الكَلامَ بِنِيَّةِ النَّصْحِ فَالكَلمَةُ الطَّيِّبَةُ صَدَقَةٌ.
আর, গুরুত্ববহ এই সাদাকাহ’র কাজটি তুমি এই কথাগুলো ছড়িয়ে দিয়ে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে করতে পারো, যদি তোমার উদ্দেশ্য হয় এর মাধ্যমে মানুষকে উপদেশ প্রদান করা। কারণ, উত্তম কথা হল এক ধরণের সাদাকাহ।।।
এসো ইসলাম প্রচার করি ____ ভালো লাগলে শেয়ার করুন।_
ইসলামের বাণী প্রচার করাও সুন্নাত,
______সহি্ মুসলিম শরীফ_______
আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মত। আর উম্মতে মুহাম্মদীর অনুসারী ও দাবিদার হিসেবে আমাদের ওপর নবী (সা.)-এর কিছু অধিকার রয়েছে। যেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন ছাড়া একজন মানুষ প্রকৃত মুসলমান বা নবীর উম্মতের দাবিদার হতে পারে না। আমরা এখানে সেগুলোর কয়েকটি আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ।
১. নবী (সা.) কর্তৃক আনীত রিসালাতের ওপর পরিপূর্ণ ঈমান আনয়ন করা। আর এ কথা বিশ্বাস করা যে তাঁর রিসালাত পূর্ববর্তী সব রিসালাতকে রহিত করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মুহাম্মদ (সা.) প্রদর্শিত পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতিতে আল্লাহর ইবাদত না করা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং যে জ্যোতি আমি অবতরণ করেছি তার ওপর ঈমান আনয়ন করো।
’ (সুরা তাগাবুন, আয়াত : ৮)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘রাসুল (সা.) তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ করো এবং যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো।’ (সুরা হাশর, আয়াত : ৭)
২. এ কথায় দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা যে রাসুল (সা.) রিসালাতের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করেছেন। তাঁর ওপর অর্পিত আমানত আদায় করেছেন। উম্মতকে সংশোধনকরণের নিমিত্তে নসিহত করেছেন।
আবু জর (রা.) বলেন, ‘মুহাম্মদ (সা.) আমাদের এমন অবস্থায় রেখে গেছেন যে আকাশে কোনো পাখি তার দুই ডানা মেলে নড়াচড়া করলে তার সম্পর্কেও আমাদের জ্ঞান দান করেছেন।’ (মুসনাদে আহমদ : ৫/১৫৩)
৩. রাসুল (সা.)-কে এমনভাবে ভালোবাসা যে তাঁর ভালোবাসা যেন নিজের ও সব সৃষ্টিজগতের ভালোবাসার ওপর প্রাধান্য পায়। যদিও সব নবী ও রাসুলদের ভালোবাসা ওয়াজিব। তাঁর ভালোবাসা সব মানুষের ভালোবাসা তথা সন্তান-সন্ততি, পিতা-মাতা ও অন্যান্য যাবতীয় আত্মীয়-স্বজন এবং নিজের জীবনের ভালোবাসার ওপরও প্রাধান্য দেওয়া ফরজ। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলুন, তোমাদের কাছে যদি আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও তাঁর (আল্লাহর) পথে জিহাদ করার চেয়ে বেশি প্রিয় হয় তোমাদের পিতৃবর্গ, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভ্রাতৃরা, তোমাদের স্ত্রীরা, তোমাদের আপন গোষ্ঠী, তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, যার মন্দা পড়ার আশঙ্কা করো এবং তোমাদের বাসস্থান যা তোমরা ভালোবাস, তবে অপেক্ষা করো আল্লাহ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত।
আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না।’ (সুরা তওবা, আয়াত : ২৪)
এখানে আল্লাহ তাআলা তাঁর ভালোবাসার সঙ্গে রাসুলের ভালোবাসাকে একসঙ্গে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে ধমক দিয়েছেন যে যার কাছে তার সম্পদ, পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসার চেয়ে বেশি প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা করো আল্লাহ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউই মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার কাছে আমি তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সব মানুষ থেকে প্রিয় না হব।’ (বুখারি, হাদিস : ১৫, মুসলিম, হাদিস : ৪৪)
৪. নবী (সা.)-কে সম্মান করা, তাঁকে মর্যাদা দেওয়া। কেননা এটা নবী (সা.)-এর সে প্রাপ্য অধিকারগুলোর অন্তর্ভুক্ত, যেগুলো স্বয়ং আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে শিরোধার্য করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সামনে (কোনো বিষয়ে) অগ্রণী হয়ো না।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১)
৫. নবী (সা.)-এর ওপর বেশি বেশি সালাত ও সালাম পাঠ করা (দরুদ পাঠ করা)। যেমনটি আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর ওপর সালাত (দরুদ) পাঠ করেন, হে মুমিনগণ! তোমরা তাঁর ওপর সালাত পাঠ করো এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম দাও।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৬)
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার ওপর একবার (দরুদ) সালাত পাঠ করবে আল্লাহ এর বিনিময়ে তার ওপর ১০ শতবার সালাত (দরুদ) পাঠ করবেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৮৪)
আল্লাহর সালাত পাঠের অর্থ হচ্ছে তাঁর পক্ষ থেকে রহমত বর্ষণ করা।
আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) বলেছেন, বড় কৃপণ হলো ওই ব্যক্তি যার কাছে আমার নাম উল্লেখ হলো কিন্তু সে আমার ওপর সালাত পাঠ করল না। তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৬)
এ কথার ওপর সব ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্য রয়েছে যে নবী (সা.)-এর নাম শুনলে বা নিলে তাঁর ওপর সালাত (দরুদ) পাঠ করা ওয়াজিব।
৬. রাসুল (সা.)-এর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি সব মুসলমানের মধ্যে যথাযথভাবে তুলে ধরা। ছোট বাচ্চাদের অন্তরে রাসুলের সম্মানবোধ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের গড়ে তোলা।
লেখক : পরিচালক, তামিরুল উম্মাহ মহিলা মাদরাসা, ভাটারা, ঢাকা।
৪ টি কুকুর ও ১ টি চিতাবাঘের মধ্যে দৌড় প্রতিযোগিতা দেয়ার মূল লক্ষ্য ছিলো দ্রুততম ক্ষমতা দেখা।
ওযিফার কিতাবসমূহের মাঝে এমন অনেক অযিফা আছে যা অভিজ্ঞতার মানদণ্ডে উত্তির্ণ। তন্মদ্ধে একটি আমল হযরত আহমাদ আলী লাহোরী রহ. তার কিতাবে লিখেন—তা হলো, পবিত্র কুরআনে "مبين" শব্দটি ১০৬ স্থানে এসেছে। যদি কোনো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তাহলে শতভাগ সফলতার আশা করা যায়।