শুক্রবার, ৯ জুন, ২০১৭

কাতারের যুবরাজের একটি চমৎকার গল্প


ছবির লোকটি কাতারের বর্তমান বাদশাহ শেখ তামিম বিন হামদ বিন খলিফা আল সানির বড় ভাই যুবরাজ শেখ ফাহাদ বিন হামদ বিন খলিফা । তিনি কাতারের সাবেক সেনাপ্রধান। কাতারের ঐতিহ্য ও শাসনরীতি অনুযায়ী বর্তমান আমীর হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু রাজসিংহাসনের মোহ ত্যাগ করে তিনি হযেছেন একজন আপাদমস্তক দা'য়ী ইলাল্লাহ। রাজ পরিবারের অঢেল বিলাস বৈভব ছেড়ে তিনি দিনহীন সাধারণ মানুষের মতো নেমে পড়েন আলোর পথে,আল্লাহর পথে। রাজমহল ছেড়ে তিনি পড়ে থাকেন মার্কাজ মসজিদে। অধিকাংশ সময়ই কাটান দেশ থেকে দেশান্তের তাবলীগী সফরে।.
রাজকীয় সমস্ত ভোগ-বিলাস ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন মানুষের দ্বারে দ্বারে ইসলামের আলো পৌঁছে দিতে। ইসলামের দাওয়াত নিয়ে তিনি ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ সফর করেছেন ইউরোপ-আমিরিকার বহু দেশ। বাংলাদেশে চার মাস সময় লাগিয়েছেন। গাট্টি-পোটলা কাঁধে নিয়ে ঘুরেছেন বাংলাদেশের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। থেকেছেন মাটির বিছানায়। টিনের চালা কিংবা মাটির দেয়াল ঘেরা অনেক মসজিদে। সাধারন গাম্য টয়লেট ব্যবহার করেছেন নিসংকোচভাবে। 

রাজকীয় পরিচয়ের বাহিরে তৈরি করেছেন সাধারন নাগরিক পরিচয়ের পাসর্পোট। প্রায় প্রতি বছরই আসেন বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমায়। তাঁর পরিবারের সদস্যরা রাজকীয় প্লেন নিয়ে আসলেও তিনি আসেন সাধারন মানুষের সাথে জামাত বন্দি হয়ে। রাজ-পরিবারের অতীব গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েও নিজের জন্য তিনি দু'টি পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। রাজকীয় কোন সফরে গেলে তখনই শুধু রয়েল পাসপোর্টি ব্যবহার করেন।
মূলতঃ তাঁর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের হাফিজ-আলেমদের কাতারের সরকারী মসজিদ-মাদ্রাসায় খেদমতের ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এই দাঈ ইলাল্লাহকে আল্লাহ হায়াতে তায়্যিবা দান করুন। কাতারের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র আল্লাহ নস্যাৎ করে দিন এবং সমুন্নত রাখুন কাতারের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব। সংগৃহীত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন