বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

সোনালি কালার মসজিদটি মসজিদে আকসা নয়। এটি ইয়াহুদি নির্মিত মসজিদে কুব্বাতুস সখর।আর তার পাশেই অবস্থিত সাদা মাটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটিই মসজিদে আকসা।

তসলিমা নাসরিন বাঁয়ের ছবিটা টুইটারে পোস্ট দিয়েছেন



তসলিমা নাসরিন বাঁয়ের ছবিটা টুইটারে পোস্ট দিয়েছেন। ছবিটা এখনো এক্টিভ আছে। দেখা যাচ্ছে একজন বৃদ্ধ মুসলমান একজন হিন্দু সাধুর গ্লাসে হুইস্কি ঢেলে দিচ্ছেন। তার মানে তিনি বলতে চাইছেন, "হে হে দেখ এই দুইটা কেমন বদ"।
ডানদিকের আসল ছবিটা ঋষি কাপুরের টুইটার একাউন্টে আছে। বৃদ্ধ মুসলমান হিন্দু সাধুর গ্লাসে মিনারাল ওয়াটার ঢেলে দিচ্ছেন। একটা অপূর্ব সামাজিক সম্প্রীতির ছবি। এই সুন্দর একটা ছবি এই মহিলার ফটোশপ করে বিকৃত করার দরকার পড়লো কেন? বড়ই আজিব এবং প্যাথলজিক্যাল তার চিন্তার ক্ষেত্র।

জেরুজালেমকে অফিশিয়ালি ইসরাইলের রাজধানী ঘোষনা দিল মাথা মোটা ডোনাল্ড ট্রাম্প।




অারব বিশ্বের পশ্চিমাদের গোলামি, ট্রাম্পের হাতে তলোয়ার ধরিয়ে নাচানো, তার মেয়ের জন্য মূল্যবান উপহার পাঠানো, এই কাজগুলো মুসলমানদের জন্য কতটা উপকার বয়ে অানছে.....? মুসলমানদের প্রথম কেবলা কি তবে শেষ পর্যন্ত ইহুদিদের দখলেই চলে যাবে......?

বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত সোয়া ১২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশেষ করে বলতে গেলে গোটা মুসলিমজাতিকে অারও একবার উত্তাল করে তুলল । পবিত্র জেরুজালেম শহরকে শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েই দিল জানোয়ারটা। দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা চলছিল, অার ট্রাম্পের ক্ষমতায় অাসাটা যে মুসলমানদের জন্য ছিল প্রাথমিকভাবে হুমকি তার উপযুক্ত প্রমানটা সে দিয়েই যাচ্ছে।

একতরফা এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার ক্ষেত্রে ট্রাম্প জাতিসংঘ, আরব ও মুসলমান-অধ্যুষিত দেশ, এমনকি তাদের মিত্রদের আপত্তিও মানেনি এই মাধামোটা ট্রাম্প। শেষপর্যন্ত নিজের একগুঁয়েমি সিদ্ধান্তেই অনড় রইল। নিজের নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যেই বলেছিল যে, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিবে, অার এবার তার প্রতিফলনটাও হল।
এই ঘোষণায় সব কুলাঙ্গারের গুষ্টিগুলো লোক দেখানো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ফ্রান্স,চীন এছাড়াও খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু পোপ ফ্রান্সিস। জাতিসংঘও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তবে এসব যে মুসলমানদের সাথে কৌতুক ছাড়া অার কিছুই না সেটা অার বলার অপেক্ষা রাখে না। জাতিসংঘ এখানে বলেছে, ফিলিস্তিন সংকটে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কোনো বিকল্প নেই। মানে ব্যাপারটা এমন যে, অামার বাড়িতে কাউকে কিছুদিন থাকার জন্য অাশ্রয় দিলাম, পরে সে অামার ঘরটাই দাবি করে বসল অার অামার প্রতিবেশীরা অামাকে বলছে "দেন ভাই, থাকতে যখন দিয়েছেন এবার ঘরটাই ছেড়ে দেন।"
গতকাল হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প বলে, "এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।" অার মি.ট্রাম্প তাঁর এমন উদ্যোগকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ‘দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা পদক্ষেপ’ বলেও মন্তব্য করে। 
হায়! অাফসোস! অসংখ্য নবীদের স্মৃতি বিজড়িত প্রানের প্রথম কেবলাকে নাকি জালিমের করতলে দেখতে হবে।

আমার একজন উস্তাদের জবান থেকে শুনেছিলাম অাল্লাহ পাক ক্বাবা শরীফের জিম্মাদারি নিজেই নিয়েছেন, তবে বায়তুল মুকাদ্দাস তথা প্রথম কেবলা রক্ষা করার দায়িত্বটা মুসলমানদের হাতে ন্যস্ত করেছেন, যদি বায়তুল মুকাদ্দাস রক্ষায় কোনো ত্রুটি হয় তবে মুসলমানদের উপর অাযাব নেমে অাসবে। তাহলে সে সময়টা কি এসেই গেল যে, বায়তুল মুকাদ্দাস তথা মুসলমানদের প্রথম কেবলা ইহুদীদের করতলে চলে যাবে.....?
ইতিপূর্বে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের নীতি ছিল তারা উভয় পক্ষের মাঝে সমঝোতা করে এই বিষয়টার সুরাহা করত, সরাসরি ইসরাইলের রাজধানী জেরুজালেমে হবে এই ঘোষনা কেউ করেনি। তবে তলে তলে মার্কিন দূতাবাসকে বর্তমান রাজধানী তেলঅাবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেম এ স্থানান্তর করার ষড়যন্ত্র ১৯৯৫ থেকেই চলে অাসছিল। এবার সুধু সুযোগে বদ ব্যবহারটা করল।
মূলত ট্রাম্প ক্ষমতার লড়াইয়ে টিকে থাকতেই জেরুজালেমের উপর খড়গটা ব্যবহার করল, আর তার জন্য এই অাচরন করাটা খুব স্বাভাবিকই ছিল, কেননা নির্যাতিত অামরা মুসলিমরা বহু অাগ থেকেই। এবার রোহিঙ্গাদের উপর এধরনের অমানবিক নির্যাতনের পরও যখন অাং সং সূচির কিছুই হয়নি, দেশে দেশে এতো মিছিল-মিটিং, এতো সভা সমাবেশ দিনশেষে ফলাফলটা শূন্যের কোটায়ই রয়ে গেল। তখনই ট্রাম্প বুঝতে পারল যে এটাই মোক্ষম সময়, অার তাই হয়ত সে তার ক্ষমতার বলটা নিপীড়িত জেরুজালেমের মুসলমানদের উপর প্রয়োগ করল। তবে সব ক্ষমতার উৎস অাল্লাহর কাছেই অামরা এই জালিমের দুঃশাষন থেকে মুক্তি চাই।
গত সাপ্তাহেই এক জায়গায় দেখেছিলাম, অারব বিশ্বে যারা আমেরিকার দোসর তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বলছিল যে, এই দ্বিরাষ্টভিত্তিক সমস্যা নিরসনের চেষ্টা মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির সৃষ্টি করবে, কই তাদের এতো পা-চাটা মনেভাব তো ঐ ট্রাম্পের অবস্থানকে পরিবর্তন করতে পারেনি। তবে কেন শুধু শুধু এই গোলামী। তবুও কি মনে হয় ওদের সাহায্য অামাদের প্রয়োজন অাছে......?
জানিনা কি প্রয়োজনে অারব বিশ্ব তারা পশ্চিমাদের গোলামি করছে, কারো কাছে স্পষ্ট ধারনা থাকলে জানাবার অনুরোধ রইল।






কাল জুমাবার খুলে দেওয়া হচ্ছে নবিজীর মেহরাব:

মসজিদে নববীতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মেহরাব দীর্ঘ ২৫ বছর বন্ধ থাকার পর কাল জুমআর সালাতের মাধ্যমে পূনরায় উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।আগামীকালের জুমআর খুতবা দিবেন শায়খ ড: আবদুল্লাহ আল বুআইজান হাফি:।পচিশ বছর পুর্বে ১৪১৪ হিজরীর ৩০ রমযানের বিত্ র সালাতে নবিজীর এই মেহরাবে দাড়িয়ে সর্বশেষ ইমামতি করেন শায়খ ড: আবদুর রহমান আল হুযাইফি হা:। এর পর এই মেহরাবটি মসজিদে নববীর সম্প্রসারণের কারনে বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবশ্য এটি আগামীকাল পরিক্ষামূলক ভাবে চালু হচ্ছে। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা ও বিবেচনার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

আস্তিক নাস্তিকঃ ( রোবট সোফিয়া )




Emran Hossain Adib

আস্তিকঃ সোফিয়া ! ? সেতো প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট। সোফিয়ার মা তাকে প্রসব করেছে। তারও বাচ্চা হওয়ার সম্ভবনা আছে। তার বাবার নাম ডেভিড হ্যানসেন,স্বমীর নাম মাইকেল ব্রন্ড। 

,
নাস্তিকঃ তুই একটা রাম ছাগল। সে একটা রোবট,সে কথা বলতে জানে। কাজ কর্ম সম্পাদন করতে জানে। আর এই গুলো বিজ্ঞানীদের আবিস্কার। তার পিছনে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
,
আস্তিকঃ দোস্ত তাহলে তোমরা যে,বল মানুষ প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি, তার কোন স্রস্টা নেই। অথচ সোফিয়ার স্রষ্টা হচ্ছে একজন মানুষ,তাহলে এটা সম্ভম নয় কেন?সেই বিজ্ঞানী মানুষটারও একজন সৃষ্টা আছে ? যে তাকে কথা বলা,কর্ম সম্পাদন করার শক্তি বা সেই মেধা দান করেছেন ? 
,
নাস্তিকঃ তোমগো মোল্লাগো খাইয়া আর কাম নাই। কেমনে আমগোরে ঠেকাইবা সেই চিন্তা কর ? দূর মিয়া যাও 😫🤔😪😯 
,
আস্তিক মোল্লাঃ 😀😁😂🤣
মহান আল্লাহ কত বড় কারিগর আল্লাহ শুকরিয়া কোন দিন আমরা শেষ করতে পারবোনা। মানুষের তৈরী করা সোফিয়া আর আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে কত পার্থক্য। যাকে দেখে কোন সৌন্দর্য বা ভক্তি আসেনা যার পিছনে বৈদ‍্যুতিক তার ঝুলানো ছাড়া সে চলতে পারেনা। কম্পিউটার দিয়ে যে ভাষা ইনষ্টল করবে ওটার বাহিরে একটা কোথাও বলতে পারবেনা এই হল মানুষের সৃষ্টি। অথচ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দুনিয়াটা কত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন আকাশ বাতাস পানি পাহাড় পর্বত সৌন্দর্য কোন শেষ নেই। দুনিয়াতে কত ধরনের প্রানী সৃষ্টি করেছেন যেই সব প্রাণী এক একটা একধরনের সুন্দর যত দেখি ততই মুগ্ধ হই ভালো লাগে। মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ বানাইছে কত সুন্দর করে এক মানুষ আরেক মানুষের সাথে কোন মিল নেই। কালো মানুষ এক সুন্দর সাদা মানুষ আরেক সুন্দর যেই আল্লাহ এত সুন্দর করে আমাদের বানাইছে ওই আল্লাহ কত সুন্দর। মৃত্যুর পর আমরা যেন সুন্দর আল্লাহকে দেখতে পাই
আল্লাহ আমাদের নসীবে আপনাকে দেখার তৌফিক দান করবেন। আমিন



বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭

পোপকে স্বাগত জানাতে পারছি না.............

মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন দাঃবাঃ

পোপ আসছেন আজ, স্বাগত জানাতে পারছি না যে কারণে-
১) পোপ আসছেন বাংলাদেশে শান্তির বার্তা নিয়ে। শান্তির বার্তা বিলিয়ে দিতে গতকাল গিয়েছিলেন মিয়ানমারে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচে নির্যাতিত জাতি রোহিঙ্গা জাতি। জাতিগত নিধনের শিকার তারা। তিনি তাদের নামটুকু উচ্চারণ করলেন না। এমনটিই বলছে মিডিয়া। যিনি মানবতার পক্ষে কথা বলার সাহস পেলেন না, তাকে স্বাগত জানাই কী করে?
২) দখলদার ইসরাইল কর্তৃক অসহায় নিরীহ ফিলিস্তিনীদের উপর বর্বরতার খবর তিনি অবশ্যই রাখেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান হয় নি।
৩) ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে ইরাকে আগ্রাসন পরিচালনা করার কথা স্বীকার করলেও ইরাকে এখনো আগ্রাসন চলছেই। বোমা হামলা, হত্যা, ধর্ষণ থামছে না কিছুতেই। শান্তির ধ্বজাধারীদের পদার্পণ নেই সেখানে।
৪) সাম্রাজ্যবাদীদের শক্তির মহড়া চলছে সিরিয়ায়। শান্তি নয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় লড়াই করছে হায়েনারা। সেখানে শান্তির বার্তা বড্ড প্রয়োজন।
৫) আফগানিদের কপালে শান্তি নেই, কাশ্মীরীরা মরছে ধুঁকে ধুঁকে। লিবিয়াও শান্তি নেই। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে নিষিদ্ধ হয়ে আছে মুসলমানদের মৌলিক অধিকার। আলজেরিয়া তিউনিসিয়ায় উড়তে পারছে না শান্তির পতাকা। এসব দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাঁধা কারা? পোপ কি কখনো তাদের কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন?
তারপরেও আপনি আসুন। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবস্থা দেখে যান। দেখে লজ্জিত হবেন নিশ্চয়ই। বিশ্বে মুসলমানদের উপর এত নির্যাতন নিপীড়ন হওয়া সত্ত্বেও একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উত্তমরূপে বজায় থাকে কী করে! আসলে এটাই ইসলাম। এটাই ইসলামের শান্তি। মুসলমান শান্তির পক্ষে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
হয়তো যাবার সময় আমার দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রশংসা করে যাবেন। তবে অনুরোধ রইলো। শান্তির ফোয়ারা ইসলামী শিক্ষা থেকে সামান্য হলেও নিয়ে যাবেন। ইসলাম ও মুসলিম সম্পর্কে ভুল ধারণা নিরসন করে যাবেন।



বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭

মীলাদুন্নবী কি ও তা পালন করা কি......?

Emran Hossain Adib 

নবী করীম (সা:) এর জন্মমুহূর্তকে "মীলাদুন্নবী" বলে। বর্তমানে 'মীলাদুন্নবী' বলতে নবী (সা:)এর জন্মদিনকে বিশেষ ফযীলতের আশায় বিশেষ
পদ্ধতিতে উদযাপন করাকেই বুঝানো হয়ে থাকে। এর সাথে 'ঈদ' শব্দটি যোগকরে ইসলাম স্বীকৃত মুসলমানদের দু'টি ধর্মীয় 'ঈদ' অনুষ্ঠানের সাথে তৃতীয় আরেকটি 'ঈদ' সংযুক্ত করা হয়েছে। ইসলামে যার কোন ভিত্তি নেই। ইহা স্পষ্ট একটি বিদ'আত। কেননা রাসুল (সা:) তাঁর জীবদ্দশায় কখনোই নিজের জন্মবার্ষিকী পালন করেননি। তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ চার সাথী, সংকট মুহূর্তের সংগি দু'জন শ্বশুর ও দু'জন জামাতা,জীবনের চেয়ে যারা নবী করীম (সা:) কে বেশী ভালবাসতেন, সেই মহান চার খলীফা দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বছর খেলাফতে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁহারা কখনোই রাষ্ট্রীয়ভাবে কিংবা ব্যক্তিগতভাবে প্রিয় নবী(সা:)এর উদ্দেশ্যে 'মীলাদ' মাহফিল করেননি। ছাহাবায়ে কেরামের পরে তাবেঈনে উযামের কেউই তা পালন করেননি। এমনকি চার ইমামের যামানাতেও এর কোন প্রচলন ছিল না। অতএব এটা ইবাদতের নামে নতুন আবিষ্কৃত হয়েছে। আর এরূপ নবাবিষ্কৃত বস্তুকেই বিদ'আত বলা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেন -
أن اصدق الحديث كتاب الله و أحسن الهدى هدى محمد وشر الأمور محدثاتها و كل محدثة بدعة و كل بدعة ضلالة و كل ضلالة في النار 
নিশ্চয়ই সর্বোত্তম কথা হল আল্লাহর কিতার, আর সর্বোত্তম হিদায়াত হল মুহাম্মাদ (সা:) এর হিদায়াত। আর সর্বনিকৃষ্ট কাজ হল (শরী'আতের মধ্যে) নব আবিষ্কার। আর প্রত্যেক নব আবিষ্কারই বিদ'আত এবং প্রত্যেক বিদ'আতই গোমরাহি। আর প্রত্যেক গোমরাহীর পরিণামই জাহান্নাম

ব্রিটেনের উগ্র ডানপন্থীদের মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারণা রি-টুইট করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প :


ব্রিটেনের চরম ডানপন্থী একটি দলের তিনটি উস্কানিমূলক মুসলিম বিদ্বেষী ভিডিও ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে টুইট করেছেন।

ব্রিটেন ফার্স্ট নামে দলটির উপনেতা জেইডা ফ্রানসেনের প্রথম টুইট বার্তায় এক ভিডিওতে দাবি করা হয় একজন মুসলিম অভিবাসী ক্রাচ নিয়ে চলা এক প্রতিবন্ধীর ওপর হামলা করেছে।

এরপর তিনি আরও দুই ব্যক্তির একইধরনের দুটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন তারাও মুসলমান। এর একটিতে দেখানো হয় মুসলিমরা একটি খ্রিস্টান মূর্তি ভাঙছে আর অন্যটিতে তারা এক বালককে হত্যা করছে।

এই তিনটি ভিডিও ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটারে শেয়ার করেন।

ব্রিটিশ ফার্স্ট দলটি গঠিত হয়েছিল ২০১১ সালে। উগ্র ডানপন্থী ব্রিটিশ ন্যাশানাল পার্টির (বিএনপি) সাবেক সদস্যরা এই দলটি গঠন করে।

''যুক্তরাজ্যের ইসলামীকরণ'' উল্লেখ করে দলটি বিতর্কিত বিভিন্ন পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

ইউরোপের নির্বাচন ও উপ নির্বাচনে দলটি অতীতে প্রার্থী দিয়েছে এবং প্রচারণা চালিয়েছে অভিবাসন বিরোধী এবং গর্ভপাত বিরোধী নীতিমালার পক্ষে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দলটির প্রার্থীরা কোন আসনে জয়ী হতে পারে নি।

সর্বসাম্প্রতিক মেয়র নির্বাচনেও দলটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে এবং ১.২% ভোট পেয়েছে।

মিস ফ্রানসেনকে টুইটে অনুসরণ করে ৫২ হাজার লোক।

মূল ভিডিওটি প্রথমে শেয়ার করেন আমেরিকার রক্ষণশীল একজন ভাষ্যকার অ্যান কুলটার যাকে ফলো করেন মি: ট্রাম্প।

মি: ট্রাম্প এই টুইট শেয়ার করার পর মিস ফ্রানসেন খুবই উৎসাহের সঙ্গে তার উত্তর দেন। তার অ্যাকাউন্টে মিস ফ্রানসেন লেখেন : ''এই ভিডিওগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে নতুন করে আবার টুইট করেছেন এবং তার ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় চার কোটি ৪০ লক্ষ।''

''ট্রাম্প ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন! ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!" তিনি লেখেন।

এই বার্তাটি ব্রিটেন ফার্স্টের টুইটার অ্যাকাউন্টেও শেয়ার করা হয়।

এ মাসের গোড়ার দিকে বেলফাস্টে দেওয়া এক ভাষণে হুমকি দেওয়া, এবং অপমানকর ভাষা ব্যবহার এবং আচরণের জন্য মিস ফ্রানসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

১৪ই ডিসেম্বর বেলফাস্ট ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

তার উস্কানিমূলক ভিডিওগুলো মি: ট্রাম্প আবার নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংসদ সদস্য জো কক্সকে চরম দক্ষিণপন্থী এক ব্যক্তি হত্যা করে এবং হত্যার আগের মুহূর্তে ''ব্রিটেন ফার্স্ট'' বলে ধ্বনি দেয়। জো কক্সের স্বামী ব্রেনডান কক্স মি: ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন।

টিভি উপস্থাপক ও সাংবাদিক পিয়ের্স মরগ্যান যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ''বন্ধু'' বলে অভিহিত করেন তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন : ''আপনি এটা কি কাণ্ড করছেন?''

''আপনার এই পাগলামো বন্ধ করুন এবং নতুন টুইটবার্তাগুলো সরিয়ে ফেলুন,'' তিনি বলেন।

ব্রিটেনের মুসলিম কাউন্সিল ব্রিটিশ সরকারকে এসব মন্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

''আমেরিকান প্রেসিডেন্ট তার উগ্র ডানপন্থী মতাদর্শ ও বিষাক্ত মুসলমান বিরোধী প্রচারণাকে যে স্পষ্টভাবে অনুমোদন করেন এটা তারই প্রমাণ,'' কাউন্সিলের মুখপাত্র বলেন।

বিষয়টি ব্রিটেনের সংসদে উত্থাপন করা হয় এবং বিরোধী লেবার এমপি ইভেট কুপার মি: ট্রাম্পের পদক্ষেপকে নিন্দা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

হিন্দু জাতিটা হচ্ছে বর্বর পিশাচ শ্রেণীর জাতি

আপনারা জানেন ইন্ডিয়ার বর্তমান উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রি বিজেপি নেতা কুখ্যাত হিন্দু আদিত্যনাথ এক সমাবেশে তার দলের লোকদের বলেছিল,
"মুসলমান মহিলাদের লাশ কবর থেকে তুলে ধর্ষন কর।" নাউযুবিল্লাহ !
(ইউটিউব লিঙ্ক- https://m.facebook.com/story.php…)
আসলে এই হিন্দু জাতিটা হচ্ছে বর্বর পিশাচ শ্রেণীর জাতি। এদের মন, চিন্তা, চেতনা সবই চরম পৈশাচিক, বিকৃত এবং অশ্লীল। যেকারনে হিন্দুরা নিজেদের মা, মেয়ে, বোন, মামী, চাচীর সাথেও যৌন সম্পর্ক তৈরী করতে কুন্ঠিত হয় না। যেহেতু এরা ধর্মগত ভাবেই পিশাচ শ্রেনীর সেকারনে মুসলমান মহিলাদের লাশকেও ধর্ষনের কথা বলা এদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে।
কতটুকু বর্বর এবং পৈশাচিক মনোভাব হিন্দুদের সে বিষয়ে কিঞ্চিৎ ধারনা অর্জন করা দরকার। নিম্নের সংবাদটি মন দিয়ে পড়ুন-
আসামে ধর্ষণ উৎসব!
নভেম্বর ৮, ২০১৩
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ভারতের আসামে ‘বার্ষিক ধর্ষণ উৎসব’ নামে একটি অদ্ভুত অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। শিগগিরই তথাকথিত এই উৎসব শুরু হচ্ছে। ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সী সকল মেয়েকে হয় এলাকা ছেড়ে পালাতে হবে, নইলে ধর্ষিত হতে হবে।
মধুবন আহলুওয়ালিয়া এই বার্ষিক উৎসবের প্রধান। তিনি এই উৎসবের গুরুত্ব তুলে ধরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামে কয়েক হাজার বছর ধরে এই অনুষ্ঠান চলে আসছে। আমরা ধর্ষণ করে মেয়েদের মধ্য থেকে অশুভ দানবীয় আত্মাকে বিতাড়িত করি, নইলে এই মেয়েরা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করবে এবং আমরা তাদের হত্যা করতে বাধ্য হবো।’
আসাম ধর্ষণ উৎসব শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪৩ অব্দে। এ সময় বালকৃশাণ তামিলনাড়ু তার দুমদুমা গ্রামের সবাইকে ধর্ষণ করেন। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে তাকে স্মরণ করা হয়। প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি ধর্ষণকারীকে সেরা ধর্ষক হিসেবে বালকৃশাণ শিরোপা দেয়া হয়। ২৪ বছর বয়সী হরিকৃষ্ণ মজুমদার উৎসবের শিরোপা লাভের জন্য সারা বছর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি এ বছর সবচেয়ে বেশি মেয়েকে ধর্ষণের জন্য শিরোপা লাভ করতে যাচ্ছি। আমি সারা বছর এজন্য অনুশীলন করেছি। আমি প্রতিদিন আমার বোন ও তার বন্ধুদের ধর্ষণ করি। আমি হবো ধর্ষণের এক নম্বর সুপারস্টার। আমি এ বছর নিশ্চিতভাবে বালকৃশাণ ট্রফি জিতব।
১২ বছর বয়সী জয়তাশ্রী মজুমদার সাংবাদিকদের বলেছে, ‘আমি গত বছর অনুষ্ঠানকালে ধর্ষণ থেকে অল্পের জন্য রেহাই পাইনি। শহরের প্রান্তভাগে ধর্ষণমুক্ত এলাকায় আমি ঢুকে যাচ্ছিলাম। এমন সময় নয় ব্যক্তি আমার ওপর লাফিয়ে পড়ে আমাকে ধর্ষণ করে। সৌভাগ্যবশত আমি সেরে উঠেছি। যাতে এ বছরের ধর্ষণযজ্ঞে আমি অংশ নিতে পারি। নইলে আমাকে ওরা পাথর ছুড়ে হত্যা করবে।"
দেখলেনতো , ধর্ষণ করার জন্য এরা একটা উৎসবই পালন করে। রীতিমত প্রতিযোগিতা করে থাকে। কারন তাদের দেবতারাও এসব করতো। সূতরাং এসকল বর্বর পিশাচ নাপাক হিন্দু মালাউনদের মুখে এধরনের কথাই শোভা পায়। রুচিশীল মানবজাতির উচিত এখুনি হিন্দুদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সভ্যজগৎ থেকে বের করে দেয়া। "

শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭

শুধু আফসোস!! আর দুঃখ লাগে!! আমরা এটাই বলে দোয়া করি। هداهم الله جميعا.


সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ইসরাইলপ্রীতি মধ্যপ্রাচ্যকে বদলে দিচ্ছে। তাঁর উদার ভালোবাসার বদৌলতে গত সপ্তাহে সৌদিআরবে অনুষ্ঠিত একটি যুব সম্মেলনে ইসরাইল থেকে এসেছিলেন ইহুদি ব্লগার বিন তিসইউন। শুধু রিয়াদ কিংবা জেদ্দা নয়, বরং বেশ আমেজে এই ইহুদি ঘুরে গেছেন মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববি থেকে। অথচ যুগ যুগ ধরে অমুসলিমদের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ সেখানে। 
ফুরফুরে মেজাজে ইহুদি এই তরুণ সৌদিআরবের পতাকা গায়ে জড়িয়ে তলোয়ার হাতে স্থানীয়দের সঙ্গে নাচ-গানে অংশ নিয়েছেন, সৌদি যুবতীদের সঙ্গে ছবি তুলে তাদের অতি রূপবতী ও সুন্দরী হিসেবে বর্ণনা করেছেন নিজ ইনস্টাগ্রামে। সৌদিআরব ও ইসরাইলের এমন প্রীতি ও ভালোবাসার এই তো মাত্র শুরু!
উদার হতে চলা সৌদিআরবের নতুন এই পালাবদলের হাওয়ায় উৎসবের বন্যা বইছে ইসরাইলে। এর প্রমাণ মেলে গত সপ্তাহে যখন ইসরাইলের একজন মন্ত্রী সৌদিআরবের গ্র্যান্ড মুফতিকে ইসরাইল সফরের আমন্ত্রণ জানালেন। কারণ, সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা অবৈধ হিসেবে ফতওয়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আর গত পরশু ইসরাইলের জ্বালানি মন্ত্রী যখন সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, সৌদিআরবের সঙ্গে তাঁদের গোপন সম্পর্ক রয়েছে, তখন বোঝা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনকে গলা টিপে হত্যার সব আয়োজন স্বয়ং তদারকি করছেন যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান।
সৌদিআরব আমাদের নয়, এটি আলেসউদের সম্পত্তি। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলবার নেই। কিন্তু মক্কা-মদিনা আমাদের, এক ইসরাইলি ইহুদি কেন এবং কার ছত্রছায়ায় ঢুকে গেল এই সীমানায়- জানতে চাওয়ার অধিকার রয়েছে আমাদের।
নিউজের সত্যতা বা লিংক জানতে চেয়ে কেউ বিরক্ত করবেন না আশা করি। ইনস্টাগ্রামে (ben.tzion) লিখে ওই তরুণের একাউন্টে গেলে তাঁর ছবি ও বর্ণনা দেখতে পারবেন। আমার এখানে নয়।
সূএঃ তামিম রায়হান

বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৭

তাবলীগ জামাতের চলমান সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগী হয়েছেন দিল্লির নিজামুদ্দীন মারকাজের মুরব্বি (আমির) মাওলানা সাআদ কান্ধলভী।


Emran Hossain Adib
তাবলীগ জামাতের চলমান সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগী হয়েছেন দিল্লির নিজামুদ্দীন মারকাজের মুরব্বি (আমির) মাওলানা সাআদ কান্ধলভী।
উদ্যোগ হিসেবে তিনি শুরুতেই তাবলীগের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি হজরতজি মাওলানা ইবরাহিম দেওলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
জানা যায়, ২২ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় মাওলানা ইবরাহিম দেওলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মাওলানা সাদ। এ সময় তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে তাকে দিল্লির মারকাজ মসজিদে আসার অনুরোধ করেন।
মাওলানা সাদ কান্ধলভী ইবরাহিম দেওলাকে অনুরোধ করে বলেন, হজরত বুখারী শরিফ আপকে লিয়ে এনতেজার কর রাহে হে, আপকে কামরা এনতেজার কর রাহে হে। (বুখারী শরিফ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, আপনার রুম আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
সাক্ষাতে উপস্থিত প্রতিনিধিদের একজন আওয়ার ইসলামকে ভয়েজবার্তায় জানান, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আগমনে এসময় পুরো রুমে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। উপস্থিত সবার মধ্যে অন্য রকম চাঞ্চল্য দেখা যায়।

হজরতজি মাওলানা ইবরাহিম দেওলা মাওলানা সাদের আগমনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ভাই মেরে লিয়ে দোয়া করো। (ভাই আমার জন্য দোয়া করো)
উল্লেখ্য, হজরতজি মাওলানা ইবরাহিম দেওলা এক সময় নিজামুদ্দীন মারকাজ মাদরাসার বুখারী শরিফের উস্তাদ ছিলেন। দীর্ঘ জীবন তিনি দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতের সঙ্গে নিজেকে কুরবানী দিয়ে আসছেন। তিনি তাবলীগ জামাতের মুরব্বি এবং হজরতজি ইলিয়াস রহ. এর দৌহিত্র মাওলানা সাদের একাধিক কিতাবের উস্তাদ।
দিল্লির নিজামুদ্দীনে শূরা নিয়ে সঙ্কট শুরু হলে তিনি মারকাজ থেকে চলে যান। দীর্ঘ প্রায় এক বছর তিনি মারকাজের বাইরে থাকায় তাবলীগের সাথীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়।
তবে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর গতকালের সাক্ষাৎ নিয়ে নিজামুদ্দীনে চলমান সঙ্কট নিরসন হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন মুরব্বিগণ।

মাওলানা সাদ কান্ধলভী শুক্রবার রাতে তাবলীগের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি মাওলানা আহমদ লাটের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ভোপাল সফর করবেন বলেও সূত্রটি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ভারতের শীর্ষ মুরব্বিদের সঙ্গে ধারাবাহিক এ সাক্ষাৎ চালু থাকবে বলেও জানা গেছে।
দিল্লির নিজামুদ্দীন মারকাজ থেকে মাওলানা সাদের সঙ্গে প্রতিনিধি দলে ছিলেন, মাওলানা সাঈদ, মাওলানা ইউসুফ, মাওলানা ইলিয়াস, মাওলানা আবদুস সাত্তার, মাওলানা শওকত আলী, মুফতি শাহাজাদ, ভাই মুরসালিন ও ভাই হারুন প্রমুখ।
তাবলীগ জামাতের চলমান সঙ্কট নিরসনে বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম দীর্ঘ দিন ধরেই নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সে ধারাবাহিকতায় একাধিকবার আলেমগণ তাবলীগের মুরব্বিদের কাছে চিঠিপত্র আদান প্রদান করেছেন। একাধিক ঘরোয়া বৈঠকও করেছেন উভয় পক্ষ।

গত ২৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় বিষয়টি নিয়ে কাকরাইলের শূরার সদস্য ও শীর্ষ উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সঙ্কট নিরসনে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। গঠন করা হয় ৫ সদস্যের কমিটিও।
এছাড়াও গত ১১ নভেম্বর উত্তরায় উলামা মাশায়েখ পরামর্শ সভার আয়োজন করেন আলেমগণ। সেখানেও তাবলীগের চলমান সমস্যা দ্রুত নিরসনের জন্য তাগিদ পেশ করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় উলামা হজরত।
গত ১৬ নভেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে জামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় তাবলীগের শূরার সদস্য ও আলেমদের বৈঠক। বৈঠকে শীর্ষ পাঁচ আলেমকে তাবলীগের উপদেষ্টা মনোনীত করা হয়।
উপদেষ্টাগণ হলেন, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি ও জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগের মুহাতামিম আল্লামা আশরাফ আলী, মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের খতিব আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস ও মিরপুর মারকাযুদ দাওয়া’র আমিনুত তালিম মাওলানা আবদুল মালেক।
ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের আলেমদের ইতিবাচক এসব প্রচেষ্টা দিল্লির নিজামুদ্দীন মারকাজে প্রভাব ফেলেছে এবং সেখান থেকেই মাওলানা সাদ সঙ্কট নিরসনে শীর্ষ মুরব্বিদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উদ্যোগী হয়েছেন।


রবার্ট মুগাবের বিদায়: ইতিহাসের পরিহাসমূলক পুনরাবৃত্তি


রবার্ট মুগাবের আকস্মিক প্রস্থানে আবারও বিশ্ববাসী দেখল, ইতিহাসের পাঠ থেকে শিক্ষা না নিলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। উন্নয়নশীল দেশের মানুষ আরেকবার উনিশ শতকের ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিংয়ের জনপ্রিয় ‘প্যাট্রিয়ট’ কবিতার প্রথম পঙ্‌ক্তি ‘দাজ আই এন্টার্ড অ্যান্ড দাজ আই গো’ উচ্চারণ করবেন। কবি দেশপ্রেমিক নগরীতে পুষ্পবর্ষণের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন, কিন্তু পরে কর্মদোষে তাঁকে ইষ্টক বর্ষণের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল। জিম্বাবুয়ের ষাট ও সত্তর দশকের বর্ণাঢ্য স্বাধীনতাসংগ্রামের একদা নন্দিত নায়ক রবার্ট মুগাবে, যিনি ধীরে ধীরে নিজেকে স্বৈরশাসকে পরিণত করেছিলেন, তাঁর দুঃখজনক অথচ প্রত্যাশিত পতন ঘটেছে।
এটা দেখার বিষয় যে যথাসময়ে যথোচিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে ব্যক্তি শুধু নয়, প্রতিষ্ঠান হিসেবে দলকেও লজ্জাজনক খেসারত দিতে হয়। জিম্বাবুয়ের ক্ষমতাসীন দল তাদেরই সৃষ্টি করা স্বৈরশাসককে সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে অক্ষমতার পরিচয় দিয়েছিল। সেই ঘাটতি পূরণ করেছে সামরিক বাহিনী। মুগাবের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের পরই কেবল ক্ষমতাসীন দলটি তাদের তিন দশকের অবিসংবাদিত নেতাকে বহিষ্কার করেছে এবং পদত্যাগ না করলে তাঁকে অভিশংসনের হুমকি দিয়েছিল।
মুগাবের এই করুণ পরিণতি তাঁর সতীর্থ মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী জনতার কাছে নিশ্চয় একদিন অচিন্তনীয় ছিল। কিন্তু গণতন্ত্রের মাথা খেয়ে মুগাবে নিজেকে ‘অপরিহার্য’ তৈরি করেছিলেন। ক্ষমতার দর্পে ও নেশায় তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়েছিলেন। তাই তিনি তাঁর দলের লোকের স্তুতি ও চাটুকারিতায় আচ্ছন্ন ছিলেন। বুঝতেই পারেননি যে দলের কাছে কবে তিনি বোঝায় পরিণত হয়েছেন।
জীবনসায়াহ্নে মুগাবে ক্ষমতাভোগের উত্তরাধিকার একতরফাভাবে নির্দিষ্ট করতে গিয়ে অঙ্কে গরমিল করে ফেলেছিলেন। ৯৩ বছর বয়সী মুগাবের দৃশ্যত শেষ ভুল ছিল ক্ষমতার উত্তরাধিকার নির্বাচন। তিনি তাঁর স্ত্রী গ্রেসকে তাঁর স্থানে কল্পনা করেছিলেন। তাই দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন, যিনি নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক প্রধান এবং সামরিক বাহিনীতে জনপ্রিয়, তাঁকে তিনি বহিষ্কার করেছিলেন। এই সিদ্ধান্তই তাঁর জন্য কাল হয়।
আমরা আশা করব, দেশটির সামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ক্রান্তিকাল অতিক্রমে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে। কারণ, নির্বাচিত স্বৈরশাসকের পরিবর্তে সামরিক স্বৈরশাসন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সেখানকার গণতন্ত্রকামী জনগণও তা বরদাশত করবে না। তবে মনে হচ্ছে দেশটিকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। কারণ, এমারসন কতটা কর্তৃত্বপরায়ণমুক্ত হবেন, তা পরিষ্কার নয়। তবে ইতিহাসের শিক্ষা বিবেচনায় নিয়ে গণতন্ত্র ও জনগণের ইচ্ছার প্রতি দেশটির নতুন শাসকগোষ্ঠী সম্মান দেখাবে, সেটাই প্রত্যাশিত।

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭

নবীদের দোয়া


এই নৃত্যভঙ্গিটি খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সারা বিশ্বেই।


এই নৃত্যভঙ্গিটি খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সারা বিশ্বেই। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেনা এই চিহ্নের মানেটা কি?এর পেছনে একটি অন্ধকার অতীত রয়েছে। এটিকে ড্যাব (DAB) সাইন বলা হয়। এর পূর্ণরূপ Devils are bright যার অর্থ অনেকটা এররকম দাড়ায়-"শয়তানেরা চির উজ্জল"(নাউজুবিল্লাহ) এটা সাতানিসম বা শয়তানের পূজা কে প্রমোট করে।জঘন্যতম শিরকের একটি এটি। কারন এই চিহ্ন দ্বারা শয়তানকে সিজদাহ করা বোঝানো হয়। এটা আল্লাহ্-তায়ালাকে সিজদাহ করার বিপরীত। বর্তমানে তারকা খেলোয়াড়দের থেকে শুরু করে অনেকেই এই চিহ্নের অনুকরণ করছে। এটাকে ফান হিসেবে দেখছে। কিন্তু এই কাল ফান আপনার জাহান্নামে যাওয়ার কারন হতে পারে! এমনও হতে পারে এটি ইলুমিনাতি (Illuminati) বা শয়তানের পূজারিদের দ্বারা মুসলিমদের ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ছড়ানো। অনেক স্বনামধন্য তারকাদেরই এই দলের অন্তর্গত বলে ধরা হয়। সৌদিআরবে এই সাইন শো করা আইনগত দন্ডনীয়।  একটাই অনুরোধ,না জেনে বুঝে কিছু অনুকরণ করতে যাবেন না। শেষে ক্ষতিটা হয়তো আপনারই হবে। ভালো থাকুন,ভালো রাখুন আর জেনে বুঝে কাজ করুন।


আসামে ৫০ লক্ষ মুসলমানদের বিরুদ্ধে দেশটির বর্তমান সরকার নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে৷


আসামে ৫০ লক্ষ মুসলমানদের বিরুদ্ধে দেশটির বর্তমান সরকার নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে৷ ২৭ লক্ষ মুসলমানদের নাগরিকত্ব বাতিল করে কার্যত আসামকে মিয়েনমারের মতো বানানোর নীলনকষা আঁকছে বিজিপি সরকার৷ রুহিঙ্গাদের পরিণতির পথে ফেলে দিতে আসামের রাজ্য সরকার পায়তারা অব্যাহত রেখেছে৷ 

আসামের মুসলিদের কি হবে? তারা কোথায় যাবে? ওদেরকে বলা হচ্ছে তারা বাংলাদেশী৷ রোহীঙ্গাদের মতো তাদেরকেও কি জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে, না কি গলা টিপে হত্যা করা হবে? পৃথিবীতে আর কতো মুসলিমকে শরণার্থী হতে হবে?
ভারতে গরু জবাই করলে বিচার হয়৷ অথচ, ভারতের উগ্র হিন্দুদের হাতে মুসলমানগণ অহরহ সাম্প্রদায়িক হামলা, নির্যাতন ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন৷ ক্ষমতাশীল দল ও খোদ কসাই প্রধানমন্ত্রী-ই এসব হামলার ইন্দন ও নির্যাতনের সাথে অনেকটা জড়িত৷ এসবের সুষ্ঠু কোনো বিচার হচ্ছেনা৷ মুসলিমগণ প্রতিনিয়ত নির্যাতন ভোগ করছে৷ অপরদিকে, ভারত আমাদের স্বাধীন দেশের সিমানার ভেতরেও বিভিন্ন সমস্যা তৈরিতে লিপ্ত৷ তারা বারবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ করে অশান্তি লাগিয়ে রাখছে৷ 
আসামের মুসলিমদের অধিকার রক্ষায় ভারতীয় মুুসলিমদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংগঠন ও মহান নেতা আওলাদে রাসূল আল্লামা আরশাদ মাদানী ইতোমধ্যে ভারকারের সামনে কঠোর হুসিয়ারী উচ্চারন করেছেন৷ আমাদেরকেও চোখ কান খোলা রাখতে হবে৷


রাস্তা-ঘাটে, অলি-গলিতে চক্কর দিয়ে ঘোষক ঘোষনা করছে। ঘোষক উচ্চকন্ঠে বলে চলছে-


যে ব্যক্তি বিয়ে করতে চায়, তাকে আমরা বিয়ে করিয়ে দেবো।

যে ব্যক্তি ঘর নির্মাণ করতে চায়, তাকে আমরা ঘর নির্মাণ করে দেবো। 
যে ঋণগ্রস্থ, ঋণ পরিশোধ করতে পারছেনা; তার ঋণ আমরা পরিশোধ করে দেবো। 
যে ব্যক্তি হজ্জ বা ওমরা করতে চায়, তাকে আমাদের খরচে হজ্জ বা ওমরা করাবো।
.
দুঃখিত, এই কথাগুলো এ যুগের নয়। এই কথাগুলো এ যুগের এমন কেউ বলেনি; যে যুগে মুসলিম দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস, তেল, পেট্রল ইত্যাদি খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়। এই কথাগুলি এমন যুগের কারও নয়, যে যুগে মুসলিম বিত্তশালীরা বিলাসবহুল গগনচুম্বী অট্রালিকায় শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় আয়েশ করে। যে যুগের ধনীরা শুধু ধনী হতে থাকে, আর দরিদ্ররা আরও দরিদ্র।বরং কথাগুলো আজ থেকে প্রায় সাড়ে তেরো শত বছর পূর্বে খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ. বলেছেন।
.
কথাগুলো ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ. -এর কাছে যখন লোকেরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যাকাত এর মাল নিয়ে আসলো, তখন বলেছিলেন। তিনি লোকদের সম্বোধন করে বলেছিলেন- এই মাল ফকিরদের মধ্যে বিতরন করে দাও। 
 মুসলিম উম্মাহর মাঝে কোনো ফকির নেই!
তাহলে এই মাল দিয়ে মুজাহিদ বাহিনীদের রণসাজে সজ্জিত করে দাও। 
মুজাহিদ বাহিনীগুলো তো সারা পৃথিবী চষে বেড়াচ্ছে!
তাহলে এই মাল দিয়ে যুবকদের বিয়ে করিয়ে দাও। 
-বিবাহেচ্ছুকদের বিয়ে করিয়ে দিয়েছি, এরপরও মাল রয়ে গেছে! 
-তাহলে এই মাল দিয়ে ঋণগ্রস্তদের ঋণ আদায় করে দাও।
-আদায় করে নিয়েছি, কিন্তু এরপরও মাল রয়ে গেছে! 
-তাহলে দেখো কোনো ঋণগ্রস্থ ইহুদী/খৃষ্টান পাও কি না, পেলে ঋণ আদায় করে দাও।
-করে দিয়েছি, কিন্তু তারপরও মাল রয়ে গেছে! 
-তাহলে এই মাল আহলে ইলমদের দিয়ে দাও।
-দিয়ে দিয়েছি, কিন্তু তারপরও মাল রয়ে গেছে! 
.
.
এবার ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ. বললেন- তাহলে এই মাল দিয়ে গম কিনে পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় ছিটিয়ে দাও, যাতে এই কথা বলা না হয় যে, মুসলমানদের দেশে পাখ-পাখালিরা উপোষ রয়েছে!!! 
.
.
.
সূত্র- (কিতাবুল আমওয়াল, ৬২৫-৬৩৬। ইমাম আবু উবাইদ ক্বাসিম ইবনে সাল্লাম রাহ.)


ওসমানী খিলাফতকালে প্রতিটি ঘরের দরোজায় দু'টি কড়া থাকতো।


ওসমানী খিলাফতকালে প্রতিটি ঘরের দরোজায় দু'টি কড়া থাকতো। একটি ছোট, আরেকটি বড়। যখন ছোট কড়াটি নাড়ানো হতো, বুঝা যেতো যে, আগন্তুক একজন মহিলা। তখন গৃহকর্ত্রী এসে দরোজা খুলে দিতো। আর যখন বড় কড়াটি নাড়ানো হতো, বুঝা যেতো যে, আগন্তুক একজন পুরুষ। তখন গৃহকর্তা এসে দরোজা খুলে দিতো।
.
.
যখন কোনো ঘরে কেউ অসুস্থ হতো, তখন ঘরের দরোজার উপর লাল গোলাপের তোড়া রেখে দেয়া হতো। যাতে করে দরোজার সামন দিয়ে অতিকক্রমকারী গাড়ি, পণ্যবিক্রেতা ও চলাচলকারী ব্যক্তি বুঝতে পারে যে, ঘরে কেউ অসুস্থ আছে, তাই জোরে কোনো শব্দ না করে।
.
.
খিলাফত হারিয়ে কেমন অভিশপ্ত জীবনের ভাগীদার হলাম আমরা! কোন সে ফিরদাউস হারালাম! মানবতাবোধের কোন সে স্বর্ণকাল বিদায় নিলো আমাদের থেকে! কতইনা সুখের ছিলো সে যুগ! কতইনা শান্তির! কত সভ্য! সুন্দর! কত পবিত্র! আহ!!! বদনসিব এই উম্মাহর!!! 
.
.
.
সূত্র- আরবের জনপ্রিয় ফেইসবুক পেইজ (قصص و عبر) হতে অনূদিত।


শাইখ মুস্তফা সাবরী রাহ


ছবিটির ডানপাশে যে মহান মনীষীকে দেখা যাচ্ছে, তিনি হলেন শাইখ মুস্তফা সাবরী রাহ.। ওসমানী খিলাফতে তাঁর লক্বব ছিলো 'শাইখুল ইসলাম'। তিনি সেসকল হাতেগুনা আলেমদের একজন ছিলেন, যাঁরা শুরুলগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষতার জনক বে-ঈমান আতাতুর্কের ইসলাম বিদ্বেষী ষঢ়যন্ত্র ও কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এমনি এক কঠিন পরিস্থিতিতে, যখন বেশিরভাগ মানুষ; এমনকি আলখেল্লাধারী আলেমগন পর্যন্ত আতাতুর্কের প্রবঞ্চনার শিকার হয়ে গিয়েছিলেন!
.
.
যখন তিনি আতাতুর্কের ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকান্ড দেখতে পেলেন, এক ঐতিহাসিক কিতাব রচনা করলেডন 'আন-নাকীরু আলা মুনকিরীন নি'মাতি মিনাদ দ্বীন ওয়াল খিলাফাহ ওয়াল উম্মাহ' নামে। উক্ত কিতাবে তিনি একটি কথা বললেন -"যারা আমাদের দেশে রাজনীতিকে দ্বীন থেকে মুক্ত করে নিয়েছে এবং তারা ওলামায়ে কিরামের জন্য রাজনীতি চর্চাকে অপছন্দ করে এই দলিলের ভিত্তিতে যে, এ রাজনীতি ওলামায়ে কিরামের জন্য অসমীচীন ও মানহানিকর, তারা মূলতঃ রাজনীতির অবমূল্যায়ন করতে চায় ও রাজনীতিকে একমাত্র তাদের জন্য কুক্ষিগত করে রাখতে চায়! তারা ওলামায়ে কিরামদের ধোঁকা দিতে চায় এবং অথর্বদের কাতারে দাঁড় করিয়ে রাখতে চায়, যাতে আলেমরা তাদের হস্তচুম্বন করে! তারা বুঝাতে চায় যে, আলেমরা সম্মানী, অতঃপর তারা যা ইচ্ছা তা করতে পারে জনগণ ও দ্বীনের ব্যাপারে!"
.
.
বাম পাশর ছবির দিকে তাকান। পাগড়িওয়ালা আলখেল্লাধারী বয়োবৃদ্ধ শাইখ! আতাতুর্কের দরবারী ভাড়াটে আলেম! এদের মাধ্যমে আতাতুর্ক তুরষ্কে প্রথমে তার ভীত মজবুত করছিলো। অবশেষ টয়লেট পেপারের মতো ছুঁডড়ে ফেলে তাদের শাহরগ চেপে ধরেছিলো। শেষ রক্ষে দেয়নি তাদেরও! 
.
.
শাইখ মুস্তফা সাবরী রাহ. - আতাতুর্ক ও তার সমর্থক জনগনের তোপের মুঝে পড়েছিলেন। কিন্তু তারপরও বলেছিলেন, আলেমদের দায়িত্ব নয় জনসমর্থন আদায় করা এবং ক্ষমতাধরদের মন যুগিয়ে চলা, বরং আলেমদের দায়িত্ব হলো সত্যকে উন্মোচন করে দেয়া।
.
.
সূত্র- (تاريخ الدولة العثمانية) হতে অনূদিত।


আজও সৌদি আরবের একটি ব্যাংকে হযরত উসমান ইবনে আফফান রা.


আপনি কি জানেন যে, আজও সৌদি আরবের একটি ব্যাংকে হযরত উসমান ইবনে আফফান রা. -এর একটি একাউন্ট রয়ে গেছে?! আপনি কি উসমান ইবনে আফফান টাওয়ারের কাহিনী জানেন, বর্তমানে যেটি মসজিদে নববীর পাশে নির্মাণাধীন?! সেখানে কি আজও উসমান বিন আফফান রা. - এর বংশধররা রয়ে গেছে, যাঁরা তাঁর নামে এই টাওয়ারটি নির্মাণ করছেন?! ইহা এক লোমহর্ষক কাহিনী! তাহলে শুনা যাক-
.
মদীনা মুনাওয়ারায় হিজরতের পর যখন দিন দিন মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে থাকলো, ততবেশি পানিরও প্রয়োজন বাড়তে থাকলো। মদীনায় যে কূপ থেকে সবচেয়ে বেশি পানি সরবরাহ করা হতো, তার নাম ছিলো রূমা কূপ। কিন্তু এই কূপটি ছিলো একজন ইহুদীর। ইহুদী অত্যন্ত শক্তদিলের আদমী ছিলো। সে একফোঁটা হলেও পানিকে বিক্রি করতো! 
.
হযরত উসমান রা. - বিষয়টি জানতে পারলেন। তিনি ইহুদীর কাছে এসে কূপটি বিক্রয় করার আবেদন করলেন। কিন্তু ইহুদী তা প্রত্যাখ্যান করে বসলো। তিনি কূপের অর্ধেক বিক্রয় করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলেন। এভাবে যে, কূপটি পালাক্রমে একদিন তাঁর মালিকানায় থাকবে। আরেকদিক ইহুদীর। আর ইহুদী তার মালিকানার দিন পানি বিক্রি করবে। এবার ইহুদী সম্মতি প্রকাশ করলো। কারণ, সে মনে করে করলো, এবার আগের চেয়ে ক্রেতা অনেক গুণ বেড়ে যাবে। আবার অর্ধেক কূপের দাম তো পকেটেই আছে! কিন্তু ঘটলো তার বিপরিত। পানি বিক্রির ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলো! একজনও ক্রেতার খবর নাই! ইহুদীর আশ্চর্যেরও সীমা নাই! ইহুদী অনুসন্ধান করে জানতে পারলো যে, উসমান রা. - তাঁর মালিকানাধীন অর্ধেক কূপ মানুষের জন্য আল্লাহর ওয়াস্তে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। মানুষেরা তাঁর মালিকানার দিন ফ্রি তে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নিয়ে যায়, তাই তার (ইহুদীর) মালিকানার দিন আর প্রয়োজন পড়েনা! ইহুদীর তো মাথায় হাত! সে তড়িৎ উসমান রা. - এর কাছে গিয়ে পুরো কূপটি খরিদ করে নেয়ার অনুরোধ করতে লাগলো। তিনি ২০ হাজার দিরহামের বিনিময়ে পুরো কূপটি কিনে নিলেন। পুরোটাই আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ করে দিলেন।
.
কিছুদিন পর তাঁর কাছে একজন সাহাবি আগমন করে দ্বিগুণ মূল্যে কূপটি খরিদ করতে চাইলেন। উসমান রা. - বললেন, এর চেয়েও বেশি মূল্য আমার সামনে পেশ করা হয়েছে, কিন্তু আমি দেইনি। ঐ সাহাবি তিনগুণ মূল্য দিয়ে খরিদ করতে চাইলেন। উসমান রা. - বললেন, এর চেয়েও বেশি মূল্য পেশ করা হয়েছে এ, তবুও আমি দেইনি। এবার ঐ সাহাবি আশ্চর্য হয়ে বললেন, এরকম চড়ামূল্য দিয়ে ক্রেতা আমি ব্যতিত আর কাউকে পাবেননা আপনি! উসমান রা. - বললেন, ভালো কাজের প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহ আমাকে দশগুণ দান করবেন! 
.
উসমান রা. - কূপটি ওয়াকফ করে দিলেন। কিছুদিনের মধ্যে কূপের আশেপাশের খেজুরগাছগুলো খুব দ্রুত বাড়তে লাগলো। কালের আবর্তে হয়ে গেলো এক বিশাল খর্জুর বিথিকা। এভাবে আসলো উসমানী খিলাফাহর যুগ। উসমানী খিলাফাহ বাগানটাকে খুবই পরিচর্যা করলো। উসমানী খিলাফাহর পতনের পর আসলো সৌদি সরকারের আমল। সৌদি সরকার বাগানটির আরও যত্ন নিলো। এমনকি বাগানের খেজুর গাছের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১৫৫০-এ!
.
সৌদি সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় একটি প্রসংশনীয় অবস্থানে উত্তীর্ণ হলো। কৃষি মন্ত্রণালয় বাগানের আহরিত খেজুর আরব সহ বিশ্ববাজারে রফতানি করে বিরাট লাভের অধিকারী হতে লাগলো। লাভের অর্ধেক ইয়াতিম ও ফকির-মিসকিনদের জন্য ব্যয় করতে লাগলো আর বাকি অর্ধেক উসমান রা. এর নামে একাউন্ট খুলে সঞ্চিত করতে শুরু করলো। একাউন্ট পরিচালনা করতে লাগলো স্বয়ং সরকারী মন্ত্রণালয়।
.
এভাবে লাভ শুধু বাড়তেই থাকলো বাড়তেই থাকলো। একসময় একাউন্টে এমন পরিমাণ সম্পদ সঞ্চিত হলো যে, যা দিয়ে মসজিদে নববীর পাশেই সদর এলাকায় একটা জমি কেনা যাবে। অতঃপর মসজিদে নববীর পাশেই একটি জমি কিনে 'উসমান ইবনে আফফান রা. - টাওয়ার' এর কাজ শুরু হলো ঐ লাভ থেকেই। বর্তমানে টাওয়ারের কাজ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। অচিরেই টাওয়ারটি টাওয়ার কমিটিকে পাঁচটি মেয়াদে ভাড়া দেয়া হবে। বার্ষিক ভাড়া আসবে ৫০ মিলিয়ন সৌদি রেয়াল! অর্ধেক ইয়াতিম ও ফকির-মিসকিনদের একাউন্টে, আর বাকি অর্ধেক উসমান রা. - এর একাউন্টে।
.
খুশির বিষয় হচ্ছে, যে জমিতে টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে, সেই জমিকে চিরস্থায়ীকালের জন্য 'উসমান ইবনে আফফান রা. - এলাকা' নামে রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে! 
.
আল্লাহু আকবার! ইহা আল্লাহ তা'লার সাথে ব্যবসার ফল! যে ব্যবসা ১৪ টি শতাব্দীকাল ধরে চলমান!! জানিনা উসমান রা. - এর আমলনামায় লিখিত পূণ্যের পরিমাণ কতটুকু?! 
.
.
সুত্র- আরবের জনপ্রিয় ফেইসবুক পেইজ (قصص و عبر) হতে অনূদিত।

ওসমানী খিলাফাহর স্বর্ণকণিকা

খেয়ে ফেলেছি মসজিদ'! কী- অবাক হলেন?! ভাবছেন- এ আবার কোন নাম হল?! অবাক হওয়ার কিছু নাই। বাস্তবেই এটি একটি মসজিদের নাম। পৃথিবীর ইতিহাসে মসজিদের সবচে' আনকোরা নাম। তুরষ্কের ইস্তাম্বুলের 'ফাতিহ' নামক এলাকার একটি ছোট্ট জামে মসজিদের নাম। তুর্কি ভাষায় মসজিদটির নাম -'সানকি য়াদম'। অর্থ- 'যেমন নাকি খেয়ে ফেলেছি'। এই আনকোরা নামের পেছনে একটি চমকপ্রদ কাহিনী রয়েছে। চলুন তাহলে শোনা যাক-
ইস্তাম্বুলের 'ফাতিহ' নামক এলাকায় 'খাইরুদ্দীন আফেন্দি' নামের একজন দরিদ্র- মুত্তাক্বি ব্যক্তি ছিল। সে যখন বাজারে যেত ফল, গোস্ত, মিষ্টি ইত্যাদি খরিদ করার জন্য; তখন নিজের আগ্রহকে সামলে নিতে মনে মনে বলত- 'সানকি য়াদম' বা 'যেমন নাকি খেয়ে ফেলেছি'। অতঃপর পকেটের টাকা পকেটে নিয়েই বাড়ি ফিরত! টাকাগুলো একটি সিন্ধুকে সঞ্চিত করে রাখত। এভাবে তার আর মনের খুশিমতো ফল, গোশত, মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়া হতোনা। বরং 'সানকি য়াদম' বলে মনে মনে খেয়ে সিন্ধুকে রাখা হতো! 
.
.
দিন যায় রাত আসে, রাত যায় দিন। সপ্তাহ গড়িয়ে বছর, বছর পেরিয়ে যুগ। কালের ক্রমান্বয়ে টাকার হারও বাড়তে থাকল সিন্ধুকে। এভাবে একদিন দেখা গেল যে, সিন্ধুকে বেশ কিছু টাকা সঞ্চিত হয়ে গেছে। ঐ দরিদ্র -মুত্তাক্বি ব্যক্তি সঞ্চিত টাকা দিয়ে নিজ মহল্লায় একটি ছোট্ট জামে মসজিদ প্রতিষ্টা করে নিল। অতঃপর যখন মহল্লাবাসী ঐ দরিদ্র- মুত্তাক্বি ব্যক্তির মসজিদ নির্মাণের কাহিনী জানতে পারল, তারা মসজিদটির নাম রেখে দিল -'সানকি য়াদম মসজিদ' বা -'যেমন নাকি খেয়ে ফেলেছি মসজিদ'!!!
.
.
.
সূত্র- (রাওয়াঈ'য়ু মিনাত-তারীখিল উসমানী, পৃষ্টা- ১০০। উরখান মুহাম্মাদ আলী)