বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ফিলিস্তিনি পতাকা উড়েছে জাতিসংঘে

এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়েছে।
ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবার সময় তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ১৯৯৩ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তার শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েল তার বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ না করা পর্যন্ত এবং বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিন একা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আর কাজ করবে না।চুক্তির শর্ত পূরণ না করা পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে আর কোন আলোচনা নয় বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন।ইসরায়েলী দখলদারিত্ব বন্ধ করার জন্য বরং আন্তর্জাতিক শক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করাই বেশি ফলদায়ক।
এ মাসের শুরুর দিকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন আর ভ্যাটিকানের পতাকা ওড়ানোর একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে সাধারণ পরিষদ। কিন্তু সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো ছয়টি দেশ। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হয়। ২০১২ সালে ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ নয় কিন্তু পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।

‘মাকে জড়িয়ে ধরছিলাম বাঁচাতে পারিনি’


‘হঠাৎ মানুষ ছোটাছুটি শুরু করল। একজন আরেক জনের ওপর পড়তাছে। মাকে জড়িয়ে ধরছিলাম। কিন্তু লোকজনের ধাক্কায় ছুইটা গেল। পাড়া খাইয়া মা মারা গেল। বাঁচাতে পারিনি। তার লাশ কোথায়, তাও জানি না।’কথাগুলো মিনায় পদপিষ্ট হয়ে নিহত ফিরোজা খানমের ছেলে মাজহারুল ইসলামের। মায়ের সঙ্গে তিনিও হজ করতে যান। গতকাল বুধবার বেলা সোয়া দুইটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরেন। ওই ফ্লাইটে ৪১৯ জন হাজি আসেন। এ ছাড়া গতকাল সৌদিয়া এয়ারলাইনসের দুটি ফ্লাইটে আরও প্রায় ৬০০ জন হাজি দেশে ফেরেন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মিনার দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জামালপুরের মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কী হইছে কিছু বুঝতে পারি নাই। পাথর মারতে যাওয়ার পথে হঠাৎ দৌড়াদৌড়ি শুরু হইল। শুনছি সৌদি বাদশার ছেলের জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।’ তিনি বলেন, মায়ের মরদেহ খুঁজতে তাঁকে হজ এজেন্সি বা মুয়াল্লিম কোনো সাহায্য করেনি।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে একজন নারী হাজি কাঁদতে কাঁদতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হচ্ছিলেন। তিনি বিলাপ করছিলেন, ‘তোমারে বাঁচাইতে পারি নাই। তোমারে বাঁচাইতে পারি নাই।’ তাঁর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ওই নারী হাজির স্বামী গোলাম মোস্তফা মিনায় পদদলিত হয়ে মারা গেছেন।
গতকাল ফিরতি হজ ফ্লাইটে দেশে ফেরা হাজিদের মধ্যে মিনায় স্বজন হারানো আটজনের দেখা মেলে। তাঁরা ও তাঁদের নিতে আসা স্বজনদের কান্নায় বিমানবন্দরে আগমনী টার্মিনালের সামনে শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়।
ফ্লাইটসূচি বিপর্যয়: বিমানের ফ্লাইটসূচি বিপর্যয়ের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঢাকায় ফেরা হাজিদের। গতকাল অনেক হাজি অভিযোগ করেছেন, তাঁরা ঢাকায় নেমে দেখেন যে তাঁদের মালামাল ভর্তি লাগেজ আসেনি। পরে লাগেজ না নিয়েই তাঁরা বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন। তাঁদের লাগেজ পরে আসবে বলে জানানো হয়।
সাবেরা হক নামের একজন নারী হাজি বলেন, ‘ফ্লাইট ১২ ঘণ্টা লেট। খাবার নাই, পানি নাই। মুয়াল্লিম কন, এজেন্সি কন কেউ হেল্প করে নাই।’
হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জেদ্দা বিমানবন্দরে এখন হ-য-ব-র-ল অবস্থা। কিচ্ছু ঠিক নাই। কেউ আমাদের খোঁজ নেয়নি। আমাদের দুর্ভোগের জন্য বিমান কর্তৃপক্ষ দায়ী।’ সাইফুল আলম নামের আরেক হাজি একই অভিযোগ করেন।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাছমিন আকতারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি কর্তৃপক্ষÿআরোপিত বিশেষ নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থার কারণে হাজিরা জেদ্দা বিমানবন্দরে বিলম্বে পৌঁছাচ্ছেন। জেদ্দা বিমানবন্দরের হজ টার্মিনালে বিভিন্ন দেশের হাজিদের অস্বাভাবিক চাপসহ সেখানকার বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য এয়ারলাইনসের হজ ফ্লাইটগুলো বিলম্বিত হচ্ছে। এ অবস্থা আরও দু-তিন দিন চলতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানে প্রায় তিন হাজার হাজি দেশে ফিরেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
নিখোঁজদের তথ্য না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে দেশে
মক্কা থেকে ফেরদৌস ফয়সাল জানান, হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বাংলাদেশের হাজিরা দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। অনেকের দেশে ফেরার সময় কাছে চলে এসেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৬ জন হাজির নিহত হওয়ার কথা জানা গেছে। নিখোঁজ আছেন আরও অনেকে। এই নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে তাঁদের উদ্বেগ বাড়ছে। পিরোজপুরের রফিকুল ইসলামের আগামী শনিবার দেশে ফেরার কথা থাকলেও ভাগনি ও ভাগনি-জামাইয়ের খবর নেওয়ার জন্য ফ্লাইট পিছিয়েছেন। বগুড়ার গোলাম মাওলা খুঁজছেন দাদিকে। দাদিকে না পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মদিনা যাচ্ছেন একা। মদিনা থেকে আর মক্কায় আসতে পারবেন না। বাংলাদেশ থেকে এবার যাঁরা হজে গেছেন তাঁদের অনেকের জন্য চিত্রটা এ রকম।
ফলে দেশে ফেরার আগে নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধানে মক্কায় হজ কার্যালয়, হাসপাতাল আর মুয়াইসিমে (লাশ রাখার স্থান) দৌড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা। তাঁদের বেশির ভাগ এ ক্ষেত্রে আরবি ভাষা জানা প্রবাসীদের সাহায্য নিচ্ছেন। হাজিদের একটাই কথা, পুরোনো তালিকায় তো পেলাম না। নতুন তালিকা কি টানিয়েছে বা আসছে।
সৌদি মুয়াইসিমে প্রায় ১ হাজার ২০০ ছবি টানানো আছে। প্রতিদিন বাড়ছে ছবির সংখ্যা। মিনার সরাইয়া কবরস্থানের কাছে মুয়াইসিমে প্রথমে প্রবেশ কড়াকড়ি থাকলেও এখন যে কেউ যেতে পারেন। প্রতিটি ছবির সঙ্গে একটা নম্বর রয়েছে। মৃত ব্যক্তির স্বজন অথবা পরিচিত ব্যক্তিরা প্রথমে ছবি দেখে চেনার চেষ্টা করেন। তারপর নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ রাখা ফ্রিজের কাছে গিয়ে মুখ দেখতে পারেন। যেহেতু ঘটনা এক সপ্তাহ হয়েছে, তাই কর্তৃপক্ষ এখন লাশ দাফনে ব্যস্ত বেশি।
বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজতে এসেছেন অনেকে। ফ্লাইটের সময় হয়ে যাওয়ায় কেউ কেউ নিখোঁজদের তথ্য না জেনেই দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন।


আগর বাতি আর মোমবাতি.................................

মাসখানিক আগের কথা মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাসায় ফিরছিলাম।পথিমধ্য এলাকার কয়েকজন ভাইদের কে দেখলাম আমাদের রাস্তায় আড্ডা দিচ্ছে।আমি জিজ্ঞাস করলাম কি ভাই তোমরা হটাৎ এই চিপায় কি করছ.? বললো ভাই আগর বাতি পান করছি আমি বললাম আগর বাতি আবার পান করে কি ভাবে? তখন বললো ভাই বুঝেন না সিগেরেটের অপর নাম আগর বাতি।আমার আর বুঝার বাকি রইলোনা।
,
,
আরেক দিনের ঘটনা কল্যাণপুরে একটি চায়ের দোকানে সকাল ৭ টা কি ৮ বাজে চা খাচ্ছিলাম।তখিন বাঙলা কলেজের ড্রেসপরিধান করা একটি ছাত্র চায়ের দকানদার কে বললো মামা মোমবাতি দাও,মনে মনে ভাবলাম সালার বেটা এই সকালে মোমবাতি দিয়ে কি করবে।তখনি দোকানদার গোল্ডিফের প্যাকেট থেকে একটি সিগেরেট দিলো ভাবলাম এটাও সিগেরেটের আরেক নাম।
,
আমি মাত্র এই দুইটা জানি আর যারা পান করে তারা জানি আরো কয়টা নাম জানে আল্লাহই ভাল জানেন। কিন্তু আমার কাছে একটি বিষয় খুব অবাক লাগে। দুনিয়ার কোন পণ্যর গায়ে তার দোষ ত্রুটি লেখা থাকে না কিন্তু প্রতিটি সিগেরেটের প্যাকেটে তার দোষ,ত্রুটি,ক্ষতি লেখা থাকে,এর রহস্য আমি খুঁজে পেলাম না।তাই সেই সুবাদে যারা সিগেরেট খায় তারা কতটা আহাম্মক,হাম্মবলদিস্তা, নির্ভোদ যা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আল্লাহ্‌ সবাইকে তার ক্ষতি সম্পর্কে সঠিক সমজ দান করুক।

যারা জ্ঞানী তাদের জন্য

যারা জ্ঞানী তাদের জন্য উচিৎ মূর্খের সাথে ঝগড়ায় না জড়ানো।কারন মূর্খের মুখে কোন লাগাম নেই।আর জ্ঞানী তো জ্ঞানী।তবে হ্যাঁ এর পরেও যদি কেও মূর্খের সাথে ঝগড়ায় জড়ায়।তাহলে কিছুক্ষণ পর জ্ঞানীর মুখ আটমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। কারন তারা এমন কিছু ভাষা ব্যাবহার করে যা মুখে উচ্চারণ করার মত না। ।তারা মোটা মুটি কেমন যেন এ ব্যাপারে ট্রেনিং প্রাপ্ত অভিজ্ঞ মূর্খ পণ্ডিত । তার পরেও যদি জ্ঞানী মূর্খের সাথে ঝগড়ায় জড়ায় তাহলে মূর্খ যদি তাকে ১০ শুনায় সে ক্ষেত্রে সে ১০ না বললেও একটি হলেও মুখ থেকে ঢেড়শের মত পিচ্ছিল হয়ে বের হয়ে যাবে। তখন সে ক্ষেত্রে মূর্খের চাইতে জ্ঞানীর ইজ্জতটা আগে যাবে।কারন মানুষ তো তাকে শিক্ষিত জ্ঞানী বলেই জানে তার মুখে মূর্খসুলোভ আচরণ সোভা পায় না। যার শিকার হয়েছে আমারি এলাকার এক ছোট ভাই।ওকে যা শুনিয়েছে আমার শুনা ছাড়া বিকল্প কোন পথ ছিল না। যার বাস্তব নমুনা এই মাত্র দেখে আসলাম।

অন্যকে উপদেশ দেওয়া সহজ।কিন্তু সেই নির্দেশ মোতাবেক নিজে চলা অনেকটাই কঠিন,তাই কোন উপদেশ নয়।

কিছুক্ষণ আগে তাসান ভাইয়ের একটি গ্রুপ থেকে আমার দেয়ালে হজ্জ্ব পালনরত একটি পিক ভেসে আসে, আমি খুব অবাক হই।কিন্তু তার চাইতেও বেশি অবাক হই তার সমালচনা দেখে। ভাই আল্লাহর ঘর দেখা এবং তার ঘরের তওফ করা এবং তার রাসুলের কবর জিয়ারত করা কোন মামুলি ব্যাপার নয়। সে হজ্জ্ব থেকে আসতে না আসতেই আমরা তার সমালোচনার ঢোল বাজাচ্ছি। আমাদের দেখার বিষয় হচ্ছে প্রথমত সে একজন মুসলিম দ্বিতীয়ত সে একজন আল্লাহ্‌ তায়ালার ঘড়ের তওফ কারী বেক্তি তিন নাম্বার হচ্ছে টাকা থাকলেই মানুষ হজে যেতে পারে না।আমার আপনার পরিবারের কত বেক্তি আছে অঢেল ধন সম্পত্তির মালিক,কিন্তু আল্লাহর ঘর যিয়ারত করার ভাগ্য হয়নি। যদি আল্লাহ্‌ তায়ালার কাছে তার কবুলিয়াত না থাকতো তাহলে তিনি হজ্জ্বে যেতে পারতেন না। আপনি বলতে পারেন সে কেন ? হজ্জ্বরত ছবি আপলোড করেছে,ভাইজান শুনেন,আপনি কি শুনছেন নাকি তাসান ভাইকে বলতে ভাই তোমরা আমার হজ্জ্বের পিক আপলোড কর।তা কিন্তু সে করেনি।আর আমরা এফবিতে বসে তার সমালোচনা করছি।হতে পারে আপনার সমালোচনার দরুন তার মন মানুষিকতা খারাপ হয়ে যেতে পারে,তখন তার জন্য দায়ী হবে আপনার একটি কমেন্ট।আর তাছাড়া ছবিটিতো তাসান ভাই নিজে তুলেন নাই এবং বলেন নাই কাওকে ছড়তে, আমারা তার জন্য দোয়া করবো তাই না করে আমরা অযথা তাকে বকছি।
তাই তাসান ভাই কে নিয়ে বিদ্রুপ মন্তব্য করা থেকে সবাইকে বিনীত অনুরোথ করছি। হতে পারে সে আমাদের জন্য একজন জুনায়েদ জামসেদ।তা ছাড়া আল্লাহ্‌ কাকে কোন বিষয়ের মাধ্যমে হেদায়েত দান করেন আমরা জানি না।

অন্যকে উপদেশ দেওয়া সহজ।কিন্তু সেই নির্দেশ মোতাবেক নিজে চলা অনেকটাই কঠিন,তাই কোন উপদেশ নয়।

কিছুক্ষণ আগে তাসান ভাইয়ের এই গ্রুপ থেকে আমার দেয়ালে হজ্জ্ব পালনরত ছবিটি ভেসে আসে, আমি খুব অবাক হই।কিন্তু তার চাইতেও বেশি অবাক হই তার সমালচনা দেখে। ভাই আল্লাহর ঘর দেখা এবং তার ঘরের তওফ করা এবং তার রাসুলের কবর জিয়ারত করা কোন মামুলি ব্যাপার নয়। সে হজ্জ্ব থেকে আসতে না আসতেই আমরা তার সমালোচনার ঢোল বাজাচ্ছি। আমাদের দেখার বিষয় হচ্ছে প্রথমত সে একজন মুসলিম দ্বিতীয়ত সে একজন আল্লাহ্‌ তায়ালার ঘড়ের তওফ কারী বেক্তি তিন নাম্বার হচ্ছে টাকা থাকলেই মানুষ হজে যেতে পারে না।আমার আপনার পরিবারের কত বেক্তি আছে অঢেল ধন সম্পত্তির মালিক,কিন্তু আল্লাহর ঘর যিয়ারত করার ভাগ্য হয়নি। যদি আল্লাহ্‌ তায়ালার কাছে তার কবুলিয়াত না থাকতো তাহলে তিনি হজ্জ্বে যেতে পারতেন না। আপনি বলতে পারেন সে কেন ? হজ্জ্বরত ছবি আপলোড করেছে,ভাইজান শুনেন,আপনি কি শুনছেন নাকি তাসান ভাইকে বলতে ভাই তোমরা আমার হজ্জ্বের পিক আপলোড কর।তা কিন্তু সে করেনি।আর আমরা এফবিতে বসে তার সমালোচনা করছি।হতে পারে আপনার সমালোচনার দরুন তার মন মানুষিকতা খারাপ হয়ে যেতে পারে,তখন তার জন্য দায়ী হবে আপনার একটি কমেন্ট।আর তাছাড়া ছবিটিতো তাসান ভাই নিজে তুলেন নাই এবং বলেন নাই কাওকে ছড়তে, আমারা তার জন্য দোয়া করবো তাই না করে আমরা অযথা তাকে বকছি। 
তাই তাসান ভাই কে নিয়ে বিদ্রুপ মন্তব্য করা থেকে সবাইকে বিনীত অনুরোথ করছি। হতে পারে সে আমাদের জন্য একজন জুনায়েদ জামসেদ।তা ছাড়া আল্লাহ্‌ কাকে কোন বিষয়ের মাধ্যমে হেদায়েত দান করেন আমরা জানি না।

বলবীর চির উন্নত মমশির

খবরে প্রকাশ, ভারতের ঝাড়খণ্ড অঙ্গরাজ্যে রানচিতে চলছে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা। গুজব রটিয়ে দেওয়া হয়েছে, মুসলিমরা নাকি ঈদে দিন কালী মন্দিরে গিয়ে গরুর গোশত ছুড়ে দিয়ে এসেছে। 
সূত্র:

অথচ প্রমানিত সত্য যে হিন্দুরা নিজেরাই মন্দিরের সামনে গোশত রেখে আসে দাংগা লাগানোর জন্য। https://goo.gl/pSdSG6
এভাবে আর কত হিন্দু কতৃক নির্যাতন সহ্য করবে মুসলমান ?
জেগে উঠুন মুসলমান !!!
এই ভারতবর্ষ মুসলমানদেরই ।
যে-ই মারতে আসবে তাকে মেরে মরুন।

( কালেক্টেড )

নেপালিরা পারলে আমরা কেন নয় ???

নেপালের অভান্তরিন বিষয়ে নাকগলানোর কারনে নেপালে ভারতীয় সব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ ঘোষণা করেছে, নেপাল সরকারকে অভিনন্দন এমন মহৎ একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্যে
এখন প্রশ্ন হলো >অপসংস্কৃতির জনক ভারতীয় চ্যানেল গুলো যদি হিন্দুত্ববাদী দেশ নেপালে নিষিদ্ধ হতে পারে তাহলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হবে কবে ? আমার বিশ্বাস কমপক্ষে ৯০ শতাংশ বাংলাদেশী মনেপ্রানে চায় পারিবারিক অশান্তির মুল ইন্ধনদাতা স্টার জলসা, জি বাংলার মত গজব গুলো অবিলম্বে বন্ধ করা হউক। মানবিক অবক্ষয় রোধ এবং আমাদের সুন্দর সমাজ ব্যবস্থাকে বাঁচাতে এর কোন বিকল্প নাই, নাই নাই
আমরা আর দেখতে চাইনা কোন মেয়ে পাখি ড্রেসের জন্যে আত্তহত্যা করুক, আমরা চাইনা কিরনমালা ড্রেসের জন্যে বউএর হাতে নির্মম ভাবে জীবন দিক কোন স্বামী। এই সুন্দর শ্যামল বাংলায় নতুন করে কোন ঐশির উত্থান আমরা দেখতে চাইনা। সুতারাং এখনই বন্ধ হউক নোংরা দেশের নষ্ট চ্যানেল গুলো .....

একটি গল্প শোনো

একদেশের রাজা একবার মন্ত্রীসভায় নতুন একটা ফরমান জারী করলেন। ঘোষণা করলেন, দেশের অলস মানুষদের রাজকোষ থেকে ভাতা প্রদান করা হবে। তাদের ভরণ-পোষণের ব্যাবস্থাও রাজকোষ থেকে করা হবে। অলসদের থাকার জন্য বিরাট একটা ভবনও নির্মান করালেন রাজা। চারদিকে রাজার ঘোষণা ছড়িয়ে পড়লো। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অলসের দল আসতে শুরু করলো। রাজাও তাদের খাতির আত্যি করতে লাগলেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই দেশের প্রায় ⅓ মানুষ অলসের কাতারে নাম লেখালো। 
:
রাজা পড়লেন মহা বিপাকে। দেশের এতো মানুষ যদি অলস হয়ে যায় তাহলে রাষ্ট্র কী করে চলবে? রাজা রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকলেন। নিজের উদ্বেগের কথা পেশ করলেন। মন্ত্রীরা একেক পরামর্শ প্রদান করতে লাগলো। একজন মন্ত্রী বললো, মহারাজ! একটা বুদ্ধি আছে খাঁটি অলস নিরুপন করার ! তা হলো, ঘরের চারপাশে আগুন লাগিয়ে দেয়া হোক। যারা তারপরও বের হবে না। শুধু তারাই প্রকৃত অলস।
:
আগুন জ্বালানো হলো। দু‘জন ব্যাতীত সবাই বের হয়ে গেলো। দুই অলসের একজন অপর জনকে বললো, কীরে ভাই ! ঘরের চারপাশে মনে হয় আগুন লেগেছে। খুব গরম লাগছে। চল বেরিয়ে যাই। অপর অলস ধমক দিয়ে বললো, চুপ করে শুয়ে থাক। মনে হয় কারেণ্ট চলে গেছে তাই গরম লাগছে। এখনই কারেণ্ট চলে আসবে। এরপর রাজা এই দুইজনের পিঠে জাতীয় অলস সিল মেরে দিলেন।
:
দৃশ্যপট-[দুই]
:
বাংলাদেশের সরকার দেশের ওলামায়ে কেরামের মাঝে কে সরকারের প্রকৃত খায়েরখা তা নিরুপন করার করার জন্য পরীক্ষা নিতে চাইলেন। অনেকেই নিজেকে সরকারের খায়েরখা হিসেবে প্রকাশ করতে লাগলো। কিন্তু সরকার মহোদয় কে খাঁটি আর কে মেকি তা বুঝতে পারছিলেন না। মন্ত্রীসভায় প্রস্তাব উঠলো। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে আঘাত করা শুরু করা হোক। তখন যারা প্রতিবাদ না করে চুপ থাকে তারাই সরকারের প্রকৃত দালাল।
:
যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু করা হলো ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ। রাসূলের সা. চরিত্রে কালিমা লেপন। মসজিদ ভাঙ্গন। ইসলামের বিভিন্ন রোকন নিয়ে অপব্যাখ্যা। প্রকৃত ও আহলে হক উলামায়ে কেরাম জ্বলে উঠলেন প্রতিবাদে। শত শত মানুষ শাপলায় হতাহত হলেন। কিন্তু সরকারের প্রকৃত দালাল আহলে শিন্নি অল বিরানী, মাজার পুজারী, বিদআতী রা তখনও চুপ। তখনও তারা নিজেকে সরকারের খায়েরখা প্রমানে ব্যস্ত। তখনো তাদের মুখে একটাই শ্লোগান.......... জয়তু শিন্নি। জয়তু দালালী।

আজ থেকে ১৪৪০ চন্দ্র বছর আগে এই দিনে


আজ থেকে ১৪৪০ চন্দ্র বছর আগে এই দিনে (১৪ই জ্বিলহজ্ব) বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)’র মোজেযার প্রকাশ হিসেবে তাঁর আঙ্গুলের ইশারায় পূর্ণ চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল।
আবু জাহলের নেতৃত্বে একদল মূর্তিপূজারী ও ইহুদি জানায় যে, মুহাম্মাদ (সা.) যে আল্লাহর রাসূল তা তারা মেনে নেবে যদি তিনি চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখাতে পারেন। তখন রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করে আঙ্গুলের ইশারা করলে ওই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটে।
পবিত্র কুরআনের সুরা আল-কামারের প্রথম দুই আয়াতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে: "কিয়ামত আসন্ন এবং চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। তারা কোনো নিদর্শন সরাসরি দেখলেও মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, ‘এতো চিরাচরিত জাদু’। "
ওই আরব মুশরিকরা এই মোজেজা অস্বীকার করে একে জাদু বলে অভিহিত করে। কিন্তু উপস্থিত ইহুদিরা চাঁদ দুই ভাগ হওয়ার ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। কারণ, ওই ইহুদিরা তাওরাতে পড়েছিল যে হযরত মূসা (আ.)’র উত্তরসূরি হযরত ইউশা (আ.)’র জন্য মহান আল্লাহ চাঁদ ও সূর্যকে স্থির করে রেখেছিলেন।
রাসূল (সা.) চাঁদকে এত স্পষ্টভাবে দুই টুকরা করেন যে ওই দুই টুকরার ব্যবধানের মধ্যে হেরা পর্বত দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু আবু জাহল বলে ওঠে, “তিনি নজরবন্দি করেছেন। যেসব লোক বিদেশে গেছে তারা ফিরে এসে সমর্থন জানালে তখন বুঝব।” বিদেশ থেকে আসা লোকেরা দেশে ফিরে এসে এ ঘটনার সত্যতাকে সমর্থন করলেও আবু জাহল বলে, “ তিনি গোটা পৃথিবীর সব লোককে নজরবন্দী করেছেন।"
মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারীদের মাধ্যমে তোলা ছবিতেও চাঁদের মধ্যে গভীর ফাটলের চিহ্ন বা দাগ দেখা গেছে এবং এ থেকে স্পষ্ট হয়, কোনো এক সময় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল।

প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে উড়তে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের পতাকা


প্রথমবারের মতো আজ জাতিসংঘে উড়তে যাচ্ছে ফিলিস্তিনি পতাকা, যাকে আবেগ আর গর্বের একটি দিন বলে বর্ণনা করেছেন ফিলিস্তিনি নেতারা।
এ মাসের শুরুর দিকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন আর ভ্যাটিকানের পতাকা ওড়ানোর একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে সাধারণ পরিষদ।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র আর আরো ছয়টি দেশের সঙ্গে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ইজরায়েল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, এটি নিঃসন্দেহে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। কিন্তু জাতিসংঘকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের জন্য শুধু আশাবাদের বাইরে বেশি কিছু দিতে হবে।
২০১২ সালে ফিলিস্তিনকে সদস্য নয় কিন্তু পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছিল সাধারণ পরিষদ।
আর আরো পরের দিকে সাধারণ পরিষদে মি. আব্বাসের বক্তৃতা দেয়ার কথা রয়েছে। এর একদিন পরেই ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বক্তৃতা দেবেন।

আগর বাতি আর মোমবাতি.................................

মাসখানিক আগের কথা মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাসায় ফিরছিলাম।পথিমধ্য এলাকার কয়েকজন ভাইদের কে দেখলাম আমাদের রাস্তায় আড্ডা দিচ্ছে।আমি জিজ্ঞাস করলাম কি ভাই তোমরা হটাৎ এই চিপায় কি করছ.? বললো ভাই আগর বাতি পান করছি আমি বললাম আগর বাতি আবার পান করে কি ভাবে? তখন বললো ভাই বুঝেন না সিগেরেটের অপর নাম আগর বাতি।আমার আর বুঝার বাকি রইলোনা।
,
,
আরেক দিনের ঘটনা কল্যাণপুরে একটি চায়ের দোকানে সকাল ৭ টা কি ৮ বাজে চা খাচ্ছিলাম।তখিন বাঙলা কলেজের ড্রেসপরিধান করা একটি ছাত্র চায়ের দকানদার কে বললো মামা মোমবাতি দাও,মনে মনে ভাবলাম সালার বেটা এই সকালে মোমবাতি দিয়ে কি করবে।তখনি দোকানদার গোল্ডিফের প্যাকেট থেকে একটি সিগেরেট দিলো ভাবলাম এটাও সিগেরেটের আরেক নাম।
,
আমি মাত্র এই দুইটা জানি আর যারা পান করে তারা জানি আরো কয়টা নাম জানে আল্লাহই ভাল জানেন। কিন্তু আমার কাছে একটি বিষয় খুব অবাক লাগে। দুনিয়ার কোন পণ্যর গায়ে তার দোষ ত্রুটি লেখা থাকে না কিন্তু প্রতিটি সিগেরেটের প্যাকেটে তার দোষ,ত্রুটি,ক্ষতি লেখা থাকে,এর রহস্য আমি খুঁজে পেলাম না।তাই সেই সুবাদে যারা সিগেরেট খায় তারা কতটা আহাম্মক,হাম্মবলদিস্তা, নির্ভোদ যা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আল্লাহ্‌ সবাইকে তার ক্ষতি সম্পর্কে সঠিক সমজ দান করুক।

মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

একদিন মোমের আলোয় কাজ করছিলেন খলিফা উমর (রাঃ)

একদিন মোমের আলোয় কাজ করছিলেন খলিফা উমর (রাঃ)। এমন সময় সেখানে আসলেন তার দুই আত্মীয়। খলিফা তাড়াতাড়ি ফুঁ দিয়ে মোমবাতিটি নিভিয়ে দিলেন।
অন্য আরেকটি মোমবাতি ধরিয়ে অতিথিদের বসতে দিয়ে তাদের খোজখবর নিলেন। কৌতুহল চাপতে না পেরে একজন জানতে চাইলেন, আমাদের দেখে কেন আপনি আগের মোমবাতি নেভালেন আর নতুন একটি জ্বালালেন?
খলিফা জবাব দিলেনঃ
আগের মোমবাতি ছিল রাষ্ট্রের সম্পত্তি থেকে কেনা। তোমরা যেহেতু আমার আত্মীয়, তাই তোমাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত অনেক আলাপ হবে। আমার নিজের কাজে জনগণের আমানত থেকে আমি কিছু খরচ করতে পারি না। তাহলে আল্লাহর দরবারে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। তাই নিজের টাকায় কেনা মোমবাতিটি তোমাদের দেখে জ্বালালাম।
এই জবাবে আত্মীয়রা হতভম্ব হলেন। তারা এসেছিলেন আত্মীয়তার খাতিরে বিশেষ কোন সুবিধা পাওয়া যায় কি না, সেই অনুরোধ করতে। কিন্ত্ত সামান্য মোমবাতি নিয়ে খলিফার এত বিবেচনা ও সতর্কতা দেখে নিজেদের প্রস্তাব জানাতে তারা আর সাহসই করলেন না।
আরেকবার খলিফার কাছে এক লোক অবৈধ সুবিধা চায় । খলিফার সামনে রাখা কিছু কাঠে তখন আগুন জ্বলছিল। খলিফা বললেন, ঠিক আছে। তুমি এই আগুনের ভিতর তোমার হাত কিছু সময়ের জন্য রাখো; তারপর তোমার অনুরোধ আমি বিবেচনা করবো।
লোকটি ভয় পেয়ে বললো, হে খলিফা! এই আগুনে হাত ঢুকালে আমার হাত তো জ্বলে যাবে । খলিফা বললেন, তুমি দুনিয়ার এই সামান্য আগুনকে ভয় পাচ্ছ অথচ আমাকে তুমি দোযখের অনন্ত আগুনের ভিতরে নিয়ে যেতে চাও? তদবিরকারী নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে যায়।

মিনা ট্রাজেডি ((((রোকন রাইয়ান ))))

মিনা ট্রাজেডির পর সবাই শিয়াদের বিরুদ্ধে স্টেটাস দিচ্ছেন। তাদের চিনতে হবে সতর্ক থাকতে হবে ইত্যাদিতে আমার ওয়ালও ভেসে গেছে। কিন্তু যেই বিষয়টা আসল চিন্তার তার ধারে কাছেও কি আমরা যাচ্ছি?
প্রতি বছর বিশ্বে মুসলিমের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আমাদের আত্মসম্মানবোধের কমতি নেই। কিন্তু কয়টা মুসলিম সত্যিকারের মুসলিম থাকছে তার হিশেব করবে কে? পিউ রিসার্চ তো আর মুসলিমদের ফায়দা দিতে তৈরি হয়নি। সেটা তৈরি করতে হবে আরেকটা মুসলিম গোষ্ঠিকেই।
বাংলাদেশে ৯০ পার্সেন্ট মুসলিম। এই নিয়ে গর্বে ঘাড় ফোলাই আমরা। পায়জামার ফিতা রাবারের না কাপড়ের এই গবেষণায় দিন পাড় করি। কিন্তু কতজন মানুষ ইসলামিক তার হিশাব কখনো রাখি না। এই যে ক্রমান্বয়ে মুসলিম বাড়ছে আর কমছে ইসলাম তার ক্ষত কতটা গভীর তা কি টের পাচ্ছেন বোদ্ধাজনরা।
আগামী পৃথিবীর টপিক যে শিয়া সুন্নি, বলতে পারেন তৃতীয় বা চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধটা যে এই শিয়া সুন্নি মতবাদ কেন্দ্র করেই সংঘটিত হবে সেটা যারা এখনো বুঝতে পারেননি তারা মুড়ি ছেড়ে বাডি খান। আর বিশ্ব ক্ষমতার দখল কার হাতে আছে, কার হাতে যাচ্ছে সেই চিন্তাটাকে ঝামেলা মনে করে দূরে রাখুন। মধ্যপ্রাচ্যের দখল তো শেষ। পাক আফগানও খেয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশও জঙ্গি রাষ্ট্র। জিগির শুরু হয়েছে এবার খাওয়ার পালা। আর ওদিকে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করছে বর্তমান সুপার পাওয়ার। নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিচ্ছে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো। আরব দখলে ইরান ইসরাইল এক হচ্ছে। হাওয়া দিচ্ছে রাশিয়া। এর মধ্যে আপনার আকাশ কই?
ইরান শিয়া রাষ্ট্র। তাদের খারাপ ভাবতে হবে। আনেকে ভাবেন না। বরং তাদের নতুন ইসলামিক চিন্তাকৌশল ও যৌক্তিকতা দেখে দুর্বল হচ্ছে অসংখ্য তরুণ। শিয়ারা তাদের মতাদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে যা করার সেটা ভালোভাবেই করে যাচ্ছে। সমাজ সংস্কৃতি শিক্ষা ও প্রযুক্তির আধুনিক সিলেবাসটা তারা যেভাবে নিতে পেরেছে তার ধারে কাছেও সুন্নিরা আছে কিনা গবেষণা করে বলতে হবে। আজকের প্রশ্নটা তাই হওয়া উচিত, শিয়াদের এই অগ্রসর ভূমিকা মোকাবিলায় আপনি কী করছেন। নাকি খারাপ ভাবলেই কেল্লা ফতে হয়ে যাবে।
শরীফ মুহাম্মদ স্যার একবার আমাদের ক্লাসে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে যতজন মুসলিম আছে দাঁড়িয়ে প্রশ্রাব করলেই ইরাইল ভেসে যাবে’ এমন আবেগ নিয়া বড় হবেন না। এসব ফালতু কল্পনা থেকে সরে আসুন। বাস্তবের বিশ্ব অনেক দূর এগিয়েছে। সেটাকে মোকাবিলা করতে হলে কাজ করতে হবে।
বাস্তব সত্যটা বলতে গেলে অনেকেই আমার প্রতি চরম ক্ষোভিত হবেন। আসলে ওই ধরনের আবেগের মধ্যেই আমরা এখনো ঘোরপাক খাচ্ছি। এগুনোর চেষ্টাটা কেবল কিছু মানুষের মাথায়ই ঘোরপাক খাচ্ছে। বাকিরা ব্যস্ত আদি ও আসল খাবনামা পড়ার দিকে।

কোরঅা‌নে পা‌কের অায়াত

وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
অর্থঃ তোমাদের মধ্যে এমন জামাত থাকা চাই, যাহারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহবান করে এবং ভাল কাজের হুকুম করে ও মন্দ কাজ হইতে নিষেধ করে–এই কাজ যাহারা করে একমাত্র তাহারাই কামিয়াব। (আল-ইমরানঃ১০৪)
অাল্লাহ পাক এই অায়া‌তে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন এক‌টি বিষ‌য়ের নি‌র্দেশ দি‌য়ে‌ছেন।
উহা এই যে, উম্ম‌তের ম‌ধ্যে এক‌টি জামাত বি‌শেষভা‌বে‌ে এই কা‌জের জন্য থা‌কি‌তে হই‌বে, যাহারা ইসলা‌মের দি‌কে লোক‌দিগ‌কে তবলীগ ক‌রি‌বে ।
এই হুক‌ুম মুসলমা‌ন‌দের জন্য ছিল । কিন্তু অাফ‌সোসের বিষয় যে, এই মৌ‌লিক কাজ‌কে অামরা এ‌কেবা‌রেই ছা‌ড়িয়া দিয়া‌ছি।
অথচ বিধর্মীরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকা‌রে উহা‌কে অাকড়াইয়া ধ‌রিয়া‌ছে। খৃষ্টান‌দের স্বতন্ত্র দল সমূহ দু‌নিয়াব্যাপী তাহা‌দের ধর্ম প্রচা‌রের জন্য নি‌র্দিষ্ট র‌হিয়া‌ছে। অনুরূপভা‌বে অন্যান্য জা‌তির ম‌ধ্যেও এই কা‌জের জন্য নির্ধা‌রিত কর্মী র‌হিয়া‌ছে।
কিন্তু প্রশ্ন হ‌লো মুসলমান‌দের ম‌ধ্যেও কি এইরূপ কোন জামাত অা‌ছে?

এই বিষয় যাচাই ক‌রিয়া নেওয়া অত্যন্ত জরুরী যে, প্রকৃত অাল্লাহওয়ালা কারা?

অাল্লাহওয়ালা‌দের প‌রিচয় হ‌লো , সুন্ন‌তের অনুসরন। কেননা, অাল্লাহ তায়ালা অাপন মাহবুব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)‌কে উম্ম‌তের হেদা‌য়ে‌তের জন্য জন্য নমুনা স্বরূপ পাঠাইয়া‌ছেন এবং পবিত্র কুরঅা‌নে এরশাদ ফরমাইয়া‌ছেনঃ
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّـهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّـهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّـهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আপনি বলিয়া দিন, যদি তোমরা আল্লহ তায়া’লার সঙ্গে ভালবাসা রাখ তবে তোমরা আমার অনুসরণ কর, আল্লহ তায়া’লা তোমাদিগকে ভালবাসিবেন এবং তোমাদের যাবতীয় গুনাহ মাফ করিয়া দিবেন। আল্লহ তায়া’লা খুব ক্ষমাশীল, বড় করুণাময়। (সূরা আল-ইমরন)
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّـهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّـهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّـهَ كَثِيرًا
অর্থঃ অবশ্যই তোমাদের জন্য আল্লহর রসূল সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যে সুন্দর আদর্শ রহিয়াছে (সূরা আহযাবঃ ২১)
সুতরাং যে ব্যা‌ক্তি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পূর্ন অনুসরনকারী হই‌বে সে~ই প্রকৃত অাল্লাহওয়ালা।
অার যে ব্যা‌ক্তি সুন্ন‌তের অনুসরন হই‌তে যত দূ‌রে , সে ব্যা‌ক্তি অাল্লাহর নৈকট্য হই‌তেও তত দূ‌রে ।
মুফা‌চ্ছিরগণ লি‌খিয়া‌ছেন, যে ব্যা‌ক্তি অাল্লাহ তায়ালার স‌হিত মহব্ব‌তের দাবী ক‌রে অথচ মুহাম্মদ (সাঃ) এর সুন্ন‌তের বি‌রোধীতা ক‌রে সে মিথ্যুক।
অাশ্চ‌র্যের বিষয় যে, ইসলাম ও মুসলমা‌নের উন্নতি ও কল্যাণ সাধ‌নের দাবীদারগন নি‌জেরাই অাল্লাহ ও রসূ‌লের অানুগত্য হই‌তে অবাধ্য।
তাহা‌দের সম্মু‌খে য‌দি বলা হয় যে, ইহা সুন্ন‌তের খেলাফ, রসূল (সাঃ) তরীকা বি‌রোধী, ত‌বে যেন তাহা‌দিগ‌কে বর্শা দ্বারা অাঘাত করা হয়।
এইজন্য বলতে হয়, " হে প‌থিক ! অামার ভয় হই‌তে‌ছে তু‌মি কাবা শরী‌ফে পৌ‌ছি‌তে পা‌রি‌বেনা, যে পথ তু‌মি ধ‌রিয়াছ উহা কাবার পথ ন‌হে বরং তুর্কিস্থা‌নের পথ"
অাসুন সুন্নাহ শি‌খি এবং শিখাই । গ‌ড়ে তু‌লি অাল্লাহওয়ালা‌দের মহল।

আল্লহ তায়া’লা আপন রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম

আল্লহ তায়া’লা আপন রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন, ঈমানওয়ালাদের জন্য আপন বাহু ঝুকাইয়া রাখুন অর্থাৎ মুসলমানদের সহিত সদয় ব্যাবহার করুন। (সূরা হিজরঃ ৮৮)
আর তোমরা আপন রবের ক্ষমার দিকে দৌড়াও এবং ঐ জান্নাতের দিকে যাহার প্রশস্ততা আসমান-জমিনের প্রশস্ততার মত যাহা আল্লহ তায়া’লাকে ভয়কারীদের জন্য তৈয়ার করা হইয়াছে। (অর্থাৎ সেই উচ্চ স্তরের মুসলমানদের জন্য) যাহারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় নেক কাজের খরচ করিতে থাকে, গোস্বা নিয়ন্ত্রণকারী এবং মানুষকে ক্ষমাকারী। আর আল্লহ তায়া’লা এরূপ নেককারদিগকে পছন্দ করেন। (সূরা আল-ইমরানঃ ১৩৩-১৩৪)
রহ’মানের খাস বান্দা তাহারা যাহারা জমিনের উপর বিনয়ের সহিত চলে (সূরা ফুরক্বনঃ ৬৩)
(এবং সমান সমান বদলা লওয়ার জন্য আমি অনুমতি দিয়া রাখিয়াছি যে,) মন্দের বদলা তো অনুরূপ মন্দই, (তবে ইহা সত্ত্বেও) যে ব্যক্তি ক্ষমা করিয়া দেয় এবং (পরস্পরের বিষয়ে) সংশোধন করিয়া লয় (যাহার ফলে শত্রুতা নিঃশেষ হইয়া যায় ও বন্ধুত্ব হইয়া যায়, কেননা ইহা ক্ষমা হইতেও উত্তম।) তবে ইহার সওয়াব আল্লহ তায়া’লার জিম্মায়। (আর যে ব্যক্তি বদলা লওয়ার ব্যাপারে সীমা লংঘন করে সে শুনিয়া লউক যে, নিশ্চয়ই) আল্লহ তায়া’লা জালেমদের পছন্দ করেন না। (সূরা শূরাঃ ৪০)
আর যখন তাহারা রাগন্বিত হয় তখন মাফ করিয়া দেয়। (সূরা শূরাঃ ৩৭)
(হযরত লুকমান আপন ছেলেকে উপদেশ প্রদান করেন, হে বৎস) মানুষের সহিত অনজ্ঞাসূচক ব্যবহার করিও না এবং জমিনের উপর দম্ভভরে চলিও না। নিশ্চয়ই আল্লহ তায়া’লা দাম্ভিক ও অহংকারীকে পছন্দ করেন না। আর তুমি নিজ চলনে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করিও এবং (কথা বলিতে) নিম্নস্বরে বলিও অর্থাৎ শোরগোল করিও না। (উচ্চ আওয়াজে কথা বলা যদি কোন ভালগুণ হইত তবে গাধার আওয়াজ ভাল হইত; অথচ) সমস্ত আওয়াজের মধ্যে সবচাইতে খারাপ আওয়াজ হইতেছে গাধার আওয়াজ (সুরা লুক্বমানঃ ১৮-১৯)

কোরা‌নে পা‌কের অায়াত

وَإِذ قالَت أُمَّةٌ مِنهُم لِمَ تَعِظونَ قَومًا اللَّـهُ مُهلِكُهُم أَو مُعَذِّبُهُم عَذابًا شَديدًا قالوا مَعذِرَةً إِلى رَبِّكُم وَلَعَلَّهُم يَتَّقونَ﴿١٦٤﴾ فَلَمّا نَسوا ما ذُكِّروا بِهِ أَنجَينَا الَّذينَ يَنهَونَ عَنِ السّوءِ وَأَخَذنَا الَّذينَ ظَلَموا بِعَذابٍ بَئيسٍ بِما كانوا يَفسُقونَ﴿١٦٥﴾
আর যখন তাদের মধ্যে থেকে এক সম্প্রদায় বলল, কেন সে লোকদের সদুপদেশ দিচ্ছেন, যাদেরকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিতেচান কিংবা আযাব দিতে চান কঠিন আযাব? সে বললঃ তোমাদের পালনকর্তার সামনে দোষ ফুরাবার জন্য এবং এজন্য যেন তারা ভীত হয়।অতঃপর যখন তারা সেসব বিষয় ভুলে গেল, যা তাদেরকে বোঝানো হয়েছিল, তখন আমি সেসব লোককে মুক্তি দান করলাম যারা মন্দ কাজ থেকে বারণ করত। আর পাকড়াও করলাম, গোনাহগারদেরকে নিকৃষ্ট আযাবের মাধ্যমে তাদের না-ফরমানীর দরুন। (অা'রাফ)
فَلَولا كانَ مِنَ القُرونِ مِن قَبلِكُم أُولو بَقِيَّةٍ يَنهَونَ عَنِ الفَسادِ فِي الأَرضِ إِلّا قَليلًا مِمَّن أَنجَينا مِنهُم وَاتَّبَعَ الَّذينَ ظَلَموا ما أُترِفوا فيهِ وَكانوا مُجرِمينَ ﴿١١٦﴾ وَما كانَ رَبُّكَ لِيُهلِكَ القُرى بِظُلمٍ وَأَهلُها مُصلِحونَ ﴿١١٧﴾
কাজেই, তোমাদের পূর্ববতী জাতি গুলির মধ্যে এমন সৎকর্মশীল কেন রইল না, যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে বাধা দিত; তবে মুষ্টিমেয় লোক ছিল যাদেরকে আমি তাদের মধ্য হতে রক্ষা করেছি। আর পাপিষ্ঠরা তো ভোগ বিলাসে মত্ত ছিল যার সামগ্রী তাদেরকে যথেষ্ট দেয়া হয়েছিল। আসলেতারা ছিল মহা অপরাধী।আর তোমার পালনকর্তা এমন নন যে, জনবসতিগুলোকে অন্যায়ভাবে ধ্বংস করে দেবেন, সেখানকার লোকেরা সৎকর্মশীল হওয়া সত্ত্বেও। (হুদ)

হযরত আবু বকর রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ بكر رضى الله عنْه) বলিয়াছেন,

হযরত আবু বকর রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ بكر رضى الله عنْه) বলিয়াছেন, লোকেরা, তোমরা এই আয়াত পড়িয়া থাক
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ ۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ ۚ إِلَى اللَّـهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
অর্থাৎ হে ঈমানদারগণ, নিজেদের ফিকির কর, যখন তোমরা সোজা পথে চলিতেছ তখন যে ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হয় তাহার দ্বারা তোমাদের কোন ক্ষতি নাই। (সূরা মায়েদাহঃ ১০৫)
আর আমি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি যে, যখন লোকেরা জালেমকে জুলুম করিতে দেখিয়াও তাহাকে জুলুম হইতে বাধা দিবে না, তখন অতিসত্ত্বর আল্লহ তায়া’লা তাহাদের সকলকে স্বীয় ব্যাপক আযাবে লিপ্ত করিয়া দিবেন (তিরমিযী)
হযরত আবু বকর রদিয়াল্লহু আ’নহু এর উদ্দেশ্য এই ছিল যে, তোমরা আয়াতের মর্ম এই বুঝ যে, যখন মানুষ নিজে হিদায়াতের উপর রহিয়াছে তখন তাহার জন্য আ’মর বিল মা’রুফ ও নাহী আনিল মুনকার করা জরুরী নহে, কারণ অন্যদের ব্যাপারে তাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে না। হযরত আবু বকর রদিয়াল্লহু আ’নহু হাদীস বর্ণনা করিয়া আয়াতের এই ভুল অর্থকে নাকচ করিলেন। যাহা দ্বারা ইহা পরিষ্কার হইয়া গেল যে, যথাসম্ভব অন্যায় কাজ হইতে বাধা দেওয়া এই উম্মতের দায়িত্ব এবং প্রত্যেক ব্যাক্তির কাজ। আয়াতের সঠিক অর্থ এই যে, হে ঈমানদারগণ, নিজের সংশোধনের ফিকির কর। তোমাদের দ্বীনের রাস্তায় চলা এইভাবে হউক যে, নিজেরাও সংশোধন করিতেছ আবার অন্যদেরও সংশোধনের ফিকির করিতেছ। তারপর যদি কেহ গোমরাহ হইয়া যায় তবেতাহার গোমরাহ হওয়ার দ্বারা তোমাদের কোন ক্ষতি নাই। (বয়ানুল কুরআন)

অাল্লাহ তায়ালা এই ভাবে উৎসাহিত করিয়াছেনঃ


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَىٰ تِجَارَةٍ تُنجِيكُم مِّنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ
تُؤْمِنُونَ بِاللَّـهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنفُسِكُمْ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَيُدْخِلْكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
وَأُخْرَىٰ تُحِبُّونَهَا ۖ نَصْرٌ مِّنَ اللَّـهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! আমি কি তোমাদিগকে এমন ব্যবসার কথা বলিব যাহা তোমাদিগকে যন্ত্রনাদায়ক আজাব হইতে রক্ষা করিবে? তোমরা ঈমান আন আল্লহর উপর, তাঁহার রসূলের উপর এবং জিহাদ কর আল্লহর পথে আপন জান ও মাল দ্বারা।
ইহা তোমাদের জন্য খুবই উত্তম যদি তোমরা বুঝিতে পার। আল্লহ তায়া’লা তোমাদের গুনাহ সমূহ মাফ করিয়া দিবেন এবং তোমাদিগকে এমন বাগানসমূহে প্রবেশ করাইবেন যাহার নিচে নহরসমূহ জারি থাকিবে।
আর উত্তম বাসস্থানসমূহে যাহা চিরস্থায়ী বাগানসমূহের মধ্যে থাকিবে। ইহা বিরাট সাফল্য। আরও একটি জিনিস রহিয়াছে যাহা তোমরা পছন্দ কর–উহা হইল আল্লহ তায়া’লার পক্ষ থেকে সাহায্য ও আসন্ন বিজয়। আর আপনি (হে নবী!) মুমিনদিগকে সুসংবাদ দিয়া দিন। (সূরা সফ্‌, ১০-১৩)
এই আয়াতে একটি ব্যবসার কথা উল্লেখ করা হইয়াছে।
যাহার প্রথম লাভ হইল যন্ত্রনাদায়ক আযাব হইতে নাযাত দানকারী।
এই ব্যবসা এই যে, আমরা আল্লহ তায়া’লা ও তাঁহার রসূলের উপর ঈমান আনি এবং আল্লহর রাস্তায় আপন জান-মাল দিয়া জিহাদ করি।
ইহা এমন কাজ যাহা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য মঙ্গলজনক; যদি আমাদের মধ্যে সামান্যতম বুদ্ধি বিবেচনাও থাকিয়া থাকে। এই কাজের বিনিময়ে আমরা কি পরিমাণ লাভজনক হইব–আমাদের সমস্ত গুনাহ ও ভুল-ত্রুটি একেবারে মাফ করিয়া দেওয়া হইবে এবং আখেরাতে বড় বড় নিয়ামাত দ্বারা পুরষ্কৃত করা হইবে।
এতটুকু হইলেও ইহা অনেক বড় কামিয়াবী ও মর্যাদার বিষয়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বরং আমাদের আখাংকিত বস্তুও আমাদের দেওয়া হইবে।
আর তাহা হইল দুনিয়ার উন্নতি, সাহায্য ও সফলতা এবং শত্রুর উপর বিজয় ও রাজত্ব।
আল্লহ তায়া’লা আমাদের নিকট দুইটি জিনিস চাহিয়াছেন।
প্রথমটি হইল, আমরা আল্লহ ও তাঁহার রসূলের ঈমান আনি।
আর দ্বিতীয়টি হইল আমরা জান মাল দ্বারা আল্লহর রাস্তায় জিহাদ করি।
ইহার বিনিময়ে আল্লহ তায়া’লা আমাদিগকে দুইটি জিনিসের নিশ্চয়তা দিয়াছেন। আখেরাতে জান্নাত ও চিরস্থায়ী সুখ-শান্তি। আর দুনিয়াতে সাহায্য ও কামিয়াবী। প্রথম যে জিনিসটি আমাদের নিকট চাওয়া হইতেছে উহা হইল ঈমান। আর একথা স্পষ্ট যে, আমাদের এই চেষ্টা মেহনতের আসল উদ্দেশ্যও ইহাই যে, প্রকৃত ঈমানের দৌলত আমাদের নসীব হইয়া যায়। দ্বিতীয় যে জিনিস আমাদের নিকট চাওয়া হইতেছে উহা হইল জিহাদ। জিহাদের আসল উদ্দেশ্য যদিও কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও মুকাবিলা করা তথাপি জিহাদের মূল লক্ষ্য হইল আল্লহ তায়া’লার কালেমা বুলন্দ করা ও তাঁহার হুকুম-আহকাম পূর্ণভাবে চালু করা। আর ইহাই আমাদের কাজের মূল উদ্দেশ্য।

আমরা মনে করিতেছি যে,

আমরা মনে করিতেছি যে, বিভিন্ন স্থানে দ্বীনী মাদ্রাসা কায়েম হওয়া, উলামা কেরামগণের ওয়াজ নসীহত, খানাকাসমূহ আবাদ হওয়া, দ্বীনী কিতাবসমূহ লেখা, বিভিন্ন দ্বীনী পত্র-পত্রিকা প্রকাশ-এইসব কাজ আমর বিল মারুফ ও নাহী আনিল মুনকারের শাখা সমূহ। এইগুলির দ্বারা উক্ত দায়িত্ব আদায় হইতেছে।
ইহাতে সন্দেহ নাই যে, এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান কায়েম থাকা ও টিকিয়া থাকা একান্ত জরুরী।; এইগুলির প্রতি লক্ষ্য রাখাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত। কেননা দ্বীনের কম বেশি ঝলক যাহা কিছু দেখা যাইতেছে তাহা এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের বদৌলতেই দেখা যাইতেছে। তবুও গভীরভাবে চিন্তা করিলে দেখা যায় যে, আমাদের বর্তমান প্রয়োজনের তুলনায় এইসব প্রতিষ্ঠান যথেষ্ট নহে এবং এইগুলিকে যথেষ্ট মনে করা আমাদের প্রকাশ্য ভুল।
কেননা, এই সব প্রতিষ্ঠান দ্বারা আমরা তখনই উপকৃত হইতে পারিব যখন আমাদের অন্তরে দ্বীনের শওক ও তলব থাকিবে এবং দ্বীনের প্রতি আমাদের ভক্তি ও আজমত থাকিবে।
আজ হইতে পঞ্চাশ বছর আগে আমাদের মধ্যে দ্বীনের শওক ও তলব ছিল। তখন ঈমানের ঝলক দেখা যাইত। এইজন্য এইসব প্রতিষ্ঠান আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল।
কিন্তু আজ অমুসলিম জাতিসমূহের অক্লান্ত পরিশ্রম আমাদের ইসলামী জযবাকে একেবারে শেষ করিয়া দিয়াছে। তলব ও আগ্রহের পরিবর্তে আজ আমাদের মধ্যে দ্বীনের প্রতি ঘৃণা ও বিতৃষ্ণা দেখা যাইতেছে।
এহেন অবস্থায় আমাদের জন্য জরূরী হইল যে, আমরা সুনির্দিষ্ট কোন মেহনত আরম্ভ করি। যাহাতে জনসাধারণের মধ্যে দ্বীনের সহিত সম্পর্ক, শওক ও আগ্রহ পয়দা হয় এবং তাহাদের ঘুমন্ত জযবা পুনরায় জাগিয়া উঠে।
তখন আমরা ঐ সকল প্রতিষ্ঠান দ্বারা উহার শান অনুযায়ী উপকৃত হইতে পারিব।
অন্যথায় এইভাবে যদি দ্বীনের প্রতি অনিহা ও অবহেলা বৃদ্ধি পাইতে থাকে তবে ঐসকল প্রতিষ্ঠান হইতে উপকৃত হওয়াতো দূরের কথা ঐগুলি টিকাইয়া রাখাও মুশকিল নজরে আসিতেছে।

আমরা দাওয়াত ও তাবলী‌গের কাজ‌কে উলামা কেরামের সহিত সম্পর্কযুক্ত করিয়া রাখিয়াছি

অথচ এই সম্পর্কিত কুরআনের সম্বোধনসমূহ ব্যাপক যাহা উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রত্যেক ব্যক্তিকে অন্তর্ভূক্ত করে। সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম, তাবেঈ’ন ও তাবে তাবেঈ’ন রহমাতুল্লহ আ’লাইহি দের জীবনী ইহার যথার্থ প্রমাণ।
দাওয়াত ও তাবলী‌গের দা‌য়িত্ব আলেমদের সহিত খাছ করিয়া নেওয়া অতঃপর তাহাদের উপর ভরসা করিয়া এই কাজ ছাড়িয়া দেওয়া আমাদের মারাত্মক অজ্ঞতা ও বোকামী।
উলামা কেরামদের কাজ হইল সত্যপথ বাতলাইয়া দেওয়া এবং সরল পথ দেখাইয়া দেওয়া। কিন্তু সে অনুযায়ী আমাল করাইয়া নেওয়া এবং মানুষকে ঐ পথে চালানোর দায়িত্ব অন্যদের কাজ।
যেমন নিম্নবর্ণিত হাদীসশরীফে এই বিষয়ে সতর্ক করা হইয়াছে–
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই তোমরা সকলেই জিম্মাদার এবং তোমরা সকলেই নিজ নিজ অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হইবে। সুতরাং বাদশাহ জনগনের উপর জিম্মাদার–সে নিজ নিজ প্রজাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হইবে। গৃহকর্তা তাহার পরিবারের লোকদের ব্যাপারে জিম্মাদার–তাহাদের সম্পর্কে সে জিজ্ঞাসিত হইবে। স্ত্রী তাহার স্বামীর ঘর ও সন্তান-সন্ততির জিম্মাদার–এই সবের ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হইবে। গোলাম তাহার মনিবের সম্পদের জিম্মাদার–সে এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। অতএব, তোমরা সকলেই জিম্মাদার এবং প্রত্যেককেই তাহার অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হইবে। (বুখারী ও মুসলিম)
উপরোক্ত বিষটিকে আরেক হাদীসে আরও স্পষ্টরূপে বর্ণনা করা হইয়াছে–
অর্থাৎ, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ফরমাইয়াছেন, দ্বীন হইল হিত কামনা। সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম আরজ করিলেন কাহার জন্য? ফরমাইলেন, আল্লহ তায়া’লার জন্য, আল্লহর রসূলের জন্য, মুলসমানদের ইমাম তথা আমীর ও অনুসরণীয়দের জন্য এবং সাধারণ মুসলমানদের জন্য। (মুসলিম)
যদি তর্কের খাতিরে মানিয়াও লওয়া হয় যে, ইহা উলামা কেরামেরই কাজ, তবুও বর্তমান সময়ের চাহিদা ইহাই যে, প্রত্যেক ব্যক্তি এই কাজে লাগিয়া যাইবে এবং আল্লহ তায়া’লার কালেমাকে বুলন্দ করা ও দ্বীনের হিফাজতের জন্য কোমর বাঁধিয়া লই‌বে।

‌ কোরঅা‌নে পা‌কের অায়াত

وَإِذ قالَت أُمَّةٌ مِنهُم لِمَ تَعِظونَ قَومًا اللَّـهُ مُهلِكُهُم أَو مُعَذِّبُهُم عَذابًا شَديدًا قالوا مَعذِرَةً إِلى رَبِّكُم وَلَعَلَّهُم يَتَّقونَ﴿١٦٤﴾ فَلَمّا نَسوا ما ذُكِّروا بِهِ أَنجَينَا الَّذينَ يَنهَونَ عَنِ السّوءِ وَأَخَذنَا الَّذينَ ظَلَموا بِعَذابٍ بَئيسٍ بِما كانوا يَفسُقونَ﴿١٦٥﴾
আর যখন তাদের মধ্যে থেকে এক সম্প্রদায় বলল, কেন সে লোকদের সদুপদেশ দিচ্ছেন, যাদেরকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিতেচান কিংবা আযাব দিতে চান কঠিন আযাব?
সে বললঃ তোমাদের পালনকর্তার সামনে দোষ ফুরাবার জন্য এবং
এজন্য যেন তারা ভীত হয়।
অতঃপর যখন তারা সেসব বিষয় ভুলে গেল, যা তাদেরকে বোঝানো হয়েছিল, তখন আমি সেসব লোককে মুক্তি দান করলাম যারা মন্দ কাজ থেকে বারণ করত। আর পাকড়াও করলাম, গোনাহগারদেরকে নিকৃষ্ট আযাবের মাধ্যমে তাদের না-ফরমানীর দরুন। (অা'রাফ)
দ্বী‌নের দাওয়াতের কাজ কর‌নেওয়ালা কখ‌নো নৈরাশ হয়না, সবসময়ই হেদা‌য়ে‌তের অাশাবাদী

আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন কে পরিপূর্ণ করিয়া দিলাম

এখন যেহেতু উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে, সর্ব প্রকার ভাল-মন্দ বিশদ ভাবে বর্ণনা করিয়া দেওয়া হইয়াছে, একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা দেওয়া হইয়াছে, কাজেই রিসালাত ও নবুওয়াতের ধারা বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং অতীতে কাজ নবী ও রসূলগণের দ্বারা লওয়া হইতে ছিল তা কিয়ামাত পর্যন্ত উম্মতে মুহাম্মাদীর উপরে ন্যাস্ত করা হইয়াছে।
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّـهِ
অর্থঃ হে উম্মতে মুহাম্মাদী! তোমরা শেষ্ঠ উম্মত। তোমাদিগকে মানুষের কল্যাণের জন্য পাঠানো হইয়াছে। তোমরা সৎ কাজসমূহকে মানুষের মাঝে প্রসার কর এবং অসৎ কাজ হইতে তাহাদিগকে ফিরাইয়া থাক এবং আল্লহ তায়া’লার উপর ঈমান রাখ। (আল-ইমরানঃ১১০)
وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
অর্থঃ তোমাদের মধ্যে এমন জামাত থাকা চাই, যাহারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহবান করে এবং ভাল কাজের হুকুম করে ও মন্দ কাজ হইতে নিষেধ করে–এই কাজ যাহারা করে একমাত্র তাহারাই কামিয়াব। (আল-ইমরানঃ১০৪)
প্রথম আয়াতে শ্রেষ্ঠ উম্মত হওয়ার কারণ কবলা হইয়াছে যে, তোমরা সৎ কাজের প্রসার করিয়া থাক এবং অসৎ কাজ হতে ফিরাইয়া থাক। দ্বিতীয় আয়াতে নির্দিষ্ট করিয়া বলিয়া দিয়াছেন যে কামিয়াবী সফলতা একমাত্র ঐ সকল লোকদের জন্যই যাহারা এই কাজ করিতেছে।

হযরত অাবু উমামা (রাঃ) ব‌লেন,

হযরত অাবু উমামা (রাঃ) ব‌লেন, এক ব্যা‌ক্তি অারজ ক‌রিল, ইয়া রসূলুল্লাহ , অামা‌কে ভ্রমন করার অনুম‌তি দান করুন। রসূল (সাঃ) এরশাদ ক‌রি‌লেন, অামার উম্ম‌তের ভ্রমন হইল অাল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। (অাবু দাউদ )
হযরত অানাস ইব‌নে মা‌লেক (রাঃ) বর্ননা ক‌রেন, রসূল (সাঃ) এরশ‌াদ ক‌রিয়া‌ছেন, প্র‌ত্যেক নবীর কোন বৈরাগ্য থা‌কে। অামার উম্ম‌তের বৈরাগ্যতা হ‌লো অাল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। (মুসনা‌দে অাহমদ)
( দু‌নিয়া উহার ভোগ‌বিলাস হই‌তে নিঃসম্পর্কতা‌কে বৈরাগ্যতা ব‌লে। যারা অা‌খিরাত ছে‌ড়ে শুধু দু‌নিয়া নি‌য়ে প‌ড়ে অা‌ছে তারাও বৈরাগ্য। কোন এক জি‌নিষ‌কে নি‌য়ে প‌ড়ে অা‌ছে । )
অ‌নেকেই ব‌লে থা‌কেন,
দ্বীন ইসলা‌মে বৈরাগ্য হওয়ার কোন শিক্ষা নেই। বরং ইহা‌তে দ্বীন ও দু‌নিয়ার উভয়‌টি‌কে সমান পর্যা‌য়ে রাখা হ‌য়ে‌ছে।
যেমন ‌কোরঅা‌নে পা‌কের অায়াত
"‌হে পরওয়ার‌দিগার! তু‌মি অামা‌দিগ‌কে দু‌নিয়া‌তেও কল্যাণ দান কর এবং অা‌খেরা‌তেও কল্যাণ দান কর এবং অামা‌দিগ‌কে দোয‌খের শা‌স্তি হই‌তে রক্ষা কর।"
অার এই অায়া‌তের উপর জোর দি‌য়াই সবাই এই কথাগুলো ব‌লে থা‌কেন।
যেন পুরা‌ে কোরঅান শরী‌ফে অাম‌লের জন্য শুধুমাত্র এই এক‌টি অায়াতই না‌যিল হ‌য়ে‌ছে।
অথচ
সর্বপ্রথম তো অায়াত‌টির ব্যাখ্যা অ‌ভিজ্ঞ অা‌লে‌মের নিকট হই‌তে জা‌নিয়া লওয়া উ‌চিত ছিল ।
এই জন্য ওলামা‌য়ে কেরাম ব‌লেন, শুধু শা‌ব্দিক তরজমা দে‌খিয়াই নি‌জে‌কে কোরঅা‌নের অা‌লেম ম‌নে করা মূর্খতার শা‌মিল।
সাহাবা‌য়ে কেরাম (রাঃ) ও তা‌বেয়ীন হই‌তে উক্ত অায়া‌তের ব্যাখ্যাগু‌লো নি‌ন্মে পেশ করা হ‌লোঃ
হযরত কাতাদাহ (রাঃ) ব‌লেন, দু‌নিয়ার কল্যা‌নের অর্থ হ‌লো সু স্বাস্থ ও প্র‌য়োজন প‌রিমান রি‌যিক।
হযরত অালী (রাঃ) ব‌লেন, ইহার অর্থ নেক বি‌বি।
হযরত ইব‌নে ওমর (রাঃ) ব‌লেন, ইহার অর্থ নেক সন্তান ও মখলু‌কের প্রশংসা।
হযরত জাফর (রাঃ) ব‌লেন, ইহার অর্থ স্বাস্থ্য ও য‌থেষ্ট প‌রিমান রি‌যিক, অাল্লাহর কালাম বুঝ‌তে পারা, শত্রুর উপর জয়লাভ করা এবং নেক লোক‌দের সঙ্গলাভ করা।
হযরত হাসান বসরী (রঃ) ব‌লেন, ইহার অর্থ এ‌লেম ও ইবাদত।
সুদ্দী (রঃ) ব‌লেন, ইহার অর্থ প‌বিত্র মাল ।
দ্বিতীয়তঃ উক্ত অায়াত দ্বারা য‌দি দু‌নিয়ার সর্বপ্রকার উন্ন‌তি উ‌দ্দেশ্য হয়, যেমন অামারও মন ইহা চায়।
তবু লক্ষ্য করার বিষয় হই‌লো এই অায়া‌তে উহার জন্য অাল্লাহ তায়ালার কা‌ছে দোয়া কর‌তে বলা হ‌য়ে‌ছে। দু‌নিয়ার ম‌ধ্যে লিপ্ত হই‌তে বা উহার ম‌ধ্যে প‌রিপূর্ন মত্ত হই‌তে বলা হয়‌নি ।
অার অাল্লাহর দরবা‌রে চাওয়া , চাই ছেঁড়া জুতা সেলাই‌য়ের ব্যাপা‌রে হউক না কেন , ইহা‌ তো সরাস‌রি দ্বী‌নেরই অন্তর্ভুক্ত।
তৃতীয়তঃ দু‌নিয়া হা‌সিল ক‌রি‌তে এবং দু‌নিয়া কামাই ক‌রি‌তে কে নি‌ষেধ ক‌রে ?
অবশ্যই হা‌সিল করুন এবং খুব অাগ্রহ সহকা‌রে হা‌সিল করুন।
অামা‌দের কখ‌নো এই উদ্দেশ্য নয় যে, দু‌নিয়ার ম‌তো উপকারী ও লাভজনক বস্তু‌কে অাপ‌নি ছা‌ড়িয়া দিন।
বরং অামা‌দের উ‌দ্দেশ্য হ‌ই‌লো, যতটুকু চেষ্টা ও মেহনত দু‌নিয়ার জন্য ক‌রেন উহার হই‌তে বেশী না হই‌লেও কমপ‌ক্ষে উহার সমপ‌রিমান চেষ্টা ও মেহনত দ্বী‌নের জন্য করুন।
‌ কেননা অাপনারই কথা অনুসা‌রে উক্ত অায়া‌তে দ্বীন ও দু‌নিয়া উভয়‌কে সমান পর্যা‌য়ে রাখা হইয়া‌ছে। নতুবা অামার প্রশ্ন হই‌লো, যে কোরঅা‌নে উক্ত অায়াত র‌হিয়া‌ছে , সেই কোরঅা‌নেই এই অায়াতও র‌হিয়া‌ছে যাহা,
যে ব্যা‌ক্তি অা‌খেরা‌তের ফসল চায় অা‌মি তাহার ফসলে উন্ন‌তি দান ক‌রিব। অার যে ব্যা‌ক্তি দু‌নিয়ার ফসল চায় অা‌মি তাহা‌কে দু‌নিয়া হই‌তে সামান্য কিছু দিব কিন্তু অা‌খেরা‌তে তাহার কোন অংশ নাই ।(সূরাঃ শূরাঃ২০)
অাপ‌নি ব‌লিয়া দিন, দু‌নিয়ার চীজ, অাসবাব অ‌তি তুচ্ছ। অার যাহারা অাল্লাহ‌কে ভয় ক‌রে তাহা‌দের জন্য অা‌খেরাতই উত্তম। (সূরা ঃ নিসাঃ৭৭)
(এছাড়াও অ‌নেক অায়াত র‌হিয়া‌ছে, যা লিখ‌তে গে‌লে একটা‌ কিতাব বানা‌নো যা‌বে। )
য‌দি দু‌নিয়া ও অা‌খেরাত উভয়‌টি‌কে অাপ‌নি সামলা‌তে না পা‌রেন, ত‌বে শুধু অা‌খেরাতই প্রাধান্য পাওয়ার উপযুক্ত।
দু‌নিয়ার জীব‌নে মানুষ পা‌র্থিব প্র‌য়োজন ও জরুর‌তের খুবই মুখা‌পেক্ষী , এই কথা অা‌মি অস্বীকার কর‌ছিনা। কিন্তু এই কার‌নে যে,
মানু‌ষের পায়খানায় যাওয়া খুবই জরুরী , ইহা ছাড়া উপায় নাই, সেই জন্য ‌দিনভর সেখা‌নে ব‌সিয়া থা‌কি‌বে ইহা কোন সুস্থ বি‌বেক সম্পন্ন ব্যা‌ক্তি মা‌নিয়া লই‌বেনা।
শেষ কথা হই‌লো , নি‌জে কোন কাজ না ক‌রিয়া যাহারা দ্বী‌নের মেহনত ক‌রে তাহা‌দের বিরু‌দ্ধে নানা প্রশ্ন ও অ‌ভি‌যোগ উঠা‌নো দ্বী‌নের মেহনত হই‌তে তাহা‌দিগ‌কে ফিরাইয়া রাখার নামান্তর।
কুরআন কারীমের অায়াত
لَّا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ ۚ فَضَّلَ اللَّـهُ الْمُجَاهِدِينَ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ عَلَى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً ۚ وَكُلًّا وَعَدَ اللَّـهُ الْحُسْنَىٰ ۚ وَفَضَّلَ اللَّـهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا ﴿٩٥﴾ دَرَجَاتٍ مِّنْهُ وَمَغْفِرَةً وَرَحْمَةً ۚ وَكَانَ اللَّـهُ غَفُورًا رَّحِيمًا ﴿﴾٩٦
অর্থঃ যে সকল মুসলমান কোনরকম অসুবিধা ছাড়া ঘরে বসিয়া রহিয়াছে, আর যাহারা নিজেরদের জানমাল দিয়া আল্লহ তায়া’লার রাস্তায় জিহাদ করিতেছে– এই উভয় দল কখনও সমান হইতে পারে না। যাহারা ঘরে বসিয়া থাকে তাহাদের তুলনায় আল্লহ তায়া’লা ঐ সমস্ত লোককে অনেক বেশি মর্যাদাশালী করিয়াছেন যাহারা জান-মাল দিয়া জিহাদ করে এবং সকলের জন্যই আল্লহ তায়া’লা অতি উত্তম বাসস্থানের ওয়াদা করিয়াছেন। জিহাদকারীদেরকে ঘরে অবস্থানকারীদের তুলনায় অনেক বড় পুরষ্কার দান করিয়াছেন। অর্থাৎ, আল্লহ তায়া’লার পক্ষ হইতে তাহারা উচ্চ মর্যাদা, ক্ষমা ও রহমত হাসিল করিবে। কেননা আল্লহ তায়া’লা বড়ই দয়াবান ও ক্ষমাশীল। (সূরা নিসাঃ৯৫,৯৬)
যদিও উপরোক্ত আয়াতে জিহাদ দ্বারা কাফেরদের বিরুদ্ধে রুখিয়া দাঁড়ানো বুঝানো হইয়াছে, যদ্দ্বারা ইসলামের মর্যাদা বৃদ্ধি হয় এবং কুফর ও শিরক পরাজিত হয়; কিন্তু যদিও দুর্ভাগ্যবশতঃ আজ আমরা সেই মহান সৌভাগ্য হইতে বঞ্চিত, তথাপি এই উদ্দেশ্যকে সামনে রাখিয়া আমাদের পক্ষে যতটুকু চেষ্টা ও মেহনত সম্ভব উহাতে কখনই কমি করা চাই না। আমাদের এই মামুলী চেষ্টা ও মেহনত আমাদেরকে ধীরে ধীরে আগে বাড়াইয়া দিবে।
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا
অর্থঃ যাহারা আমার দ্বীনের জন্য চেষ্টা ও মেহনত করে আমি তাহাদের জন্য আমার পথসমূহ খুলিয়া দেই। (সূরা আনকাবুতঃ ৬৯)
অাল্লাহ তায়ালা অামা‌দের সবাই‌কে দ্বী‌নের জন্য মেহনত করার তৌ‌ফিক দান করুন।

দ্বী‌নের জন্য জিহাদ,

জিহা‌দের জন্যই দাওয়াত ও তাবলীগ।
তাবলী‌গের নিয়মের ব্যাপা‌রে যারা অ‌হেতুক প্রশ্ন উত্থাপন ক‌রে তারা হ‌লো এরকমই একজন।
হয় দ্বীন বু‌ঝেনা , না হয় জিহাদ বু‌ঝেনা। অার না হয় দ্বী‌নের শত্রু।
যারা তাবলী‌গের বি‌রোধীতা ক‌রে তা‌দের‌কে বুঝার জন্য সহজ ক‌রে দি‌চ্ছি, য‌তো প্রশ্ন কর‌বেন সব উত্তর একজায়গায় পা‌বেন যখন দ্বীন বুঝ‌বেন, তখন জিহাদও বুঝ‌বেন, জিহাদ বু‌ঝে থাক‌লে সব উত্তর সহ‌জে পে‌য়ে যা‌বেন,
এই জন্য মূল জায়গায় যারা বি‌ভিন্ন লড়াই অা‌ন্দোল‌নে জ‌ড়িত তারা কখ‌নো তাবলী‌গের বি‌রোধীতা ক‌রে না, তারাই ক‌রে যারা কোনটাই নাই।
সব‌চে‌য়ে বড় কথা হ‌লো প্র‌ত্যেক অাম‌লের সুন্নত পদ্ধ‌তি অা‌ছে, জিহা‌দেরও সুন্নত পদ্ধ‌তি অা‌ছে, তা জানার চেষ্টা করুন। তাহ‌লে সব পে‌য়ে যা‌বেন।
উম্মত নামাজ সুন্নাহ শিখা ও শিখা‌নোর জজবা অা‌ছে।
এ‌নি‌য়ে কত গ্রুপ কত কথা, কিন্তু কা‌রো জিহাদ এর সুন্ন‌াহ শিখার অাগ্রহ নাই । কেউ বলল অম‌নি দৌড়।
সব দৌ‌ড়ের শেষ ঔষধ দাওয়াত ও তাবলীগ।
অার বি‌শেষ ভা‌বে ম‌নে রাখা চাই , সর্বপ্রথম জিহা‌দের কিতাল কা‌দের বিরু‌দ্ধে শুরু হ‌য়ে‌ছে ?
দাওয়াত কবুল না করার কার‌নে ? না‌কি দাওয়া‌তের মেহন‌তের বিরুধীতা করার কার‌নে?
দয়া ক‌রে জে‌নে নি‌বেন অাশা ক‌রি।
দ্বীন শিখুন , দ্বী‌নের উপর চলা শিখুন,
তৈরী হন ও তৈরী করুন অাবু বকর ও ওমর ।
তখন সবই হ‌বে যা পূ‌র্বে হ‌য়ে‌ছে।
সর্ব‌শেষ কথা , শয়তা‌নের কৌ‌শ‌লের বি‌শেষ কৌশল হ‌লো , উম্মত‌কে ঘ‌রে বসাইয়া দেওয়া। ওস্কানী দেওয়া। নি‌জে‌দের ম‌ধ্যে ফ্যাসাদ সৃ‌ষ্টি করা।

হযরত বারা (রাঃ) ব‌লেন, রসুল (সাঃ) হয‌রত খা‌লেদ ইব‌নে ওলীদ (রাঃ) কে ইসলা‌মের দি‌কে দাওয়াত দেওয়ার জন্য ইয়ামান পাঠাই‌লেন।

হযরত বারা (রাঃ) ব‌লেন, রসুল (সাঃ) হয‌রত খা‌লেদ ইব‌নে ওলীদ (রাঃ) কে ইসলা‌মের দি‌কে দাওয়াত দেওয়ার জন্য ইয়ামান পাঠাই‌লেন।
হযরত খা‌লেদ ইব‌নে ওলীদ (রাঃ) এর সঙ্গী‌দের ম‌ধ্যে অা‌মিও ছিলাম। অামরা ছয়মাস সেখা‌নে অবস্থান করিলাম।
হযরত খা‌লেদ তাহা‌দের‌কে দাওয়াত দি‌তে থা‌কি‌লেন। কিন্তু তাহারা দাওয়াত কবুল ক‌রিল না।
অতঃপর রসুল (সাঃ) হযরত অালী ইব‌নে অা‌বি তা‌লেব (রাঃ) কে সেখা‌নে পাঠাই‌লেন। অার তাহা‌কে ব‌লি‌লেন যে, হযরত খা‌লেদ‌কে তো ফেরত পাঠাইয়া দাও অার তাহার সাথী‌দের মধ্য হই‌তে যে তোমার স‌হিত সেখা‌নে থা‌কি‌তে চ‌ায় সে যেন থা‌কিয়া যায়।
সুতরাং হযরত বারা (রাঃ) ব‌লেন, অা‌মিও ঐসমস্ত লোক‌দের ম‌ধ্যে ছিলাম যাহারা হযরত অালী (রাঃ) এর স‌হিত থা‌কিয়া গে‌লেন।
যখন অামরা ইয়ামানবাসী‌দের এ‌কেবা‌রে নিক‌টে পৌ‌ছিয়া গেলাম , তখন তাহারাও বা‌হির হইয়া অামা‌দের সাম‌নে অা‌সিয়া গেল।
হযরত অালী রাঃ অগ্রসর হইয়া অামা‌দের‌কে নামাজ পড়াই‌লেন। অতঃপর অামা‌দের‌কে এক কাতা‌রে কাতার বন্দী ক‌রি‌লেন। এবং অামা‌দের নিকট হই‌তে অগ্রসর হইয়া তাহা‌দের‌কে রসুল (সাঃ) এর চি‌ঠি প‌ড়িয়া শুনাই‌লেন।
চি‌ঠি শু‌নিয়া হামদান গো‌ত্রের সক‌লে মুসলমান হইয়া গে‌লেন।
হযরত অালী (রাঃ) রসুল (সাঃ) এর খেদম‌তে হামদান গো‌ত্রের মুসলমান হওয়ার সুসংবাদ দিয়া চি‌ঠি পাঠাই‌লেন। যখন রসুল (সাঃ) উক্ত চি‌ঠি পাঠ ক‌রি‌লেন তখন (খু‌শি‌তে) সেজদায় প‌ড়ে গে‌লেন। অতঃপর তি‌নি সেজদা হই‌তে মাথা উঠাইয়া হামদান গো‌ত্রের জন্য দোয়া ক‌রি‌লেন।
হামদা‌নের উপর শা‌ন্তি ব‌র্ষিত হোক, হামদা‌নের উপর শা‌ন্তি ব‌র্ষিত হোক।
(বুখ‌ারী, বায়হাকী, অাল বেদায়াহ ওয়া‌নে নেহায়াহ)
-----------------------------------------------------------------------
(ছয়মাসের জন্য ওনারা ‌বের হ‌লেন অাজ অামরা ছয়‌দিনের জন্যও বের হই না। অাবার ব‌লি, বউ বাচ্চা ফালাইয়া যাওন, কই পাই‌ছেন? ভেজাল খাই‌তে খাই‌তে , এখন অাসল‌রে কয় ভেজাল। তওবা ক‌রে অাজই অাল্লাহর রাস্তায় বের হন, এ‌তে অাপনারই মঙ্গল হ‌বে)

অাল্লাহ তায়ালা অাপন রসূল সল্লাল্লহু অালাই‌হি ওয়াসাল্লাম‌কে স‌ম্মোধন ক‌রিয়া এরশাদ ক‌রিয়া‌ছেন~

অাল্লাহ তায়ালা অাপন রসূল সল্লাল্লহু অালাই‌হি ওয়াসাল্লাম‌কে স‌ম্মোধন ক‌রিয়া এরশাদ ক‌রিয়া‌ছেন~
ادعُ إِلى سَبيلِ رَبِّكَ بِالحِكمَةِ وَالمَوعِظَةِ الحَسَنَةِ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়।
(নাহাল)
অাল্লাহ তায়ালা অাপন রসূল সল্লাল্লহু অালাই‌হি ওয়াসাল্লাম‌কে স‌ম্মোধন ক‌রিয়া এরশাদ ক‌রিয়া‌ছেন~
وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَى تَنفَعُ الْمُؤْمِنِينَ
এবং বোঝাতে থাকুন; কেননা, বোঝানো মুমিনদের উপকারে আসবে। (যা‌রিয়াত)
অাল্লাহ তায়ালা অাপন রসূল সল্লাল্লহু অালাই‌হি ওয়াসাল্লাম‌কে স‌ম্মোধন ক‌রিয়া এরশাদ ~
يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ ﴿١﴾ قُمْ فَأَنذِرْ ﴿٢﴾ وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ ﴿٣﴾
হে চাদরাবৃত! উঠুন, সতর্ক করুন, আপন পালনকর্তার মাহাত্ম্য ঘোষনা করুন। (মুদ্দ‌া‌সির)
হযরত অানাস (রাঃ) হই‌তে ব‌র্নিত অা‌ছে যে, রসূল (সাঃ) এরশাদ ক‌রিয়া‌ছেন, তোমা‌দের ম‌ধ্যে কেহ ঐ সময় পর্যন্ত (পূর্ন) ঈমানওয়ালা হই‌তে পার‌বে না, যতক্ষন পর্যন্ত অাপন মুসলমান ভাই‌য়ের জন্য উহাই পছন্দ না ক‌রি‌বে , যাহা নি‌জের জন্য পছন্দ ক‌রে। (বোখারী)
(উপ‌রোক্ত অায়াত ও হা‌দি‌সের উপর অামল করার জন্য ঘ‌রে ব‌সে ব‌সে টি‌ভি ভি‌ডিও ফেইসবুক অার না হয় ব‌সে ব‌সে তাসবীহ জ‌পেন না‌কি ব‌লেন ? )
প্র‌তি‌দিন কিছু সময় দেওয়া চাই, মুসলমা‌নের ঘ‌রে ঘ‌রে দা‌রে দা‌রে দ্বী‌নের কথা নি‌য়ে। য‌দি পূর্ন ঈমানদার দাবী ক‌রি । অার তাবলী‌গের সাথীরা এ ব্যাপা‌রে য‌থেষ্ট ফি‌কিরবান। কমপ‌ক্ষে দৈ‌নিক অাড়াইঘন্টা সবাই দেয়।
(কিছু বলার ই‌চ্ছে হ‌লে , পো‌ষ্টের বিষয় নি‌য়ে কথা বলুন , প্যাচালী স্বভাব ত্যাগ করুন)

মুসলমানদের চৌদ্দ শত বছরের জীবনকে যখন

মুসলমানদের চৌদ্দ শত বছরের জীবনকে যখন ইতিহাসের পাতায় দেখা যায় তখন জানা যায় যে, আমরা ইজ্জাত ও শ্রেষ্ঠত্ব, শান ও শওকত এবং প্রভাব-প্রতিপত্তির একমাত্র ও একচ্ছত্র অধিকারী ছিলাম।
কিন্তু যখন ইতিহাসের পাতা হইতে নজর সরাইয়া বর্তমান অবস্থার উপর দৃষ্টিপাত করা হয় তখন আমাদিগকে চরম লাঞ্ছিত ও অপদস্থ, নিঃস্ব ও অভাবগ্রস্থ জাতি হিসাবে দেখিতে পাওয়া যায়।
না আছে শক্তি-সামর্থ্য, না আছে ধন-দৌলত, না আছে শান-শওকত, না আছে পরস্পর ভ্রাতৃত্ব বন্ধন, না স্বভাব ভাল, না আখলাক ভাল, না আমাল ভাল, না আচার-আচরণভাল–সব ধরণের অকল্যাণ আমাদের মধ্যে, সব ধরণের কল্যাণ হইতে আমরা বহু দূরে।
বিধর্মীরা আমাদের এই দুরাবস্থার উপর আনন্দ বোধ করে, প্রকাশ্যে আমাদের দুর্নাম গাওয়া হয় এবং আমাদের লইয়া উপহাস করা হয়।
এখানেই শেষ নয় বরং স্বয়ং আমাদের কলিজার টুকরা নব সভ্যতার প্রতি অনুরক্ত যুবকগণ ইসলামের পূত-পবিত্র বিধানসমূহকে উপহাস করে, কথায় কথায় দোষ খুজিঁয়া বেড়ায় এবং এই পবিত্র শরীয়ত কে আমালের অযোগ্য, অনর্থক ও বেকার মনে করে।
অবাক হইতে হয় যে জাতি একদা পিপাসা মিটাইয়াছে, তাহারা আজ কেন পিপাসার্ত!

হযরত অানাস ( রাঃ ) হই‌তে ব‌র্নিত অা‌ছে

হযরত অানাস ( রাঃ ) হই‌তে ব‌র্নিত অা‌ছে যে, রসুল (সাঃ) এরশাদ ক‌রিয়া‌ছেন,
অা‌মি তোমা‌দিগ‌কে এমন লোক‌দের কথা ব‌লিব কি, যাহারা নবী অথবা শহীদ ন‌হে
অথচ কেয়াম‌তের দিন অাল্লাহর পক্ষ হই‌তে তাহা‌দের জন্য নির্ধা‌রিত নূ‌রের মিম্বা‌রে 
তাহা‌দিগ‌কে উপ‌বিষ্ট দে‌খিয়া ও তাহা‌দের প‌রিচয় লাভ ক‌রিয়া নবী ও শহীদগণ পর্যন্ত ঈর্ষা ক‌রি‌তে থা‌কি‌বেন ?
সাহাবা‌য়ে কেরাম জিজ্ঞাসা ক‌রিলেন , তাহারা কাহারা হই‌বে? ইয়া রসূলুল্লাহ!
তি‌নি ব‌লি‌লেন, যাহারা অাল্লাহর বান্দাগণ‌কে অাল্লাহর নিকট প্রিয় বানাইবার চেষ্টা ক‌রি‌তে থা‌কে। অার কল্যাণ কামনায় যমী‌নের বু‌কে চলা ফেরা ক‌রে।
হযরত অানাস (রাঃ) ব‌লেন, অা‌মি জিজ্ঞাসা ক‌রিলাম, অাল্লাহ‌কে তাহার বান্দাগণের নিকট প্রিয় বানাইবার বিষয়টি তো বু‌ঝি‌তে পা‌রিয়া‌ছি, কিন্তু অাল্লাহর বান্দাগণ‌কে অাল্লাহর নিকট কিরূ‌পে প্রিয় বানাই‌বে?
তি‌নি ব‌লি‌লেন , (উহার পদ্ধ‌তি হই‌লো) তাহা‌দিগ‌কে অাল্লাহর পছন্দনীয় কা‌জের অা‌দেশ ক‌রি‌বে ও অাল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ হই‌তে বিরত রা‌খি‌বে।
সুতরাং তাহারা অাল্লাহর হুকুম‌কে মা‌নিয়া চ‌লি‌বে, অাল্লাহ তায়ালা তাহা‌দিগ‌কে ভা‌লোবা‌সি‌বেন।
( বায়হা‌ক্বী )
******************************************
প্যাচাল তো বহুতই ক‌রেন , এবার নি‌জের হিসাব নি‌জে মিলান। টি‌ভি, ভি‌ডিও, ফেইসবুক থে‌কে বের হ‌য়ে বাস্তবতায় অাসুন এবং গাস্তে শরীক হোন। 

রসূল (সাঃ ) এরশাদ ফরমাই‌ছেন,



রসূল (সাঃ ) এরশাদ ফরমাই‌ছেন, য‌দি কোন কওম বা জামা‌তের ম‌ধ্যে কোন ব্যা‌ক্তি কোন গুনাহের কাজে লিপ্ত হয় এবং ঐ কওম বা জামা‌তের ম‌ধ্যে শ‌ক্তি থাকা স‌ত্বেও তাহা‌কে উক্ত গুনাহ হই‌তে বাধা না দেয়, ত‌বে মৃত্যুর পূ‌র্বে দু‌নিয়া‌তেই তাহা‌দের উপর অাল্লাহর অাজাব অা‌সিয়া যায়।
(তারগীবঃ অাবু দাউদ, ইব‌নে মাজাহ, ইব‌নে হিব্বান, ইসবাহানী)‌
‌ হে ইসলাম ও মুসলমানের উন্ন‌তিকামী বন্ধুগণ !
ইহাই হইল মুসলমা‌নের ধ্বংশ ও ক্রমবর্ধমান অবন‌তির কারন ।
প্র‌ত্যেক ব্যা‌ক্তি অপ‌রি‌চিত ও সমপর্যায়ী লোক‌দের ন‌হে বরং অাপন প‌রিবার প‌রিজন, সন্তান সন্ত‌তি, অধীনস্ত ও ছোট‌দের প্র‌তি একটু লক্ষ্য ক‌রিয়া দেখুন তাহারা কি প‌রিমান প্রকাশ্য গুনা‌হের ম‌ধ্যে লিপ্ত র‌হিয়া‌ছে।
অার অাপনারা নি‌জে‌দের প্রভাব প্র‌তিপ‌ত্তি দ্বারা বাধা প্রদান ক‌রি‌তে‌ছেন কিনা।
বাধা দেওয়া কথা ছা‌ড়িয়া দিন বাধা দেওয়ার ইচ্ছাই বা ক‌রেন কিনা।
অাপ‌নি ভা‌লো ক‌রে জা‌নেন অাপনার প্রিয়পুত্র,ভাই টি‌ভি, ভি‌ডিও ,ফেইস বুক, ইন্টার‌নে‌টে অাসক্ত ও গেম‌সে ডু‌বিয়া থা‌কে, ক‌য়েক ওয়াক্ত নামাজ ছা‌ড়িয়া দেয় ।
কিন্তু অাফস‌োস ! কখনও অাপনার মুখ হই‌তে ভু‌লেও এই কথা বা‌হির হয় না যে,
বেটা ! কি করি‌তেছ ?
এমন অ‌নেক লোক পাওয়া যাই‌বে , যাহারা ছে‌লের উপর এই জন্য নারাজ যে, ছে‌লে অলস ও ঘ‌রে ব‌সিয়া থা‌কে; চাক‌রির চেষ্টা ক‌রে না অথবা দোকা‌নের কা‌জে ম‌নো‌যোগ দেয়না ;
কিন্তু এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাই‌বে যাহারা ছে‌লের উপর এই জন্য নারাজ হয় যে, সে জামা‌তে নামায অাদায় ক‌রে না কিংবা নামাজ কাযা ক‌রিয়া দেয়।
হায় ! এই অন্ধ‌ত্বের কি কোন সীমা অা‌ছে ?
******************** ***********************
অাসুন দাওয়া‌তের কাজ শি‌খি এবং হেকমতের সা‌থে সবাই‌কে দ্বী‌নের প্র‌তি অাগ্রহ ও তলব পয়দা করার মেহনত ক‌রি।

হযরত অা‌য়েশা (রাঃ) হই‌তে ব‌র্নিত

হযরত অা‌য়েশা (রাঃ) হই‌তে ব‌র্নিত , রসূল (স‌াঃ) এরশাদ ক‌রিয়া‌ছেন, কুরঅা‌নের পারদর্শী ব্যা‌ক্তি ঐ সকল ফে‌রেশতা‌দের দলভুক্ত হইবে যাহার লেখার কা‌জে নি‌য়ো‌জিত এবং নেককার। অার যে ব্যা‌ক্তি ঠে‌কিয়া ঠে‌কিয়া কুরঅান শরীফ তেলাওয়াত ক‌রে সে দ্বিগুন সওয়াব পাই‌বে।
( বুখারী, মুস‌লিম, অাবু দাউদ, নাসাঈ, তির‌মি‌যি , ইব‌নে মাজাহ )
কুরঅান শরীফ পারদর্শী ঐ ব্যা‌ক্তি‌কে ব‌লা হয়, যে ভালভা‌বে কুরঅান শরীফ মুখস্ত ক‌রিয়া‌ছে এবং‌ বেশী বেশী তেলাওয়াত ক‌রিয়া‌ থা‌কে।
অার য‌দি অর্থ ও মর্ম বু‌ঝিয়া প‌ড়ে ত‌বে ত‌ো অার কথাই নাই।
ফে‌রেশতা‌দের দলভুক্ত হওয়ার অর্থ হইল , ফে‌রেশতাও কুরঅান শরীফ লও‌হে মাহফুজ হই‌তে নকল ক‌রিয়া থা‌কেন অার এই ব্যা‌ক্তিও কুরঅা‌নের নকলকারী এবং মানু‌ষের নিকট কুরঅান পৌছাইয়া থা‌কে ।
অতএব উভয়েই যেন একই কা‌জে নি‌য়ো‌জিত। অথবা উহার অর্থ এইরূপও হই‌তে পা‌রে হাশ‌রের ময়দা‌নে তাহারা ফে‌রেশতা‌দের স‌হিত মি‌লিত হই‌বে। ঠে‌কিয়া ঠে‌কিয়া পাঠকারী‌কে দ্বীগুন সওয়াব দেওয়া হই‌বে। এক সওয়াব তেলাওয়া‌তের জন্য অার এক সওয়াব বার বার ঠে‌কিয়া ঠে‌কিয়া কষ্ট ক‌রিয়া প‌ড়িবার জন্য ।
কিন্তু উহার অর্থ এই নয় যে, এই ব্যা‌ক্তি~ পারদর্শী ব্যা‌ক্তি হই‌তে অা‌গে বা‌ড়িয়া যাই‌বে। পারদর্শীর মর্যাদা অা‌রো বেশী । কারন তাহারা খাছ ফে‌রেশতা‌দের দলভুক্ত করা হইয়া‌ছে।
বরং উ‌দ্দেশ্য এই যে, ঠে‌কিয়া ঠে‌কিয়া পড়ার কার‌নে যে কষ্ট হয় উহার সওয়াব সে অালাদা পাই‌বে । অতএব ওজ‌রের কার‌নে কাহা‌রো কুরঅান শরীফ তেলাওয়াত ছা‌ড়িয়া দেওয়া উ‌চিত ন‌হে।
অাসুন কুরঅান শি‌খি এবং নিয়‌মিত তেলাওয়াত ক‌রি, অযথা সময় নষ্ট না ক‌রি।
‌ কি ব‌লেন , সবার ইচ্ছা অা‌ছে তো ?

বর্তমান জমানায় অা‌লেমগ‌ণের প্র‌তি

বর্তমান জমানায় অা‌লেমগ‌ণের প্র‌তি যে শুধু খারাপ ধারনা বা তা‌দের‌কে অব‌হেলা করা হয় তাহাই ন‌হে,
বরং বি‌রোধীতা ও হেয় প্র‌তিপন্ন করার জন্যও সব রকম ব্যবস্থা ব্যাপকভা‌বে অবলম্বন করা হই‌তে‌ছে। বস্তুতঃ দ্বী‌নের জন্য এ‌হেন প‌রি‌স্থি‌তি অত্যান্ত ভয়াবহ, মারাত্মক ও ক্ষ‌তিকর।
ইহা‌তে স‌ন্দেহ নাই যে, দু‌নিয়া‌তে যে কোন দ‌লে ভালর ম‌ধ্যে মন্দও র‌হিয়া‌ছে তেম‌নি অা‌লেমগ‌নের ম‌ধ্যেও সত্য মিথ্যা ও ভাল মন্দ উভয় প্রকা‌রের সং‌মিশ্রন অা‌ছে।
খা‌টি হক্কানী ওলামা‌য়ে কেরামও যে‌হেতু মানুষ , তাহারা নিষ্পাপ ন‌হেন, নিষ্পাপ হওয়া‌তো অা‌ম্বিয়া‌য়ে কেরাম‌দের বৈ‌শিষ্ট্য, কা‌জেই তাহা‌দের ভুল ত্রু‌টির জন্য তাহারাই দায়ী থা‌কি‌বে।
হাদি‌সে এরশাদ হইয়া‌ছে
যে ব্যা‌ক্তি অামাদের বড়‌দের সন্মান ক‌রে না, অামা‌দের ছোট‌দের স্নেহ ক‌রেনা, অামা‌দের অা‌লেম‌দের শ্রদ্ধা ক‌রে না, সে অামার উম্ম‌তের ম‌ধ্যে ন‌হে। ( তারগীবঃ অাহমদ, হা‌কেম )
এছাড়াও অা‌রেক হা‌দি‌সে এরশাদ হইয়া‌ছে
তিন ধর‌নের মানুষ‌কে একমাত্র মুনা‌ফেক ছাড়া অার কেহই হেয় ম‌নে ক‌রি‌তে পা‌রে না
(এক) বৃদ্ধ মুসলমান , (২) অা‌লেম , (৩) ন্যায় পরায়ন শাসনকর্তা (তারগীবঃ তাবারানী)
অপর এক হা‌দি‌সে এরশাদ হইয়া‌ছে ,
তিন ধর‌নের মানুষ‌কে সন্মান করার অর্থ অাল্লাহ তায়ালাকেই সন্মান করা এক, বৃদ্ধ মুসলমান । দুই, কুরঅানের ঐ রক্ষক যে কম বেশী ক‌রে না। তৃতীয়, ন্যায় পরায়ণ বাদশা । (তারগীবঃ অাবু দাউদ)
সাধারণ লোক‌দের ম‌নে অা‌লেমগ‌নের প্র‌তি খারাপ ধারনা সৃ‌ষ্টি করা , ঘৃনা পয়দা করা , তাহা‌দিগ‌কে দূ‌রে সরাইয়া রাখার চেষ্টা করা , মানু‌ষের জন্য বেদ্বীন হইয়া যাওয়ার কারন হই‌বে। যাহারা এইরূপ ক‌রে তাহা‌দের জন্য অাজাব র‌হিয়া‌ছে।
বড়ই দুঃ‌খের সা‌থে বল‌তে হয় বর্তমা‌ন যু‌গে অামরা এই পর্যা‌য়ে পৌ‌ছিয়া‌ছে যে, অামা‌দের ম‌তের বিপরী‌তে য‌দি কেহ কথা ব‌লে , ত‌বে বল‌নেওয়ালার হক ও সত্য হওয়ার স‌ঠিক প্রমান থাকা স‌ত্বেও তাহার কথা‌ ও বক্তব্য‌কে নীচু করার জন্য তাহার ব্যা‌ক্তি‌ত্বের উপর হামলা করা হয়।
জরুরী কর্তব্য হ‌লো , যে অা‌লেম‌কে ভা‌লো ম‌নে হয়, সুন্নতের অনুসারী ম‌নে হয় তাহার ইজ্জত সন্মা‌নে ক‌মি না করা এবং অন্য কাহারও উপর অনর্থক অাক্রমন ও কটুবাক্য বলা হই‌তে বিরত থাকা।
অার যাহারা অাল্লাহর নির্ধা‌রিত সীমা লংঘন ক‌রে তাহারাই প্রকৃত জা‌লেম ।
(কাউ‌কে নি‌র্দিষ্ট ক‌রে কিছু বলা হয় নাই, প্র‌য়োজন ম‌নে ক‌রে পোষ্ট করা)

হযরত অাবু হুরাই‌রা (রাঃ) ব‌লেন,

হযরত অাবু হুরাই‌রা (রাঃ) ব‌লেন, অা‌মি রসূল (সাঃ) কে এরশাদ কর‌তে শু‌নিয়া‌ছি,
বনী ঈসরাঈ‌লে দুই বন্ধু ছিল। তাহা‌দের ম‌ধ্যে একজন গুনাহ ক‌রিত এবং দ্বিতীয়জন খুব এবাদত ক‌রিত।
এবাদতকারী যখনই গুনাহগার‌কে গুনাহ ক‌রি‌তে দে‌খিত তখন তাহা‌কে ব‌লিত, তু‌মি গুনাহ হই‌তে ফি‌রিয়া যাও ।
উত্ত‌রে সে ব‌লিল , অামা‌কে অামার র‌বের উপর ছা‌ড়িয়া দাও ( অা‌মি বু‌ঝিব এবং অামার রব বু‌ঝি‌বে ) । তোমা‌কে কি অামার উপর পাহারাদার বানাইয়া পাঠা‌নো হইয়া‌ছে ?
অা‌বেদ (এবাদতকারী ) রাগা‌ন্বিত হইয়া ব‌লিল, অাল্লাহর কসম! অাল্লাহ তোমা‌কে মাফ করি‌বেন না। অথবা ইহা ব‌লিয়া‌ছে যে, অাল্লাহ তায়ালা তোমা‌কে জান্না‌তে দা‌খেল করি‌বেন না।
অতঃপর দুইজনই মারা গেল এবং (রূহ জগ‌তে) উভয়ই অাল্লাহ তায়ালার সাম‌নে এক‌ত্রিত হইয়া গেল । অাল্লাহ তায়ালা অা‌বেদ‌কে জিজ্ঞাসা ক‌রি‌লেন, তু‌মি কি অামার সম্প‌র্কে জা‌নি‌তে (যে, অা‌মি মাফ ক‌রিবনা) ? অথবা মাফ করার বিষয়‌টি যাহা অামার ক্ষমতায় র‌হিয়া‌ছে উহার উপর কি ক্ষমতা ছিল ( যে, তু‌মি মাফ করা হই‌তে অামা‌কে ফিরাইয়া রা‌খি‌বে ? )
অার গুনাহগার লোক‌টি‌কে ব‌লি‌লেন, অামার রহম‌তে জান্না‌তে চ‌লিয়া যাও। (কেননা সে রহম‌তের অাশাবাদী ছিল।)
অার দ্বিতীয় ব্যা‌ক্তি অর্থাৎ অা‌বেদ সম্প‌র্কে (ফে‌রেশতাগন‌কে) ব‌লি‌লেন, তাহা‌কে জাহান্না‌মে লইয়া যাও। ( অাবু দাউদ )
***********************
উক্ত হাদি‌সের উ‌দ্দেশ্য এই নয় যে, গুনা‌হের উপর সাহস করা হই‌বে। কেননা এই গুনাহগার লোক‌টির ক্ষমা অাল্লাহ তায়ালার মে‌হেরবানী‌তে হইয়া‌ছে। ইহা জরুরী নয় যে, প্র‌ত্যেক গুনাহগার‌দের স‌হিত একই অাচরণ করা হই‌বে। কেননা নিয়ম তো ইহাই যে, গুনাহের উপর শা‌স্তি হয়।
উক্ত হা‌দি‌সের উ‌দ্দেশ্য ইহাও নয় যে, গুনাহ ও নাজা‌য়েজ কা‌জে বাধা দেওয়া হই‌বে না। কেননা , কুরঅান ও হা‌দি‌সের শত শত জায়গায় গুনাহর কা‌জে বাধা দেওয়ার হুকুম র‌হিয়া‌ছে এবং বাধা না দেওয়ার উপর ধমকী অা‌সিয়া‌ছে।
অবশ্য অর্থ এই যে, নেককার , না অাপন নেকীর উপর ভরসা ক‌রি‌বে, অার না বদকা‌রের ব্যাপা‌রে কোন সিদ্ধান্ত দি‌বে, অার না তাহা‌কে তুচ্ছ জ্ঞান ক‌রি‌বে।
(দাওয়া‌তের এলম ,অামল ও ছিফত অর্জন করার জন্য চাই প্রশিক্ষন অার সফর করা, চলুন অাল্লাহর রাস্তায়)