শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০

আয়া সোফিয়া তুরস্ক


সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ (রহ.) কনস্টান্টিনোপল জয় করার পরে চাইলেই গির্জাটি দখল করে মসজিদ বানাতে পারতেন। যেমনটি বছরের-পর-বছর শতাব্দীর পর শতাব্দী খ্রিস্টানরা করেছে।

কিন্তু সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ (রহ.) তা না করে পাদ্রীদের কাছ থেকে গির্জাটি কিনে নিয়েছেন। তারপর নিজের মালিকানার ভবনটিকে মসজিদ বানিয়েছেন। সাড়ে তিনশ বছর মসজিদটিতে নামাজ হয়েছে। সেটাকে অন্যায়ভাবে পশ্চিমাদের চিন্তার গোলাম কামাল আতাতুর্ক অবৈধভাবে জাদুঘর বানিয়েছিল। আজ পৌনে শতাব্দীকাল পরে আদালত সেটিকে মসজিদ হিসেবে রায় দিয়ে মালিকানার বৈধ অধিকার বাস্তবায়ন করেছে। এতে অন্যায়-অবিচার তালাশ করাই তো অন্যায়।

যদি কেউ অতি ভালোমানুষি দেখাতে চান, তাহলে তিনি যেন স্পেনসহ ইউরোপের অসংখ্য মসজিদকে বানানো গির্জা ও জাদুঘরকে আগে মসজিদে ফিরে নেওয়ার দাবি তোলেন। গত কয়েক বছর ধরে মাতাল ট্রাম্প যখন জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী এবং শতাব্দীর চুক্তি নামে আকসা মসজিদকে জবরদখলকারী ইহুদিদের হাতে তুলে দিচ্ছে, তখন আপনাদের কণ্ঠে তো ন্যায্যতা ও ইনসাফের এসব বয়ান দেখিনি!

সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহ ও রজব তৈয়ব এরদোগানের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা।

 আলী হাসান তৈয়্যব ভাইয়ের লেখা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন