সব অনুভূতির বাইরেও, আমাদের একটা আলাদা অনুভূতি আছে। এই অনুভূতির নাম- ধর্মানুভূতি। অর্থাৎ, ধর্মীয় অনুভূতি।
ছোটবেলায় কায়দা, আমপারা পাঠের মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় শিক্ষার হাতেখড়ি। এরপর আস্তে আস্তে আমাদের মনের গভীরে, অন্তরের ভিতরে প্রোথিত হয় ধর্মের বীজ। আমরা ধর্মকে, ধর্মীয় কানুনকে, আল্লাহকে, রাসূল (সাঃ) কে, আমাদের ধর্মীয় কিতাবকে সম্মান করতে শিখি, ভালোবাসতে শিখি। অন্তরে ধারণ করতে শিখি।
আমার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে, আমার ভালোবাসার জিনিসকে নিয়ে যখন কেউ বাজে কথা বলে, যখন কেউ কটুক্তি করে, বিদ্রুপাত্মক ভাষায় আক্রমণ করে, আমি ক্ষেপে যাই। আমি নিজেকে দমাতে পারি না।
কারণ, ভালোবাসা যুক্তি মেনে হয়না। ভালোবাসা দর্শন কপচিয়ে টিকে থাকে না। ভালোবাসা অন্তরের ব্যাপার।
আমার ধর্ম আমার ভালোবাসা। এই ভালোবাসার একটা অনুভূতি আছে। এটার নাম ধর্মানুভূতি।
আমি এই অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি। ধারণ করি।
ভারতের হিন্দুত্ববাদী ক্ষমতাসীন দল বিজেপি'র একটা শ্লোগান আছে। তাদের মতে, গরু হলো সৃষ্টিকূলের সেরা জীব। বিজেপি'র 'গো-রাজনীতি' ওপারে সীমাবদ্ধ থাকলে আমার কোন মাথাব্যথা ছিলো না।
কিন্তু, বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র 'প্রথম আলো' কেনো বিজেপি'র সেই শ্লোগানকে আমাদের কচি, তরুণ, কিশোরদের মনে গেঁথে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগবে?
ইসলাম ধর্মে মানুষকে দেওয়া হয়েছে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মর্যাদার খেতাব। আর, ইসলামী কালচার অনুযায়ী মুসলিমরা গরু কোরবানী করে থাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
কিন্তু, প্রথম আলো কেনো বিজেপি'র শ্লোগান প্রমোট করে, গরু জবাইকে নিকৃষ্ট কাজ বলে উল্লেখ করে, এবং যারা গরু খায় তাদের 'নিকৃষ্ট সৃষ্টি' বলে আমাদের শিশুদের মগজ ধোলাই করবে?
মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অধিকার প্রথম আলোকে কে দিয়েছে?
এর আগেও প্রথম আলো এদেশের কোটি কোটি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। বারংবার এরকম কাজের মাধ্যমে তাদের চরম ইসলাম বিদ্বেষীতার রূপ বারবার সামনে চলে আসে। আমি প্রথম আলো সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। হয় তিনি তাদের ম্যাগাজিন 'কিশোর আলো' তে এই জিনিস ছাপানোর জন্য ক্ষমা চাইবেন, নয়তো রাষ্ট্রের কাছে কোটি মুসলমানের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন, তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।
এবং, 'কিশোর আলো'র উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
দয়া করে আমাদের শিশুদের মগজ ধোলাই করবেন না। ইসলামের বিরুদ্ধ্যে আপনাদের এই হীন তৎপরতা বন্ধ করুন। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে জুয়া খেলবেন না।
অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার নাম 'বাক-স্বাধীণতা' নয়। যদি মনে করেন এটা নির্দিষ্ট কোন ধর্মের শ্লোগান প্রমোট করছেন, তাহলে ম্যাগাজিনের উপরে বড় বড় অক্ষরে লিখে দিন 'হিন্দু সংখ্যা'.....
(সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এটার বিরুদ্ধে লিখার, প্রতিবাদ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। ছবিটি ছাপানো হয়েছে কিশোর আলোর এ বছরের জুলাই সংখ্যায়। ৯৬ পৃষ্টায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন