সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭

জনপ্রিয় পানীয় কফির আবিষ্কারক এক মুসলিম মেষপালক

বাংলা গ্যাজেট ডেস্ক: উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ডাচ শব্দ কোফি(koffie) থেকে কফি(coffee) শব্দটি ইংরেজি ডিকশনারিতে প্রবেশ করে ১৫৮২ সালে। ডাচরা কোফি শব্দটি ধার করেছিল তুর্কি শব্দ কহভি(kahve) থেকে যার উৎপত্তি আরবি শব্দ কোয়াহওয়াহ (quahwah/ قهوة) থেকে।
বর্তমান পৃথিবীতে প্রতিদিন পায় ১৬০ কোটি কাপ কফি পান করা হয়ে থাকে । বিলিয়নের মত মানুষের কাছে কফি পান রীতিমত নিত্যদিনের ব্যাপার । তবে আমরা অনেকেই এই কফি প্রচলনের ইতিহাসটা জানি না ।
ঐতিহাসিক দলিল মোতাবেক , ১৪০০ সালের দিকে ইয়েমেনের মুসলিম সমাজে কফি সর্বপ্রথম জনপ্রিয়তা পায় । কিংবদন্তী অনুসারে , ইয়েমেন কিংবা ইথিওপিয়ার এক মুসলিম মেষপালক হঠাৎ লক্ষ্য করে তার মেষগুলো অজানা এক প্রকার গাছের পাতা খেয়ে সতেজ হয়ে উঠছে । এটা দেখে নিজের উপর ব্যাপারটা পরীক্ষা করার ইচ্ছা জাগে তার । মেষপালক সেই পাতা খায় এবং লক্ষ্য করে এর ফলে তার ক্লান্তি দূর হয়ে সতেজ ভাব লাগছে । এ ঘটনার পর থেকে কফির দানা গরম পানিতে দিয়ে পান করার ব্যপারটা ইয়েমেনে প্রচলিত হয়ে পরে । আর এভাবেই উদ্ভব হয় বর্তমান পৃথিবীর খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়, কফি ।
এ ব্যাপারটা নিশ্চিত যে কফির প্রচলন হয় ইয়েমেন থেকেই এবং ইয়েমেন হয়ে কফি সমগ্র উসমানী খিলাফতে (অটোমান খিলাফত) ছড়িয়ে পরে । এর পর সমগ্র মুসলিম এলাকার গুরুত্বপূর্ন শহরগুলো, যেমন- ইস্তাম্বুল, বাগদাদ, কায়রো, দামাস্কাসে কফিহাউস তৈরি করা হয় । এরপর মুসলিম সভ্যতা থেকে কফি ইতালীর ভেনিস হয়ে ইউরোপে জনপ্রিয়তা অর্জন করে । 
ইউরোপে কফিকে নিন্দাভরে “মুসলিম ড্রিঙ্ক” নামে ডাকত তখনকার ক্যাথলিক প্রশাসনের কর্মকর্তারা (মুসলিমরা অনেকেই সারারাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করতেন । রাত জাগার ক্লান্তি দূর করতে তারা কফি পান করতেন । মূলত এখান থেকেই “মুসলিম ড্রিঙ্ক” নামের উদ্ভব।) । 
১৬০০ শতকে ইউরোপের কফি হাউসগুলো বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সরকারের সমালোচনার স্থান হয়ে উঠেছিলো । পরবর্তীতে এ কফিহাউস ভিত্তিক আলোচনাই ইউরোপে অনেক নবজাগরনের পথ সূচনা করেছিলো ।
ইয়েমেন কিংবা ইথিওপিয়ার সেই মেষপালকের হাত ধরেই পরবর্তীতে প্রতিদিন প্রায় ১ বিলিয়ন কাপ কফি ইউরোপের জনসাধারনের রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে উজ্জীবিত রাখে । সেই সাথে আমরা বলতে পারি , মুসলিমদের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই পানীয়টি নিঃসন্দেহে মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন আবিস্কার ।
[লেখাটি লস্ট ইসলামিক হিস্টোরি (Lost Islamic History) সাইটের ‘ফাইভ মুসলিম ইনভেনশনস দ্যাট চ্যান্জ দ্যা ওয়ার্ল্ড’ (5 Muslim Inventions That Change The World) শীর্ষক প্রবন্ধের প্রথম অংশের সহায়তা নিয়ে রচিত।]
অথচ আজ আমরা এতটাই গাফিল যে আমরা আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ! 
আজ মুসলমান ভুলেই গেছে যে সভ্যতা মুসলমানেরই অবদান।
কাফির মুশরিকদের অপপ্রচারে আজ মুসলমান সেই সব ইতিহাস ভুলে কাফিরদেরকেই সবকিছুর অবদান এর মুল মনে করে থাকে!
ইতিহাস জানুন মুসলমান!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন