শিক্ষিত আর অশিক্ষিতের মানদণ্ডই বদলে গেছে এখন। শিক্ষিত মানে ডিগ্রিধারী। অশিক্ষিত মানে ডিগ্রিহীন। অথচ বিষয়টা অত সরল নয়। বাস্তবে দেখা যায় অনেক ডিগ্রিধারীই শিক্ষিত নয়। অনেক শিক্ষিতই ডিগ্রিধারী নয়। এমন অনেক কাউন্সেলরের কথা বলা যায়, যাদের কাজ হল, অন্যদেরকে দাম্পত্যজীবনে সুখী হওয়ার উপায় বাতলে দেয়া। এ-বিষয়ে তিনি উচ্চ ডিগ্রিধারী! মজার ব্যাপার হল, তার নিজের দাম্পত্য জীবনেই সুখ নেই। বাঙলাদেশের ডাকসাইটে এক শান্তি বিতরণকারী, ‘ইয়ের’ মাধ্যমে তিনি দাম্পত্যজীবন তো বটেই, নানা দুরারোগ্য ব্যাধিও নাকি তিনি সারিয়ে তোলেন! অথচ দাম্পত্য জীবনে সুখী নন বলেই তার চারপাশে ফিসফাস! অথচ এমন হাজারো সুখী মানুষের উদাহরণ দেয়া যাবে, যারা কাউন্সেলিংয়ের ‘ক’ও জানেন না! এসব তুকতাক ‘টিপস’-এর কথা তারা ইহজনমে কখনো শোনেননি। আমরা চাই প্রকৃত শিক্ষা! সেটা ডিগ্রির মাধ্যমেই হোক আর ডিগ্রি ছাড়াই হোক! প্রাতিষ্ঠানিক হোক অথবা অপ্রাতিষ্ঠানিকই হোক!
আমরা চাই অাগের মত সহজ-সরল শিক্ষাজীবন! কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা সেশন ফি দিয়ে,ধাঁ-চকচকে বানোয়াট কল্পনাবিলাসে বুঁদ থেকে অথর্ব ছেঁদো কাগুজে ডিগ্রি আমাদের দরকার নেই! যে ডিগ্রি আমাকে রাস্তার গাড়ির মডেল আর শো রূমের মোবাইলের আপডেট ভার্শনের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে হ্যাংলার মত জুলজুল করে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করে, সারাক্ষণ হাহাকারে ডুবিয়ে রাখে, আহা, কখন আমার এমন একটা গাড়ি হবে! এমন একটা মোবাইল হবে! নিকুচি করি এমন ডিগ্রির!!!!

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন