মুফতি Mohiuddin Kasemi সাহেব দাঃ বাঃ
আশুরা শব্দটি আরবি ’আশেরা’ শব্দ থেকে রূপান্তরিত। আর আশেরা হচ্ছে ‘আশারা’ শব্দের বিশেষণ। যার, সাধারণ বাংলা অর্থ হচ্ছে দশ, দশক, দশজন বা দশটি (১০)। অর্থাৎ আশারা একটি আরবি সংখ্যার নাম যার বাংলা অর্থ দশ। দেখা যাচ্ছে, আরবি সংখ্যা ‘আশারা’ (১০) থেকে ‘আশেরা’ (দশম)। আর তা থেকে ‘আশুরা’ শব্দটি নির্গত হয়েছে যার অর্থ, মুহাররম মাসের ১০ তারিখ। (লিসানুল আরব : খ. ৪, পৃ. ৫৬৯(
এই শাব্দিক পরিবর্তনের ফলে অতিরঞ্জন এবং সম্মানের অর্থ পাওয়া যায়। (ফাতহুল বারী : খ. ৪, ৩১১)
আশুরার দিনে অনেক বরকত, ফজিলত ও মাহাত্ম্য রয়েছে। দিনটি তাৎপর্যম-িত। এ দিন আসমান-জমিন, পাহাড়-পর্বত, লওহে মাহফুজ, নদী-সাগর, আদম-হাওয়া, জান্নাত-জাহান্নাম সৃষ্টি করা হয়েছে। তাছাড়া :
এ দিনেই হযরত আদম আ. জান্নাতে প্রবেশ করেন। এ দিনেই আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেন। এ দিনেই তিনি আল্লাহর খলিফা হিসেবে দুনিয়ায় আগমন করেন।
এ দিনে হযরত ইবরাহীম আ. জন্মলাভ করেন। এ দিনেই তিনি নমরুদের আগুন থেকে মুক্তি পান।
এ দিনেই হযরত ইউনুস আ. মাছের পেট থেকে মুক্তি লাভ করেন।
এ দিনেই হযরত ইউসুফ আ. কূপ থেকে বের হন।
এ দিনেই হযরত নুহ আ. এর নৌকা মহাপ্লাবন থেকে মুক্তি পেয়ে জুদী পাহাড়ে অবতরণ করে।
হযরত আইয়ুব আ. এ দিনেই দুরারোগ্য ব্যাধি হতে আরোগ্য লাভ করেন।
এ দিনেই হযরত মুসাকে আল্লাহ তাআলা ফেরাউনের বিরুদ্ধে সাহায্য করেন। নীলনদের বুকে রাস্তা তৈরি হয়। ফলে মুসা আ. ও তাঁর সঙ্গীবৃন্দ নিরাপদে পেরিয়ে যান। ফেরাউন তার দলবল নিয়ে নদীতে ডুবে মরে।
এ দিনেই হযরদ দাউদ আ. এর দোয়া কবুল হয়।
এ দিনেই হযরত ইয়াকুব আ. এর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এ দিনেই হযরত ঈসা আ. অলৌকিকভাবে পিতা ছাড়াই জন্মলাভ করেন। এ দিনেই আল্লাহ তাআলা তাঁকে আসমানে উঠিয়ে নেন।
এ দিনেই হযরত সুলায়মান আ. বিশাল সাম্রাজ্যের রাজত্ব লাভ করেন।
.
ইসলামপূর্ব আশুরার রোযা
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ الله عنها ، قالت : كَانَتْ قُرَيْشٌ تَصُومُ عَاشُورَاءَ فَي الجَاهِلِيَّةِ ، وَ كَانَ رسول الله صلى الله عليه وسلم يَصُومُهُ ، فَلمّا هَاجَرَ إلى المدينةِ ، صَامَهُ و أمَرَ بصَوْمِهِ ، فَلمّا فُرِضَ شَهْرُ رَمَضَانَ قال : مَنْ شَاءَ صَامَهُ و مَنْ شَاءَ تَرَكَهُ .
অর্থ : আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : কুরাইশ গোত্র জাহেলি যুগে আশুরার রোযা রাখত এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সেদিন রোযা রাখতেন। অতঃপর রাসুল সা. যখন মদীনায় হিজরত করলেন, তখন তিনি নিজে রোযা রাখলেন এবং অন্যদের রোযা রাখার আদেশ করলেন। তারপর যখন রমযান মাসের রোযা ফরয করা হল, তখন তিনি বললেন : ইচ্ছা হলে রোযা রাখো, না হলে রেখো না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৩)
.
ইসলামে আশুরার রোযা
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَوَجَدَ الْيَهُودَ صِيَامًا يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- ্র مَا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِى تَصُومُونَهُ গ্ধ. فَقَالُوا هَذَا يَوْمٌ عَظِيمٌ أَنْجَى اللَّهُ فِيهِ مُوسَى وَقَوْمَهُ وَغَرَّقَ فِرْعَوْنَ وَقَوْمَهُ فَصَامَهُ مُوسَى شُكْرًا فَنَحْنُ نَصُومُهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- ্র فَنَحْنُ أَحَقُّ وَأَوْلَى بِمُوسَى مِنْكُمْ গ্ধ. فَصَامَهُ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ.
অর্থ : ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় হিজরত করলেন, তখন ইহুদি সম্প্রদায়কে আশুরার দিনে রোযা পালন করতে দেখলেন। তাই তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন :
“এটা এমন কোন্ দিন, যে দিনে তোমরা রোযা রাখছ? তারা বলল, এটি একটি মহান দিন, আল্লাহ তাআলা এই দিনে মুসা আ. এবং তাঁর অনুসারীদেরকে নাজাত দিয়েছিলেন এবং ফেরাউন ও তার দলবলকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। তাই মুসা আ. কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রোযা রাখেন। অতএব আমরাও রোযা করি। তারপর নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : তাহলে তো মুসা আ. এর ব্যাপারে তোমাদের তুলনায় আমরা বেশি হকদার। অতঃপর রাসুল সা. রোযা রাখেন এবং রোযা রাখার আদেশ দেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৭১৪, অধ্যায় : باب صَوْمِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ)
.
আশুরার রোযার ফজিলত
আবু কাতাদা আল-আনসারি রা. হতে বর্ণিত :
سُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ فَقَالَ : يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ
অর্থ : নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আশুরার রোযার ফজিলত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এটা বিগত এক বছরের গুনাহের কাফফারা। অর্থাৎ এর মাধ্যমে বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা হয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৮০৪)
.
আশুরার রোযার হুকুম
ইমাম নববি রহ. বলেন :
اتفق العلماء على أن صوم يوم عاشوراء اليوم سنة ليس بواجب
“উলামাগণ এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, আশুরার রোযা সুন্নত। ওয়াজিব নয়। (শরহে মুসলিম : খ. ৮, পৃ. ৪)
কারণ একাধিক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসের রোযা ফরয হওয়ার পর এই রোযা সম্পর্কে বলেছেন : যার ইচ্ছা রোযা রাখবে আর যার ইচ্ছা রাখবে না।
عَنْ عَائِشَةَ - رضى الله عنها - أَنَّ يَوْمَ عَاشُورَاءَ كَانَ يُصَامُ فِى الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ مَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ.
অর্থ : হযরত আয়েশা রা. বলেন, জাহেলি যুগে আশুরার রোযা রাখা হতো। ইসলাম আসার পর কেউ ইচ্ছা করলে রোযা রাখত, আবার কেউ রাখতও না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৬৯৫)
.
আশুরার রোযা কয়টি?
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাররম মাসের দশ তারিখে (আশুরার দিনে) রোযা রাখতেন, একাধিক হাদীসে বর্ণিত তা হয়েছে। তবে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর পূর্বে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, আল্লাহ যদি আগামী বছর বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে মুহাররমের নয় তারিখেও রোযা রাখব। আর রাসুল সা. যা করার ইচ্ছা করেন তাও সুন্নত। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে :
حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا غَطْفَانَ بْنَ طَرِيفٍ ، يَقُولُ : سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ ، يَقُولُ حِينَ صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ ، وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ ، قَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، إِنَّهُ يَوْمٌ يُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ ، صُمْنَا يَوْمَ التَّاسِعَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ، قَالَ : فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتَّى تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ : ইবনে আব্বাস রা. বলেন : যখন নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোযা রাখেন এবং অন্যদের রাখার আদেশ করেন, তখন সাহাবাগণ বললেন : এটি একটি এমন দিন যাকে ইহুদি ও খ্রিস্টানেরা সম্মান করে থাকে। অতঃপর নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : আগামী বছর ইনশাআল্লাহ নবম তারিখেও রোযা রাখব। হাদীস বর্ণনাকারী বলেন : আগামী বছর আসার পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা যান। (সুনানে আবী দাউদ, হাদীস নং- ২৪৪৭(
অতএব বুঝা গেল, আশুরার রোযা হবে দুটি : নবম এবং দশম তারিখ। আর এটিই হচ্ছে আশুরার রোযার উৎকৃষ্ট স্তর। কারণ এর সমর্থনে সহিহ প্রমাণ বিদ্যমান। অনুরূপ শুধু দশ তারিখে একটি রোযাও রাখা যেতে পারে। কারণ এটিই ছিল নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল। তবে উলামাগণ এটিকে আশুরার রোযার নিম্ন স্তর বলেছেন। অর্থাৎ কেবল আশুরার দশ তারিখে রোযা রাখা অনুত্তম। নয় ও দশ তারিখে দুটি রোযাই মুস্তাহাব ও উত্তম।
উল্লেখ থাকে যে, অনেকে আশুরার রোযাসহ তার পূর্বে ও পরে আরও একটি অর্থাৎ মোট তিনটি রোযা রাখাকে সর্বোত্তম স্তর বলেছেন। আল্লামা ইবনে আবিদীন শামী রহ. বলেন :
وَيُسْتَحَبُّ أَنْ يَصُومَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ بِصَوْمِ يَوْمٍ قَبْلَهُ أَوْ يَوْمٍ بَعْدَهُ لِيَكُونَ مُخَالِفًا لِأَهْلِ الْكِتَابِ وَنَحْوُهُ فِي الْبَدَائِعِ.
(রদ্দুল মুহতার : খ. ৭, পৃ. ৩২৬; আরও দেখা যেতে পারে : ফাতহুল বারী : খ. ৪, পৃ.৩১১-১২; নায়লুল আউতার : খ.৩, পৃ.৭৩৩; তুহফাতুল আহওয়াযী : খ. ৩, ৩৮২)
..........................
আশুরার রোযার সাথে হুসাইন রা. এর শাহাদাতের কোনো সম্পর্ক আছে কি?
অনেককে এই দিনে রোযা রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতে শুনা যায় : এই দিনে হুসাইন রা. শহীদ হয়েছিলেন তাই আমরা রোযা রাখছি। দীনের বিষয়ে এটি একটি বিরাট অজ্ঞতা। সাধারণ লোকদের এই উত্তরের পিছনে আছে শিয়া সম্প্রদায়ের কৃতিত্ব! যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পৌত্র হুসাইন রা. এই দিনে কারবালা প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শহীদ হয়েছিলেন, তাই শিয়ারা এই দিনটিকে শোক দিবস হিসাবে উদযাপন করে থাকে। তাই সাধারণ লোকদের নিকট এই দিনটির পরিচয় এবং মর্যাদার কারণ হচ্ছে, হুসাইন রা. এর শাহাদত। আর এ কারণেই হয়ত তারা বলে থাকে, হুসাইন রা. শহীদ হয়েছিলেন তাই রোযা করছি।
এটি একটি বিরাট ভুল ধারণা। কারণ যেদিন নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা গেছেন সেদিন থেকে অহীর ধারা বন্ধ হয়ে গেছে; আর অহীর মাধ্যমেই ইসলামের আদেশ-নিষেধ আসত। ইসলাম পূর্ণতা লাভ করার পরেই রাসুল সা. এর মৃত্যু হয়েছে। তাই তাঁর মৃত্যুর পর ইসলামের নামে কোনো বিধান আবিষ্কৃত হবে না। কেউ এমন করলে তা হবে বিদআত, দীনের মধ্যে নবসংযোজন; যা প্রত্যাখ্যাত ও পরিত্যাজ্য। রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
مَنْ أَحْدَثَ فِى أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ
অর্থ : যে ব্যক্তি আমাদের এই দীনে নতুন কিছু আবিষ্কার করল, যা এর অংশ নয় তা প্রত্যাখ্যাত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ৪৫৮৯)
তাই যারা এই নিয়তে রোযা রাখে যে, এই দিনে হুসাইন রা. শহীদ হয়েছিলেন, তাহলে তাদের রোযা তো হবেই না বরং তাদের এই আমল বিদআতে পরিণত হবে। আর অনেক ক্ষেত্রে শিরকও হতে পারে যদি কেউ হুসাইন রা. এর উদ্দেশ্যে তা পালন করে থাকে। কারণ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে ইবাদত করা শিরক।
...
মুহাররম ও আশুরার প্রচলিত কতিপয় বিদআত
ঢাল-বাজনা ও লাঠি খেলার আয়োজন করা।
তাজিয়া তৈরি করা এবং তাজিয়াকে সম্মান করা।
তাজিয়া মিছিল বের করা।
মুহাররমের দশ তারিখে কালো জামা-কাপড় পরিধান করা বা কালো পতাকার মিছিল বের করা।
কিছু মানুষ মুহাররমের প্রথম দশ দিন গোস্ত, মাছ ইত্যাদি খায় না বরং নিরামিষ খায়।
কিছু মানুষ মুহাররমের প্রথম দশ দিন মাটিতে ঘুমায়।
মুহাররম উপলক্ষে কাওয়ালী, জারি বা মুরছিয়া গাওয়ার আসর বসানো।
শোক দিবস পালন করা।
এ কাজগুলো ইসলাম সমর্থন করে না। তাই বিদআতের অন্তর্ভুক্ত। শুধু এ কাজগুলোই নয়; বরং ইসলাম সমর্থন করে না এমন যে কোনো কাজই বিদআত ও নাজায়েযের কাতারে পড়বে। সর্বপ্রকার শিরক, বিদআত ও কুসংস্কার পরিত্যাগ করে সুন্নাহর পথে পরিচালিত হওয়া দরকার।