প্রতিবেশীরা (হিন্দু, নাস্তিক্যবাদী ও বাম সাহ্যিসেবীরা) ইউরোপের অনুসরণে শিল্পে-সাহিত্যে বেশ এগিয়েছে। তথাকথিত উচ্চাঙ্গের সাহিত্যকর্ম, দর্শন, কবিতা, উপন্যাস, শিল্প ও গানের মাধ্যমে শিক্ষিত সমাজ ও তরুণপ্রজন্মকে যারা বিমোহিত করে রেখেছে তাদের মধ্যে খাঁটি মুসলমানিত্বের প্রতিনিধির সংখ্যা একেবারে নেইল বললেই চলে। যে দু’চারজন আছেন তাঁরাও আপামর জনসাধারণের বিবেচনায় শীর্ষস্থানীয় নন। এই শূন্যতার ফলে অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে, আজকের তরুণ প্রজন্ম মুসলিম চিন্তাবিদ ও ওলামায়ে কেরামের সান্নিধ্যে গর্ববোধ অনুভব করছে না। তারা হুমায়ুন, মিলন, আজাদ ও জাফরদেরই বেশি পছন্দ করছে।
আমরা কি পারি না ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী, মুসা আল-হাফিজ, মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহদের এগিয়ে দিতে? পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে এবং সার্বিক সহযোগিতা করে। আমাদের মধ্য থেকেই কি কাউকে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উঠিয়ে আনা যায় না? যারা আগামী প্রজন্মে আইডল হবেন? শশ্রƒষাবিশিষ্ট, পাঞ্চাবিপরিহিত, মাথায় পাগড়িধারী একজন সাহিত্যিকের পাশে এসে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে আগ্রহী হবে, গর্ব করবে নতুন প্রজন্ম?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন