পরকালীন সাফল্যের মূল ভিত্তি হল বিশুদ্ধ ঈমান। আল্লাহ তা’য়ালার কোন বান্দা যখন অটল বিশ্বাসের সংগে ঘোষণা করেন : ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মাদ (স) আল্লাহর রসূল’ তখন তিনি আল্লাহ তা’য়ালার ইবাদাতের বুনিয়াদী স্তরে অর্থাৎ মুমিনীনের স্তরে দাখিল হবেন। মু’মিনীনের স্তরে বহাল থাকতে হলে উক্ত ঘোষণার পরিপন্থী কোন আকিদা ও আমলের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে না। তাহলে তিনি আল্লাহর তা’য়ালার উপর মৌলিক ঈমান ও তাঁর গোলামী থেকে খারিজ হয়ে যাবেন।
যে সকল কাজের দ্বারা মুসলমানদের ঈমান নষ্ট হয়ে যায় এবং তারা কাফের পরিগণিত হয়, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় নিম্নে প্রদত্ত হলো–
(১) আল্লাহ ও রাসূলের কোন হুকুম অস্বীকার বা অবজ্ঞা করা :
আল্লাহ তা’য়ালার কোন বান্দা যখন ঘোষণা করেন– আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তখন আল্লাহর সমস্ত হুকুম মেনে নেয়া তার জন্য বাধ্যতামুলক হয়ে যায়। আর যখন ঘোষণা করেন– মুহাম্মাদ (স) আল্লাহর বান্দা ও রসূল, তখন রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ মেনে নেয়াও বাধ্যতামুলক হয়ে যায়। আল্লাহকে ইলাহ এবং মুহাম্মাদ (স)-কে রসূল হিসাবে মেনে নেয়ার পর আল্লাহর কোন হুকুম পালন করতে বা রাসূলের কোন আদর্শ মেনে চলতে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অলসতা করলে, তিনি গুণাহগার হবেন, তবে এতে ঈমান থেকে খারিজ হবেন না বা ঈমানহারা গণ্য হবেন না। সেই অবস্থায় ঈমান ঠিক থাকলে আল্লাহ তা’য়ালা ইচ্ছা করলে মেহেরবানী করতঃ বান্দার ওজর কবুল করে ক্ষমা করে দিতে পারেন বা ইনসাফ করতঃ গোণাহের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি দিতে পারেন।
কিন্তু আল্লাহর কোন একটি বিধান বা রাসূলের কোন একটি নীতি ও আদর্শ মেনে নিতে অস্বীকার বা ইনকার করলে কিম্বা তার তুলনায় অন্য কোন বিধি-বিধান, আইন, নীতি ও আদর্শকে উত্তম মনে করলে তিনি আল্লাহ তা’য়ালার গোলামী সম্পূর্ণ থেকে খারিজ হয়ে যাবেন এবং ঈমানহারা কাফির গণ্য হবেন।
মহান আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন : “যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন তাদের বিদ্রুপ পূর্ণ আচরণের বিষয়ে, তবে তারা বলবে, আমরা তো কথার কথা বলেছিলাম এবং কৌতুক করেছিলাম। আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা করনা, তোমরা কাফের হয়ে গেছ ঈমান প্রকাশ করার পর।” (সূরা তাওবা, আয়াত ৬৫-৬৬)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন–
وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَىٰ وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ ۖ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
“যে কেউ রাসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান।” (সূরাহ নিসা : আয়াত ১১৫]
২। শিরক বা আল্লাহ তা’য়ালার সাথে শরীক করা : শিরক তথা আল্লাহর সাথে কোন প্রকার শরীক সাব্যস্ত করা বান্দার জন্য অমার্জনীয় অপরাধ। আল্লাহর গুণের সাথে, তাঁর ইবাদতের সাথে বা তাঁর ক্ষমতার সাথে অন্য কাউকে শরীক করা বা তাকে অনুরূপ গুণসম্পন্ন বা ক্ষমতাবান মনে করা কিংবা তার উপাসনা করা বা তাকে সিজদা করা মারাত্মক শিরক মহাপাপ।
এ শিরক গুনাহ আল্লাহ কথনো ক্ষমা করবেন না। শিরককারী ঈমানহারা হয়ে কাফির গণ্য হয়। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন–
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَىٰ إِثْمًا عَظِيمًا
“নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না এটা যে, তাঁর সাথে শরীক করা হবে। এ ছাড়া অন্য গুনাহ তিনি যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে মহা অপবাদ আরোপ করল।” (সূরাহ নিসা, আয়াত নং ৪৮)
অপর আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন–
إِنَّهُ مَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ
“যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দেন আর তার চিরস্থায়ী ঠিকানা হবে জাহান্নাম। আর ঐ সমস্ত জালিমদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না।” (সূরাহ মায়েদা : ৭২)
৩। আল্লাহ তা’আলার কিতাবের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন : মানবজাতির জন্য আল্লাহর মনোনীত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হল ইসলাম। আর এই জীবন ব্যবস্থা সম্বলিত আল্লাহ প্রদত্ত সর্বশেষ সংবিধান হল আল-কুরআন। বিশ্বময় কিয়ামাত পর্যন্ত মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের একমাত্র পথ হল–জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ প্রদত্ত সংবিধানের বাস্তবায়ন অর্থাৎ আল-কুরআনের পরিপূর্ণ অনুসরণ করা।
অতএব, কেউ যদি কুরআনের কোন বিধানকে অবমাননা বা উপহাস করলে বা কোন একটি বিধান মেনে নিতে অস্বীকার বা ইনকার করলে কিম্বা তার তুলনায় অন্য কোন বিধি-বিধান, আইন, নীতি ও আদর্শকে উত্তম মনে করলে ঈমানদার ও মুসলমান দাবীদার হওয়া সত্ত্বেও তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে এবং সে কাফির পরিগণিত হবে।
মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেন : “আর যে আমার স্মরণ (নাজিলকৃত কিতাব) থেকে বিমুখ থাকবে, তার জীবন-জীবিকা সংকুচিত করা হবে আর হাশরের দিন আমি তাকে অন্ধ করে উঠাবো। সে বলবে: হে আমার প্রভু! আমাকে কেন অন্ধ করে উঠালেন? আমি তো দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন ছিলাম! তিনি বলবেন: ‘আমার আয়াতসমূহ তোমার কাছে এসেছিল, যেভাবে তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে সেভাবেই আজ তোমাকেও ভুলে যাওয়া হয়েছে। যে বাড়াবাড়ি করে ও তার পভুর আয়াতসমূহে ঈমান আনে না, আমি এভাবেই তার প্রতিফল দেই। আর আখিরাতের শাস্তি অত্যন্ত কঠিন এবং চিরস্থায়ী।” (সূরা ত্ব-হা : আয়াত ১২৪-১২৭)
তিনি আরও বলেন : “তোমরা কি ধর্মগ্রন্থের অংশবিশেষে বিশ্বাস কর ও অন্য অংশে অবিশ্বাস পোষণ কর? অতএব, তোমাদের মধ্যের যারা এরকম করে, তাদের ইহজীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া আর কী পুরস্কার আছে? আর কিয়ামতের দিনে তাদের ফেরত পাঠানো হবে কঠোরতম শাস্তিতে। আর তোমরা যা করছো আল্লাহ্ সে-বিষয়ে অজ্ঞাত নন।” -(সূরাহ বাকারাহ, আয়াত-৮৫)
৪। জেনে শুনে মনগড়াভাবে কুরআন ও হাদীস বর্ণনা করা : হযরত ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “নিশ্চিতভাবে যা তোমাদের জানা আছে তা ছাড়া আমার পক্ষ থেকে হাদীস বর্ণনা থেকে তোমরা বিরত থাকবে। কারণ, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, সে যেন জাহান্নামকে নিজের বাসস্থান বানিয়ে নিল। আর যে ব্যক্তি খেয়াল খুশীমত কুরআন সম্পর্কে কোন কথা বলে, সেও যেন জাহান্নামকে নিজের বাসস্থান বানিয়ে নিল।”
(জামি‘ তিরমিযী, হাদীস নং ২৮৮৬)
৫। হারামকে হালাল কিংবা হালালকে হারাম গন্য করা : হযরত সুহাইব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি কুরআনের হারামসমূহকে হালাল মনে করে সে আসলে কুরআনের প্রতি ঈমান আনেনি।” (জামি‘ তিরমিযী, হাদীস নং ২৮৫৩)
৬। রাসূল (সা.)-এর সুন্নাহ ও সাহাবীগণের সুন্নাহর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন : মানবজাতির জন্য আল্লাহ প্রদত্ত সংবিধান আল-কুরআনকে কিভাবে মেনে চলবে তার জীবন্ত মডেল হচ্ছেন রাসূলুল্লাহ্ সল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আমাদের নবী সল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাহ হল আল-কুরআনের ব্যাখ্যা ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি। আর খুলাফায়ে রাশিদীন এবং সাহাবা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) হলেন মানবজীবনে সুন্নাহ বাস্তবায়নের বাস্তব মডেল।
অতএব, নাজাতের একমাত্র পথ হল রাসূলুল্লাহ্ সল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খুলাফায়ে রাশিদীন এবং সাহাবায়ে কিরাম (রা.)-এর আদর্শ। এর কোন একটি অংশ অবমাননা বা উপহাস করলে, তাঁর কোন একটি আদর্শ মেনে নিতে অস্বীকার বা ইনকার করলে কিম্বা তার তুলনায় অন্য কোন বিধি-বিধান, আইন, নীতি ও আদর্শকে উত্তম মনে করলে সে ঈমানদার ও মুসলমান দাবীদার হওয়া সত্ত্বেও তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে এবং সে কাফির গণ্য হবে।
হযরত মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ তোমরা সে দু’টি জিনিস আঁকড়ে থাকবে, পথভ্রষ্ট হবে না: আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নাহ”। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদীস নং ৩৩৩৮)
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো ইরশাদ করেন–“আমার পরে তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে, তারা সত্বর বহু মতভেদ দেখতে পাবে। তখন তোমরা আমার সুন্নাতকে এবং সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আকড়ে ধরবে। তাকে কঠিনভাবে ধরবে এবং মাড়ির দাঁত সমূহ দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। সাবধান! দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টিসমূহ হ’তে দূরে থাকবে। কেননা (দ্বীনের মধ্যে) যেকোন নতুন সৃষ্টি হল বিদ‘আত। আর প্রত্যেক বিদ‘আত হ’ল পথভ্রষ্টতা।” (আহমাদ, আবুদাঊদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ]
তেমনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাজিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্র্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “বানী-ইসরাইলীগণ বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল আর আমার উম্মাত বিভক্ত হবে তিয়াত্তর দলে। তাদের সকলেই জাহান্নামে যাবে, কিন্তু একটি মাত্র দল জান্নাতে যাবে। সাহাবীগণ (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন– এই দল কারা? রাসূলুলাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন : যারা আমার ও আমার সাহাবাগণের তরীকার উপর কায়েম থাকবে।” (জামি‘ তিরমিযী, হাদীস নং ২৫৭৮
৭। কোন মুসলমান ভাইয়ের কোন বিপদ দেখে খুশী হওয়া : হযরত ওয়াছিলা ইবনে আসকয়ীল লাইছী রাজিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : “তুমি (কোন) মুসলাম ভাইয়ের কোন বিপদ দেখে খুশী প্রকাশ করো না। কেননা, হতে পারে আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি অনুগ্রহ করবেন, আর তোমার উপর ঐ মুসীবত চাপিয়ে দিবেন।” (জামি‘ তিরমিযী, ২য় খণ্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা)
৮। কোন মুমিনকে অসঙ্গতভাবে কাফের বলা : হযরত আবু যার (রাজিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যাক্তি কাউকে কাফের বলে ডাকে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে, অথচ ( যাকে কাফের ও আল্লাহ তাআলার শত্রু বলা হচ্ছে) সে তা নয়, তখন তার কথা তার নিজের দিকে ফিরবে (অর্থাৎ এতে সে নিজে কাফের হয়ে যাবে)। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৫৫/ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২৫)
৯। ইসলামী জীবন-ব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন : মহান আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য একমাত্র দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা হল ইসলাম। সুতরাং যদি কেউ আল্লাহ তা’য়ালার ইবাদাত করতে চায়, তাহলে তাকে আল্লাহর দরবারে নিঃশর্ত আত্মসমর্পন করতে হবে এবং ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হতে হবে।
সুতরাং মুসলিম দাবীদার কোন ব্যক্তি যদি কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি তথা ইসলামী জীবন ব্যবস্থার কোন আইন, বিধি-বিধান, নীতিমালা ও আদর্শের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে, তাহলে সে ঈমান থেকে খারিজ হয়ে কাফির ও মুরতাদ হয়ে যাবে।
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন : “কেউ যদি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (জীবন-ব্যবস্থা) অবলম্বন করবে, তা তার থেকে কখনোই তা গ্রহন করা হবে না এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” – ( সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত ৮৫)
এরকম আরো অনেক বিষয় আছে যার কারণে মুসলমানের ঈমান নষ্ট হয়ে সে কাফির হয়ে যায়। তাই এসব থেকে সকল মুসলমানের দূরে থাকা কর্তব্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন