হে আমার মুখলেস বুযুর্গ এবং ইসলাম ও মুসলমানের উন্নতিকামী বন্দুগন! আপন পরিবার—পরিজন, সন্তান—সন্ততি অধীনস্হ ও ছোটদের প্রতি একটু লক্ষ করিয়া দেখুন তাহারা কি পরিমান প্রকাশ্য গোনাহের মধ্যে লিপ্ত রহিয়াছে” আর আপনারা তাদেরকে বাধা প্রদান করিতেছেন কিনা। অথবা এই আশঙ্কা আপনার মনে আসে কিনা যে, আমার প্রিয়পুএ কি করিতেছে। যদি সে সরকারের বিরুদ্ধে কোন অন্যায় কাজ করে বা অপরাধও নহে শুধু সরকার বিরোধী কোন রাজনৈতিক সভা সম্মেলনে অংশগ্রহন করে, তবে আপনিও উহাতে জড়াইয়া পড়ার ভয়ে চিন্তিত হইয়া যান!তাহাকে শাসন করা হয় এবং নিজে নির্দোষ ও দায়মুক্ত থাকিবার জন্য বিভিন্ন রকম তদবীর করা হয় ।
কিন্তু আহকামুল হাকেমীন আল্লাহ তায়ালার নাফরমানের সাথেও কি সেই আচরন করা হয় যাহা এই ক্ষনস্হায়ী দুনিয়ার নগন্য সরকারী অপরাধীর সাথে করা হয়।
আপনি ভাল করিয়া জানেন—আপনার প্রিয়পুএ দাবা খেলায় তাসখেলায় ডুবিয়া থাকে, কয়েক ওয়াক্তের নামায ছাড়িয়া দেয়। কিন্তু আফসোস! কখনও আপনার মুখ হইতে ভুলেও এই কথা বাহির হয়না যে, বেটা!কি করিতেছ? ইহা তো মুসলমানের কাজ নয়।
এমন আনেক লোক পাওয়া যাবে, যাহার ছেলের উপর এইজন্য নারাজ যে, ছেলে অলস ও ঘরে বসিয়া থাকে” চাকরির চেষ্টা করে না অথবা দোকানের কাজে মনোযোগ দেয় না” কিন্তু এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাইবে যাহারা ছেলের উপর এই জন্য নারাজ হয় যে, সে জামাতে নামায আদায় করে না কিংবা নামায কাজা করিয়া দেয়।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা দ্বীনের প্রতি উদাসীনতা যদি শুধু আখেরাতের জন্যই ক্ষতিকর হইত তবুও ইহা হইতে বহু দূরে সরিয়া থাকা উচিত ছিল। কিন্তু সর্বনাশ তো এই যে, যে দুনিয়াকে আমরা কর্যতঃ আখেরাতের উপর প্রাধান্য দিয়া থাকি, চিন্তা করুন—এই অন্ধত্বের কোন সীমা আছে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন