দিগ্বিজয়ী শাষকদের মধ্যে দ্বিতীয় হলেন সুলতান মাহমুদ গজনবি(রহ)! এক নম্বরে চেঙ্গিসখান। তিন নম্বরে তৈমুরে লং।
সুলতান মাহমুদ আলিশান এক মহল নির্মাণ করলেন। তার অর্থের অভাব ছিল না। মহল তৈরির কাজ সম্পন্ণ করে পিতাকে বললেন, আব্বাজান! আমি একটি ঘর তৈরী করেছি” এসে দেখে যান।
পিতার নাম সবুক্তগিন। অত্যন্ত নেককার মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা তাকে সাধারন সৈনিক থেকে বাদশাহ বানিয়েছেন। আতীতকে স্মরন রেখেছেন। রাজা হয়েও আল্লাহকে ভোলেননি।
পুএের আহ্বানে সবুক্তগিন মহল দেখতে গেলেন। অত্যন্ত সুরম্য এক অট্রালিকা। ঘুরে ফিরে মহলটা দেখলেন। কিন্তু কোন মন্তব্য করলেন না। সুলতান মাহমুদ মনে মনে ক্ষুদ্ব হলেন, এমন একটি মহল নির্মাণ করলাম আর আব্বাজান দেখে কিছুই বলছেন না।
ঘুরে ফিরে দেখে বের হওয়ার সময় সুবক্তগিন খন্জরটা বের করে কারুকার্যখচিত দেওয়ালে এমন জোরে আঘাত হানলেন যে, দেওয়ালের কারুকাজ ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেল।
এবার তিনি মুখ খুললেন— বেটা, এমন এক বস্তুর উপর মেহনত করেছ, যা খন্জরের একটি আঘাতেই সহ্য করতে পারল না! আল্লাহ তোমাকে মাটির গায়ে কারুকাজ করার জন্য, ইট পাথরের উপর রং চড়ানোর জন্য সৃষ্টি করেননি বরং তোমার দিলকে গড়ার জন্য সৃষ্টি করেছেন।
প্রিয় পাঠকগন! একটু গভীর ভাবে চিন্তা করিয়া দেখুন— আমরা ক্লাস নার্সারী থেকে আনারর্স পর্যন্ত এক থেকে একশরো আধিক বই পড়ে থাকি! এর উদ্দেশ্য কি? এর উদ্দেশ্যে হল আমরা একটি জায়গা ক্রয় করে তার উপর একটি বাড়ি বানাবো, আলিসান ফার্ণিচার, একটি গাড়ি ক্রয় করবো। তাহলে আমরা আল্লাহ সুবহানা তা‘আলার জন্য কি করছি?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন