এক সাহাবীর মৃত্যু কালে মুখ দিয়ে কালেমা বের হচ্ছে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিষয়টি জানানো হলো!!!
সংবাদ পেয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশরিপ আনলেন। সাহাবীর চোখের দিকে তাকিয়ে প্রথম দৃষ্টিতেই ধরে ফেললেন, এ কোন পাপের অভিশাপ। কোন পাপ তার মুখকে বন্ধ করে দিয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাথে সাথে তার মাকে ডেকে পাঠালেন।
তার মা আসলে বললেন-আপনি আপনার ছেলেকে ক্ষমা করে দেন।
মা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি তাকে ক্ষমা করবনা। কারন সে আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে আমি একে আগুনে পোড়াব।
মা বললেন, এটা আমি বরদাশত করতে পারব না।
নদী কারীম (সাঃ) বললেন, আপনি যদি তাকে ক্ষমা না করেন, তাহলে সে সোজা জাহান্নামে যাবে।
মা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাহলে আমি তাকে ক্ষমা করে দিচ্ছি। মায়ের মুখ থেকে এ কথা বের হবার সাথে সাথেই দেখা গেল ছেলের মুখে কালেমা জারি হয়ে গেছে এবং সাথে সাথেই সাহাবী শেষ নিঃষ্বাস ত্যাগ করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জানাযা পড়ালেন।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমার! আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়েছেন। নামায পড়ে কপালে কালো দাগ পরে গেছে। রোজা রেখেছেন, যাকাত আদায় করেছেন, বায়তুল্লাহ হজ্ব করেছেন, কিন্তু আপনি মা ও বাবার সাথে নাফরমানি করেছেন-ওয়াল্লাহি আপনি জান্নাত তো দূরের কথা জান্নাতের গ্রান ও আপনি পাবেন না। সারা জীবন ইবাদত বন্দীগি করেও আপনি জাহান্নামী। ভাইও বেহনো মা আর বাবা হলো জান্নাতের আটটি দরজা আপনি ইচ্ছা হলে যে কোন একটি দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন শুধুমাএ মা বাবার ক্ষেদমত করে। তাই আসুন আজ থেকে সকলেই প্রতিজ্ঞা করি আর কখোনো মা ও বাবাকে কষ্ট দিব না। তাদের সাথে ওহ শব্দটি উচ্চারন করব না।
আল্লাহ সুবহানা ওয়া ত’আলা আমাদের সকলকে, মা ও বাবার, বেশি বেশি করে ক্ষেদমত করার তৌফিক দান করুক-আমীন!!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন