প্রশ্ন: আচ্ছা জনাব ! আল্লাহর রাসূল সা. বিদায় হজ্জের ভাষণে স্পষ্ট ভাষায়
ঘোষণা করলেন, [ تركت فيكم أمرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله وسنة رسوله]
. অর্থাৎ তোমাদের মাঝে আমি
২টি বিষয় রেখে গেলাম। তোমরা কখ্খনো সত্য বিচ্যূত হবে না, যদি তোমরা
এদুটিকে আঁকড়ে ধরো। ১. আল্লাহর কিতাব ২. তাঁর রাসূলের সুন্নাত।” এ হাদীসে তো রাসূল
সা. কোনো মাযহাবের কথা বলেন নি। তাহলে মাযহাব মানা বা তাকলিদে শখছি কেনো করতে হবে?
……………………………………………………………
উপরের প্রশ্নটা অনেক গায়রে মুকাল্লিদ ভাইয়েরা করে থাকেন। বহুদিন তাদের প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু ইদানিং মনে হচ্ছে জবাব দেয়া দরকার।
:
১. আমি কুরআন সুন্নাহর বাইরে কিচ্ছু মানি না। মানতে চাই ও না। কিন্তু ; সমস্যা হলো, আমি আল্লাহর কিতাবের সব আয়াত বা সূরা নাযিলের প্রেক্ষাপট জানি না। কোন আয়াত আগের কোনটা পরের তাও জানি না। কোন আয়াত মানসূখ কোনটা নাসেখ তাও আমার অজানা।
:
তেমনি ভাবে হাদীসের নাসেখ মানসুখ আমার অজানা। কোন কারণে বা কোন প্রেক্ষাপটে হাদীস বর্ণনা করেছেন তাও জানি না। সব হাদীস জানার তো প্রশ্নই আসে না। হাদীসের শব্দ জানলেও মর্ম জানি না। কারণ, আরবী একেকটি শব্দের বহু অর্থ হতে পারে।
:
আমি অবশ্যয়ই কুরআন,হাদীসের বাইরে কিচ্ছু মানতে চাই না। কিন্তু আমি তো উপরোক্ত সমস্যাগুলোর সম্মুখিন। আমার জন্য করণীয় কি? আমি কীভাবে আমল করবো? আমি তো বলতে গেলে অন্ধ। আমার সামনের রাস্তাও অচেনা। কে আমাকে পথ দেখাবে? কেউ চিনিয়ে দিবে এ সম্ভাবনাও তো নেই কারণ, আমি কারো অনুস্মরণ করতে চাই না। কুরআন-হাদীস ছাড়া।
:
২. আচ্ছা !! এমন কি হতে পারে যে, আমি কুরআন-সুন্নাহ-ই মানবো তবে যিনি ভালো জানেন তাঁকে জিজ্ঞেস করে বা তাঁর কিতাব পড়ে? নাহ !! তাও সম্ভব নয় কেনোনা আমিতো শুধু কুরআন-হাদীস মানবো অন্য কাউকে নয়। অন্য কাউকে মানলেই তো আমি গায়রে মুকাল্লিদ থাকতে পারবো না। কিন্তু শরিয়ত না মানলেও আমি মুমিন থাকতে পারবো না।
:
তাহলে উপায়? হ্যাঁ । যিনি সবচে‘ ভালো বুঝেন তাঁকে মানবো। কে ভালো বুঝেন? কে ভালো জানেন? যিনি সবচে‘ নিকটতম তিনি ভালো জানেন। এরপর যিনি এরপরের তিনিও ভালো জানেন। এরপর পরের জন।
:
আল্লাহর রাসূলের হাদীস সম্পর্কে সবচে‘ ভালো জানেন সাহাবা রিজওয়ানুল্লাহি আজমাঈন গন। এরপর তাবেঈ গন। এরপর তাবে‘ তাবেঈন গন।
:
আর তাঁদের জানা বিষয়গুলির সংরক্ষিত ও সঙ্ঘবদ্ধ ফতোয়ার নামই হলো মাযহাব।
:
শুরুতে যে সমস্যাগুলোর কথা বলা হলো, এ সমস্যাগুলো বর্তমানে আমরা সবাই ফেইস করছি। এমতাবস্থায় আমাদের জন্য করণীয় কি?
:
আচ্ছা এভাবে বুঝুন! আপনি মরুভুমিতে পথ হারিয়ে ফেলেছেন। হাতে বাড়ির ঠিকানাও আছে কিন্তু পথ চিনতে পারছেন না। যে কোনো মূল্যেই হোক বাড়ি পৌঁছতে হবে। দু‘জন মরুচারী কে আপনি পেলেন। একজন আপনার বাড়ির ঠিকানা পূর্ণরূপে অবগত। আরেকজন ততোটা অবগত নয়। তারা যদি আপনাকে পথ দেখাতে চায় তাহলে আপনি কার সাথে যাবেন? নাকি কারো সাথে না গিয়ে কম্পাস হতে নিয়ে মরুভূমিতে বসে শুঁটকি হবেন?
:
আপনি বুদ্ধিমান হলে অবশ্যই ১ম ব্যক্তির সাথেই বাড়ি যাবেন যিনি আপনার ঠিকানা ভালোভাবে জানেন।
:
সুতরাং উপরের আলোচনা দ্বারা একথাই প্রতিয়মান হলো যে, আমরা কুরআন-হাদীস-ই মানবো। যেহেতু সব জ্ঞাণ আমার নেই তাই যিনি জানেন তার অনুস্বরণে মানবো। হয়তো বুঝতে পেরেছেন।
:
আল্লাহ আমাকেসহ সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন। আমীন।।
:
……………………………………………………………
উপরের প্রশ্নটা অনেক গায়রে মুকাল্লিদ ভাইয়েরা করে থাকেন। বহুদিন তাদের প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু ইদানিং মনে হচ্ছে জবাব দেয়া দরকার।
:
১. আমি কুরআন সুন্নাহর বাইরে কিচ্ছু মানি না। মানতে চাই ও না। কিন্তু ; সমস্যা হলো, আমি আল্লাহর কিতাবের সব আয়াত বা সূরা নাযিলের প্রেক্ষাপট জানি না। কোন আয়াত আগের কোনটা পরের তাও জানি না। কোন আয়াত মানসূখ কোনটা নাসেখ তাও আমার অজানা।
:
তেমনি ভাবে হাদীসের নাসেখ মানসুখ আমার অজানা। কোন কারণে বা কোন প্রেক্ষাপটে হাদীস বর্ণনা করেছেন তাও জানি না। সব হাদীস জানার তো প্রশ্নই আসে না। হাদীসের শব্দ জানলেও মর্ম জানি না। কারণ, আরবী একেকটি শব্দের বহু অর্থ হতে পারে।
:
আমি অবশ্যয়ই কুরআন,হাদীসের বাইরে কিচ্ছু মানতে চাই না। কিন্তু আমি তো উপরোক্ত সমস্যাগুলোর সম্মুখিন। আমার জন্য করণীয় কি? আমি কীভাবে আমল করবো? আমি তো বলতে গেলে অন্ধ। আমার সামনের রাস্তাও অচেনা। কে আমাকে পথ দেখাবে? কেউ চিনিয়ে দিবে এ সম্ভাবনাও তো নেই কারণ, আমি কারো অনুস্মরণ করতে চাই না। কুরআন-হাদীস ছাড়া।
:
২. আচ্ছা !! এমন কি হতে পারে যে, আমি কুরআন-সুন্নাহ-ই মানবো তবে যিনি ভালো জানেন তাঁকে জিজ্ঞেস করে বা তাঁর কিতাব পড়ে? নাহ !! তাও সম্ভব নয় কেনোনা আমিতো শুধু কুরআন-হাদীস মানবো অন্য কাউকে নয়। অন্য কাউকে মানলেই তো আমি গায়রে মুকাল্লিদ থাকতে পারবো না। কিন্তু শরিয়ত না মানলেও আমি মুমিন থাকতে পারবো না।
:
তাহলে উপায়? হ্যাঁ । যিনি সবচে‘ ভালো বুঝেন তাঁকে মানবো। কে ভালো বুঝেন? কে ভালো জানেন? যিনি সবচে‘ নিকটতম তিনি ভালো জানেন। এরপর যিনি এরপরের তিনিও ভালো জানেন। এরপর পরের জন।
:
আল্লাহর রাসূলের হাদীস সম্পর্কে সবচে‘ ভালো জানেন সাহাবা রিজওয়ানুল্লাহি আজমাঈন গন। এরপর তাবেঈ গন। এরপর তাবে‘ তাবেঈন গন।
:
আর তাঁদের জানা বিষয়গুলির সংরক্ষিত ও সঙ্ঘবদ্ধ ফতোয়ার নামই হলো মাযহাব।
:
শুরুতে যে সমস্যাগুলোর কথা বলা হলো, এ সমস্যাগুলো বর্তমানে আমরা সবাই ফেইস করছি। এমতাবস্থায় আমাদের জন্য করণীয় কি?
:
আচ্ছা এভাবে বুঝুন! আপনি মরুভুমিতে পথ হারিয়ে ফেলেছেন। হাতে বাড়ির ঠিকানাও আছে কিন্তু পথ চিনতে পারছেন না। যে কোনো মূল্যেই হোক বাড়ি পৌঁছতে হবে। দু‘জন মরুচারী কে আপনি পেলেন। একজন আপনার বাড়ির ঠিকানা পূর্ণরূপে অবগত। আরেকজন ততোটা অবগত নয়। তারা যদি আপনাকে পথ দেখাতে চায় তাহলে আপনি কার সাথে যাবেন? নাকি কারো সাথে না গিয়ে কম্পাস হতে নিয়ে মরুভূমিতে বসে শুঁটকি হবেন?
:
আপনি বুদ্ধিমান হলে অবশ্যই ১ম ব্যক্তির সাথেই বাড়ি যাবেন যিনি আপনার ঠিকানা ভালোভাবে জানেন।
:
সুতরাং উপরের আলোচনা দ্বারা একথাই প্রতিয়মান হলো যে, আমরা কুরআন-হাদীস-ই মানবো। যেহেতু সব জ্ঞাণ আমার নেই তাই যিনি জানেন তার অনুস্বরণে মানবো। হয়তো বুঝতে পেরেছেন।
:
আল্লাহ আমাকেসহ সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন। আমীন।।
:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন