সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’য়ালার জন্য যিনি রব্বুল আলামীন। দুরুদ ও সালাম রসূলুল্লাহ্ সল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি যিনি রহমাতুল্লিল আলামীন, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবায়ে কিরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) এবং সালেহীন (র)-গণের প্রতি। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই। আমরা আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর বান্দাহ ও রসূল।
মহান আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীন বলেনঃ তোমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে (কুরআনকে) ধারণ কর এবং ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ো না। আর তোমাদের প্রতি আল্লাহর নিয়া’মাতের কথা স্মরণ কর! যখন তোমরা পরস্পরের শত্রু ছিলে, অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনের মধ্যে ভালবাসা তৈরি করে দিলেন, ফলে তাঁর অনুগ্রহে তোমরা পরস্পর ভাইভাই হয়ে গেলে। তোমরা তো ছিলে আগুনের গর্তের কিনারে, আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদেরকে রা করেছেন। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন, যেন তোমরা হিদায়াত লাভ করতে পার। তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা প্রয়োজন যারা কল্যাণের পথে আহ্বান করবে, সৎকাজের আদেশ দেবে, অসৎ কাজে নিষেধ করবে আর এরাই মূলতঃ সফলকাম। তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ আসার পরেও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি করেছে। তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি। -(সুরা আলে ইমরান : ১০৩-১০৫)
মহান আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীন উক্ত আয়াতে কুরআন ভিত্তিক মুসলিম উম্মাহর ঐক্য গড়ে তোলার নির্দেশ প্রদান করেছন এবং ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হতে নিষেধ করেছেন। আলকুরআন উম্মাহর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় নিয়ামাত। সবাই মিলে আলকুরআনকে শক্তভাবে ধারণ করলে আল্লাহর অনুগ্রহে সবাই ভাই ভাই হয়ে যাবে এবং ঐক্য সৃষ্টি হবে, কারণ কুরআন নিয়ে উম্মাহর মধ্যে অদ্যাবধি কোন মতভেদ নাই। পক্ষান্তরে কুরআনকে আংশিকভাবে ধারণ করলে এবং যার যার অংশ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি বিনষ্ট হবে আর প্রত্যেকের অংশ নিয়ে আলাদা আলাদা দল সৃষ্ট হবে। সকল প্রকার দলাদলি পরিহার করে উম্মাহর মাঝে কুরআন ভিত্তিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
সম্মান ও মর্যাদার ভিত্তি হল আল-কুরআন : মুসলিম উম্মাহর ইহ-পরকালীন সার্বিক কল্যাণ, সমৃদ্ধি, সম্মান, ও মর্যাদার জন্য কুরআনের সাথে সম্পর্কের গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীন যাবতীয় মর্যাদা ও সম্মান কুরআনের সাথে সংযুক্ত করেছেন। যেমন- সর্বশ্রেষ্ঠ রাত হল লাইলাতুল ক্বদর, কারণ এ রাতে কুরআন অবতীর্ন হয়েছে। সর্বশ্রেষ্ঠ মাস হল রমজান মাস, কারণ এ মাসে কুরআন অবতীর্ন হয়েছে। সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদাত হল সালাত, কারণ এ সালাতের মাঝে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়। সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হলেন ঐ ব্যক্তি, যে নিজে কুরআন শিখে ও অন্যকে শিখায়। সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হলেন ঐ নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), যে নবীর উপর এই কুরআন নাজিল হয়েছে। সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মাহ হল ঐ উম্মাহ, যাদের প্রতি কুরআন অবতীর্ন হয়েছে। সুতরাং মুসলিম উম্মাহর সে হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে হলে কুরআন ও ছুন্নাহ মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে আর তালীমুল কুরআন মক্তবের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর ঈমান-আকিদা, আমল-আখলাক, কামনা-বাসনা, মুয়ামিলাত-মুয়াশিরাতসহ জীবনের সকল ক্ষেত্র পরিশুদ্ধ করে তাওয়াবান আদর্শ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, জাতি ও উম্মাহ গড়ে তুলতে হবে।
কুরআনের সাথে উম্মাহর বর্তমান সম্পর্ক : কুরআন নাজিল করা হয়েছে সমগ্র মানব জাতির হিদায়াতের জন্য তথা জীবনের সার্বিক দিক ও ক্ষেত্র বিকশিত করার মাধ্যমে মানব জাতির ইহ-পরলৌকিক যাবতীয় কল্যাণ ও সফলতার জন্য। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়! বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর সাথে কুরআনের সম্পর্ক এতই শোচনীয় যে, সার্বিক জীবন গঠন করাতো দূরের কথা, কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা কি বলেছেন অধিকাংশ মুসলিম তা জানেন না, এমন কি বিশুদ্ধ তিলাওয়াত করতেও পারেন না। এহেন দুরাবস্থায় কুরআনকে সম্মিলিতভাবে আঁকড়ে ধরে সর্বশ্রেষ্ঠ রাত, সর্বশ্রেষ্ঠ মাস এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদাতের ন্যায় মুসলিম উম্মাহ আবার সমগ্র বিশ্বের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শবান জাতিতে পরিণত হতে পারে।
মুসলিম উম্মাহর কাছে কুরআনের হক : কুরআন হল মুসলিম উম্মাহর সার্বিক জীবন ব্যবস্থার সুস্পষ্ট লিখিত দলিল আর এ দলিলের জীবন্ত মডেল স্বয়ং রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবন। কুরআন হল আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্কের মাধ্যম। বান্দার সাথে আল্লাহর মহব্বত ঠিক ততটুকু হবে, যতটুকু কুরআনের সাথে বান্দার মহব্বত হবে। বান্দার প্রতি আল্লাহর অবহেলাও ঠিক ততটুকু হবে, যতটুকু কুরআনের সাথে বান্দার অবহেলা হবে। উম্মাহর কাছে কুরআনের হক- (১) সহীহ্ তিলাওয়াত শিক্ষা করা ও শিখানো, (২) কুরআনে আল্লাহ তায়ালা যা বলেছেন তা যথাযথভাবে জানা ও উপলব্ধি করা, (৩) কুরআনের বিধান মোতাবেক জীবনের সকল দিক ও ক্ষেত্র গঠন করা, (৪) কুরআনের বিধান ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, জাতি ও উম্মাহসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে কায়েম করার জন্য সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা-সাধনা করা এবং (৫) কুরআনের বিধানের যারা বিরোধিতাকারী, তাদের বিরুদ্ধে সাধ্যানুযায়ী প্রতিরোধ গড়ে তোলা। মনে রাখবেন! কুরআনকে যারা সমুন্নত করার সাধনা করবেন আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে তাদেরকে সমুন্নত করবেন। আর কুরআনকে পেছনে রেখে যারা অবনমিত বা অবহেলিত করার চেষ্টা করবে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে তাদেরকে অবনমিত, অপমানিত ও লাঞ্ছিত করবেন।
সহীহ্ কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা : মুসলিম উম্মাহর কাছে কুরআনের সরবাধিক গুরুত্বপূর্ণ সর্বপ্রথম হক হল- সহীহ্ তিলাওয়াত শিক্ষা করা, নিয়মিত তিলাওয়াত করা ও সহীহ্ তিলাওয়াত শিখানো। এর মাঝে নিহিত রয়েছে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর প্রচুর কল্যাণ। যেমন-
হযরত উসমান (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে তা শিখায়। -(বুখারী, তিরমিজী-২৮৪৩)
হযরত উসমান ইবনে আফফান (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে তা শিক্ষা দেয়। আবদুর রহমান বলেন এ হাদীসই আমাকে এখানে বসিয়ে রেখেছে। তিনি উসমান (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর আমল থেকে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের আমল পর্যন্ত কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। -(বুখারী, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজা, তিরমিজী- ২৮৪২ : হাসান ও সহীহ্)
প্রতি হরফে দশ নেকী : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের একটি হরফ পাঠ করে সে তার বদলে একটি নেকী পায়। আর একটি নেকী দশটি নেকীর সমান। আমি একথা বলছি না যে, আলিফ- লাম- মীম একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ ও মীম একটি হরফ। -(তিরমিযী : হাসান ও সহীহ্, হাদীস নং-২৮৪৫)
পরকালের অলংকার ও পোষাক : হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : কিয়ামতের দিন কুরআন হাযির হয়ে বলবে, হে আমার রব! একে অলংকার পরিয়ে দিন। অতঃপর তাকে সম্মান ও মর্যাদার মুকুট পরানো হবে। সে পুনরায় বলবে, হে আমার রব! তাকে আরও পোষাক দিন। সুতরাং তাকে মর্যাদার পোষাক পরানো হবে। সে আবার বলবে, হে আমার রব! তার উপর সন্তুষ্ট হোন। কাজেই তিনি তার উপর সন্তুষ্ট হবেন। অতঃপর তাকে বলা হবে তুমি এক এক আয়াত পড়তে থাক এবং উপরের দিকে উঠতে থাক। এমনিভাবে প্রতি আয়াতের বিনিময়ে তার একটি করে নেকী বাড়ানো হবে। -(তিরমিযী-২৮৪৬, হাসান ও সহীহ্)
আল্লাহর নৈকট্য লাভের সর্বোত্তম মাধ্যম : হযরত আবু উমামা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আল্লাহ বান্দার দুই রাক্আ’ত নামাজে যেভাবে মনোনিবেশ করেন এর চাইতে অন্য কোন কিছুতেই এভাবে করেন না। বান্দা যতন নামাজে রত থাকে ততণ তার মাথার উপর নেকী বর্ষিত হতে থাকে। বান্দা কুরআন পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর যতটুকু নৈকট্য লাভ করতে পারে অন্য কোন কিছু দ্বারা তাঁর এত নৈকট্য লাভ করতে পারে না। -(তিরমিযী- ২৮৪৭ : মুরসাল)
কষ্ট করে পাঠ করায় দ্বিগুন সওয়াব : হযরত আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং কুরআনের বিশেষজ্ঞ হয়, (আখিরাতে) সে সম্মানিত নেককার ফেরেশতাদের সংগে থাকবে। আর যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করতে আটকে যায় এবং পাঠ করা তার জন্য কঠিন হয়, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুন সওয়াব। -(বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী-হাদীস নং ২৮৩৯ : হাসান ও সহীহ্)
পাঠকের মর্যাদা : হযরত উকবা ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : প্রকাশ্যে কুরআন পাঠকারী প্রকাশ্যে দানকারীর সমতুল্য আর গোপনে কুরআন পাঠকারী গোপনে দানকারীর সমতুল্য। -(তিরমিযী- ২৮৫৪, নাসাঈ, আবু দাউদ)
কুরআন পরকালে পাঠকের জন্য সুপারিশকারী : হযরত আবু উমামা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা কুরআন পাঠ কর। কারণ কিয়ামতের দিন কুরআন তার পাঠকারীর জন্য শাফায়াতকারী হিসাবে আবির্ভূত হবে। -(সহীহ্ মুসলিম)
পাঠকের জান্নাতে মর্যাদা বৃদ্ধিকারী : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : কুরআন পাঠকারীকে (হাশরের দিন) বলা হবে, কুরআন পড় এবং জান্নাতের মনজিলে আরোহণ কর। থেমে থেমে পড়তে থাক, যেমন তুমি দুনিয়ায় পড়তে। কারণ জান্নাতে তোমার স্থান হবে সেই শেষ আয়াতটি, শেষ পর্যন্ত তুমি যা পড়েছো। -(তিরমিযী- হাদীস নং ২৮৫০ : হাসান ও সহীহ্)
সর্বোত্তম ইবাদাত : রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : সর্বোত্তম ইবাদাত হল কুরআন তিলাওয়াত করা । -(কানযুল উম্মাল)
সর্বোত্তম সম্পদ : হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এক সাহাবীকে জিজ্ঞেস করলেন : হে অমুক! তুমি কি বিবাহ করেছ? তিনি বললেন, না হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর কসম! আমার কাছে বিবাহ করার মত কোন সম্পদ নাই। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: তোমার কি সূরা কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ মুখস্থ নেই? তিনি বললেন, হাঁ আছে। তিনি বললেন: এটা কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন : তোমার কি ইযা- জা-আ নাসরুল্লা-হি ওয়ালফাতহু মুখস্থ নেই? তিনি বললেন, হাঁ আছে। তিনি বললেন : এটা কুরআনের এক চতুর্থাংশ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন : তোমার কি কুল ইয়া- আইয়্যুহাল কাফিরূ-ন মুখস্থ নেই? তিনি বললেন, হাঁ আছে। তিনি বললেন : এটা কুরআনের এক চতুর্থাংশ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন : তোমার কি ইযা- যুলযিলাতিল আরদু মুখস্থ নেই? তিনি বললেন, হাঁ আছে। তিনি বললেন : এটা কুরআনের এক চতুর্থাংশ। অতএব তুমি বিবাহ কর, বিবাহ কর। -(তিরমিযী- ২৮২৯ : হাসান)
কুরআন বাহকের মর্যাদা : হযরত আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে এবং তা মুখস্থ রেখেছে, এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনেছে- আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশ জন লোক সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করবেন যাদের প্রত্যেকের জন্য দোযখ অবধারিত ছিল। -(তিরমিযী-২৮৪০ : গরীব, মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, দারেমী)
কুরআন পাঠকের উপমা : হযরত আবু মূসা আল-আশআরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : কুরআন পাঠকারী মুমীনের উপমা হল লেবুর মত যার গন্ধও সুবাসিত, স্বাদও ভাল। আর কুরআন পাঠ করে না যে মুমীন তার উপমা হল খেজুরের মত যার কোন গন্ধ নেই তবে স্বাদ খুব মিষ্ট। আর কুরআন পাঠকারী মুনাফিক হল রায়হানা ফুলের ন্যায় যার গন্ধ ভাল কিন্তু স্বাদ অত্যন্ত তিক্ত। আর কুরআন পাঠ করে না এমন মুনাফিক হল মাকাল ফলের মত যার গন্ধও তিক্ত স্বাদও তিক্ত। -(তিরমিযী-২৮০১ : হাসান ও সহীহ্, বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ)
কুরআন চর্চার মর্যাদা : হযরত আবু সাঈদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : মহান রব্বুল ইজ্জত বলেন, কুরআন (চর্চার ব্যস্ততা) যাকে আমার যিকির ও আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করতে বিরত রেখেছে আমি তাকে আমার কাছে যারা চায় তাদের চাইতেও অনেক উত্তম পুরষ্কার দিব। সব কালামের উপর আল্লাহর কালামের মর্যাদা এত অধিক যত অধিক আল্লাহর মর্যাদা তাঁর সকল সৃষ্টির উপর। -(তিরমিযী-২৮৬১ : হাসান)
কুরআন কিভাবে পাঠ করতে হবে : কুরআনের একটি নিজস্ব ছন্দ রয়েছ। কুরআনকে তার নিজস্বশৈলী অনুসরণ করতে হবে। কুরআন নাজিলের সময়কার উচ্চাংগের পদ্য ছন্দে নাজিল করা হয়েছ। গদ্য ছন্দে বক্তৃতার মত কুরআন পাঠ করা যাবে না। আবার গানের সুরেও পাঠ করা যাবে না। মহান আল্লাহ তায়ালা তারতীলের সাথে কুরআন তিলাওয়াতের নির্দেশ দিয়েছেন। নামাজের মাঝে কুরআন তিলাওয়াত করা ফরজ। তাই কুরআনের নিজস্ব পদ্য ছন্দে তারতীলের সাথে কুরআন পাঠ করতে হবে। যেমন-
কুরআন পাঠ করতে হবে সুললিত কন্ঠে : হযরত আবু লুবাবা বশীর ইবনে আব্দুল মুনজির (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি সুললিত কন্ঠে কুরআন পাঠ করে না, সে আমাদের দলভূক্ত নয়। -(আবু দাউদ : সহীহ)
প্রতিটি অক্ষর ও শব্দ পৃথকভাবে স্পষ্ট উচ্চারণ : হযরত উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি অক্ষর পৃথক পৃথকভাবে উচ্চারণ করে কিরআত পাঠ করতেন।- (তিরমিযী- ২৮৬২ )
নিয়মিত কুরআন পাঠ করতে হবে : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তাদের বা তোমাদের কারও এরূপ কথা বলা কতইনা আপত্তিকর- ‘আমি কুরআনের অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি। বরং (তার বলা উচিত) তাকে ভুলিযে দেয়া হয়েছে। তোমরা স্মরণ রাখার জন্য অনবরত কুরআন পড়বে। সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! জন্তু যেমন রশি থেকে ছাড়া পেয়ে পলায়ন করে, এটা মানুষের হৃদয় থেকে তার চাইতেও অধিক পলায়নপর। -(তিরমিযী- ২৮৭৭ : হাসান ও সহীহ্, বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)
সাত রীতিতে কুরআন পাঠ : হযরত উবাই ইবনে কাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরাঈল (আ)-এর সাক্ষাত পেয়ে বলেন : হে জিবরাঈল! আমি একটি নিরর উম্মাতের নিকট প্রেরিত হয়েছি। এদের মধ্যে প্রবীণ, বৃদ্ধ, কিশোর ও কিশোরী আছে এবং এমন লোকও আছে যে কখনো লেখাপড়াই করেনি। তিনি বলেন, হে মুহাম্মাদ! কুরআন তো সাত রীতিতে নাজিল হয়েছে। -(তিরমিযী-২৮৭৮ : হাসান ও সহীহ্, মুসলিম)
খতমের সময়সীমা : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি কত দিনে কুরআন খতম করব? তিনি বললেন : এক মাসে তা খতম করবে। আমি বললাম, আমি এর চাইতেও বেশী পড়তে সম। তিনি বললেন : তাহলে বিশ দিনে খতম করবে। আমি বললাম, আমি এর চাইতেও বেশী পড়তে পারি। তিনি বললেন : তাহলে দশ দিনে খতম করবে। আমি বললাম, আমি এর চাইতেও বেশী পড়তে পারি। তিনি বললেন : তাহলে পাঁচ দিনে খতম করবে। আমি বললাম, আমি এর চাইতেও বেশী পড়তে সম। তিনি (রাবী) বলেন, এর চাইতেও কম দিনে পড়তে তিনি আমাকে অনুমতি দেন নাই। -(তিরমিযী-২৮৮১ : হাসান ও সহীহ)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি তিন দিনের কমে কুরআন খতম করল সে কুরআনের কিছুই বুঝেনি। -(তিরমিযী-২৮৮৪ : হাসান ও সহীহ্, নাসাঈ)
কুরআন অবহেলার ভয়াবহ পরিনাম : কুরআন অবহেলার ভয়াবহ পরিনাম মারাত্মক ভয়াবহ। মুসলিম উম্মাহকে এ ব্যাপারে উদাসীন হলে চলবে না বরং সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। যেমন-
আল্লাহ তা’য়ালা বলেন : আর যে আমার জিকির (কুরআন) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ করা হবে এবং আমি কিয়ামতের দিন তাকে অন্ধ করে উঠাব। সে বলবে- হে আমার রব! আমাকে কেন অন্ধ করে উঠালেন, আমিতো (দুনিয়ায়) চুক্ষষ্মান ছিলাম। তিনি (আল্লাহ) বলবেন : যেমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াত সমূহ এসেছিল, অতঃপর তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে, তেমনিভাবে আজ তোমাকেও ভুলে যাওয়া হবে। – (ত্ব-হা : ১২৪-১২৬)।
কুরআন ছাড়া অন্তর বিরান ঘর : হযরত ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যার অন্তরে কুরআনের কিছুই নাই সে পরিত্যক্ত ঘরতুল্য। -(তিরমিযী-২৮৪৯ : হাসান ও সহীহ, দারিমী, আল-মুসতাদরাক হাকেম)
কুরআন পড়ে ভিক্ষা করা : হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি জনৈক কুরআন পাঠকারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। লোকটি তখন কুরআন পড়ে ভিক্ষা করছিল। তিনি ইন্না- লিল্লা-হি ওয়াইন্না- ইলাইহি র-জিঊ-ন পড়ে বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে সে যেন এর দ্বারা কেবলমাত্র আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করে। কেননা, অচিরেই এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটবে যারা কুরআনের মাধ্যমে মানুষের কাছে চাইবে। -(তিরমিযী- ২৮৫২ : হাসান, আহমাদ)
কুরআন ব্যাখ্যায় সতর্কতা : হযরত ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি প্রকৃত ইলম ছাড়া কুরআন সম্পর্কে কোন কথা বলে, সে যেন নিজের জন্য জাহান্নামের আবাস নির্দিষ্ট করে নেয়। (তিরমিযী-২৮৮৫: হাসান ও সহীহ্, নাসাঈ, আহমাদ)
মনের খেয়ালমত কুরআনের ব্যাখ্যার ভয়াবহ পরিনাম : হযরত ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : নিশ্চিতভাবে যা তোমাদের জানা আছে তা ছাড়া আমার প থেকে হাদীস বর্ণনা থেকে তোমরা বিরত থাকবে। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে সে যেন জাহান্নামকে নিজের বাসস্থান বানিয়ে নিল। আর যে ব্যক্তি খেয়াল খুশীমত কুরআন সম্পর্কে কোন কথা বলে, সেও যেন জাহান্নামকে নিজের বাসস্থান বানিয়ে নিল। (তিরমিযী-২৮৮৬: হাসান, মুসনাদে আহমাদ)
কুরআন শেখার পর ভুলে যাওয়া মারাত্মক অপরাধ : হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আমার উম্মাতের সমস্ত সওয়াব আমার সামনে পেশ করা হয়, এমনকি মাসজিদ থেকে আবর্জনা দুর করার সওয়াবও। আমার উম্মাতের গুনাহসমূহও আমার সামনে পেশ করা হয়। কাউকে কুরআনের কোন সূরা বা আয়াত প্রদান করার পর তা ভুলে যাওয়ার চাইতে বড় গুনাহ আমি আর দেখিনি। -(তিরমিযী-২৮৫১ : গরীব, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ)
কুরআনের হারামকে হালাল গন্য করলে ঈমান নষ্ট হয় : হযরত সুহাইব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি কুরআনের হারামসমূহকে হালাল মনে করে সে আসলে কুরআনের প্রতি ঈমান আনেনি। (তিরমিযী- হাদীস নং ২৮৫৩)
কুরআনের মক্তবের কাজ ও ফজিলত : তালীমুল কুরআন মক্তব শুধুমাত্র সহীহ তিলাওয়াত শিক্ষার প্রতিষ্ঠান নয়, বরং পরিপূর্ণ দ্বীনি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। দারস বা মক্তব ভিত্তিক ইসলামী আন্দোলনই নবুওয়াতের নমুনায় সাহাবা (রা), তাবিঈন, তাবে-তাবিঈন ও ওলামাগণের (র) অনুসৃত পন্থা। তাদের পদাংক অনুসরণ করে মক্তবের বুনিয়াদী কাজ হল-
(১) কুরআন শিক্ষা : তাজবীদসহ সহীহ তিলাওয়াত, অর্থ ও ব্যাখ্যা শিক্ষা। কুরআন ও ছুন্নাহ অনুযায়ী জীবনের সার্বিক দিক গঠনের বাস্তব তা’লীম। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবনের পরিশুদ্ধির জন্য করআন ও ছুন্নাহ মোতাবেক প্রয়োজনীয় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ।
(২) উম্মাহর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন : দাওয়াত ও তাবলীগ, তা’লীম ও তারবিয়াত, তায্কিয়া বা পরিশুদ্ধি, পারিবারিক ও সামাজিক কল্যাণ এবং বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কার্যক্রমসমূহ সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে মদীনাতুন্নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নমুনায় মানব জীবনের সকল দিক ও ক্ষেত্রসহ আদর্শ সমাজ গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় বাস্তব প্রশিক্ষণ।
হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি দ্বীনি ইলম অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন পথ অবলম্বন করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সুগম করে দেন। কোন একদল লোক যখন আল্লাহ তা’য়ালার ঘর সমূহের মধ্যে কোথাও একত্র হয়ে আল্লাহর কিতাব পাঠ এবং পরস্পর আলোচনা করতে থাকে তখন তাদের উপর সাকিনা অবতীর্ণ হতে থাকে, রহমত ও অনুগ্রহ তাদেরকে ঢেকে দেয়, ফিরিশতাগণ তাদেরকে বেষ্টন করে নেন এবং আল্লাহ তাঁর নিকটবর্তী ফিরিশতাদের সামনে তাদের উল্লেখ করে থাকেন। -(সহীহ্ মুসলিম)
আমাদের শপথ হল আমরা সবাই আল-কুরআনের ছাত্র হব। আজীবনের জন্য আল-কুরআনের ছাত্র হব। মহল্লায় মহল্লায় আল-কুরআনের মক্তব গড়ব। মক্তবে আমরা তাজবীদসহ পরিপূর্ণ দ্বীন শিখব। সাহাবাদের ন্যায় জীবন গড়ার কৌশল শিখব। কুরআনের আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করব। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীনের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে স্বীয় জীবন, পরিবার ও সমাজে তাকওয়ার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইহ-পরকালীন কল্যাণ ও সফলতার আশায় দল-মত নির্বিশেষে আসুন! আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই মিলে মাসজিদে-মাসজিদে মহল্লায়-মহল্লায় আল-কুরআনের মক্তব গড়ে তুলি।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে সহীহ্ভাবে কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা করার, নিয়মিত তিলাওয়াত করার, কুরআন বুঝার ও তদানুযায়ী জীবন গড়ার তৌফিক দান করুন ! আমাদেরকে তাঁর দ্বীনের খেদমতের জন্য কবুল করুন! রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবা (রা)-গনের আদর্শের উপর সর্বদা কায়েম রাখুন এবং তাঁদের জামাআতের সংগে আমাদের হাশর করুন। আ-মী-ন!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন