শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

তাকবীরে তাশরীক ওয়াজিব ১২ তাং সোমবার ফজর থেক ১৬ তাং জুমারদিন আসর পর্যন্ত, পড়তেই হবে।

(আমীনুল ইসলাম আমীন)
মাসআলা : ০৯ জিলহজ্ব ফজর নামাজের পর থেকে ১৩ ই জিলহজ্জ আছর পর্যন্ত (সর্বমোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজ অর্থাৎ ১২ তারিখ সোমবার ফজর থেকে ১৬ তারিখ জুমারদিন আসর পর্যন্ত) সকল ফরজ নামাজের পর একবার তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি জামাতে নামাজ আদায় করুক বা একাকী আদায় করুক, পুরুষ - মহিলা, মুকীম, মুসাফির, মুনফারিদ, গ্রামবাসী, শহরবাসী সকলের উপর একবার তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। পুরুষগণ উচ্চস্বরে এবং মহিলাগণ আস্তে আস্তে বলবে। (শামী) 
★ উল্লেখ্য যে আইয়্যামে তাশরীক হল তিন দিন অর্থাৎ ১১, ১২, ১৩ জিলহজ্জ। (হেদায়া - ৪/৪৪৬)
★আর আইয়্যামে তাকবীরাতে তাশরীক হল পাঁচ দিন অর্থাৎ ৯, ১০, ১১ , ১২, ও ১৩ জিলহজ্জ (হেদায়া)
তাকবীরে তাশরীক হলো :
"আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ"
বি : দ্র : - তকবীরে তাশরীক একবার পড়া ওয়াজিব, বেশী পড়া বেদয়াত তাই সাবধান।


এই তাকবীরে তাশরীক্ব আল্লাহর তিনজন সম্মানিত ও নৈকট্যপ্রাপ্ত নবী, রাসূল ও ফেরেশতার মুখনিঃসৃত বাণী। হযরত ইব্রাহীম আ. যখন সজোরে সুতীক্ষ্ণ ছুরি হযরত ইসমাঈল আ. এর গলিয় চালানো সুরু করলেন, এমন সময় হযরত জিবরাঈল আ. আসমান থেকে দুম্বা নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে এ ভয়াবহ দৃশ্য দেখে বলে উঠলেনঃ "আল্লাহুআকবার আল্লাহুআকবার" হযরত ইব্রাহীম আ. যখন আসমানী কুরবানী দেখলেন, তখন তিনি বলে উঠলেনঃ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহুআকবার" এদিকে হযরত ইসমাঈল আ. যখন ঘটনা উপলব্দি করতে পারলেন তখন তিনি বলে উঠলেনঃ "ওয়াল্লাহুআকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ"। অর্থাৎ এর মাদ্যমে আমাদের শিক্ষা দেওয়া হলে যে, বিপদে - আপদে, আনন্দে ও খুশীতে সর্বাবস্থায় আল্লাহর বড়ত্ব বর্ণনা করা আর নিজের সবকিছুকে আল্লাহর নিকট সোপর্দ করা উচিৎ। আর এটিই কুরবানীর মূলকথা।



শরীয়তের যে বিধান ওয়াজিব, তা শিক্ষা করাও কিন্তু ওয়াজিব, তাই তাকবীরে তাশরীক যারা জানিনা জেনে নেওয়া ওয়াজিব। কেউ যদি তাকবীরে তাশরীকের এই পাঁচ দিন নামায না পড়ে কিবা কাযা করে তার গুনাহ হবে দ্বিগুণ, এক হল ফরজ নামায ছাড়ার কঠিন গুনাহ, আরেকটি হল তাকবীর ওয়াজিব ছাড়ার গুণাহ। আল্লাহ আমাকে মাফ করে দেন আমীন। তাই বন্ধু সাবধান কোন অবস্থাতেই যেন আপনার নামায এবং তাকবীর ছুটে না যায়। এক ওয়াজিব কুরবানী আদায় করতে গিয়ে কত ফরজ ও ওয়াজিবকে কুরবানী করে দিচ্ছি। কুরবানীর গোশত খাওয়া নফল, খেতে খুব মজা। নামায, তাকবীর, পর্দা সহ অন্য বিধানগুলো ফরজ ওয়াজিব, তা করতে খুব কষ্ট কিন্তু কেন বন্ধু?



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন