প্রশ্ন —ইমাম আবু হানীফা রহঃ কার তাকলীদ করতেন?
উত্তর : ১।
তাকলীদ করবে গায়রে মুজতাহিদ। আর মুজতাহিদ করবে ইজতিহাদ। এ কারণে গায়রে মুকাল্লিদদের অভিযোগ যে, আমাদের ইমাম গায়রে মুকাল্লিদ। আমরা বলি যে, ইমাম গায়রে মুকাল্লিদ মানে হল, তিনি মুজতাহিদ। তাই তার মুকাল্লিদ হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর তোমরা গায়রে মুকাল্লিদ মানে হল, তোমরা মুজতাহিদও নয়, আবার তাকলীদও করো না, এর নাম গায়রে মুকাল্লিদ।
২।
এক ব্যক্তি হয়তো ইমাম হবে, নতুবা মুক্তাদী। একজন এমন যে ইমামও নয়, মুক্তাদী নয়। এমতাবস্থায় সে হয় ফাসাদকারী। কোনো ব্যক্তি হয় তো রাজা হবে, নয়তো প্রজা। উভয়টির কোনটি না হলে, হবে বিদ্রোহী। যেমন গায়রে মুকাল্লিদ। ইমাম আবু হানীফা রহঃ হলেন রাজাওয়ালা, আর ইমামওয়ালা আর গায়রে মুকাল্লিদরা হল, ফাসাদকারী, বিদ্রোহী।
৩।
মুসলমান হওয়ার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য নবীর কালিমা পড়া জরুরী। নবীজী সাঃ নিজেও মুসলমান। কিন্তু তিনি কার কালিমা পড়েছেন? কারো নয়। তারপরও তিনি সাচ্চা মুসলমান। কারণ তিনি নিজেই নবী। তার জন্য অন্য কারো কালিমা পড়ার প্রয়োজনই নেই।
তেমনি ইমাম আবু হানীফা রহঃ মুজতাহিদ। তাই তার কারো তাকলীদ করার প্রয়োজনই নেই।
৪।
মুক্তাদী ইমামের ইত্তেবা করে জামাআতে নামায পড়ে। আর ইমামও জামাআতে নামায পড়ছে যদিও তিনি কারো ইত্তেবা করছে না। কেননা, তিনি নিজেই ইমাম। এমনিভাবে ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর অনুসারীরা তার তাকলীদ করে থাকে, কিন্তু তিনি কারো তাকলীদ করেন না। কারণ তিনি নিজেই ইমাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন