ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ গভীর ষড়যন্ত্র : সামনে অন্য আলেমদেরও টার্গেট করা হতে পারে
=== আওলাদে রাসূল আল্লামা সাইয়েদ আরশাদ মাদানী দা:বা:
ডা. জাকির নায়েকের সব চিন্তার সাথে আমরা একমত নই। আমরা তাকে শুধু একজন দাঈ মনে করি। তিনি ফকীহও নন, মুফতিও নন। তার বেশ কিছু চিন্তা ও ব্যাখ্যা জমহুর উলামার সাথে সাংঘর্ষিক। এ রকম ভিন্ন চিন্তা চেতনার বহু ব্যক্তিত্ব অতীত হয়েছেন। যাদের চিন্তা ও ইলম থেকে আমরা এখনও ইস্তেফাদা করি। তাই বলে তিনি ইসলামের বাইরেরও কেউ নন। তিনি এখন বিপদগ্রস্ত। একজন দাঈর বিপদে অন্য দাঈদের খুশি হওয়া ঠিক নয়। এ ব্যাপারে একজন তরুন গবেষক যথার্থই বলেছেন-
কিং সঊদ ইউনিভার্সিটির গবেষক মীযান হারুনের ওয়াল থেকে:
আমি ব্যথিত। চরম বেদনাহত। একজন মুসলিম দাঈর বিপদে অন্য মুসলিমের নৃত্য দেখে আমি মর্মাহত। কেবল শাখাগত কিছু চিন্তার ভিন্নতার কারণে শুধু তাঁর চ্যানেল নয়; সকল লেকচারগুলোও অনলাইনে ব্যান্ড করার আবেদন জানিয়ে যখন কোনো বড় ব্যক্তিকে পোস্ট দিতে দেখি, তখন আমার কান্না আসে না। করুণা হয় সেসব মানুষের প্রতি। নতুন করে ভাবি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, দীন ও উম্মাহর বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের করণীয় সম্পর্কে সচেতনতার পরিমাণ নিয়ে। আর যা-ই হোক, উম্মাহর চরম দুর্দশাঘন সময়ে একজন মুসলিম ভাইয়ের পাশে দাঁড়ানো সকল মুসলিমের কর্তব্য।
তাঁর অবদান বুঝতে হলে ফিক্বহের কিতাব নয়; অমুসলিমদের দাওয়াত, নাস্তিক্যবাদ, ইসলামের সৌন্দর্য এসব বিষয় নিয়ে পড়তে হবে। একজন তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ছাত্র তাঁর অবদান যতটা অনুভব করতে পারবে, সেটা আর কেউ পারবে না। সবচেয়ে বড় কথা, ভুল ও শুদ্ধ মিলিয়েই মানুষ। দুনিয়ার সব দাঈর দাওয়াহ পদ্ধতি আমার মানদণ্ড অনুযায়ী হতে হবে, এমনটি জরুরি নয়। যে কোনো সময়ের চেয়ে আজই এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার বড় বেশি প্রয়োজন।
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে স্যাম হ্যারিস, ক্রিস্টোফার হেচেন্স, ড্যানিয়েল ডেনেট কিংবা রিচার্ড ডকিন্সদের চ্যানেগুলো থাকুক, ওদের দেখে আমাদের যুবসমাজ সব নাস্তিক হয়ে গেলে যাক, মসজিদে না আসুক। কিন্তু মসজিদে এসে জোরে আমীন বলবে, হাত তুলবে সেটা হবে না।
ভাই মুসলিম উম্মাহ ইতিহাসের সবচেয়ে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই মুহূর্তে যে-ই ইসলামের পক্ষে কথা বলবে, সে-ই আপনার বন্ধু, পরম আপন। আপনি কেন দুনিয়ার সব মানুষকে ‘তালেবুল ইলম‘ মনে করছেন? লাখ লাখ মুসলিম যুবকের চেতনার রূপকার ছিল যে প্রতিষ্ঠান, যেখানে কোটি মুসলিম চিন্তার খোরাক পেতো, পথের দিশা পেতো, আপনার পছন্দ না হলে নিজে এর বিকল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুন। সেটা না করেই যদি আপনি এটা বন্ধ করার জন্য মিছিল করেন, তবে এ মিছিল দীনের জন্য নয়; অন্য কিছু।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। তাঁর দীনের জন্য যারা কাজ করে তাদেরও হেফাজত করুন। আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন