রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১৬

মোহরে ফাতেমী কি সুন্নত?

Mohiuddin Kasemi


মোহরের নির্দিষ্ট কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। পারস্পরিক সমঝোতা ও সামর্থ্যরে ওপর ভিত্তি করে মোহর কমবেশ হতে পারে। সাধারণ দিনমজুর ও কোটিপতির কন্যার এক মোহর হবে না। তদ্রƒপ রাজা-বাদশা বা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিকের বিয়েতে মোহরও হবে তার আভিজাত্য ও কৌলিন্য অনুপাতে। স্বাভাবিকভাবেই তখন মোহর বেড়ে যাবে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে : 
وَإِنْ أَرَدْتُمُ اسْتِبْدَالَ زَوْجٍ مَكَانَ زَوْجٍ وَآَتَيْتُمْ إِحْدَاهُنَّ قِنْطَارًا فَلَا تَأْخُذُوا مِنْهُ شَيْئًا
অর্থ : তোমরা যদি একস্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করতে চাও এবং তাদের একজনকে অগাধ সম্পদও দিয়ে থাক, তবুও সেখান থেকে কিছুই ফিরিয়ে নিও না। (সূরা নিসা : ২০)
বর্ণিত আছে, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. হযরত আলী রা. এর কন্যা উম্মে কুলছুমকে চল্লিশ হাজার দিরহাম মোহর দিয়ে বিয়ে করেন। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকি, হাদিস নং- ১৪১১৯) 
মোহরের ক্ষেত্রে মূল বিবেচনা হল পরস্পরের সম্মতি ও সামর্থ্য। নির্দিষ্ট কোনো মোহর সুন্নত নয়। এটাই শরিয়তের নির্দেশ। কিন্তু অনেকে মনে করেন, মোহরে ফাতেমি সুন্নত। মোহরে ফাতেমি হযরত আলী রা. ও হযরত ফাতেমা রা. এর বিয়ের মোহর। মোহরে ফাতেমির পরিমাণ নির্ণয়েও বেশ মতানৈক্য রয়েছে। যাই হোক, মোহরে ফাতেমি সুন্নত নয়। নির্দিষ্ট পরিমাণের মোহর সুন্নত হলে রাসুল সা. এর বিয়ের মোহরই সুন্নত হওয়া যুক্তিযুক্ত। (ফাতাওয়া শামী : খ. ৯, পৃ. ৪৯৭)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন