বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

বাংলাদেশের অভিনেত্রী বলিউড টালিউড ফিল্মে

বাংলাদেশের অভিনেত্রী বলিউড টালিউড ফিল্মে নিজের সম্ভ্রম উগ্লে দিয়ে নসরা মিডিয়ার কাছে হচ্ছে সাহসী, প্রগতিশীল জীবদের কাছে হচ্ছে নারী স্বাধীনতার মডেল। আর নিজের সম্ভ্রমের হেফাজত করতে গিয়ে আমার বোন নিজের ইউনিভার্সিটিতেই হচ্ছে নির্বাসিত, পশ্চাৎপদ, নারী স্বাধীনতার অন্তরায়। 
আমার বোন যখন আক্রান্ত, অধিকার বঞ্চিত, দালাল মিডিয়া তখন নির্বিকার। প্রগতিশীলরা তখন খাটের তলায় কিংবা উপরে প্রগতিশীলতা চর্চায় ব্যস্ত দিন কাটায়।
বাহ! কী চমৎকার সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে আমরা খাবি খাচ্ছি। এখানে কথিপয় মানুষরূপী কামোদ্বেল জানোয়ারের কাছে নারীর শরীরের ভাঁজ খুলে দেয়ার নাম স্বাধীনতা, সাহসিকতা, প্রগতিশীলতা। আর নারীর সম্ভ্রম রক্ষার সকল প্রচেষ্টাই পরাধীনতা, ভীরুতা, পশ্চাৎপদতা।
সমাজ ও রাষ্ট্রের ড্রাইভিং সিটে বসা ঐ পশুদের তাড়িয়ে জঙ্গলে কিংবা চিড়িয়াখানায় জোর করে পুরে রাখা না পর্যন্ত সমাজ ও রাষ্ট্র তাদের হিংস্র থাবা থেকে রেহাই পাবে না। পশুদের তাদের সত্যিকারের আবাসস্থলে স্থানান্তরিত করতে আমাদের একটু সাহস ও সদিচ্ছাই যথেষ্ট। কিন্তু সেটুকুও প্রদর্শনে আমাদের দৈন্যদশা চরম। তাই আজ আমাদের এত দুর্গতি। আমরা সংখ্যায় তাদের চেয়ে সহস্রগুণ হয়েও তাদের অঙুলি হেলনে আমাদের উঠাবসা, আমাদের জীবনের মানে নির্ধারণ।
আসলে আমাদের দুর্গতি আমাদের পাওনা; আমাদের অর্জন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন