ওয়াজিব বিয়ে
যখন বিয়ে প্রয়োজন তথা দেহ-মনে তার চাহিদা থাকে। তার এই পরিমাণ সামর্থ থাকে যে প্রতিদিনের খরচ প্রতিদিন উপার্জন করে খেতে পারে। তখন বিয়ে করা ওয়াজিব। বিয়ে থেকে বিরত থাকলে গুণাহগার হবে।
যখন বিয়ে প্রয়োজন তথা দেহ-মনে তার চাহিদা থাকে। তার এই পরিমাণ সামর্থ থাকে যে প্রতিদিনের খরচ প্রতিদিন উপার্জন করে খেতে পারে। তখন বিয়ে করা ওয়াজিব। বিয়ে থেকে বিরত থাকলে গুণাহগার হবে।
ফরজ বিয়ে
যদি সামর্থ থাকার সাথে সাথে চাহিদা এতো বেশি থাকে যে, বিয়ে না করলে হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে বিয়ে করা ফরজ।من الفعل الحرام النظر المحروم والاستمناء بالكف অর্থঃ কু-দৃষ্টি ও হস্তমৈথুন হারাম কাজের অন্তর্ভূক্ত।
যদি সামর্থ থাকার সাথে সাথে চাহিদা এতো বেশি থাকে যে, বিয়ে না করলে হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে বিয়ে করা ফরজ।من الفعل الحرام النظر المحروم والاستمناء بالكف অর্থঃ কু-দৃষ্টি ও হস্তমৈথুন হারাম কাজের অন্তর্ভূক্ত।
সুন্নাত বিয়ে
যদি বিয়ের চাহিদা না থাকে কিন্তু স্ত্রীর অধিকার আদায়ের সামর্থ রাখে তবে বিয়ে করা সুন্নত।
যদি বিয়ের চাহিদা না থাকে কিন্তু স্ত্রীর অধিকার আদায়ের সামর্থ রাখে তবে বিয়ে করা সুন্নত।
নিষিদ্ধ বিয়ে
যদি কারো আশংকা হয় সে স্ত্রীর অধিকার আদায় করতে পারবে না। চাই তা দৈহিক হোক বা আর্থিক হোক। তার জন্য বিয়ে করা নিষিদ্ধ।
যদি কারো আশংকা হয় সে স্ত্রীর অধিকার আদায় করতে পারবে না। চাই তা দৈহিক হোক বা আর্থিক হোক। তার জন্য বিয়ে করা নিষিদ্ধ।
মতভেদপূর্ণ বিয়ে
যদি চাহিদা ও প্রয়োজন থাকে কিন্তু সামর্থ না থাকে তাহলে তার বিয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। অধমের মতে ওয়াজিবের মতটিই অগ্রগণ্য। সামর্থ কষ্ট-শ্রম ও ঋণ করার দ্বারা অর্জন হয়। যদি সে তা আদায় করার পরিপূর্ণ ইচ্ছা রাখে। আদায়ের চেষ্টাও করে। যদি সে আদায় করতে না পারে তবে আশা করা যায় আল্লাহ তার ঋণদাতাকে রাজি করিয়ে দিবেন। কেননা দীনের সংরক্ষণের জন্য ঋণ করেছিলো। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য ঋণ করা নাজায়েয। বরং ভরণ-পোষণ ও মহর আদায় করার জন্য -যদি তা নগদ প্রদান করতে হয়- ঋণ করতে পারবে। [ইসলাহে ইনকিলাব, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২৯ থেকে ৪০।]
যদি চাহিদা ও প্রয়োজন থাকে কিন্তু সামর্থ না থাকে তাহলে তার বিয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। অধমের মতে ওয়াজিবের মতটিই অগ্রগণ্য। সামর্থ কষ্ট-শ্রম ও ঋণ করার দ্বারা অর্জন হয়। যদি সে তা আদায় করার পরিপূর্ণ ইচ্ছা রাখে। আদায়ের চেষ্টাও করে। যদি সে আদায় করতে না পারে তবে আশা করা যায় আল্লাহ তার ঋণদাতাকে রাজি করিয়ে দিবেন। কেননা দীনের সংরক্ষণের জন্য ঋণ করেছিলো। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য ঋণ করা নাজায়েয। বরং ভরণ-পোষণ ও মহর আদায় করার জন্য -যদি তা নগদ প্রদান করতে হয়- ঋণ করতে পারবে। [ইসলাহে ইনকিলাব, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২৯ থেকে ৪০।]
মাওলানা মিরাজ রহমান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন