মুফতি দেলাওয়ার সাহেব দা.বা. এর সংক্ষিপ্ত অথচ মহামূল্যবান কথা
"লা মাজহাবী"ফেতনাবাজরা
প্রথমে তারা নিজেদেরকে পরিচয় দিতো "ওয়াহাবী"নামে। যখন তারা দেখলো, এই নামে
জনগনের কাছে তারা ঘৃণিত হচ্ছে, (ঘৃণিত হওয়ার বিশেষ কারণও
আছে) তখন নামকরণ করে "মুয়াহহিদ "নামে।
তারপরও মানুষ তাদেরকে চিনে ফেলে, তাই তাদের বিভ্রান্তিকর মতাদর্শকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ব্যর্থ হল।
এরপর
তারা নতুন করে "মুহাম্মাদিয়া"নামে প্রকাশ পেল। তারপরও সচেতন জনগন তাদের চিনে ফেলে, তাই নাম দেয় "আহলে হাদীস "। বর্তমানেও এই নাম প্রচার করে।
তবে এই নামটাও অনেক "লা মাজহাবী"র কাছে ভালো লাগে নি। কারণ হাদীস তো অনেক প্রকার। যেমন
মুতাওয়াতার, মাশহুর, খবরে ওয়াহিদ, সহীহ লি আইনিহী, সহীহ লিগাইরিহী, হাসান লি আইনিহী, হাসান লিগাইরিহী, জয়ীফ, মুরসাল, জাল, লা আসলা লাহু, ইত্যাদি।
তাই প্রশ্ন জাগে তারা কোন প্রাকারের আহলে হাদীস?
"মুতাওয়াতার আহলে হাদীস নাকি মশহুর আহলে হাদীস? "জয়ীফ" আহলে হাদীস নাকি "কওয়ী" আহলে হাদীস,
জাল আহলে হাদীস নাকি "লা আসলা
লাহু" আহলে হাদীস?
কারণ অনেক হাদীস আমলযোগ্য না হলেও সবগুলোকেই হাদিস বলা হয়। একারণেই রসুল সাঃ হাদিস অনুসরণ করতে বলেন নি, বলেছেন সুন্নাহ অনুসরণ করতে।
এসব কারণে বর্তমানে "লা মাজহাবী"দের অনেকে
নিজেদেরকে "আহলে হাদীস" পরিচয় না দিয়ে নিজেদেরকে "সালাফী"
পরিচয় দেয়।
তাও তাদের মতাদর্শের সাথে এই নামটি যথাযথ হয় না। কারণ "সালাফী" বলা হয় দূরবর্তী অতীতের ভালো
অনুসরণীয় ইমামদেরকে। অথচ তারা
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুসরণ করে "আলবানী, ইবনে তাইমিয়া ইত্যাদি নিকটবর্তী
আলেমদেরকে। তাই কিছুদিন পর এই নামটিও চেঞ্জ
হয়ে অন্য কোনো নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করবে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন