বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

বিশ্বনবী (সা) এবং আবু বকর আর উমর (তিনজন) একই কবরের মাটি হতে সৃষ্ট !

বিসমিল্লাহ হিররাহমানির রাহীম।
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত, বিশ্বনবী (সা) ইরশাদ ফরমায়েছেন—
Π হাদিসটির অন্যতম একটি সনদ বা ধারাবাহিক বর্ণনাসূত্র নিম্নরূপ ।
হাদিস শাস্ত্রের বিদগ্ধ মুহাদ্দিস আবুল ফারায ইবনে যওজী (রহ) [মৃত ৫৯৭হিজরী]।
আবু মানছুর আল-ক্বিরার।
আবু বক্বর ইবনে সাবিত।
আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে গালিব।
আবু বক্বর আল-ইসমাঈলী।
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ আল-হারুভী।
মুহাম্মদ ইবনে আব্দুর রহমান আল-বাগদাদী।
মূসা ইবনে সাহাল আবু হারূন আল-ফাযারী।
ইসহাক ইবনে ইউসুফ আল-আযরাক্ব।
সুফিয়ান আস-সাওরী।
আবু ইসহাক আশ-শায়বানী।
আবুল আখওয়াছ আলজুশমানী।
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা)।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)।

[ধারাবাহিক সূত্র এখানে সমাপ্ত হল]
হাদিস ও হাদিসের তরজুমা:
ﻣﺎ ﻣﻦ ﻣﻮﻟﻮﺩ ﺇﻻ ﻭﻓﻰ ﺳﺮﺗﻪ ﻣﻦ ﺗﺮﺑﺘﻪ ﺍﻟﺘﻰ ﻳﻮﻟﺪ ﻣﻨﻬﺎ ﻓﺈﺫﺍ ﺭﺩ ﺇﻟﻰ ﺃﺭﺫﻝ ﻋﻤﺮﻩ ﺭﺩ ﺇﻟﻰ ﺗﺮﺑﺘﻪ ﺍﻟﺘﻰ ﺧﻠﻖ ﻣﻨﻬﺎ ﺣﺘﻰ ﻳﺪﻓﻦ ﻓﻴﻬﺎ ﻭﺇﻧﻰ ﻭﺃﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﻭﻋﻤﺮ ﺧﻠﻘﻨﺎ ﻣﻦ ﺗﺮﺑﺔ ﻭﺍﺣﺪﺓ ﻭﻓﻴﻬﺎ ﻧﺪﻓﻦ ( ﺍﻟﺨﻄﻴﺐ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ . [ ﺍﻟﺪﻳﻠﻤﻰ ﻋﻦ ﺃﻧﺲ
অনুবাদ, প্রত্যেক নবজাতক শিশুর নাভিতে (নাভির সৃষ্টি-মূলে) মাটির কিছু অংশ নিহিত থাকে যেখান থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। যখন সে তার জীবনের অন্তিম সময়ে এসে পৌছে যাবে, তখন সে ওই মাটিতেই ফিরে যাবে যেখান থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে এমনকি সেখানেই সে দাফন হবে। নিশ্চয়ই আমি [রাসূল] এবং আবু বকর আর উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) একই মাটি হতে সৃষ্ট এমনকি একই মাটিতে (আমরা তিনজন) দাফন হবো।”
[দেখুন- আল-ইলালুল মুতানাহিয়্যাহ ফিল আ-হাদীসিল ওয়াহিয়্যাহ খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৯৩; ইমাম ইবনে যওজী (রহ)]
আরো দেখুন, (সামান্য শাব্দিক ব্যবধানে) উল্লিখিত হাদিসটি নিচের গ্রহণযোগ্য কিতাবগুলোতেও উল্লেখ রয়েছে। যেমন :
১- তারিখে বাগদাদ- খন্ড১৫, পৃষ্ঠা ৩২; (হাদিস নাম্বার ৪৩৫৫) লেখক, ঊলূমে হাদিসের প্রখ্যাত কিতাব ‘মুত্তাফাক ওয়াল মুফতারাক’ রচয়িতা খতীব আল-বাগদাদী (রহঃ) [মৃত ৪৬৩ হিঃ]।
২- মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক -৩/৫১৬, হাদিস নং ৬৫৩৩; শায়খ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক আস-সান’আনী (রহ) উনি হযরত ইবনে আব্বাস এবং আবু হোরায়রা (রা) দুজন হতে মাওকূফ সূত্রে এটি বর্ণনা করেছেন।
৩- বায়হাক্বী ফী শু’আবিল ঈমান – হাদিস নং ৯২৩৮, হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) হতে।
৪- আল্লামা নূরুদ্দীন আল-হাইছামী (আলাইহির রাহমাহ) [মৃত ৮০৭ হিজরী] রচিত কাশফুল আসতার ৭৮৯।
৫- আল্লামা জালালুদ্দিন আস- সুয়ূতী (আলাইহির রাহমাহ) রচিত নূরুচ্ছদূর ফী শরহিল কবূর, পরিচ্ছেদ নং ১৪।
৬- আল্লামা সুয়ূতী (আলাইহির রাহমাহ) রচিত, জামেউল আহাদীস-১৯/২৮৭।
৭- তালখীছুল ইলালিল মুতানাহিয়্যাহ-৬৫, ইমাম যাহাবী (রহ)।
৮- মু’আজামু শুয়ূখিত তিবরী- ৬২৮, ইবনে মাসউদ হতে।
৯- আদ-দ্বূ’আফা ওয়াল মাতরূকীন- ১৬৩, ইমাম দার-আলকুতনী।
১০- আল-ইরশাদ- ২/৫০৩, ইমাম আল-খালিলী (রহ)।
১১- আল-মুগনী ফিদ্বূ’আফা – ২/৬৮৩, ইমাম যাহাবী (রহ)।
১২- ওয়াদ্বয়ু ইরসালি ফাদ্বায়িলিছ ছাহাবা- ৪৩: ৫২৮, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ) [মৃত ২৪১]।
১৩- তানজীহুশ শারীয়াতিল মারফূয়াহ আনিল আখবারিশ শানীয়াতিল মাওদ্বূয়াহ- ১/৩৭৩, ইমাম নূরুদ্দীন ইবনে আররাক (রহ) [মৃত ৯৬৩হিজরী ]।
১৪- আল-হিলইয়াতুল আওলিয়া ওয়া ত্ববক্বাতুল আছফিয়াহ- ২/২৮০, শায়খ আবু নোয়াঈম ইস্ফাহানী (রহ) [ মৃত ৪৩০ হিজরী]।
১৫- মুফতি শফী (রহ) রচিত , মা’আরিফুল কুরআন (ঊর্দূ) – ৬/১১৮।
১৬- আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রহ) রচিত, উমদাদুল ক্বারী ফি শরহে বুখারী – ৫/২২৬, সালাতুল জানাযা অধ্যায়।
১৭- আল্লামা সালমান ইবনে আহমদ আত-তিবরানী [ মৃত ৩৬০ হিজরী] সংকলিত ‘আল- মু’জামুল আওসাত্ব’ – হাদিস নং ৫১২৬ ।
১৮- হাকিম তিরমিযি (রহ) সংকলিত “আন-নাওয়াদিরুল ঊসুল” ১/৭৬৭।
১৯- মুসতাদরিক আল-হাকিম – ১/৩৬৮।
২০- মুসনাদে দাইলামী- ৪/২৮, হাদিস নং ৬০৮৭ ইবনে মাসউদ হতে; হযরত আনাস (রা) হতে হাদিস নং ৬০৮৮।
২১- তাফসীরে মাজহারী ৬/৭৩, প্রণেতা কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথী [১৮৮৩ খ্রীঃ]।
২২- ইমাম ইবনু আ’দী (আলাইহির রাহমাহ) রচিত “আল-কামিল” (৭/১৫০) ।
২৩- হযরত আব্দ ইবনে হুমায়েদ (রহ) তিনি হযরত আ’তা আল-খোরাসানী হতে ।
২৪- শায়খ আদ্দিনাওয়ারী (রহ) তিনি হেলাল ইবনে ইয়াসাফ (রহ) হতে এটি “আল-মাজালিসাহ” কিতাবে (২/৩৯, হাদিস নং ১৯০) বর্ণনা করেছেন।”
২৫- মক্কা বংশোদ্ভূত আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে আহমদ (ইবনু দ্বিয়া আল- মাক্কী নামে প্রসিদ্ধ) [জন্ম-মৃত্যু ৭৮৯-৮৫৪ হিজরী] রচিত “তারিখু মাক্কাতিল মুশাররাফাহ ওয়াল মাসজিদিল হারাম ওয়াল মাদীনাতিশ শারীফাহ ওয়াল ক্ববরিশ শারীফ” (পৃষ্ঠা নং ৩২৫)।
২৬- মাওলানা আহমদ রেজাখান (রহ) রচিত, আসসানিয়্যাতুল আনীকা ফী ফাত্বওয়ায়ে আফ্রিকা – ৮৯]
[অনলাইনে ‘আল-মাকতাবাতুল ইসলামিয়া, আল-মাকতাবাতুশ শামেলাহ’ সহ কিতাবের বিভিন্ন চার্জ ইঞ্জিল থেকে উপরের সিংহভাগ তথ্য গুলো সংগ্রহীত।]
যাইহোক, হাদিসটি তিন বা ততোধিক সনদে বর্ণিত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। ইবনে মাসউদ (রা)-এর সনদে একজন রাবীকে (মূসা ইবনে সাহাল) ইবনে যওজী (রহ) মাজহূল বা অপরিচিত বলে মত ব্যক্ত করলেও বাকি দুটির সনদ সম্পর্কে কাহারো কোনো আপত্তি নেই।
এতদ্ব্যতীত ইমাম যাহাবী (রহ) “আল-মুগনী ফিদ্বূ’আফা” কিতাবে (২/৬৮৪, রাবীর জীবনী নং ৬৪৯৫) ‘মূসা ইবনে সাহাল’ নামক রাবীকে মাশহুর বা প্রসিদ্ধ রাবী বলেছেন)। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এ লিংকে চাপ দিন!
>> ইবনে মাসউদ (রা)-এর একটি হাদিস সম্পর্কে ইমাম ইবনে যওজী (রহ)-এর দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভ্রষ্ট রেজভিদের অভিযোগ খণ্ডণ
পর্যালোচনা :
√ হাকিম তিরমিযি (রহ) তিনি “আন-নাওয়াদিরুল ঊসুল” কিতাবে ইবনে মাসউদ (রা) হতে মাওকূফ সূত্রে এটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম হাকিম (রহ) এর সনদের ব্যাপারে লিখেছেন ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻻﺳﻨﺎﺩ অর্থাৎ এর সনদ সঠিক।
√ আল্লামা ইমাম জালালুদ্দিন আস-সুয়ূতী (আলাইহির রাহমাহ) [মৃত ৯১১ হিজরী] রচিত ‘আল-আলী আল মাছনূ’আহ ফীল আহাদীছিল মওদ্বূ’আহ’ اللآلي المصنوعة في الاحاديث الموضوعة কিতাবের মধ্যে (শব্দের সামান্য বেশকম সহকারে) উক্ত হাদিসখানা প্রায় ছয় (৬) জন বিশিষ্ট সাহাবী হতে বর্ণিত হয়েছে। কোনো রেওয়ায়েত মওকূফ, কোনোটি মারফূ ও মুত্তাছিলুস সনদ।
যথাক্রমে-
১- ইবনে মাসউদ (আল-আলী আল মাছনূ’আহ – পৃষ্ঠা ৩০৯, হাদিস নং ১৭১৮) ,
২- আব্দুর রহমান ইবনে ছাখার (আল-আলী আল মাছনূ’আহ – পৃষ্ঠা ৩১০, হাদিস নং ১৭১৯) ,
৩- ইবনে উমর (আল-আলী আল মাছনূ’আহ – পৃষ্ঠা ৩১১, হাদিস নং ১৭২২) ,
৪- সা’আদ ইবনে মালেক (আল-আলী আল মাছনূ’আহ – পৃষ্ঠা ৩১১, হাদিস নং ১৭২৩) ,
৫- ইবনে আব্বাস (আল-আলী আল মাছনূ’আহ – পৃষ্ঠা ৩১১, হাদিস নং ১৭২৬; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক – ৩/৫১৫, হাদিস নং ৬৫৩১) ও
৬- আনাস ইবনে মালেক (আল-আলী আল মাছনূ’আহ – পৃষ্ঠা ৩১২, হাদিস নং ১৭২৭) [রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন] থেকে উক্ত হাদিস বর্ণিত আছে। যার ফলে হাদিসটি “হাসান” হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
√ আল্লামা খতিব আল বাগদাদী (মৃত ৪৬৩ হিজরী) এ হাদিসখানা “তারিখে বাগদাদ” কিতাবে বর্ণনা করে আরো স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, হাদিসটি ‘গরিব’ (তথা প্রত্যেক স্তরে রাবীদের সংখ্যা কমপক্ষে একজন রয়েছে)।
উল্লেখ্য, হাদিসে গরিবও সহিহ হতে পারবে যদি রাবীগণ সিকাহ বা বিশ্বস্ত হন।
হাফেজ ইবনে হাজর আসকালানী (রহঃ) বলেছেন—ﺍﻟﻌﺰﻳﺰ ﻭ ﻟﻴﺲ ﺷﺮﻃﺎ ﻟﻠﺼﺤﻴﺢ ﺧﻼﻓﺎ ﻟﻤﻦ ﺯﻋﻤﻪ (অর্থাৎ হাদিস সহিহ হওয়ার জন্য ‘আজিজ’ হওয়া শর্ত নয়)।
[তথ্য সূত্র— নখবাতুল ফিকার দ্রষ্টব্য]
লক্ষণীয় যে, হাদিসটি প্রায় ছয় (৬) জন বিশিষ্ট সাহাবী হতে একাধিক সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। সবগুলো রেওয়ায়েত দেখার শেষে বুঝতে পারা যায় যে, হাদিসটি মূলত আবু বকর আর উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) দুজনের মাহাত্ম্য আর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করাই উদ্দেশ্য।
এ হাদিসে নবজাতক শিশুর নাভি শুধুই মাটির উপাদানে সৃষ্ট বুঝানো উদ্দেশ্য নয়। মানুষের সৃষ্টি মূল-উপাদান যে শুধুই মাটি নয়, তা কিন্তু সবারই জানা কথা। কাজেই মানুষের সৃষ্টি মূল- উপাদান অন্য আর যাই থাকুক, তা কিন্তু এ হাদিসে অস্বীকার করেনি।
হয়ত বলা যেতে পারে যে, হাদিসটি মানুষের অন্যতম সৃষ্টি মূল-উপাদান হিসেবে বিশেষত মাটির আলোচনার উপরই আলোচিত হয়েছে। কেননা, পবিত্র কুরআনের প্রায় শত শত আয়াত জুড়ে রয়েছে মানুষ মাটি হতে সৃষ্ট।
কিন্তু কেউ কি সেজন্য আজ অব্দি প্রশ্ন তুলেছেন যে, আল্লাহ তায়ালা মানুষের সৃষ্টি মূল-উপাদান হিসেবে শুধু মাটির কথা বললেন কেন, আগুন, পানি, বাতাস ইত্যাদি বলেননি কেন?
যদি কেউ এমন প্রশ্ন নাই তুলেন, তো তাহলে নবীজিকে (সা) মাটির সৃষ্ট বলে অস্বীকারকারী বিদয়াতি রেজভীরা কেন এত গোয়ার্তমি দেখাচ্ছে?
কেনই বা হাদিসের উপর নিজেদের মনগড়া বদ আকিদাকে প্রাধান্য দিয়ে প্রকৃত আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মতাদর্শ পরিপন্থী আকিদা মানুষের মাঝে প্রচার করছে? এটা কি সুস্পষ্ট গোমরাহীর আলামত নয়?
এ দেখুন, হাদিসের মূলাংশে সুস্পষ্টভাবে কী বলা আছে—
“নিশ্চয়ই আমি [রাসূল] এবং আবু বকর আর উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) একই মাটি হতে সৃষ্ট এমনকি একই মাটিতে (আমরা তিনজন) দাফন হবো।”
√ আমরা বিশিষ্ট মুহাদ্দিস হাফিজুল হাদিস শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনে নাজ্জার (রহ)-এর তাহকীক হতে উপরুল্লিখিত হাদিসের মর্মার্থ আরো সুস্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারি।
মক্কা বংশোদ্ভূত আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে আহমদ (ইবনু দ্বিয়া আল-মাক্কী নামে প্রসিদ্ধ) [জন্ম- মৃত্যু ৭৮৯-৮৫৪ হিজরী] লিখেছেন,
ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟْﺤَﺎﻓِﻆ ﻣﺤﺐ ﺍﻟﺪّﻳﻦ ﺑﻦ ﺍﻟﻨﺠﺎﺭ : ﻓﻌﻠﻰ ﻫَﺬَﺍ ﻃِﻴﻨَﺔ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳﻠﻢ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺧﻠﻖ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻣﻦ ﺍﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔ، ﻭﻃﻴﻨﺔ ﺃﺑﻲ ﺑﻜﺮ ﻭَﻋﻤﺮ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻣﻦ ﻃِﻴﻨَﺔ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳﻠﻢ ﻭَﻫَﺬِﻩ ﻣﻨﺰﻟَﺔ ﺭﻓﻴﻌﺔ. ﻭَﻓِﻲ ﻗَﻮْﻟﻪ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ: ” ﻣﻤﻨﻬﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢْ ﻭﻓﻴﻬَﺎ ﻧﻌﻴﺪﻛﻢ ﻭَﻣِﻨْﻬَﺎ ﻧﺨﺮﺟﻜﻢ .” ﺇِﺷَﺎﺭَﺓ ﺇِﻟَﻰ ﺭﺩ ﺍﻟْﺈِﻧْﺴَﺎﻥ ﺇِﻟَﻰ ﻃِﻴﻨَﺔ ﺍﻟﻤﺒﺪﺃ ﺍﻟَّﺘِﻲ

অনুবাদ, হাফিজুল হাদিস শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনে নাজ্জার (রহ) বলেছেন, সে হিসেবে নবী করীম (সা)-এর সৃষ্টি মূল- উপাদানের মাটি মদিনারই মাটি , যা হতে তাঁকে সৃষ্টি করা হয়েছে। হযরত আবু বকর আর উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) তাঁদের সৃষ্টি মূল-উপাদানের মাটি ﻃِﻴﻨَﺔ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲ তথা নবীজিরই মাটির। এটি তাঁদের দুজনের জন্য সর্ব উচ্চ মর্যাদা । আল্লাহ তায়ালার বাণী: ” ﻤﻨﻬﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢْ ﻭﻓﻴﻬَﺎ ﻧﻌﻴﺪﻛﻢ ﻭَﻣِﻨْﻬَﺎ ﻧﺨﺮﺟﻜﻢ “. এটি মানুষের জন্য সে মাটির দিকেই ঈংগিত করে যেখানকার মাটি তার সৃষ্টির মূল উৎস।”
[ তথ্যসূত্র— মক্কা বংশোদ্ভূত আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে আহমদ (ইবনু দ্বিয়া আল- মাক্কী নামে প্রসিদ্ধ) [জন্ম- মৃত্যু ৭৮৯-৮৫৪ হিজরী] রচিত “তারিখু মাক্কাতিল মুশাররাফাহ ওয়াল মাসজিদিল হারাম ওয়াল মাদীনাতিশ শারীফাহ ওয়াল ক্ববরিশ শারীফ” (পৃষ্ঠা নং ৩২৫) ]
অতএব হাদিস থাকতে কেয়াস করা কিংবা পবিত্র কুরআনের আয়াতের ভেতর উক্ত হাদিসের উদ্দিষ্ট বিরুধী যে কোনো ব্যাখ্যাই বাতিল বলে গন্য হবে। আল্লাহপাক আমাদের হক্ব কথা বুঝার ত্বওফিক দিন, আমীন।
লেখক, প্রিন্সিপাল। মোবাইল: 01812561824

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন