বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

রাসূল (সা)-এর সৃষ্টি মূল-উপাদান মদিনার মাটি হওয়ার সমর্থনে ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত আরেকটি হাদিস!

হাদিসে ইবনে মাসউদ (রা) সমর্থনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত আরেকটি সহীহ হাদিস—
(পর্ব নং— ৩)

হাদিসে ইবনে মাসউদ (রা) এটি হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে ভিন্ন সনদে বর্ণিত হওয়ার যেমন প্রমাণ রয়েছে , তেমনি সেটি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত হওয়ার তথ্য ভিত্তিক দলিলও রয়েছে।
ইবনে মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত হাদিসটির সনদে বিদ্যমান একজন রাবীকে (মূসা ইবনে সাহাল) ইমাম ইবনে যওজী (রহ) মাজহূল বা অপরিচিত বলে মত ব্যক্ত করায় এক শ্রেণীর সুন্নী নামধারী অবিশ্বাসী রেজভীরা হাদিসটির সনদ সম্পর্কে তিল তাল করে চর্বিত চর্বণ করে থাকে, যা প্রকৃতপক্ষে তাদের সত্য গ্রহণ করার অমানুষিকতারই প্রমাণ বহন করছে।
অথচ আমরা আগেই বলে এসেছি যে, ওই হাদিসটি ভিন্ন ভিন্ন আরো একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে। অর্থাৎ ইবনে মাসউদ (রা) এবং হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে ভিন্ন ভিন্ন মারফূ সনদে যেমন বর্ণিত হয়েছে, তেমনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে মাওকূফ সনদেও বর্ণিত বর্ণিত হয়েছে।
সেখানে বিদ্যমান রাবী তথা বর্ণনাকারীদের সবাই সেকাহ (বিশ্বস্ত) এবং নির্ভরযোগ্য। সেখানে প্রখ্যাত হাদিস বিশারদদের কেউ কোনো রাবী সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করার কোনো প্রমাণ নেই।
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত নিচের হাদিসটি তন্মধ্যে অন্যতম।
>> হাদিসের মর্মার্থ : রাসূল (সা) যে মাটি হতে সৃষ্ট সে একই মাটি হতে হযরত আবু বকর আর উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) তাঁরাও সৃষ্ট। (সুবহানাল্লাহ)
>> প্রথমে হাদিসের সনদ অতপর হাদিসের তরজুমা :
শায়খ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক আস-সান’আনী (মৃত ২১১ হিজরী) হতে হাদিসটির তৃতীয় আরেকটি সনদ বা বর্ণনা সূত্র নিম্নরূপ
ইবনে মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত বহুল আলোচিত হাদিসখানা একদম সহীহ এবং সরীহ শব্দে মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক কিতাবে (৩/৫১৫, হাদিস নং ৬৫৩১) বর্ণিত হয়েছে।

যাদের নিকট কিতাবী এলমের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে তাদের নিকট হাদিসগুলোর কোনো রকম খোঁজ খবর না থাকাই স্বাভাবিক। এতে কি সত্য কোনো দিন মিথ্যার আবরণে ঢেকে থাকতে পারে? কখনোই না। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক কিতাবের আলোকে হাদিসটি দেখুন- শায়খ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক আস-সান’আনী (মৃত ২১১ হিজরী) ।
শায়খ ইবনে জুরাইজ।
উমর ইবনে আত্বা ইবনে ওয়াযার।
(বিশিষ্ট তাবেয়ী) হযরত ইকরামাহ।
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা)। [হাদিসের ধারাবাহিক সনদ বা সূত্র শেষ হল]।

হাদিসের আরবি সনদ :
ﻣﺼﻨﻒ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﺍﻟﺼﻨﻌﺎﻧﻲ ( /3 515 ) – 6531 ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﺟُﺮَﻳْﺞٍ ﻗَﺎﻝَ: ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧِﻲ ﻋُﻤَﺮُ ﺑْﻦُ ﻋَﻄَﺎﺀِ ﺑْﻦِ ﻭَﺭَﺍﺯٍ، ﻋَﻦْ ﻋِﻜْﺮِﻣَﺔَ، ﻣَﻮْﻟَﻰ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺃَﻧَّﻪُ ﻗَﺎﻝَ :
হাদিসের মতন অতপর তরজুমা :
« ﻳُﺪْﻓَﻦُ ﻛُﻞُّ ﺇِﻧْﺴَﺎﻥٍ ﻓِﻲ ﺍﻟﺘُّﺮْﺑَﺔِ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺧُﻠِﻖَ ﻣِﻨْﻬَﺎ .
অনুবাদ, হযরত ইবনে আব্বাস (রা) এর ভৃত্য ইকরামাহ (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন, হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেছেন, প্রত্যেক মানুষ সে যেখানকার মাটি হতে সৃষ্ট, সে সেখানেই দাফন হবে।”
[ সূত্র— মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক আস-সান’আনী ৩/৫১৫, হাদিস নং ৬৫৩১] ↓
ইবনে মাসউদ (রা) এবং হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে ভিন্ন ভিন্ন মারফূ সনদে বর্ণিত দুটি হাদিস দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে যে, আমাদের সাইয়েদ, রাহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (আলাইহিস সালাম)-এর সৃষ্টি মূল-উপাদান মদিনারই পবিত্র মাটি ছিল।

আমরা বিশিষ্ট মুহাদ্দিস হাফিজুল হাদিস শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনে নাজ্জার (রহ)-এর তাহকীক হতে উপরুল্লিখিত হাদিসগুলোর মর্মার্থ আরো সুস্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারি।
>> মক্কা বংশোদ্ভূত আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে আহমদ (ইবনু দ্বিয়া আল-মাক্কী নামে প্রসিদ্ধ) [জন্ম- মৃত্যু ৭৮৯-৮৫৪ হিজরী] লিখেছেন,
↓↓
ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟْﺤَﺎﻓِﻆ ﻣﺤﺐ ﺍﻟﺪّﻳﻦ ﺑﻦ ﺍﻟﻨﺠﺎﺭ : ﻓﻌﻠﻰ ﻫَﺬَﺍ ﻃِﻴﻨَﺔ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳﻠﻢ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺧﻠﻖ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻣﻦ ﺍﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔ، ﻭﻃﻴﻨﺔ ﺃﺑﻲ ﺑﻜﺮ ﻭَﻋﻤﺮ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻣﻦ ﻃِﻴﻨَﺔ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳﻠﻢ ﻭَﻫَﺬِﻩ ﻣﻨﺰﻟَﺔ ﺭﻓﻴﻌﺔ. ﻭَﻓِﻲ ﻗَﻮْﻟﻪ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ: ” ﻣﻤﻨﻬﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢْ ﻭﻓﻴﻬَﺎ ﻧﻌﻴﺪﻛﻢ ﻭَﻣِﻨْﻬَﺎ ﻧﺨﺮﺟﻜﻢ “. ﺇِﺷَﺎﺭَﺓ ﺇِﻟَﻰ ﺭﺩ ﺍﻟْﺈِﻧْﺴَﺎﻥ ﺇِﻟَﻰ ﻃِﻴﻨَﺔ ﺍﻟﻤﺒﺪﺃ ﺍﻟَّﺘِﻲ

অনুবাদ, হাফিজুল হাদিস শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনে নাজ্জার (রহ) [জন্ম-মৃত : ৫৭৮ – ৬৪৩ হিজরী] বলেছেন, সে হিসেবে নবীকরীম (সা)-এর সৃষ্টি মূল- উপাদানের মাটি মদিনারই মাটি , যা হতে তাঁকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
হযরত আবু বকর আর উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) তাঁদের সৃষ্টি মূল- উপাদানের মাটি ﻃِﻴﻨَﺔ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲ তথা নবীজিরই মাটির। এটি তাঁদের দুজনের জন্য সর্ব উচ্চ মর্যাদা । আল্লাহ তায়ালার :বাণী : ” ﻣﻤﻨﻬﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢْ ﻭﻓﻴﻬَﺎ ﻧﻌﻴﺪﻛﻢ ﻭَﻣِﻨْﻬَﺎ ﻧﺨﺮﺟﻜﻢ .” এটি মানুষের জন্য সে মাটির দিকেই ঈংগিত করে যেখানকার মাটি তার সৃষ্টির মূল উৎস।”
[ তথ্যসূত্র—মক্কা বংশোদ্ভূত আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে আহমদ (ইবনু দ্বিয়া আল- মাক্কী নামে প্রসিদ্ধ) (জন্ম- মৃত্যু ৭৮৯-৮৫৪ হিজরী) রচিত “তারিখু মাক্কাতিল মুশাররাফাহ ওয়াল মাসজিদিল হারাম ওয়াল মাদীনাতিশ শারীফাহ ওয়াল ক্ববরিশ শারীফ” পৃষ্ঠা নং ৩২৫]
>> হাফিজুল হাদিস শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনে নাজ্জার (রহ) [জন্ম-মৃত : ৫৭৮ – ৬৪৩ হিজরী] এর সম্পর্কে জানুন—
ﺍﺑﻦ ﺍﻟﻨﺠﺎﺭ ‏( 578 – 643 ﻫـ 1183 = 1245 – ﻡ ‏) ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﺑﻦ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺑﻦ ﻫﺒﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺤﺎﺳﻦ، ﺃﺑﻮ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ، ﻣﺤﺐ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﺍﺑﻦ ﺍﻟﻨﺠﺎﺭ: ﻣﺆﺭﺥ ﺣﺎﻓﻆ ﻟﻠﺤﺪﻳﺚ. ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺑﻐﺪﺍﺩ، ﻣﻮﻟﺪﻩ ﻭﻭﻓﺎﺗﻪ ﻓﻴﻬﺎ . ﺭﺣﻞ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺸﺎﻡ ﻭﻣﺼﺮ ﻭﺍﻟﺤﺠﺎﺯ ﻭﻓﺎﺭﺱ ﻭﻏﻴﺮﻫﺎ، ﻭﺍﺳﺘﻤﺮ ﻓﻲ ﺭﺣﻠﺘﻪ 27 ﺳﻨﺔ. ﻣﻦ ﻛﺘﺒﻪ ‏( ﺍﻟﻜﻤﺎﻝ ﻓﻲ ﻣﻌﺮﻓﺔ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ‏) ﺗﺮﺍﺟﻢ، ﻭ ‏( ﺫﻳﻞ ﺗﺎﺭﻳﺦ ﺑﻐﺪﺍﺩ ﻻﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﻴﺐ – ﺥ‏) ﺍﻟﻤﺠﻠﺪ ﺍﻟﻌﺎﺷﺮ ﻣﻨﻪ، ﻭﻫﻮ ﻳﻘﻊ ﻓﻲ ﺳﺘﺔ ﻋﺸﺮ ﻣﺠﻠﺪﺍ، ﻭ ‏( ﺍﻟﺪﺭﺓ ﺍﻟﺜﻤﻴﻨﺔ ﻓﻲ ﺃﺧﺒﺎﺭ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ – ﻁ‏) ﻭ ‏(ﻧﺰﻫﺔ ﺍﻟﻮﺭﻯ ﻓﻲ ﺃﺧﺒﺎﺭ ﺃﻡ ﺍﻟﻘﺮﻯ ‏) ﻭ ‏( ﻧﺴﺒﺔ ﺍﻟﻤﺤﺪﺛﻴﻦ ﺇﻟﻰ ﺍﻵﺑﺎﺀ ﻭﺍﻟﺒﻠﺪﺍﻥ ‏) ﻭ ‏( ﺟﻨﺔ ﺍﻟﻨﺎﻇﺮﻳﻦ ﻓﻲ ﻣﻌﺮﻓﺔ ﺍﻟﺘﺎﺑﻌﻴﻦ ‏) ﻭ ‏(ﻣﻨﺎﻗﺐ ﺍﻟﺸﺎﻓﻌﻲ ‏) ﻭ ‏( ﺍﻟﻌﻘﺪ ﺍﻟﻔﺎﺋﻖ ﻓﻲ ﻋﻴﻮﻥ ﺃﺧﺒﺎﺭ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻣﺤﺎﺳﻦ ﺍﻟﺨﻼﺋﻖ‏) ﻭ ‏( ﺍﻷﺯﻫﺎﺭ ﻓﻲ ﺃﻧﻮﺍﻉ ﺍﻷﺷﻌﺎﺭ‏) ﻭ ‏( ﺍﻟﺰﻫﺮ ﻓﻲ ﻣﺤﺎﺳﻦ ﺷﻌﺮﺍﺀ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ‏.
তথ্যসূত্র : আলী ইবনে ফারেস আয-যুরকালী আদ-দামেশকী (রহ) [মৃত ১৩৯৬ হিজরী] রচিত “আল-আ’লাম” কিতাব হতে সংগ্রহীত।
আলী ইবনে ফারেস আয-যুরকালী আদ-দামেশকী (রহ) [মৃত ১৩৯৬ হিজরী] সম্পর্কে জানতে পড়ুন—
ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ: ﺍﻷﻋﻼﻡ ,ﺍﻟﻤﺆﻟﻒ: ﺧﻴﺮ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﻓﺎﺭﺱ، ﺍﻟﺰﺭﻛﻠﻲ ﺍﻟﺪﻣﺸﻘﻲ ‏( ﺍﻟﻤﺘﻮﻓﻰ1396 :ﻫـ ‏) ﺍﻟﻨﺎﺷﺮ: ﺩﺍﺭ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻟﻠﻤﻼﻳﻴﻦ ﺍﻟﻄﺒﻌﺔ: ﺍﻟﺨﺎﻣﺴﺔ ﻋﺸﺮ – ﺃﻳﺎﺭ / ﻣﺎﻳﻮ 2002 ﻡ ‏[ ﺗﺮﻗﻴﻢ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻣﻮﺍﻓﻖ ﻟﻠﻤﻄﺒﻮﻉ، ﻭﺗﺮﺍﺟﻤﻪ ﻣﻀﺎﻓﺔ ﻟﺨﺪﻣﺔ ﺍﻟﺘﺮﺍﺟﻢ ‏( ﺃﻛﺜﺮ ﻣﻦ 14000 ﺗﺮﺟﻤﺔ [( ﻋﺪﺩ ﺍﻟﻤﺸﺎﻫﺪﺍﺕ: 40639 ﺗﺎﺭﻳﺦ ﺍﻹﺿﺎﻓﺔ: 14 ﻧﻮﻓﻤﺒﺮ 2010 ﻡ
↓↑
>> রাসূলেপাক (সা)-এর শরীর বা আকৃতি দুনিয়াতে (মাতৃগর্ভে) সৃষ্টি হয়েছিল।

রেজভী ঘরানার মৌলভি আব্দুল হাকিম শরফ আল-কাদেরী সাহেব কর্তৃক আবিস্কৃত “আল-ঝুযউল মাফকূদ” নামক পুস্তকে (প্রথম প্রকাশ ২০০৫ সাল) বর্ণিত একটি রেওয়ায়েতের কয়েক লাইন পরেই সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে, “রাসূলেপাক (সা)-এর শরীর বা আকৃতি দুনিয়াতে (মাতৃগর্ভে) সৃষ্টি হয়েছিল।” কিতাবের ভাষ্য—
ﺛﻢ ﺧﻠﻖ ﻧﻮﺭ ﺍﻻﻧﺒﻴﺎﺀ ﻣﻦ ﻧﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺛﻢ ﻧﻈﺮ ﺍﻟﻲ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻓﺨﻠﻖ ﺃﺭﻭﺍﺣﻬﻢ ﻓﻘﺎﻟﻮﺍ ﻻ ﺍﻟﻪ ﺍﻻ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺤﻤﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ … ﺛﻢ ﺧﻠﻖ ﺻﻮﺭﺓ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺼﻮﺭﺗﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ .
অনুবাদ : “অতপর আল্লাহ তায়ালা নূরে মুহাম্মদী হতে নবীদের (আলাইহিমুস সালাম) নূর সৃষ্টি করেছেন। এরপর আল্লাহ তায়ালা ওই নূরের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেন অতপর নবীদের (আলাইহিমুস সালাম) রূহগুলো সৃষ্টি করলেন। রূহগুলো পড়লো, লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ… অতপর তিনি দুনিয়াতে মুহাম্মদ (সা)-এর আকৃতি নিজ ছূরতে (বিষেশভাবে) সৃষ্টি করলেন”।
[সূত্র— আল-ঝুযউল মাফকূদ, খণ্ড নং ১, পৃষ্ঠা নং ৫২]।

এবার সামগ্রিক ভাবে রেজভিদেরই পুস্তক হতে প্রমাণ পাওয়া গেল যে, রাসূলেপাক (সা)-এর শরীর বা আকৃতি দুনিয়াতে (মাতৃগর্ভে) সৃষ্টি হয়েছিল। কাজেই উনার বশরী শরীর বা আকৃতি মদিনার মাটি হতেই সৃষ্ট হওয়ার রেওয়ায়েত গুলো সঠিক এবং অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত। (আল-হামদুলিল্লাহ)।
↓↓
লিখেছেন, প্রিন্সিপাল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন