প্রাচীন ইতালীতে খৃষ্টানরা একই টয়লেটে দলবদ্ধ হয়ে মলত্যাগ করত! এমনকি টয়লেটের মাঝামাঝি ছিল মল ভেসে যাওয়ার নালা! তাও মলত্যাগের আসনে উপবিষ্ট ব্যক্তিদের চোঁখের সামনে দিয়ে! এখানেই শেষ নয়; তখন ভৃত্যরা মল ভেসে যাওয়ার ঐ নালায় লেগে যাওয়া মলগুলো পরিষ্কার করার জন্য চক্কর দিত!
.
.
প্রাচীন ইতালীর এই সামাজিক রীতি প্রচলিত ছিল ইউরূপের অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের শেষ অববাহিকা পর্যন্ত। এই রীতি ৪০০ খৃষ্টাব্দ থেকে চালু হয়ে ১৪০০ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত ছিল বহমান ! অর্থাৎ আজ থেকে ৬০০ বছর আগেও এই ধারা চালু ছিল!
.
.
ইউরূপের অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের শেষ অববাহিকায়- ও মুসলিম বিশ্বের কতিপয় পন্ডিতগন বিভিন্ন শাস্ত্রে সবার চাইতে আগ বেড়ে গিয়েছিলেন। চিকিৎসা, জ্যোতিষ, জ্যামিতি, রসায়ন, ভাষা, ধর্মীয় জ্ঞান, জলবিদ্যা, ভূবিদ্যা, অংক, রচনা ও অনুবাদ ইত্যাদি শাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন।
অথচ, তখনও ইউরূপীরা একই টয়লেটে দলবদ্ধভাবে মলত্যাগ করত! একেবারে হায়ওয়ানের মত!
.
.
ইউরূপীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সবক নিলে মুসলিম সভ্যতা থেকেই নিয়েছে। আর আজ এরাই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সভ্যতার ফেরিওয়ালা! আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, এই তারাই আজ মুসলিমদের বুনো মনে করে!
.
.
আমাদেরকে আমাদের পুরোনো সভ্যতায় ফিরে যেতে হবে। আমাদের হারানো ঐতিহ্য আর ইজ্জত-সম্মানকে পূণরায় ফিরিয়ে আনতে হবে। তবে এরজন্য আমাদেরকে নতুনকরে ইসলামে প্রবেশ করতে হবে। আব্রাহাম লিঙ্কনের শরীয়ত থেকে বের হয়ে মুহাম্মাদ সা. -এর শরীয়তে প্রবেশ করতে হবে।
.
.
সূত্র-
হাযারাতুল আরব
_ গষ্টেভ ল্যাবন।
মাদীনাতুল মুসলিমীন ফিল আন্দালুস
_জুসেফ ম্যাক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন