শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০১৭

১৮ বছরের আগে মেয়েদের ম্যাচুরিটি আসে না, তাই ১৮-এর আগে বিয়ে নয়”-এই কথা কতটুকু সত্য ?

আজকাল ১৮ বছরের নিচে বিয়ের বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী খুব উঠেপড়ে লেগেছে। এই বিশেষ গোষ্ঠীটির প্রায় সবাই বিভিন্ন বিদেশী এনজিও’র সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। জানা যায়, বাংলাদেশে যেন ১৮ বছরের নিচের মেয়েদের বিয়ে হতে না পারে, এজন্য বিদেশী এনজিওগুলো প্রচুর ফান্ড পেয়ে থাকে। কিন্তু ১৮ বছরের নিচে বিয়ের আইন পাশ হয়ে সেই ফান্ড বন্ধ হয়ে যাবে। তাই অনেকটা পেট বাচাতেই আটঘাট বেধে নেমেছে ঐ গোষ্ঠিটি।
এই গোষ্ঠীটি প্রায় মিডিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালায়, ১৮ বছরের আগে নাকি মেয়েদের ম্যাচুরিটি আসে না। তাদের দাবি- এই ম্যাচুরিটি শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকে। আমার মনে হয় ভ্রান্ত তথ্যের গড্ডালিকা প্রবাহের দিকে না তাকিয়ে আমাদের উচিত এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য যাচাই-বাছাই করা।
প্রথম দাবিতে বলা হয়- “একটি মেয়ে নাকি ১৮ বছরের আগে শারীরিকভাবে সমর্থ হয় না।” কিন্তু তাদের প্রথম দাবি বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল প্রমাণিত । কারণ বাংলাদেশের মত দেশে একটি মেয়ে ১১-১৩ বছরের মধ্যে বয়ঃসন্ধিতে উপনিত হয়। অর্থাৎ ১১-১৩ বছরের মধ্যে সে সন্তান ধারণ করতে প্রাকৃতিকভাবেই সামর্থবান হয়ে যায়, তাহলে একটি মেয়ে ১৮ বছরের আগে একটি বিয়ে করতে সমর্থ নয়, এটা কতটুকু কাল্পানিক তথ্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দ্বিতীয় দাবিতে বলা হয়- “একটি মেয়ে নাকি ১৮ বছরের আগে মানসিকভাবে সমর্থ হয় না।”-এটাও ভুল দাবি। কারণ মাসনিকভাবে ম্যাচিউর হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ আপেক্ষিক। গ্রামগঞ্জে অনেক মেয়ে আছে যারা ১০ বছর বয়সে সংসারের কাযকর্ম করে, অথচ শহরের অনেক ২০ বছরের মেয়ে তা চিন্তাও করতে পারে না। দেখা যায় ২০ বছরের মেয়েকেও মা হাতে তুলে খাওয়ায় দেয়। তাই আপেক্ষিক জিনিসকে ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর ছেড়ে দেয়া উচিত।
আবার মানসিকভাবে প্রস্তুতির কথা যদি উঠেই, তবে তারা কি বলতে চায়- “১৮ বছরের আগে একটি মেয়ে একটি পুরুষকে সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নয় ?” যদি তাই হয়, তবে আজকাল ১০-১২ বছরের মেয়েরা প্রেম-ভালোবাসা করে কিভাবে ? তারা কি মানসিকভাবে কোন পুরুষের চাহিদা অনুভব করে না ? আমি জানি- অনেকেই উত্তর দেবেন করে। তাহলে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা কেন ?? শুধু এনজিও’র টাকায় পেটপুরণের জন্য ??
একটা সন্তানকে কখন বিয়ে দিতে হবে, কখণ তার ম্যাচুরিটি আসবে এটা গার্জিয়ানদেরই ভালো জানা কথা। যদি মনে হয় আমার সন্তান ২০ বছরে বিয়ে উপযোগী তবে তখন বিয়ে দেবো, আর যদি মনে হয় আমার সন্তান ১২ বছরে বিয়ে উপযোগী তবে তখন বিয়ে দেবো। এটা নিয়ে টাকাখোর এনজিওদের হস্তক্ষেপ কখনই আইনসঙ্গত হতে পারে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন