বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৭

৬ জ্বাল হাদিসের একটির পোস্টমর্টেম

বেদআতিরা তাদের দলিল হিসেবে সব চেয়ে বেশি ৬টি জজ্বাল হাদিস বব্যবহার করে। তার মধ্য হাদিসে জাবির একটি :এই হাদিসে জাবির রা : তারা কখনোই সনদ দেখতে পারে না। 
তাই তাদের এই হাদিস কে পোষ্টমর্টেম করলাম।
যতটুকু জানা যায়, ৭ম হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ আলিম মহিউদ্দীন ইবনু আরাবী আবূ বকর মুহাম্মাদ ইবনু আলী তায়ী হাতিমী (৫৬০-৬৩৮হিজরী) তিনিই সর্বপ্রথম একথাগুলোকে ফতূহাতে মাক্কিয়া কিতাবে (১/১১৯) হাদীস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, ইবনু আরাবী’র পুস্তকাদিতে অগণিত জাল হাদীস ও বাহ্যত ইসলামী বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক অনেক কথাই স্থান পেয়েছে।

কিন্তু পরবর্তী যুগে বুযুর্গগণ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাবশত এ সকল কথার বিভিন্ন ওজর ও ব্যাখ্যা পেশ করেছেন। আবার অনেকে কঠিনভাবে আপত্তিও তুলেছেন। বিশেষত মুজাদ্দেদী আলফে সানী হযরত আহমদ ইবনু আব্দুল আহাদ সারহিন্দী (রহ:) [১০৩৪ হিজরী] তিনি ইবনু আরাবী’র এ সকল জাল ও ভিত্তিহীন কথার বারংবার প্রতিবাদ করেছেন। কখনো কখনো নরম ভাষায়, আবার কখনো কঠিন ভাষায়। (উদাহরণ-মাকতুবাত শরীফ ১/১, মাকতুব ৩১, (পৃষ্ঠা ৬৭, ৬৮) মাকতুব ৪৩)।
এক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “আমাদের নস বা কুরআন ও হাদীসের পরিষ্কার অকাট্য বাণীর সহিত আকিদা রাখতে হবে, ইবনু আরাবী’র কাশফ ভিত্তিক ফসস বা ফুসূসূল হিকামের সহিত নহে। ফুতূহাতে মাদানীয়া বা হাদীস শরীফ বর্জন করে আমাদেরকে ইবনে আরাবীর ফতূহাতে মাক্কীয়া জাতীয় গ্রন্থাদি হতে বেপরওয়া করেনা যেন। ( ১/১, মাকতুব ১০০, পৃষ্ঠা ১৭৮)।

অন্যত্র প্রকৃত সূফীদের প্রশংসা করে লিখেছেন— “তাহারা নস বা কুরআন ও সুন্নাহর স্পষ্ট বাণী, পরিত্যাগ করত ফসস বা মহিউদ্দীন ইবনে আরাবীর ফসস বা ফূসূসূল হিকাম পুস্তকে লিপ্ত হননা এবং ফতূহাতে মাদানিয়া অর্থাৎ হাদীস শরীফ বর্জন করে ইবনে আরাবীর ফুতূহাতে মাক্কীয়া পুস্তকের প্রতি লক্ষ্য করেননা।” (প্রাগুক্তু, ১/২, মাকতুব ২৪৩, পৃ. ২১১)।
সব চেয়ে আশ্চর্যকথা হল, সর্বাবস্থায় ইবনু আরাবী তিনি এ বাক্যটির কোনো সূত্র বা সনদ উল্লেখ করেননি। কিন্তু তিনি এর উপর তাঁর প্রসিদ্ধ সৃষ্টিতত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেন।

খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের Theory of Logos এর আদলে তিনি নূরে মুহাম্মাদ প্রচার করেন। খৃস্টানগণ দাবি করেন যে, ঈশ্বর সর্বপ্রথম তার নিজের ‘জাত’ বা সত্ত্বা হতে ‘কালেমা’ বা পুত্রকে সৃষ্টি করেন এবং তার থেকে তিনি সকল সৃষ্টিকে সৃষ্টি করেন। ইবনু আরাবী বলেন, আল্লাহ সর্বপ্রথম নূরে মুহাম্মাদী সৃষ্টি করেন এবং তার থেকে সকল সৃষ্টিকে সৃষ্টি করেন। তাঁর প্রসিদ্ধ সৃষ্টিতত্ত্বের ভিত্তি নির্ভর উপরিউক্ত কথাটি ক্রমান্নয়ে ছড়াতে থাকল। আর আজকের অবস্থা তো সবারই জানা, তাই নয় কি? এছাড়া এটি বিনা সনদে বেশ কিছু কিতাবে (হাদিসের কিতাব ব্যতীত) উল্লেখ রয়েছে— এ কথা কারো অজানা নয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, এমন কোনো হাদিস যা অগণিত মুহাক্কিকবৃন্দের মতানুযায়ী জাল বা অনির্ভরযোগ্য সনদে বর্ণিত বলে আখ্যায়িত, সেটি নানা কিতাবে উল্লেখ থাকার কারণে সহীহ হয়ে যাবে কি? কখনো না।
আরো মজার ব্যাপার হল সেই প্রথম থেকেই চ্যালেঞ্জ দিয়ে এসেছি যে, কতেক সনদ বিহীন লেখিত মাওয়ায়েজ আর সীরাত গ্রন্থ ছাড়া প্রখ্যাত কিংবা অখ্যাত হাদিসের কোনো একটি কিতাবেও
হাদিসে জাবের উল্লেখ নেই। তারা আজো তার সহিহ কোন সনদ, দেখাতে পারেনি যা কয়েকটা সনদ দেখেয়েছে সে গুলি ও জ্বাল সনদ,, 
 আপাতত এতটুকুই থাক।

চলবে।
আপনি শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে সেভ করে রাখতে পারেন ; বেদআতিদের সাথে : দলিল টি আপনার কাজে লাগতেও পারে
আহকার,, বান্দা 
মোহাম্মদ বিন ইয়ামিন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন