বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব


দুনিয়ার প্রতিটি জীবনাদর্শই নিজের প্রতিষ্ঠা ও প্রতিপত্তির জন্যে তার অনুসারীদের কাছে কঠোর পরিশ্রম ও প্রাণপণ সাধনা দাবি করে।ইসলামী জীবনাদর্শও এ নীতিভঙ্গির ব্যতিক্রম নয়।ইসলামের শিক্ষানুসারে আল্লাহ তা’আলা এ জন্যেই তার নবীকে পাঠিয়েছেন আর এ উদ্দেশ্যেই তার কিতাব নাজিল করেছেন

“যাতে করে লোকদেরকে একটি সুবিচারমূলক ব্যবস্থার ওপর প্রতিষ্ঠিত করে দেয়া হয়”
“যাতে করে তিনি ইসলামকে সকল ব্যবস্থা ও আনুগত্যের ওপর বিজয়ী করে দেন”
নবী করিম(সাঃ) যখন তার জাতির সামনে দাওয়াত পেশ করেন তখন বিশ্বাসী অবিশ্বাসী নির্বিশেষে সবাই বুঝেছিল যে ইসলাম শুধু নজর নেয়াজ,নির্দিষ্ট কিছু ইবাদতের ও আত্ম সংশোধনেরই দাবি করে না,বরং সে আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য সকল শক্তির খোদায়ি ও প্রভুত্বকে খতম করতে এসেছে।এজন্যই রাসুল(সাঃ) ইসলামের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও কুফরির মূলোচ্ছেদের জন্য তার সর্বোত্তম শক্তি নিয়োজিত করেছিলেন।এমনকি,যখন মসজিদে নববির ছাদ ছিল ঘাস পাতার তৈরি ও মুসলমানেরা তার কাঁচা মেঝেতে বসে নামাজ পড়তো,আল্লাহর রাসুল ইসলামের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা,ইসলামের বানী প্রচার ও কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অস্ত্র সংগ্রহ করার বিষয়ে চিন্তা করতেন।কিন্তু কালের বর্তমানে মুসলিম জাতি তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য ভুলতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই জাতিকে তার বিপ্লবী আদর্শ ও উদ্দেশ্য কে মনে করিয়ে দেয়া এক বিরাট গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।এই বইটি মুলত এই উদ্দেশেই লেখা।আল্লাহর কাছে দোয়া করি এই বইয়ের মাধ্যমে মুসলমানদের হৃদয়ে ইসলামী জীবন ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগ্রহ ও সংকল্প আবার জাগ্রত হোক।
বইয়ের মুল বিষয়াবলীঃমুসলিম জাতির সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও কর্তব্য,এ জাতির লক্ষ্য বিস্মৃতির পরিনাম,ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মুসলিম জাতির কর্তব্য,আপনি কি করবেন,পাশ কাটানোর দর্শন,পলায়নী মনোবৃত্তি,দ্বীনের আংশিক আনুগত্যের সন্তুষ্টি,খিলাফত রাষ্ট্র সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণার খণ্ডন,ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কর্মনীতি সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

লেখকঃমাওলানা সদরুদ্দিন ইসলাহি,ভারত।
অনুবাদঃমাওলানা হাবিবুর রাহমান
প্রকাশকঃখায়রুন প্রকাশনী

                                                                          ডাউনলোড লিঙ্ক:


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন