বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬

হিজাব...........................


(ইমরান হুসাইন আদিব)

পর্দা বা হিজাব নারীর ভূষণ।পর্দা নারীকে মানুষের কু দৃষ্টি থেকে হেফাজত করে এবং পর্দার দরুন মেয়েরা ইভটিজিং এবং ধর্ষণ নামক মহা প্রলয় থেকে রক্ষা পায়।পর্দা বা হিজাবের মাঝেই মেয়েদের নিরাপত্তা অনেকটাই পরিলক্ষিত হয়।যা আমাদের সমাজের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি।

,
কিন্তু আমাদের সমাজে কতিপয় লুচি আজ পর্দা বিমুখিতায় অনড় ভূমিকা পালন করছে।কলেজ ভার্সিটি থেকে হিজাব পরিহিত মেয়েদের লাঞ্চিত করে তাড়িয়ে দিয়ে ১৪ শত বছরের কৃষ্টি কালচার নিধনে অনেকটাই নাস্তিকতার ভূমিকা পালন করছে।ওরা মেয়েদের রাস্তায় পর্দাবিহীন দেখতে ভাল বাসে।জিন্স আর ফতুয়া পরলে ওদের জন্য আরো ভাল।এটাই নাকি ফ্যাশন.........?
,
পর্দাবিহীন থাকা এটা পশ্চিমা সংস্কৃতি।আর পশ্চিমা সংস্কৃতি কখনো আমাদের অনুকরণের বস্ত্ত হতে তথা ফ্যাশন পারে না। ঐ সভ্যতায় কি নারীর বিন্দুমাত্র মর্যাদা আছে? সেখানে তো নারী নিছক ভোগের বস্ত্ত। বিভিন্ন উপায়ে নারীকে প্রলুব্ধ করা হয়েছে পুরুষের আনন্দের চিতায় আত্মাহুতি দেওয়ার জন্য। এটাই নাকি আধুনিক! নারীর পরম মোক্ষলাভ!
,
তাই সুশীল সমাজ বাদী তসলিমার চেলাদের থিউরি হচ্ছে আমরা শুটকি ঝুলিয়ে রাখবো,কিন্তু বিড়াল কে খেতে দিবো না।অর্থাৎ মেয়েরা পর্দা করতে পারবে না আবার রাস্তায় কিছু হলে পাগলি কুকুরের ন্যয় হাক ডাক শুরু করে দেয়।দু দিন প্রতিবাদের ঝড় উঠে তৃতীয়দিনের মাথায় মামলা খালাস। কোন বিচার নেই বললেই চলে।এই পর্যন্ত একটি ধর্ষণের বিচার হতে দেখিনি।
,
হিজাব বা পর্দা নারীকে সম্মানিত করেছে ।হিজাব এমনই একটি যৌক্তিক বিধান যা ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের জন্য যথেষ্ট।কেননা পাশ্চাত্যের অসংখ্য অমুসলিম নারী ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে শুধু হিজাব আর পর্দার সুফল লক্ষ্য করে।
,
কেননা হিজাব গ্রহনকারী নারীদের ইভ-টিজিং এর শিকার হতে হয়না। বখাটে-মাস্তানরা পর্যন্ত তাদের সম্মান করে। অনেক অধার্মিককেও দেখা যায় যে, সে চায় তার মা, বোন, স্ত্রী হিজাব মেনে চলুক। কারন ধর্মীয় দিক নাহোক যৌক্তিক দিককে তারাও অস্বীকার করতে পারে না।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন