মুহিউদ্দীন কাসেমী (হাফি:)
কবর পাকা করার নিষিদ্ধতা সম্পর্কে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু বাণী আগের পোস্টে বর্ণনা করেছি। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ইমামগণ এসকল হাদীসের আলোকেই তা হারাম হওয়ার ফতোয়া দিয়েছেন।
ইমাম আবু হানিফা রহ. এর শাগরিদ ও তাঁর মাযহাবের সংকলক ইমাম মুহাম্মদ রহ. বলেন :
ولا نرى أن يزاد على ما خرج منه، ونكره أن يجصص أو يطين ... إن النبي صلى الله عليه وسلم نهى من تربيع القبور وتجصيصها. قال محمد : به نأخذ وهو قول أبي حنيفة.
অর্থ : কবর খনন করতে যে মাটি কবর থেকে বের হয়েছে তার চেয়ে বেশি দেওয়া আমরা সহীহ মনে করি না। কবর পাকা করা ও লেপ দেওয়াকে মাকরুহ মনে করি। ... নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর চতুষ্কোণ বানাতে ও পাকা করতে নিষেধ করেছেন। এ-ই আমাদের মাযহাব। আর এটাই (ইমাম ) আবু হানিফা রাহ.-এর অভিমত। (কিতাবুল আছার : পৃ ৯৬)
যেহেতু নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী রা.-কে প্রত্যেক উঁচু কবর ধ্বসিয়ে সমান করার আদেশ করেছিলেন তাই ইমাম শাফেয়ী রাহ. বলেন, এ হাদীস অনুসারে আমি মক্কা মুকাররমার ইমামগণকে কবরের ওপর নির্মিত ইমারত ধ্বসিয়ে দেওয়ার আদেশ করতে দেখেছি। (শরহে মুসলিম, নববী খ. ১ পৃ. ৩১২)
এ থেকে জানা গেল, কোনো কোনো ওলী-বুযুর্গের কবরের উপর যে ইমারত ও গম্বুজ বানানো হয়েছে, এর সাথে ঐ বুযুর্গদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা না একাজ কখনো পছন্দ করেছেন, না এর অনুমতি দিয়েছেন। আর না অসীয়ত করেছেন। এর দায় ঐসকল স্বার্থান্ধ দুনিয়াদার লোকজনের ওপর বর্তাবে যারা নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্পষ্ট নির্দেশের বিরোধিতা করে এই গর্হিত কর্ম করে যাচ্ছে। আর এখন তো লোকেরা কবর পাকা হওয়া আর কবরের উপর শানদার ইমারত নির্মিত হওয়াকেই বেলায়েতের মানদ- মনে করে।
এমন অনেক ঘটনা হয়ত আপনারও জানা আছে যে, কোনো কবরব্যবসায়ী স্বপ্নের দোহাই দিয়ে বা কাশফ-ইলহামের কথা বলে কোথাও একটি জাল কবর বানাল। এরপর লোকেরা তার পূজা করতে আরম্ভ করল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তো হানাফী মাযহাবের প্রায় সকল নির্ভরযোগ্য কিতাবে; যেমন আলমগিরি, কাযিখান, সিরাজিয়্যাহ, দুররে মুখতার, কাবীরী ইত্যাদিতে এ কাজকে নাজায়েয লেখা হয়েছে।
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহ. বলে :
وَأَمَّا الْبِنَاءُ عَلَيْهِ فَلَمْ أَرَ مَنْ اخْتَارَ جَوَازَهُ .
অর্থ : কবরে ইমারত নির্মাণ বিষয়ে কাউকে দেখিনি যিনি এর বৈধতা দিয়েছেন। (খ. ৬, পৃ. ৩৮০)
কাযী ছানাউল্লাহ হানাফী পানিপথী রাহ. বলেন :
و آنچہ برقبور اولياء عمارتہاۓ رفیع بنا می کنند ، و چراغان روشن کنند وازيں قبیل ہر چہ می کنند حرامست
অর্থ : আর এই যে ওলী-বুযুর্গের কবরের ওপর উঁচু উঁচু ইমারত নির্মাণ করে, বাতি জ্বালায় এবং এজাতীয় আরো যা কিছু করে সব হারাম। (মা-লা-বুদ্দা মিনহু পৃ. ৮৪ মুজতাবাঈ ১৩১১ হি.)
কবর পাকা করার নিষিদ্ধতা সম্পর্কে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু বাণী আগের পোস্টে বর্ণনা করেছি। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ইমামগণ এসকল হাদীসের আলোকেই তা হারাম হওয়ার ফতোয়া দিয়েছেন।
ইমাম আবু হানিফা রহ. এর শাগরিদ ও তাঁর মাযহাবের সংকলক ইমাম মুহাম্মদ রহ. বলেন :
ولا نرى أن يزاد على ما خرج منه، ونكره أن يجصص أو يطين ... إن النبي صلى الله عليه وسلم نهى من تربيع القبور وتجصيصها. قال محمد : به نأخذ وهو قول أبي حنيفة.
অর্থ : কবর খনন করতে যে মাটি কবর থেকে বের হয়েছে তার চেয়ে বেশি দেওয়া আমরা সহীহ মনে করি না। কবর পাকা করা ও লেপ দেওয়াকে মাকরুহ মনে করি। ... নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর চতুষ্কোণ বানাতে ও পাকা করতে নিষেধ করেছেন। এ-ই আমাদের মাযহাব। আর এটাই (ইমাম ) আবু হানিফা রাহ.-এর অভিমত। (কিতাবুল আছার : পৃ ৯৬)
যেহেতু নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী রা.-কে প্রত্যেক উঁচু কবর ধ্বসিয়ে সমান করার আদেশ করেছিলেন তাই ইমাম শাফেয়ী রাহ. বলেন, এ হাদীস অনুসারে আমি মক্কা মুকাররমার ইমামগণকে কবরের ওপর নির্মিত ইমারত ধ্বসিয়ে দেওয়ার আদেশ করতে দেখেছি। (শরহে মুসলিম, নববী খ. ১ পৃ. ৩১২)
এ থেকে জানা গেল, কোনো কোনো ওলী-বুযুর্গের কবরের উপর যে ইমারত ও গম্বুজ বানানো হয়েছে, এর সাথে ঐ বুযুর্গদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা না একাজ কখনো পছন্দ করেছেন, না এর অনুমতি দিয়েছেন। আর না অসীয়ত করেছেন। এর দায় ঐসকল স্বার্থান্ধ দুনিয়াদার লোকজনের ওপর বর্তাবে যারা নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্পষ্ট নির্দেশের বিরোধিতা করে এই গর্হিত কর্ম করে যাচ্ছে। আর এখন তো লোকেরা কবর পাকা হওয়া আর কবরের উপর শানদার ইমারত নির্মিত হওয়াকেই বেলায়েতের মানদ- মনে করে।
এমন অনেক ঘটনা হয়ত আপনারও জানা আছে যে, কোনো কবরব্যবসায়ী স্বপ্নের দোহাই দিয়ে বা কাশফ-ইলহামের কথা বলে কোথাও একটি জাল কবর বানাল। এরপর লোকেরা তার পূজা করতে আরম্ভ করল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তো হানাফী মাযহাবের প্রায় সকল নির্ভরযোগ্য কিতাবে; যেমন আলমগিরি, কাযিখান, সিরাজিয়্যাহ, দুররে মুখতার, কাবীরী ইত্যাদিতে এ কাজকে নাজায়েয লেখা হয়েছে।
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহ. বলে :
وَأَمَّا الْبِنَاءُ عَلَيْهِ فَلَمْ أَرَ مَنْ اخْتَارَ جَوَازَهُ .
অর্থ : কবরে ইমারত নির্মাণ বিষয়ে কাউকে দেখিনি যিনি এর বৈধতা দিয়েছেন। (খ. ৬, পৃ. ৩৮০)
কাযী ছানাউল্লাহ হানাফী পানিপথী রাহ. বলেন :
و آنچہ برقبور اولياء عمارتہاۓ رفیع بنا می کنند ، و چراغان روشن کنند وازيں قبیل ہر چہ می کنند حرامست
অর্থ : আর এই যে ওলী-বুযুর্গের কবরের ওপর উঁচু উঁচু ইমারত নির্মাণ করে, বাতি জ্বালায় এবং এজাতীয় আরো যা কিছু করে সব হারাম। (মা-লা-বুদ্দা মিনহু পৃ. ৮৪ মুজতাবাঈ ১৩১১ হি.)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন