দাঁত ভাঙ্গা জওয়াব
একদিন হযরত আশরাফ আলী থানভী রহ. এর নিকট জনৈক কাফের কিছু অবাস্তব প্রশ্ন নিয়ে আসল। কাফের হযরত থানভী রহ. কে বলল, হুজুর আমি আপনাকে কয়েকটি প্রশ্ন করব অনুগ্রহপূর্বক উত্তর দিলে উপকৃত হবো।
প্রশ্ন : সিজদার দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইবাদত। চাই তা মসজিদে হোক বা মন্দিরে হোক। তা ইবাদত হিসেবেই বিবেচিত হবে। এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই।
উত্তরে থানভী রহ. বললেন, খাওয়ার দ্বারা উদ্দেশ্য হল উদর পূর্ণ করা চাই তা ভাত খাওয়ার মাধ্যমে হোক অথবা তা পায়খানা খাওয়ার দ্বারা হোক। এতেও তো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।
পুনরায় কাফের ব্যক্তিটি হযরত আশরাফ আলী থানভী রহ. কে প্রশ্ন করল, আপনারা হলেন ওলী-আল্লাহ, অথচ আপনারাই তাঁর নাফরমানী করেন, এর বাস্তব প্রমাণ হল এই যে, আপনারা আল্লাহর সমস্ত বিধান মেনে চলেন এবং আল্লাহর নামে যবাই করা প্রাণী ভক্ষণ করেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা যে প্রাণীকে মৃত্যু দেন ঐ প্রাণীকে আপনারা ভক্ষণ করেন না। অথচ ঐ প্রাণীকে তো আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন, এটাইতো নাফরমানীর আলামত। কিছু সৃষ্টিকে আল্লাহর বলে মানেন আর কিছু সৃষ্টিকে অস্বীকার করেন।
উত্তরে থানভী রহ. বলেন, আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার বুকে মানব জাতি সৃষ্টি করেছেন আর তাদের মাঝে এমন জ্ঞান দান করেছেন যার মাধ্যমে তারা পানি পানের মাধ্যম তথা টিউবয়েল তৈরি করেন, আর ঐ কলের পানি আপনারা পান করেন। কিন্তু মহান রাব্বুল আলামীন অনুগ্রহে আপনার সাড়ে তিন হাত দেহের মাঝে যে সুন্দর চমৎকার টিউবয়েল তৈরি করেছেন ঐ টিউবয়েলের পানি কেন পান করেননা? অথচ এই টিউবয়েলেও তো পানি রয়েছে। হযরত আশরাফ আলী থানভী রহ. এর মুক্তাতুল্য এই বয়ান শুনে বলতে বাধ্য হল- হুজুর আপনি শেষ পর্যন্ত আমাকে পায়খানা-পশ্রাব খাইয়ে ছাড়লেন।
প্রিয় পাঠক! সে যুগের কাফেরের মত এ যুগেও এমন কিছু বেশরা ফকির বা ইসলাম বিরোধী ভন্ড প্রতারক রয়েছে যারা আলেমদের দেখামাত্রই প্রশ্ন করতে থাকে। সুতরাং তাদের এ সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদানে উপস্থিত জ্ঞান ও গভীর প্রজ্ঞার অধিকারী হতে হবে। আর এ গুণ তখনি অর্জিত হবে যখন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা হবে। [সুত্র : আশরাফ আলী থানভী রহ. এর নির্বাচিত কলাম] –
শাহীনূর ইসলাম মিষ্টি, কা. সদস্য নং ৬৫৪
শিক্ষিকা : মদীনাতুল উলূম মহিলা মাদরাসা, রানাভোলা, তুরাগ, ঢাকা।
প্রশ্ন : সিজদার দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইবাদত। চাই তা মসজিদে হোক বা মন্দিরে হোক। তা ইবাদত হিসেবেই বিবেচিত হবে। এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই।
উত্তরে থানভী রহ. বললেন, খাওয়ার দ্বারা উদ্দেশ্য হল উদর পূর্ণ করা চাই তা ভাত খাওয়ার মাধ্যমে হোক অথবা তা পায়খানা খাওয়ার দ্বারা হোক। এতেও তো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।
পুনরায় কাফের ব্যক্তিটি হযরত আশরাফ আলী থানভী রহ. কে প্রশ্ন করল, আপনারা হলেন ওলী-আল্লাহ, অথচ আপনারাই তাঁর নাফরমানী করেন, এর বাস্তব প্রমাণ হল এই যে, আপনারা আল্লাহর সমস্ত বিধান মেনে চলেন এবং আল্লাহর নামে যবাই করা প্রাণী ভক্ষণ করেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা যে প্রাণীকে মৃত্যু দেন ঐ প্রাণীকে আপনারা ভক্ষণ করেন না। অথচ ঐ প্রাণীকে তো আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন, এটাইতো নাফরমানীর আলামত। কিছু সৃষ্টিকে আল্লাহর বলে মানেন আর কিছু সৃষ্টিকে অস্বীকার করেন।
উত্তরে থানভী রহ. বলেন, আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার বুকে মানব জাতি সৃষ্টি করেছেন আর তাদের মাঝে এমন জ্ঞান দান করেছেন যার মাধ্যমে তারা পানি পানের মাধ্যম তথা টিউবয়েল তৈরি করেন, আর ঐ কলের পানি আপনারা পান করেন। কিন্তু মহান রাব্বুল আলামীন অনুগ্রহে আপনার সাড়ে তিন হাত দেহের মাঝে যে সুন্দর চমৎকার টিউবয়েল তৈরি করেছেন ঐ টিউবয়েলের পানি কেন পান করেননা? অথচ এই টিউবয়েলেও তো পানি রয়েছে। হযরত আশরাফ আলী থানভী রহ. এর মুক্তাতুল্য এই বয়ান শুনে বলতে বাধ্য হল- হুজুর আপনি শেষ পর্যন্ত আমাকে পায়খানা-পশ্রাব খাইয়ে ছাড়লেন।
প্রিয় পাঠক! সে যুগের কাফেরের মত এ যুগেও এমন কিছু বেশরা ফকির বা ইসলাম বিরোধী ভন্ড প্রতারক রয়েছে যারা আলেমদের দেখামাত্রই প্রশ্ন করতে থাকে। সুতরাং তাদের এ সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদানে উপস্থিত জ্ঞান ও গভীর প্রজ্ঞার অধিকারী হতে হবে। আর এ গুণ তখনি অর্জিত হবে যখন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা হবে। [সুত্র : আশরাফ আলী থানভী রহ. এর নির্বাচিত কলাম] –
শাহীনূর ইসলাম মিষ্টি, কা. সদস্য নং ৬৫৪
শিক্ষিকা : মদীনাতুল উলূম মহিলা মাদরাসা, রানাভোলা, তুরাগ, ঢাকা।
কাসেম নানুতবী রহ. এর তাকওয়া ও বুদ্ধি :
হযরত কাসেম নানুতবী রহ. আমাদের একজন আকাবির। তিনি দারূল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা। তার মিথ্যা বলা থেকে বেঁচে থাকার একটি ঘটনা।
মাওলানা কাসেম নানুতবী রহ. তিনি ছিলেন ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তি। তাই তার বিরুদ্ধে জারি হয়েছিলো গ্রেফতারি পরোয়ানা। পুলিশ চারদিকে তাকে খোঁজে বেড়াচ্ছিল। এসময় হযরত কাসেম নানুতবী রহ. দারুল উলূম দেওবন্দ সংলগ্ন ছাত্তাহ মসজিদে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ সেখানেই পৌঁছে গেল। মসজিদে হযরত একাই ছিলেন। যারা হযরত নানুতবী রহ. কে চিনেন না এবং কখনো তাকে দেখেননি তারা তার নাম শুনে মনে করতো এতো বড় আলেম, নিশ্চয় মূল্যবান পোশাক তথা জুব্বা কুব্বা ইত্যাদি পরিহিত থাকবেন। কিন্তু তিনি তো এসব কিছুই পরিধান করতেন না। তিনি সদাসর্বদা একটি সাধারন লুঙ্গি এবং কোর্তা পরিধান করতেন।
পুলিশ মসজিদের ভেতর প্রবেশ করে হযরত নানুতবী রহ. কে দেখে মনে করলেন তিনি হয়তো মসজিদের খাদেম হবেন। তাই প্রশ্ন করলো, মাওলানা মুহাম্মদ কাসেম কোথায়? হযরত নানুতবী রহ. তখনই নিজ স্থান থেকে এককদম পিছিয়ে বললেন, সামান্য আগেও এখানে ছিলো। এভাবেই মহান আল্লাহর প্রদত্ত বুদ্ধি বলে তিনি মিথ্যা না বলে কৌশলে ইংরেজ পুলিশের হাত থেকে বেঁচে গেলেন।
শিক্ষা : আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দাগণ এমন কঠিন মুহূর্তে যখন জীবন মরনের প্রশ্ন দেখা দেয় তখনও গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখেন যেন যবান থেকে কোন অসত্য কথা বের না হয়। কঠিন থেকে কঠিন মুহূর্তেও তওরিয়া তথা গোলমাল কথা বলে সাময়িক কাজ চালিয়ে থাকেন।
মাওলানা কাসেম নানুতবী রহ. তিনি ছিলেন ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তি। তাই তার বিরুদ্ধে জারি হয়েছিলো গ্রেফতারি পরোয়ানা। পুলিশ চারদিকে তাকে খোঁজে বেড়াচ্ছিল। এসময় হযরত কাসেম নানুতবী রহ. দারুল উলূম দেওবন্দ সংলগ্ন ছাত্তাহ মসজিদে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ সেখানেই পৌঁছে গেল। মসজিদে হযরত একাই ছিলেন। যারা হযরত নানুতবী রহ. কে চিনেন না এবং কখনো তাকে দেখেননি তারা তার নাম শুনে মনে করতো এতো বড় আলেম, নিশ্চয় মূল্যবান পোশাক তথা জুব্বা কুব্বা ইত্যাদি পরিহিত থাকবেন। কিন্তু তিনি তো এসব কিছুই পরিধান করতেন না। তিনি সদাসর্বদা একটি সাধারন লুঙ্গি এবং কোর্তা পরিধান করতেন।
পুলিশ মসজিদের ভেতর প্রবেশ করে হযরত নানুতবী রহ. কে দেখে মনে করলেন তিনি হয়তো মসজিদের খাদেম হবেন। তাই প্রশ্ন করলো, মাওলানা মুহাম্মদ কাসেম কোথায়? হযরত নানুতবী রহ. তখনই নিজ স্থান থেকে এককদম পিছিয়ে বললেন, সামান্য আগেও এখানে ছিলো। এভাবেই মহান আল্লাহর প্রদত্ত বুদ্ধি বলে তিনি মিথ্যা না বলে কৌশলে ইংরেজ পুলিশের হাত থেকে বেঁচে গেলেন।
শিক্ষা : আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দাগণ এমন কঠিন মুহূর্তে যখন জীবন মরনের প্রশ্ন দেখা দেয় তখনও গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখেন যেন যবান থেকে কোন অসত্য কথা বের না হয়। কঠিন থেকে কঠিন মুহূর্তেও তওরিয়া তথা গোলমাল কথা বলে সাময়িক কাজ চালিয়ে থাকেন।
পাঠিয়েছে : আমীনুল এহসান
শিক্ষার্থী: বড় মসজিদ, তেরীবাজার, সুসং দুর্গাপুর, নেত্রকোণা।
শিক্ষার্থী: বড় মসজিদ, তেরীবাজার, সুসং দুর্গাপুর, নেত্রকোণা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন