বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৬

তুরস্কে এক মঞ্চে মুসলিম বিশ্বের নেতারা!,আসাদ, সিসি অনুপস্থিত।


মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ভেদাভেদ দূর করে ঐক্যের লক্ষ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ৩০টিরও বেশি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে চলছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা’র (ওআইসি) সম্মেলন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আমন্ত্রণে বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রধানরা সম্মেলনে অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এরদোয়ানের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সম্মেলনটি শেষ হবে শুক্রবার। শেষের দিন একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। সম্মেলনে অংশ নেয়া উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। সিরিয়া এবং ইয়েমেন সংঘাত নিয়ে দেশ দুটির অবস্থান দুই মেরুতে।
এদিকে তুরস্কভিত্তিক একটি সন্ত্রাস বিরোধী সংস্থা গঠনে মুসলিম দেশগুলো একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এরদোয়ান। সন্ত্রাসবাদকে মুসলিম দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াইয়ে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ভেদাভেদকে দূরীকরণের আহ্বান জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
তুরস্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বের প্রায় ১৭০ কোটি মুসলিমের মধ্যে ভেদাভেদ দূর করতে এই সম্মেলনটিকে কাজে লাগাতে চায় তারা। তবে কেউ কেউ ধারণা করেছেন, সিরিয়া এবং ইয়েমেন ইস্যু নিয়ে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে দেশগুলো।
নিরাপত্তার অযুহাতে অবশ্য অনেকেই সম্মেলনে অংশ নেয়নি। অনুপস্থিতদের মধ্যে জর্দানের বাদশা আবদুল্লাহ এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসিও রয়েছেন। ২০১৩ সালে মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুরসির কাছ থেকে ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে তুরস্কের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক আর স্থাপিত হয়নি মিশরের। এছাড়া সিরিয়া ইস্যুতে মতভেদের কারণে আসেননি জর্দানের বাদশা।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কভুসগ্লু বলেন, এমন একটি সময়ে সম্মেলনটি আয়োজন করা হলো, যখন ইসলামি বিশ্ব নিজেদের মধ্যেই নানা বিবাদে লিপ্ত। তিনি আরো বলেন, ‘নিজেদের ভাইদের মধ্যে বিবাদ সবচেয়ে বড় কষ্টের কারণ। গোষ্ঠিতন্ত্র পুরো উম্মাহকে বিভক্ত করে রেখেছে। আশা করি, এসব সমস্যা নিরসনে সম্মেলনটি ভূমিকা রাখবে।’
উল্লেখ্য, তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহর এক সময়ের উসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। এটি ছিল একটি ইসলামি সাম্রাজ্য, যা মুসলিম বিশ্বে ‘উসমানীয় খিলাফত’ নামে পরিচিত। ষোল ও সতেরো শতকে বিশেষ করে সুলতান প্রথম সুলাইমানের সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও হর্ন অব আফ্রিকা জুড়ে বিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক ও বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল।
বাংলামেইল২৪ডটকম/ আরএস

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন