শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

দলীয় আনুগত্যে বিজেপি আমরা অনেকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ

এলকে আদভানী ২০০৪-০৫ সেশনে দ্বিতীয়বারের মতো হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)’র প্রেসিডেন্ট ছিলেন, ২০০৫-০৯ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন রাজনাথ সিং, তারপর আসলেন নিতিন জয়রাম গাদকারি ২০০৯-১৩ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হন। অতঃপর ২০১৩-১৪ সেশনে ফের রাজনাথ সিং। সেই থেকে বর্তমানে অমিত শাহ বিজেপির প্রেসিডেন্ট।
২০১৪ সালে ভারতের জাতীয় নির্বাচনে বিজেপির যে বিশাল সাফল্য এসেছে সেই সময় দলের প্রধান ছিলেন রাজনাথ সিং। ভারত উপমহাদেশের রাজনীতিক ট্রেডিশন অনুযায়ী দলীয় প্রধানই প্রধানমন্ত্রী ইত্যাদি হয়ে থাকেন। সে হিসেবে রাজনাথ সিংয়েরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা তিনি হননি, বরং একজন গুজরাটি আঞ্চলিক নেতা নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করে নিজে সুবোধ বালকের মতো মোদিরই মন্ত্রসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেন। আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট জয়রম গাদকারি পান মোদির মন্ত্রীসভায় পরিবহনমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব।
দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য, পদ-পদবির প্রতি নির্লোভ মানসিকতা, আদর্শের প্রতি আত্মত্যাগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি আমাদের বাংলাদেশের অনেক ইসলামপন্থিদের থেকেও শ্রেষ্ঠ। হিন্দুত্ববাদী হিসেবে বিজেপির অপরাধ আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সীমা নেই। কিন্তু ওদের নিজ দল-আদর্শের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্বশীলতা অবাক করার মতো। কুরআন-হাদীস পড়েছেন-পড়াচ্ছেন, বড় বড় পণ্ডিত-মহাজ্ঞানী এবং আল্লামায়ে কেরামদেরও দেখায় যায়, পদ-পদবির ক্ষেত্রে প্রচণ্ড ভুখা-পেয়াছা তাঁরা।
এক্ষেত্রে আদর্শ হতে পারেননি; দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেননি, শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারেননি। আগে অমুসলিমরা শিখতো মুসলমানদের থেকে, আর এখন ইসলামের সেসব সৌন্দর্যে নিজেদের সাজিয়েছে অন্যরা, হিন্দুরা, ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা। ব্যক্তিস্বার্থে আমরা গ্রুপিং করি, লবিং করি, দল ভেঙে উপদল গঠন করি। সভাপতি, নির্বাহী সভাপতি ও সদর, আমীর একই পদের নানা রঙে রঙ্গীন করে হলেও দলের প্রধান হওয়াই আমাদের খায়েশ। অথচ হিন্দুরা আদর্শের স্বার্থে আত্মহুতি দিচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন