র্তমানে আমাদের সমাজে পিতামাতারা এটাই মনে করে সন্তান জন্মের পর তাকে ভালো পোশাক দিলে, ভালো খাবার খাওয়ালে, ভালো স্কুলে ভর্তি করালে, ভালো একটা চাকরি, ব্যবসা, বা যে কোন ভালো কাজে নিয়জিত করে তারপর একটা বিয়ে দিতে পারলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে আমরা এটা উপলব্ধি করতে পারিনা যে এইসব জিনিসতো লাগবে কিন্তু এগুলোর চাইতে সবচেয়ে জরুরী যে জিনিসটি তা হচ্ছে ‘দ্বীন’। এবং সেই দ্বীনের শিক্ষা দিতেই আমরা ভূলে যাই। আমাদের মধ্যে নিয়মিত প্রতিযোগিতা লেগে যায় যে, কে কত বড় বা নামিদামি স্কুলে ভর্তি করাবে, কে কত দামি মোবাইল ও গাড়ি কিনে দিবে, এবং কে তার সন্তানকে কোন দেশে পাঠাবে পড়ালেখা করার জন্য। বিদেশে পাঠাতে পারলেই যেন আমাদের জীবন সার্থক। কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনা যে এই ডিগ্রি তার ইহকাল ও পরকাল দুটোতেই কোন কাজে আসবেনা। তাই বলে এটা বলছিনা পড়ালেখা করাবেননা কিন্তু তার পাশাপাশি আপনার মূল দায়িত্ব ভূলে যাবেননা। এই দুনিয়াতে অবশ্যই শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করতে হবে কিন্তু সেই জ্ঞনের পরিসীমা যাতে এই দুনিয়া সম্পর্কে সীমাবদ্ধ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমার কথার অর্থ এই নয় যে তাদেরকে, টাকা পয়শা, মোবাইল, গাড়ী বাড়ি ও উচ্চ শিক্ষা দিবেননা কিন্তু সন্তান যাতে ঐসব জিনিস এবং সামাজিকতা, সংস্কৃতি ও আধুনিকতার মোহে আল্লাহ্ এবং তার রাসূলকে ভূলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিঃদ্রঃ ইহকাল এই কারনে বলেছি যে আজকাল মামা চাচা ছাড়া তো চাকরিও পাওয়া যায় না, আবার কেউ পড়ে একটা কিন্তু করে আরেকটা, কেউ ব্যবসা করে, কেউ আবার অন্য পেশায় নিয়জিত হয়ে যায়, যেমন কেউ ফটোগ্রাফার, কেউ মডেল, কেউ অভিনেতা, কেউ গায়ক, কেউ খেলোয়ার, ইত্যাদি। কেউ আবার বেকার বসে বসে বাপের টাকাই খায়।
যাই হোক এখন দেখি ইসলাম এ সম্পর্কে কি বলে।
যাই হোক এখন দেখি ইসলাম এ সম্পর্কে কি বলে।
প্রথমে আমাদের সবার আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিতঃ
قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
“হে, আমার পালনকর্তা! তোমার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর-নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।”
(সূরা আলে ইমরান ৩ আয়াত ৩৮)
قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
“হে, আমার পালনকর্তা! তোমার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর-নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।”
(সূরা আলে ইমরান ৩ আয়াত ৩৮)
ْ دَعَوَا اللَّهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ آتَيْتَنَا صَالِحًا لَنَكُونَنَّ مِنَ الشَّاكِرِينَ
“হে আল্লাহ, তুমি যদি আমাদিগকে সুস্থ ও ভাল( সন্তান) দান কর তবে আমরা তোমার শুকরিয়া আদায় করব।”
(সূরা আল আ’রাফ ৭ আয়াত ১৮৯)
“হে আল্লাহ, তুমি যদি আমাদিগকে সুস্থ ও ভাল( সন্তান) দান কর তবে আমরা তোমার শুকরিয়া আদায় করব।”
(সূরা আল আ’রাফ ৭ আয়াত ১৮৯)
সন্তানকে সঠিকভাবে যত্নসহকারে বড় করে তোলা প্রত্যেক অভিভাবকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। যদিও এটি কোন সহজ কাজ নয়, কারন মহান আল্লাহ আমাদেরকে বলেছেন যে, শিশু তার অভিভাবকদের জন্য পরীক্ষাসরুপ হতে পারে। সুখ ও দুঃখ উভয়ই জীবনের জন্য পরিক্ষা এবং শিশুরা এর ব্যতিক্রম নয়। তারা আপনার জীবনে সুখ ও দুঃখ উভয়ই বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ ۚ وَاللَّهُ عِنْدَهُ أَجْرٌ عَظِيمٌ
“তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো কেবল পরীক্ষাস্বরূপ। আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার।”
(সূরা আত-তাগাবুন ৬৪ আয়াত ১৫)
إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ ۚ وَاللَّهُ عِنْدَهُ أَجْرٌ عَظِيمٌ
“তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো কেবল পরীক্ষাস্বরূপ। আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার।”
(সূরা আত-তাগাবুন ৬৪ আয়াত ১৫)
পিতামাতাকে সন্তানের উপর নজর রাখতে হবে যাতে সে খারাপ পথে চলে না যায়, যেমন খারাপ পরিবেশ ও সমাজ, খারাপ বন্ধুবান্ধব ও লোকজনের সাথে মেলামেশা না করে। এগুলো সন্তানের খারাপ হওয়ার সবচেয়ে বড় একটি কারন।
আল্লাহ বলেছেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَة
“মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর”
(সূরা আত-তাহরিম ৬৬ আয়াত ৬)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَة
“মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর”
(সূরা আত-তাহরিম ৬৬ আয়াত ৬)
এটা দ্বারা বুঝা যায় যে, আপনার সন্তান যদি খারাপ পথে চলে যায় এবং আপনি তার খেয়াল না রাখেন এর জন্য দায়ী আপনিই হবেন।
আল্লাহ বলেছেনঃ
الْمَالُ وَالْبَنُونَ زِينَةُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَالْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ خَيْرٌ عِنْدَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَخَيْرٌ أَمَلًا
“ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্যে উত্তম।”
(সূরা কাহফ ১৮ আয়াত ৪৬)
الْمَالُ وَالْبَنُونَ زِينَةُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَالْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ خَيْرٌ عِنْدَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَخَيْرٌ أَمَلًا
“ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্যে উত্তম।”
(সূরা কাহফ ১৮ আয়াত ৪৬)
সম্পদ ও সন্তান আপনার জন্য ভালো এবং খারাপ দুটোই হতে পারে তাই আপনাকে এগুলোর সঠিক ব্যবহার করতে হবে।
পিতামাতা বা অভিভাবকদের উচিত শিশু যখন থেকে বড় হতে থাকে, তার আশেপাশের লোকজনের সাথে মেলামেশা করা শুরু করে তখন থেকেই তাকে দ্বীন সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া। শিশু তার অাশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখে থাকে কিন্তু যাতে ভূল কিছু না শিখে সেদিকে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।
রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ এটি প্রত্যেক অভিভাবকের দায়িত্ব ৭ বছর বয়স থেকে তাকে নামাজ পড়ানো শিখানো এবং ১০ বছর বয়স হলে তাদের সতর্ক করতে হবে ও জোর দিতে হবে (অর্থাৎ পড়তে বাধ্য করতে হবে)।
(আবু দাউদ ৪৯৪, আত তিরমিদি ৪০৭)
(আবু দাউদ ৪৯৪, আত তিরমিদি ৪০৭)
তারপর তাকে আস্তে আস্তে আল্লাহ ভীতি সম্পর্কে জ্ঞান দিতে হবে, কোরআন শিক্ষা, রোজা রাখা ও আখলাক এর শিক্ষা দিতে হবে, এবং নজর রাখতে হবে যে সে সঠিকভাবে সবকিছু পালন করছে কিনা। আর এগুলোর জন্য তার পিতা তার অাদর্শ উদাহরনসরুপ হতে পারে। পিতা যদি নিয়মিত নামাজ পড়েন শিশু তাই অনুসরণ করবে। কারন শিশু ছোটবেলায় তার আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে থাকে।
“একটি শিশুর মন হচ্ছে খালি জমির মত, সেখানে আপনি যেই বিজ বোপন করবেন তাই গ্রহন করবে, এবং নিজের মধ্যে লালনপান করবে”।
ইসলামের শিক্ষা দিতে গিয়ে খেয়াল রাখতে হবে তাদের সাথে যেন খারাপ ব্যবহার করা না হয়, এবং তাদের মারধর করা যাবে না। এতে বরং হিতে বিপরীত হয়ে যায় এবং তাদের খারাপ পথে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
“একটি শিশুর মন হচ্ছে খালি জমির মত, সেখানে আপনি যেই বিজ বোপন করবেন তাই গ্রহন করবে, এবং নিজের মধ্যে লালনপান করবে”।
ইসলামের শিক্ষা দিতে গিয়ে খেয়াল রাখতে হবে তাদের সাথে যেন খারাপ ব্যবহার করা না হয়, এবং তাদের মারধর করা যাবে না। এতে বরং হিতে বিপরীত হয়ে যায় এবং তাদের খারাপ পথে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
মহানবী (সাঃ) বলেছেনঃ
“সে আমাদের দলের অন্তর্ভুক্ত নয় যে ছোটদের ক্ষমা ও বড়দের সন্মানের চোখে দেখেনা”।
(আত-তিরমিদি 1919)
“সে আমাদের দলের অন্তর্ভুক্ত নয় যে ছোটদের ক্ষমা ও বড়দের সন্মানের চোখে দেখেনা”।
(আত-তিরমিদি 1919)
মহানবী (সাঃ) বলেছেনঃ “ আল্লাহকে ভয় কর এবং সন্তানদের সাথে সুবিচার কর।”
(সহীহ বুখারি ২৪৪৭ ও সহীহ মুসলিম ১৬২৩)
(সহীহ বুখারি ২৪৪৭ ও সহীহ মুসলিম ১৬২৩)
আল্লাহ বলেছেনঃ
اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
“সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত।”
(সূরা আল মায়েদাহ ৫ আয়াত ৮)
اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
“সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত।”
(সূরা আল মায়েদাহ ৫ আয়াত ৮)
এটি গ্রহনযোগ্য নয় যে ছেলেকে মেয়ের উপর অথবা মেয়েকে ছেলের উপর, অথবা বড়কে ছোটর উপর বা ছোটকে বড় জনের উপর প্রধান্য দিবে। এটি তাদেরকে হিংসা, দ্বন্দ্ব ও অন্যন্য খারাপ পরিনতির দিকে নিয়ে যায়, এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবার ভেঙ্গে যাওয়ার কারন হয়ে দাড়ায়।
মহানবী (সাঃ) কে সন্তানের অধিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেনঃ “পিতার সন্তানের উপর তিনটি দ্বায়িত্ব রয়েছেঃ ১) তার জন্য ভালো একটি নাম পছন্দ করুন। ২) তাকে কোরআন শিক্ষা দিন। ৩) এবং যখন সে বড় হয় তার বিবাহের ব্যবস্থা করুন।”
আয়শা (রাঃ) বলেছেনঃ “আপনার সন্তানকে ইসলামের সঠিক শিক্ষা দিন যা আল্লাহ তার জন্য উপকারি করেছেন যাতে অসৎসঙ্গ তাকে খারাপ পথে পরিচালিত না করে।”
মহানবী (সাঃ) বলেছেন “শেষ যুগের শিশুদের খারাপ পথে ধাবিত হওয়ার পিছনে অনেক বড় কারন থাকবে তার পিতা।”
তখন সাহাবিরা জিজ্ঞাস করলো “তারা কি তাদের মুশরিক পিতা? তিনি জবাব দিলেন “তারা হবে মুসলিম পিতা যারা তার সন্তানদেরকে ইসলামের শিক্ষা দিয়ে বড় করে তুলেননি এবং তাদের সন্তানরা যখন এই দুনিয়ার মোহে বিভিন্ন খারাপ কাজে লিপ্ত হত তখন তাদের বাধাদান করেননি। তাদের সাথে সবসময় আমার একটি নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় থাকবে।”
তখন সাহাবিরা জিজ্ঞাস করলো “তারা কি তাদের মুশরিক পিতা? তিনি জবাব দিলেন “তারা হবে মুসলিম পিতা যারা তার সন্তানদেরকে ইসলামের শিক্ষা দিয়ে বড় করে তুলেননি এবং তাদের সন্তানরা যখন এই দুনিয়ার মোহে বিভিন্ন খারাপ কাজে লিপ্ত হত তখন তাদের বাধাদান করেননি। তাদের সাথে সবসময় আমার একটি নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় থাকবে।”
আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিতঃ রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যখন মারা যায় তখন তার সব আমল শেষ হয়ে যায় একমাত্র ৩টি জিনিস ছাড়া, ১) দান খয়রাত যা মৃত ব্যক্তি করে গিয়েছেন (সাদকা-ই-যারিয়া) ২) মৃত ব্যক্তির দেওয়া দাওয়াত ও ইসলামিক জ্ঞান যা তিনি প্রচার করে গিয়েছেন এবং ৩) সৎকর্মশীল সন্তান যে তার মৃত পিতামাতার জন্য দোয়া করবে।
(সহীহ মুসলিম খন্ড ৪ হাদীস ৪২২৩(১৬৩১))
(সহীহ মুসলিম খন্ড ৪ হাদীস ৪২২৩(১৬৩১))
সুতরাং আপনি যদি চান মৃত্যুর পরও আপনার খাতায় ভালো আমল লিখা হোক তাহলে অবশ্যই এই পৃথিবীতে আপনার ভালো (মুমিন) সন্তান রেখে যেতে হবে।
আর সবকিছু করার পরেও যদি সন্তান বিপথে চলে যায় তাহলে আল্লার কাছে দোয়া করতে হবে এবং চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে ( কারন সন্তান আপনার জন্য মাঝে মাঝে পরীক্ষাসরুপ হতে পারে)। কিন্তু আপনার দায়িত্ব আপনাকে পালন করতেই হবে। নয়তোবা কিয়ামতের দিন আপনাকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
অবশ্যই এটা ভূলে গেলে চলবেনা তাদের শারীরিক, মানসিক ও মৌলিক চাহিদা পুরন হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি সেগুলো উল্লেখ করেনি কারন আমরা সবসময় তা করেই থাকি। যা আমরা করি না তাই এখানে উল্ল্যেখ করতে চেয়েছি, কারন দ্বীনের শিক্ষার অভাবে সন্তান যখন কিশোর বয়সে পৌছে, আর তখন আপনি বুজতে পারেন সে খারাপ পথে চলে যাচ্ছে তখন আপনি যতই চেষ্টা করেন সে আর ফিরে আসেনা, কারন তার তখন ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা থাকে না। আসলে সে যা করে তখন তার জন্য সেটাই ভালো মনে হয়।
আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ৪ টি জিনিস মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে, ১) উত্তরাধিকারীসুত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি। ২) পরামর্শ ৩) অনুসরন এবং ৪) পরিবেশের প্রভাব।
আপনি যদি হালাল উপার্জন না করেন, সঠিক পরামর্শ না দেন, সেই পরামর্শ অনুসরণ করছে কিনা সেদিকে খেয়াল না রাখেন এবং ভালো পরিবেশে বড় করে না তুলেন, তাহলে তার খারাপ পথে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
আপনি যদি হালাল উপার্জন না করেন, সঠিক পরামর্শ না দেন, সেই পরামর্শ অনুসরণ করছে কিনা সেদিকে খেয়াল না রাখেন এবং ভালো পরিবেশে বড় করে না তুলেন, তাহলে তার খারাপ পথে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
আপনি যদি সন্তানকে সঠিকপথে চলার শিক্ষা দেন এবং ইমান, আখলাক, তাকওয়া, সালাত, রোজা, সৎচরিত্র, ছোটদের স্নেহ ও বড়দের সন্মান ইত্যাদি শিক্ষাসহ প্রকৃত মুমিন হিসাবে গড়ে তোলেন, তাহলে বৃদ্ধাবস্থায় তারা আপনার খেয়াল রাখবে, তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করবে এমনকি মৃত্যুর পরেও তারা আপনার জন্য দোয়া করবে। দুনিয়া এবং আখিরাত উভয়ে সুখে থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভালো সন্তান দান করুক এবং আমাদের ও তাদের সবাইকে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী চলার তওফিক দান করুক। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন