একদা কিছু আরব বেদুইন রাসূল (সাঃ) এর কাছে এসে বলল ইয়া রাসূল(সাঃ) আমরা ইমান এনেছি এবং বিশ্বাস স্থাপন করেছি, তখন তিনি জবাব দিলেন, না তোমরা বরং মুসলিম হয়েছো কিন্তু এখনো প্রকৃত মু’মিন হওনি। তোমাদের জন্য এটা বলা যথেষ্ট যে আমরা মুসলিম, কিন্তু তোমরা এখনো মু’মিন নও কারন তোমাদের মনে এখনো বিশ্বাস জন্মায়নি।
( নিচের আয়াতের (৪৯:১৪) তফসির ইবনে কাছির)
( নিচের আয়াতের (৪৯:১৪) তফসির ইবনে কাছির)
পবিত্র কোরঅানে মহান অাল্লাহ্ বলেছেনঃ
قَالَتِ الْأَعْرَابُ آمَنَّا ۖ قُلْ لَمْ تُؤْمِنُوا وَلَٰكِنْ قُولُوا أَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُلِ الْإِيمَانُ فِي قُلُوبِكُمْ ۖ وَإِنْ تُطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ لَا يَلِتْكُمْ مِنْ أَعْمَالِكُمْ شَيْئًا ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
“মরুবাসীরা বলেঃ আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। বলুনঃ তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করনি; বরং বল, আমরা বশ্যতা স্বীকার করেছি। এখনও তোমাদের অন্তরে বিশ্বাস জন্মেনি। যদি তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর, তবে তোমাদের কর্ম বিন্দুমাত্রও নিস্ফল করা হবে না। নিশ্চয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।”
(সুরা আল হুজরাত ৪৯ আয়াত ১৪)
قَالَتِ الْأَعْرَابُ آمَنَّا ۖ قُلْ لَمْ تُؤْمِنُوا وَلَٰكِنْ قُولُوا أَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُلِ الْإِيمَانُ فِي قُلُوبِكُمْ ۖ وَإِنْ تُطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ لَا يَلِتْكُمْ مِنْ أَعْمَالِكُمْ شَيْئًا ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
“মরুবাসীরা বলেঃ আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। বলুনঃ তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করনি; বরং বল, আমরা বশ্যতা স্বীকার করেছি। এখনও তোমাদের অন্তরে বিশ্বাস জন্মেনি। যদি তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর, তবে তোমাদের কর্ম বিন্দুমাত্রও নিস্ফল করা হবে না। নিশ্চয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।”
(সুরা আল হুজরাত ৪৯ আয়াত ১৪)
সতরাং যেখানে মহান আল্লাহ্ বলছেন যে, তোমাদের জন্য এটা বলা খুব সহজ যে আমরা মুসলিম কিন্তু মু’মিন সেই যে আল্লাহ্ এবং তার রাসূলের উপর ইমান আনে এবং অন্তরে কোন প্রকার সন্দেহ না থাকে, যার মনে বিন্দু মাত্র সন্দেহ থাকবে না এবং আল্লাহ্ ও তার রাসূলের আদেশ শুনামাত্র তা পালন করবে।
আমরা মনে করি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলে, নাম মুসলিম হলে, মুসলিম সমাজে বড় হলে, এবং কালেমা পাঠ করলেই প্রকৃত মুসলিম হওয়া যায় এবং জান্নাত লাভ করা যায়।
কিন্তু সকল মুসলিম আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে না যতক্ষণ সে মু’মিন না হয়। কিন্তু কেউ যদি পাপ করে ক্ষমা প্রার্থনা করে তওবা করে তাহলে আল্লাহ মহা দয়াময় ও ক্ষমাশীল।
আমরা হয়তো বলতে পারি আমার বাবা মুসলিম আমিও মুসলিম, আমার নাম মুহাম্মদ অথবা আবদুল্লাহ তাই আমি মুসলিম, আমি আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর বিশ্বাস এনেছি আমি মুসলিম। শুধু মুখে বললে হবে না আমি মুসলিম, যতক্ষণ না আমরা আল্লাহ্ ও রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালিত না করব।
মুসলিমদের যদি মু’মিন হতে হয় তাহলে বিভিন্ন পরিক্ষার সম্মুখীন হতে হয় এবং তাতে পাস করতে হয়,
আমরা মনে করি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলে, নাম মুসলিম হলে, মুসলিম সমাজে বড় হলে, এবং কালেমা পাঠ করলেই প্রকৃত মুসলিম হওয়া যায় এবং জান্নাত লাভ করা যায়।
কিন্তু সকল মুসলিম আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে না যতক্ষণ সে মু’মিন না হয়। কিন্তু কেউ যদি পাপ করে ক্ষমা প্রার্থনা করে তওবা করে তাহলে আল্লাহ মহা দয়াময় ও ক্ষমাশীল।
আমরা হয়তো বলতে পারি আমার বাবা মুসলিম আমিও মুসলিম, আমার নাম মুহাম্মদ অথবা আবদুল্লাহ তাই আমি মুসলিম, আমি আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর বিশ্বাস এনেছি আমি মুসলিম। শুধু মুখে বললে হবে না আমি মুসলিম, যতক্ষণ না আমরা আল্লাহ্ ও রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালিত না করব।
মুসলিমদের যদি মু’মিন হতে হয় তাহলে বিভিন্ন পরিক্ষার সম্মুখীন হতে হয় এবং তাতে পাস করতে হয়,
আল্লাহ বলেছেনঃ
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
"এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।”
(সুরা অাল বাকারা ২ আয়াত ১৫৫)
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
"এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।”
(সুরা অাল বাকারা ২ আয়াত ১৫৫)
প্রকৃত মু’মিন সবর করবে এবং যেকোন পরিস্থিতিতে, যেকোন সময়ে আল্লাহর উপর ভরসা রাখবে। এবং আল্লাহর দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী চলবে।
আল্লাহ বলেছেনঃ
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ
“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।”
( সূরা আন-নূর ২৪ আয়াত ৩০)
( সূরা আন-নূর ২৪ আয়াত ৩০)
অথচ আমরা একে অপরকে দেখার পর দৃষ্টি নত করা তো দুরের কথা বরং কি আর বলব যেভাবে তাকিয়ে থাকি, আল্লাহ্ আমাদের মাফ করুক।
আল্লাহ বলেছেনঃ
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا ۖ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا
“আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।”
(সূরা বনি ইসরাইল ১৭ আয়াত ৩২)
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا ۖ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا
“আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।”
(সূরা বনি ইসরাইল ১৭ আয়াত ৩২)
অর্থাৎ জিনা করা তো দুরের কথা এমন কিছু করা উচিত নয় যা আমাদেরকে ‘জিনা’ করার দিকে ধাবিত করে যেমন গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়া, একে অপরের সাথে গোপনে সাক্ষাত করা ইত্যাদি।
আল্লাহ বলেছেনঃ
وَأَقِيمُوا الصَّلَاة
“নামায কায়েম কর”
(কোরআনের কমপক্ষে ১৭টি জায়গায় আছে)
وَأَقِيمُوا الصَّلَاة
“নামায কায়েম কর”
(কোরআনের কমপক্ষে ১৭টি জায়গায় আছে)
অথচ আমরা অনেক কষ্টে জুম্মার নামাজ পড়ি আবার অনেকে তাও পড়তে পড়িনা।
আল্লাহ বলেছেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।”
(সূরা মায়েদাহ ৫ আয়াত ৯০)
(সূরা মায়েদাহ ৫ আয়াত ৯০)
অর্থাৎ এগুলো থেকে যতই নিজেকে দুরে রাখা যায় ততই কল্যান অথচ অামরা উঠতে বসতে নেশা, জুয়া, লটারি এবং জ্যোতিষীর মাধ্যমে নিজের ভাগ্যে নির্ধারণ করা নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকি।
আল্লাহ বলেছেনঃ
وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ
“তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর।”
(সূরা আল হুজরাত ৪৯ আয়াত ১২)
“তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর।”
(সূরা আল হুজরাত ৪৯ আয়াত ১২)
অর্থাৎ এটি এতই নিকৃষ্টতম কাজ যা নিজের মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার মত অথচ আমরা যখন একে অপরের সাথে সাক্ষাত করি তখন সবসময় গীবত করা নিয়েই ব্যস্ত থাকি।
আল্লাহ বলেছেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।”
(সূরা আলে ইমরান ৩ আয়াত ১৩০)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।”
(সূরা আলে ইমরান ৩ আয়াত ১৩০)
অথচ সুদ ছাড়া আমরা কিভাবে একে অপরের সাথে লেনদেন করব তা ভাবতেই পারিনা।
আল্লাহ বলেছেনঃ
الَّذِينَ يُنْفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
“যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।”
(সূরা আলে ইমরান ৩ আয়াত ১৩৪)
“যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।”
(সূরা আলে ইমরান ৩ আয়াত ১৩৪)
অভাবের সময়তো দুরের কথা স্বচ্ছলতার সময় আমরা দান করা ভূলে যাই, রাগ নিয়ন্ত্রণ করা সেটা আবার কি জিনিস? আর ক্ষমা করাতো দুরের কথা আমরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠি।
আল্লাহ বলেছেনঃ
وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ
“তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।”
(সূরা বাকারা ২ আয়াত ১৮৮)
وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ
“তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।”
(সূরা বাকারা ২ আয়াত ১৮৮)
অথচ আমাদের দেশে ঘুষ ছাড়াতো কোন কাজই সম্পূর্ণ করা যায় না। আমরা ঘুষ দিয়ে চাকরি করতে যাই নিজে ঘুষ খাওয়ার জন্য।
উপরে শুধুমাত্র কয়েকটি জিনিস উল্ল্যেখ করা হয়েছে, এ ছাড়াও শতশত কাজ যা আমরা সবসময় করি কিন্তু আল্লাহ স্পষ্ট আয়াতের মাধ্যমে তা করতে নিষেধ করেছেন এবং মুখে আমরা বলে থাকি আমরা মুসলিম কিন্তু কাজের বেলায় আল্লাহর অাদেশ অমান্য করি তাহলে কি আমরা আসলেই আল্লাহর আয়াতে বিশ্বাস করি?
আল্লাহ বলেছেনঃ
ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمُ اسْتَحَبُّوا الْحَيَاةَ الدُّنْيَا عَلَى الْآخِرَةِ وَأَنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ
ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمُ اسْتَحَبُّوا الْحَيَاةَ الدُّنْيَا عَلَى الْآخِرَةِ وَأَنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ
“এটা এ জন্যে যে, তারা পার্থিব জীবনকে পরকালের চাইতে প্রিয় মনে করেছে এবং আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।”
(সূরা নাহল ১৬ আয়াত ১০৭)
(সূরা নাহল ১৬ আয়াত ১০৭)
অর্থাৎ অামরা যখন আল্লাহর এসব আদেশ অমান্য করি শুধুমাত্র পৃথিবীতে খুশি এবং সুখে থাকার জন্য তার মানে কি এটাই হচ্ছেনা আমরা অাখিরাতকে অবিশ্বাস করছি? তাহলে আমরা কিভাবে নিজেদেরকে বিশ্বাসি বলে দাবি করি?
কারন আমরা যদি বিশ্বাসী হতাম আল্লাহর সব আয়াত মেনে চলতাম।
কারন আল্লাহ কোরআনের শুরুতেই বলেছেনঃ
ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ
“এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য (মুত্তাকীন ও মু'মিনদের জন্য),”
(সূরা বাকারা ২ আয়াত ২)
কারন আমরা যদি বিশ্বাসী হতাম আল্লাহর সব আয়াত মেনে চলতাম।
কারন আল্লাহ কোরআনের শুরুতেই বলেছেনঃ
ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ
“এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য (মুত্তাকীন ও মু'মিনদের জন্য),”
(সূরা বাকারা ২ আয়াত ২)
তাহলে আমরা যদি মুখে বলি বিশ্বাস করি কিন্তু কাজের বেলায় তার বিপরীত করি অর্থাৎ আল্লাহ যা করতে নিষেধ করেছেন তাই বেশী করি তাহলে আমরা কিভাবে দাবি করি আমরা বিশ্বাসী?
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
“আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।”
(সূরা আল আন-আম ৬ আয়াত ১৬২)
“আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।”
(সূরা আল আন-আম ৬ আয়াত ১৬২)
আসুন আমরা সবাই নিজেকে শুধু নামে মুসলিম হিসাবে পরিচয় না দিয়ে প্রকৃত মু’মিন হওয়ার চেষ্টা করি এবং আল্লাহর প্রতিটি আয়াতের উপর বিশ্বাস স্থাপন করি। এবং সেই অনুযায়ী আমল করি।
আল্লাহ যেন আমাদেরকে প্রকৃত মু’মিন হিসাবে গড়ে তুলেন এবং সঠিক পথ প্রদর্শন করেন। আমিন।।।
আল্লাহ যেন আমাদেরকে প্রকৃত মু’মিন হিসাবে গড়ে তুলেন এবং সঠিক পথ প্রদর্শন করেন। আমিন।।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন