পরকীয়ার ভয়াল থাবায় ছারখার হচ্ছে পরিবার ও সমাজ। অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে চলমান স্থিতিশীলতা, বাড়ছে অবিশ্বাস আর সন্দেহ। ধর্মীয় বিধান আর প্রচলিত মূল্যবোধ ভেঙ্গে পড়ছে। ভদ্রতার আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ। মোবাইল সংস্কৃতি আর আকাশ সংস্কৃতি অনৈতিক কাজকে প্রতিনিয়ত উস্কে দিচ্ছে। এসব অনৈতিক কাজের শিকার হচ্ছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে প্রবাসীদের পরিবারগুলো। স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রবাসীর স্ত্রীরা জড়িয়ে যাচ্ছে পরকীয়ায়। স্বামীর কষ্টার্জিত অর্থ লুট-পাট করে নিচ্ছে তাদের কথিত প্রেমিকেরা। সব হারিয়ে এরা হচ্ছে রাস্তার মেয়ে কিংবা পেশাদার পতিতা। এমনি করে বাড়ছে যৌনকর্মি, ধ্বংস হচ্ছে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি। পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম মুসলিম দেশের ভাবমূর্তি ও ভবিষ্যৎ দুটোই নষ্ট হচ্ছে। এ থেকে বাঁচতে হবে, রক্ষা করতে হবে দেশ, জাতি ও সমাজকে। বাঁচাতে হবে ধর্ম ও ধার্মিকতাকে। আমি পরকীয়া থেকে বাঁচার কিছু উপায় তুলে ধরছি।
১. ধর্মে বেশি মনযোগ দেওয়া
যখন কোন কাজ থাকে না, তখন ধর্মীয় কাজে বেশি মনযোগ দিতে হবে। নামায পড়া, কুরআন তেলাওয়াত, যিকির করা, ধর্মীয় বই পড়া, ইসলামী সংগীত শোনা-এ সবের মাধ্যমে অবসর সময় ভালভাবে কাটানো যায়। তাছাড়া এই সব কাজের ফলে মন ভাল থাকে, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা যায় এবং আল্লাহ্র প্রিয় বান্দা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যায়।
২. সংবাদপত্র আর বই পড়া
যখন অবসর, তখনই ডুব দেন সংবাপত্র আর বইয়ের পাতায়। অজানাকে জানা যাবে, বাড়বে জ্ঞানের পরিধি, কেটে যাবে সুন্দরভাবে অবসর।
৩. দর্শনীয় স্থানে ঘুরে আসা
অবসরে মাঝে মাঝে দেশের দর্শনীয় স্থানসমূহ থেকে ঘুরে আসুন। জ্ঞানের দ্ধার খুলে যাবে, মন ভাল হয়ে যাবে। বস্তুতঃ বাংলাদেশ চমৎকার একটি দেশ। কিন্তু এই সত্যিটা আমরা কতটুকু জানি?
৪. আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি থেকে ঘুরে আসুন
অবসরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যান, তাদের খোঁজ-খবর নিন, এতে আত্মীয়তার সম্পর্ক বাড়বে। আত্মীয়তার সম্পর্ক আজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে মানবতা, মানবিকতা আর ধার্মিকতা। তাই সবার উচিৎ আত্মীয়দের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখা।
৫. সৃজনশীল কাজে মনযোগ দেওয়া
বাগান করা, মৎস্যচাষ, পাখি পালন, মৌ চাষ- এই সব কাজ সুন্দরভাবে অবসর সময়ে করা যায়। এই ধরনের কাজ করলে মন ভাল থাকে, বাড়তি আয় করা যায়। ইদানিং এই সব কাজ করে অনেক বেকার আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে।
৬. সেবামূলক কাজে মনযোগ দেওয়া
অসহায়, দুস্থ, অভাবীদের জন্য অবসরে কাজ করুন। এটি ধর্মীয় ও মানবিক কাজ। মানব কল্যাণে কাজ করতে পারাটা মানুষের জন্য গৌরবজনক। তাই যখনই অবসর, তখনই নেমে পড়–ন এই সব কাজে। ভাল সময় কাটবে, মন ভাল থাকবে এবং অসহায় মানুষ উপকৃত হবে।
৭. পরিবার-পরিজন নিয়ে ভাবা
আপনার পরিবার একান্তই আপনার। পরকীয়ার কারণে ধ্বংস হতে পারে আপনার পরিবার, নষ্ট হতে পারে আপনার সন্তানেরা। এরা নষ্ট হলে পড়ন্ত বয়সে আপনার দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না। সন্তানদের মাধ্যমে আপনি বেঁচে থাকবেন। পিতা-মাতার কারণে সন্তান নষ্ট হলে শেষ বয়সে শুধু কষ্ট পেতে হবে তাই নয়, বরং ইহকাল ও পরকাল দুটোই হবে কষ্টকর ও ভয়ংকর। এই সব কথা ভাবলে পরকীয়া থেকে সহজে বাঁচা যায়।
৮. মৃত্যুর কথা মনে করা
বেশি বেশি মৃত্যুর কথা মনে করা, জানাযার নামায পড়া, রোগী দেখতে যাওয়া- এই সব কাজের মাধ্যমে নিজেকে পরকীয়া থেকে ফিরিয়ে আনা যায়। কারণ এই সব কাজের কারনে খারাপ থেকে মন সরে আসে।
৯. মোবাইল ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে থাকা
অহেতুক মোবাইল ব্যবহার করা আর অপসংস্কৃতির কবল থেকে নিজে বাঁচুন আর অপরকে বাঁচতে সাহায্য করুন, রক্ষা করুন আপনার ভিতরের মানুষটিকে। মনে রাখতে হবে, একবার নষ্ট হলে আর ভাল হওয়া সহজ নয়। তাই আগেই সতর্ক থাকুন।
১০. ভাল বন্ধুদের সাথে সময় কাটান
ভাল বন্ধু নির্বাচন করে তাদের সাথে সময় কাটান, সবকিছুতেই শেয়ার করুন। ভাল থাকবেন আপনি, ভাল থাকবে সমাজ-রাষ্ট্র।
১১. শিক্ষক-আলেম সমাজের ভূমিকা
শিক্ষক ও আলেম সমাজ মানুষকে সচেতন করে পরকীয়া প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারেন। সমাজের বিবেক হিসেবে এই প্রত্যাশা আপনাদের কাছে।
শেষ কথা
পরের বাড়িতে আগুন ধরলে খুশি না হয়ে আগুন নিভাতে সাহায্য করুন, নচেৎ ঐ আগুন আপনার বাড়িতেও আসতে পারে। পরকীয়া সামাজিক ব্যাধি, একে ঘৃণা করুন, প্রতিরোধ করুন, বন্ধ করুন।
১. ধর্মে বেশি মনযোগ দেওয়া
যখন কোন কাজ থাকে না, তখন ধর্মীয় কাজে বেশি মনযোগ দিতে হবে। নামায পড়া, কুরআন তেলাওয়াত, যিকির করা, ধর্মীয় বই পড়া, ইসলামী সংগীত শোনা-এ সবের মাধ্যমে অবসর সময় ভালভাবে কাটানো যায়। তাছাড়া এই সব কাজের ফলে মন ভাল থাকে, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা যায় এবং আল্লাহ্র প্রিয় বান্দা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যায়।
২. সংবাদপত্র আর বই পড়া
যখন অবসর, তখনই ডুব দেন সংবাপত্র আর বইয়ের পাতায়। অজানাকে জানা যাবে, বাড়বে জ্ঞানের পরিধি, কেটে যাবে সুন্দরভাবে অবসর।
৩. দর্শনীয় স্থানে ঘুরে আসা
অবসরে মাঝে মাঝে দেশের দর্শনীয় স্থানসমূহ থেকে ঘুরে আসুন। জ্ঞানের দ্ধার খুলে যাবে, মন ভাল হয়ে যাবে। বস্তুতঃ বাংলাদেশ চমৎকার একটি দেশ। কিন্তু এই সত্যিটা আমরা কতটুকু জানি?
৪. আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি থেকে ঘুরে আসুন
অবসরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যান, তাদের খোঁজ-খবর নিন, এতে আত্মীয়তার সম্পর্ক বাড়বে। আত্মীয়তার সম্পর্ক আজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে মানবতা, মানবিকতা আর ধার্মিকতা। তাই সবার উচিৎ আত্মীয়দের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখা।
৫. সৃজনশীল কাজে মনযোগ দেওয়া
বাগান করা, মৎস্যচাষ, পাখি পালন, মৌ চাষ- এই সব কাজ সুন্দরভাবে অবসর সময়ে করা যায়। এই ধরনের কাজ করলে মন ভাল থাকে, বাড়তি আয় করা যায়। ইদানিং এই সব কাজ করে অনেক বেকার আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে।
৬. সেবামূলক কাজে মনযোগ দেওয়া
অসহায়, দুস্থ, অভাবীদের জন্য অবসরে কাজ করুন। এটি ধর্মীয় ও মানবিক কাজ। মানব কল্যাণে কাজ করতে পারাটা মানুষের জন্য গৌরবজনক। তাই যখনই অবসর, তখনই নেমে পড়–ন এই সব কাজে। ভাল সময় কাটবে, মন ভাল থাকবে এবং অসহায় মানুষ উপকৃত হবে।
৭. পরিবার-পরিজন নিয়ে ভাবা
আপনার পরিবার একান্তই আপনার। পরকীয়ার কারণে ধ্বংস হতে পারে আপনার পরিবার, নষ্ট হতে পারে আপনার সন্তানেরা। এরা নষ্ট হলে পড়ন্ত বয়সে আপনার দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না। সন্তানদের মাধ্যমে আপনি বেঁচে থাকবেন। পিতা-মাতার কারণে সন্তান নষ্ট হলে শেষ বয়সে শুধু কষ্ট পেতে হবে তাই নয়, বরং ইহকাল ও পরকাল দুটোই হবে কষ্টকর ও ভয়ংকর। এই সব কথা ভাবলে পরকীয়া থেকে সহজে বাঁচা যায়।
৮. মৃত্যুর কথা মনে করা
বেশি বেশি মৃত্যুর কথা মনে করা, জানাযার নামায পড়া, রোগী দেখতে যাওয়া- এই সব কাজের মাধ্যমে নিজেকে পরকীয়া থেকে ফিরিয়ে আনা যায়। কারণ এই সব কাজের কারনে খারাপ থেকে মন সরে আসে।
৯. মোবাইল ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে থাকা
অহেতুক মোবাইল ব্যবহার করা আর অপসংস্কৃতির কবল থেকে নিজে বাঁচুন আর অপরকে বাঁচতে সাহায্য করুন, রক্ষা করুন আপনার ভিতরের মানুষটিকে। মনে রাখতে হবে, একবার নষ্ট হলে আর ভাল হওয়া সহজ নয়। তাই আগেই সতর্ক থাকুন।
১০. ভাল বন্ধুদের সাথে সময় কাটান
ভাল বন্ধু নির্বাচন করে তাদের সাথে সময় কাটান, সবকিছুতেই শেয়ার করুন। ভাল থাকবেন আপনি, ভাল থাকবে সমাজ-রাষ্ট্র।
১১. শিক্ষক-আলেম সমাজের ভূমিকা
শিক্ষক ও আলেম সমাজ মানুষকে সচেতন করে পরকীয়া প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারেন। সমাজের বিবেক হিসেবে এই প্রত্যাশা আপনাদের কাছে।
শেষ কথা
পরের বাড়িতে আগুন ধরলে খুশি না হয়ে আগুন নিভাতে সাহায্য করুন, নচেৎ ঐ আগুন আপনার বাড়িতেও আসতে পারে। পরকীয়া সামাজিক ব্যাধি, একে ঘৃণা করুন, প্রতিরোধ করুন, বন্ধ করুন।
লেখক: শিক্ষাবিদ ও কলামিষ্ট,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন