ওলীদের কাছে যাবো না, তাদের কথামতো চাল-চলন করব না, তাদের তিরস্কার শুনবো না, অর্থাৎ কোন কাজই তাদের কথামত করবো না অথচ আল্লাহর ওলী হয়ে যাবো। এরূপ আশা করা শেখ চাল্লীর কল্পনা। শেখ চাল্লীর একটি ঘটনা বর্ণিত আছে।
এক ব্যক্তি তেলের হাঁড়ি বহন করার জন্যে একজন কুলি খোঁজ্ছিল। হঠাৎ শেখ চাল্লীকে দেখলো। বললো, “আমার এ তেলের হাঁড়িটা বাড়ি পৌছে দাও, তোমাকে দুটি পয়সা দিব।”
শেখ চাল্লী তেলের হাঁড়ি মাথায় নিয়ে লোকটির পিছনে পিছনে চলতে লাগলো।
শেখ চাল্লি মনে মনে ভাবলো, তেলের হাঁড়ি পৌছে দিলে দুটি পয়সা পাবো, আর তা’ দিয়ে ব্যবসা করবো। দুপয়সায় দুইটি ডিম কিনবো। ডিম দুটি প্রতিবেশীর মুরগীর নীচে রেখে তা’ দিব। দুটি বাচ্চা ফুটবে। একটি মোরগ, একটি মুরগী। এ জোড়া থেকে অনেকগুলো ডিম হবে।
সে ডিম থেকে অনেকগুলো মুরগী হবে। সে মুরগী বিক্রি করে একটি বকরী ক্রয় করবো। কবরী থেকে অনেকগুলো বাচ্চা হবে। বকরীর পালে মাঠ ভরে যাবে তখন অতিরিক্ত বকরী বিক্রি করে গরু কিনবো। গরুতে যখন মাঠ ভরে যাবে তখন অতিরিক্তগুলো বিক্রি করবো। তারপর মহিষ কিনবো।
এরপর আরবী ঘোড়ার ব্যবসা করবো। অনেক টাকা জমা হবে। তখন একটা বিরাট দালান তৈরি করবো। কোন সম্পদশালীর কন্যা বিয়ে করে আনবো। একটি ছেলে জন্ম হবে। ছেলে যখন বড় হবে তখন আমাকে ডাকতে আসবে, আব্বাজান আপনাকে আম্মাজান ডেকেছেন’।
তখন আমি ধমক দিয়ে বলবো, ‘ধ্যাৎ আমি এখন যেতে পারবো না: কাজের চাপে আমার একটু অবসর নেই।’
এই ‘ধ্যাৎ’ বলার সময় আসতর্কভাবে মাথা যেই দোলা খেয়েছে অমনি মাথার হাঁড়ি পড়ে গিয়ে সমস্ত তেল মাটিতে গড়াতে শুরু করলো।
মালিক ক্রোধে বললো,“তোর কাণ্ড-জ্ঞান নেই, আমার এতগুলো তেল নষ্ট করলি?”
শেখ চাল্লি বললো, “আরে সাহেব রাখেন আপনার তেল! আপনার তো সামান্য তেল নষ্ট হয়েছে। আর আমার? আমার মনোরম দালান- কোটা, বিরাট ব্যবসা, লক্ষ কোটি টাকা আর সমস্ত পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে সেদিকে একটুও খেয়াল করলেন না?”
কিন্তু তবু এ শেখ চাল্লির মত অনর্থক কল্পনাকারী লোক কেয়ামতের দিন দেখবেÑ ব্যবসাও নেই, হাতীও নেই, ঘোড়াও নেই, মুরগীও নেই। কেক নেই, বিস্কুট নেই, মাখন নেইÑ মোটকথা কোন কিছুই নেই। যা- কিছু ছিল সবই স্বপ্নমাত্র। কেউ গর্ব করেছে সৌন্দর্য্যরে, কেউ গর্ব করেছে সম্মানের, কেউ গর্ব করেছে এলেমের, কেউ গর্ব করেছে পরহেজগারীর। সেখানে গেলে প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। অনর্থক কল্পনায় বিভোর থেকে আল্লাহকে ভুলে যাওয়ার ফল বুঝা যাবে। আরে হতভাগা, কি আছে এ ক্ষণিকের জীবনে?
“যা কিছু তোমাদের কাছে আছে সব নিঃশেষ হয়ে যাবে। শুধু বাকি থাকবে (তোমাদের সওয়াবগুলো) যা’ আল্লাহর কাছে (জমা) আছে।”
এক ব্যক্তি তেলের হাঁড়ি বহন করার জন্যে একজন কুলি খোঁজ্ছিল। হঠাৎ শেখ চাল্লীকে দেখলো। বললো, “আমার এ তেলের হাঁড়িটা বাড়ি পৌছে দাও, তোমাকে দুটি পয়সা দিব।”
শেখ চাল্লী তেলের হাঁড়ি মাথায় নিয়ে লোকটির পিছনে পিছনে চলতে লাগলো।
শেখ চাল্লি মনে মনে ভাবলো, তেলের হাঁড়ি পৌছে দিলে দুটি পয়সা পাবো, আর তা’ দিয়ে ব্যবসা করবো। দুপয়সায় দুইটি ডিম কিনবো। ডিম দুটি প্রতিবেশীর মুরগীর নীচে রেখে তা’ দিব। দুটি বাচ্চা ফুটবে। একটি মোরগ, একটি মুরগী। এ জোড়া থেকে অনেকগুলো ডিম হবে।
সে ডিম থেকে অনেকগুলো মুরগী হবে। সে মুরগী বিক্রি করে একটি বকরী ক্রয় করবো। কবরী থেকে অনেকগুলো বাচ্চা হবে। বকরীর পালে মাঠ ভরে যাবে তখন অতিরিক্ত বকরী বিক্রি করে গরু কিনবো। গরুতে যখন মাঠ ভরে যাবে তখন অতিরিক্তগুলো বিক্রি করবো। তারপর মহিষ কিনবো।
এরপর আরবী ঘোড়ার ব্যবসা করবো। অনেক টাকা জমা হবে। তখন একটা বিরাট দালান তৈরি করবো। কোন সম্পদশালীর কন্যা বিয়ে করে আনবো। একটি ছেলে জন্ম হবে। ছেলে যখন বড় হবে তখন আমাকে ডাকতে আসবে, আব্বাজান আপনাকে আম্মাজান ডেকেছেন’।
তখন আমি ধমক দিয়ে বলবো, ‘ধ্যাৎ আমি এখন যেতে পারবো না: কাজের চাপে আমার একটু অবসর নেই।’
এই ‘ধ্যাৎ’ বলার সময় আসতর্কভাবে মাথা যেই দোলা খেয়েছে অমনি মাথার হাঁড়ি পড়ে গিয়ে সমস্ত তেল মাটিতে গড়াতে শুরু করলো।
মালিক ক্রোধে বললো,“তোর কাণ্ড-জ্ঞান নেই, আমার এতগুলো তেল নষ্ট করলি?”
শেখ চাল্লি বললো, “আরে সাহেব রাখেন আপনার তেল! আপনার তো সামান্য তেল নষ্ট হয়েছে। আর আমার? আমার মনোরম দালান- কোটা, বিরাট ব্যবসা, লক্ষ কোটি টাকা আর সমস্ত পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে সেদিকে একটুও খেয়াল করলেন না?”
কিন্তু তবু এ শেখ চাল্লির মত অনর্থক কল্পনাকারী লোক কেয়ামতের দিন দেখবেÑ ব্যবসাও নেই, হাতীও নেই, ঘোড়াও নেই, মুরগীও নেই। কেক নেই, বিস্কুট নেই, মাখন নেইÑ মোটকথা কোন কিছুই নেই। যা- কিছু ছিল সবই স্বপ্নমাত্র। কেউ গর্ব করেছে সৌন্দর্য্যরে, কেউ গর্ব করেছে সম্মানের, কেউ গর্ব করেছে এলেমের, কেউ গর্ব করেছে পরহেজগারীর। সেখানে গেলে প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। অনর্থক কল্পনায় বিভোর থেকে আল্লাহকে ভুলে যাওয়ার ফল বুঝা যাবে। আরে হতভাগা, কি আছে এ ক্ষণিকের জীবনে?
“যা কিছু তোমাদের কাছে আছে সব নিঃশেষ হয়ে যাবে। শুধু বাকি থাকবে (তোমাদের সওয়াবগুলো) যা’ আল্লাহর কাছে (জমা) আছে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন