বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৫

ধীরে ধীরে আমরা নিঃস্ব হতে চলেছি।

 খানকা গুলো খালি হচ্ছে প্রতিনিয়ত, মাদরাসাগুলো শূন্য হচ্ছে বুযুর্গ ব্যক্তিদের থেকে। সুলতান নানুপুরী (রহ.), শায়খ হারুন (রহ.), সাইয়েদ ফজলুল করীম (রহ.), পটিয়ার গাজী সাহেব হুজুর, কদীম সাহেব হুজুর, জদীদ সাহেব হুজুর, আইয়ুব সাহেব হুজুর, নানুপুরের জমিরউদ্দীন (রহ.), মুফতী আমিনী (রহ.), শায়খুল হাদীস সাহেব (রহ.) ও খতীব ওবায়দুল হক (রহ.), বোয়ালবী সাহেব হুজুর, হ্নীলার সদর সাহেব হুজুরসহ অনেকেই ইতোমধ্যে ছেড়ে চলে গেছেন। আজকে আমাদের মাথার উপর থেকে অভিভাকত্বের অন্যতম ছায়াও সরে গেল। হায়...
কেউ মানুন আর না মানুন। মুফতী আবদুর রহমান সাহেব হুজুর (রহ.) ছিলেন বাংলাদেশের ধর্মীয় অঙ্গনে অন্যতম প্রধান প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। হাজার হাজার মাদরাসা তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হতো, অনেক মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক এবং অভিভাবক ছিলেন তিনি। লাখ লাখ ওলামায়ে কেরামের সেরতাজ ছিলেন তিনি। ওলামায়ে কেরামকে নিজের আত্ম-সম্মান এবং মর্যাদা নিয়ে কিভাবে দীনের ভেতর থেকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হয় তাই তিনি শিখিয়ে গেছেন ফকীহুল মিল্লাত মুফতী আবদুর রহমান সাহেব (রহ.)।
সেদিন ভারতের মহারাষ্ট্রে সিবসেনা-প্রধান ‘বাল ঠাকরে’ মারা গিয়েছিল। ভারতের সমস্ত মিডিয়া তাদের সকল সম্প্রচার বন্ধ করে সারাক্ষণ সেই নিউজ এবং প্রতিটা মিনিটে বাল ঠাকরের খবর প্রচার করেছিল। তার শেষকৃত্যের প্রতিটা মুহূর্ত সম্প্রচার করেছিল। কিন্তু হায়... বাংলাদেশের মিডিয়া একটা মিনিটও মুফতী আবদুর রহমান (রহ.), তাঁর অবদান এবং কর্মময় জীবনের একটা ফোটাও প্রচার করলো না। ভারত সেকুলার হতে পেরেছে, কিন্তু বাংলাদেশ সেকুলার তো বটে, নাস্তিক হয়ে গেল।
[বি. দ্র. মুফতী সাহেবের একটা বড় সংগ্রাম ছিল ‘ছবির বিরুদ্ধে’। আজকে শায়খের সেই সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্টে সচেতনভাবে তাঁর ছবি প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে চাচ্ছি।]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন