অনেক লা মাযহাবী নিজে নিজেই মুজতাহিদ সেজে মনগড়াভাবে কুরআন সুন্নাহর ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু করে। এদের প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য মুজতাহিদের যোগ্যতাগুলি ও অন্তত মোটামুটিভাবে জেনে রাখা দরকার। এ মর্মে আল্লামা শাওকানী (র,) এর অমর গ্রন্থ এরশাদুল ফুহুল এর বরাতে পবিত্র মদীনা মুনাওয়ারার শায়খ মোহাম্মাদ ইলইয়াস, নামাযে পয়গাম্বর নামক গ্রন্থে মুজতাহিদের নিম্নোক্ত যোগ্যতা সমুহের উল্লেখ করেছেন। যথাঃ
(১) যেহেতু ইজতিহাদের মূল ভিত্তিই হচ্ছে পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহ, আর এ দুটিই আরবী ভাষা সম্বলিত। তাই মুজতাহিদগণের আরবী ভাষার বিশেষ বুৎপত্তির অধিকারী হতে হবে। যেমন এলমে ছরফ বা শব্দ বিন্যাস, এলমে নাহু বা বাক্য বিন্যাস, এলমে বালাগাত বা আরবী অলংকার শাস্র। বাচনভঙ্গী ও বাগধারা ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষভাবে পারদর্শী হতে হবে।
(২) কুরআনের জ্ঞানে বিশেষ পারদর্শী হতে হবে। যেমন পবিত্র কুরআনের কোন আয়াতের ব্যাখা, রাসুল, সাহাবা, তাবেঈন, ও তাবে তাবেঈন দ্বারা কিভাবে বর্ণিত হয়েছে। কোন আয়াত বা সুরা কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হয়েছে। কোন আয়াতের দ্বারা কোন আয়াতের বিধান রহিত করা হয়েছে ইত্যাদি ব্যাপারে বিশেষভাবে পারদর্শী হতে হবে।
(৩)
হাদীসের জ্ঞানে বিশেষভাবে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। যেমন ইলমে হাদীসের পরিভাষাসমূহ, বর্ণনাকারীদের জীবনেতিহাস এবং যুগোপযোগী মাধ্যমের দ্বারা ওই সমস্ত হাদীস জানা থাকতে হবে, যে গুলির দ্বারা ইসলামী শরীয়তের কোন না কোন বিধান প্রমানিত হয়।
(৪) যে সব বিষয়ে উম্মতের ইজমা হয়ে গেছে অথবা যে সব বিষয়ে পবিত্র কুরআন সুন্নাহর প্রকাশ্য বিবরণ দ্বারাই পরিস্কার সমাধান হয়ে গেছে সেসব বিষয় জানা থাকতে হবে। কারণ এগুলি জানা না থাকলে এসব বিষয়েও ইজতিহাদ করা শুরু করবে যা অবৈধ।
(৫)ইজতিহাদ মুলক গবেষনা ও সমাধান বের কারার বিধান শাস্রের মুল নীতি সমুহ সম্পর্কে পূর্ণ অবগত থাকতে হবে।
(৬) ইজতিহাদের সম্পর্কে যেহেতু গভীর জ্ঞান, ইলম ও ফিকাহ এর সাথে জড়িত, তাই মুজতাহিদকে উন্নতমানের মেধা ও গবেষণার যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।
(৭) তাকওয়া বা খোধাভীরুতার অধিকারী হতে হবে। যেন তার ইজতিহাদ বা গবেষনা পক্ষপাত দৃষ্টি না হয়ে নিরপেক্ষতাভাবে পবিত্র কুরআন সুন্নাহর মর্ম উদঘাটনে ব্রতী হতে পারে।
(১) যেহেতু ইজতিহাদের মূল ভিত্তিই হচ্ছে পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহ, আর এ দুটিই আরবী ভাষা সম্বলিত। তাই মুজতাহিদগণের আরবী ভাষার বিশেষ বুৎপত্তির অধিকারী হতে হবে। যেমন এলমে ছরফ বা শব্দ বিন্যাস, এলমে নাহু বা বাক্য বিন্যাস, এলমে বালাগাত বা আরবী অলংকার শাস্র। বাচনভঙ্গী ও বাগধারা ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষভাবে পারদর্শী হতে হবে।
(২) কুরআনের জ্ঞানে বিশেষ পারদর্শী হতে হবে। যেমন পবিত্র কুরআনের কোন আয়াতের ব্যাখা, রাসুল, সাহাবা, তাবেঈন, ও তাবে তাবেঈন দ্বারা কিভাবে বর্ণিত হয়েছে। কোন আয়াত বা সুরা কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হয়েছে। কোন আয়াতের দ্বারা কোন আয়াতের বিধান রহিত করা হয়েছে ইত্যাদি ব্যাপারে বিশেষভাবে পারদর্শী হতে হবে।
(৩)
হাদীসের জ্ঞানে বিশেষভাবে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। যেমন ইলমে হাদীসের পরিভাষাসমূহ, বর্ণনাকারীদের জীবনেতিহাস এবং যুগোপযোগী মাধ্যমের দ্বারা ওই সমস্ত হাদীস জানা থাকতে হবে, যে গুলির দ্বারা ইসলামী শরীয়তের কোন না কোন বিধান প্রমানিত হয়।
(৪) যে সব বিষয়ে উম্মতের ইজমা হয়ে গেছে অথবা যে সব বিষয়ে পবিত্র কুরআন সুন্নাহর প্রকাশ্য বিবরণ দ্বারাই পরিস্কার সমাধান হয়ে গেছে সেসব বিষয় জানা থাকতে হবে। কারণ এগুলি জানা না থাকলে এসব বিষয়েও ইজতিহাদ করা শুরু করবে যা অবৈধ।
(৫)ইজতিহাদ মুলক গবেষনা ও সমাধান বের কারার বিধান শাস্রের মুল নীতি সমুহ সম্পর্কে পূর্ণ অবগত থাকতে হবে।
(৬) ইজতিহাদের সম্পর্কে যেহেতু গভীর জ্ঞান, ইলম ও ফিকাহ এর সাথে জড়িত, তাই মুজতাহিদকে উন্নতমানের মেধা ও গবেষণার যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।
(৭) তাকওয়া বা খোধাভীরুতার অধিকারী হতে হবে। যেন তার ইজতিহাদ বা গবেষনা পক্ষপাত দৃষ্টি না হয়ে নিরপেক্ষতাভাবে পবিত্র কুরআন সুন্নাহর মর্ম উদঘাটনে ব্রতী হতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আহলে হাদীস দের এ সব ব্যাপারে একটা যোগ্যতাও নাই, তারা এমনি সুধু বোখারী শরীফ বোখারী শরীফ করে মরে। বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফেতনা হচ্ছে আহলে হাদিস সুতরাং তাদের থেকে আমাদের বেচে থাকতে হবে।
আহলে হাদীসকে ওপেন চ্যালেন্স।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন