হোলি পূজার ইতিহাস সম্পর্কে ব্রহ্মা বৈবর্ত পুরানে পাওয়া যায়- ভগবান কৃষ্ণ রাধার উপর সারারাত এতটাই যৌন নিপীড়ন করেছিলো যে রাধার সারা শরীর রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়। ঐ বিষয়টি আড়াল করতে ভগবান কৃষ্ণ সবাইকে রং দিয়ে খেলতে নির্দেশ দিয়েছিলো , যেন রাধার রক্তের-রঞ্জিত শরীর আড়াল করা যায়। ভগবান কৃষ্ণ ও রাধার সেই স্মৃতি স্মরণ করতেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা হোলি বা দোল পূজা করে থাকে। (বিস্তারিত- http://bit.ly/2mlNLhq)
সম্প্রতি হোলি পূজায় ভগবান কৃষ্ণের অনুসারিদের আক্রমনের শিকার হয়ে একজন বলেই দিয়েছেন- “এটা ফেসটিভাল নয়, নোংরামি বলা চলে।” আসলে যার ইতিহাসের শুরুটাই নোংরামি, সেটার পরবর্তী অংশ পবিত্র হবে এটা কিভাবে ভাবা যায় ?
যাই হোক, সেটা সমস্যা নয়। সমস্যা হলো- হিন্দুদের পূজা মন্দির ছেড়ে রাস্তায় কেন ? রাস্তার সকল নারীকে রং দেয়ার অধিকার তাদের কে দিলো ? তবে আপনি যদি ভাবেন- “এখন আওয়ামী সরকার ক্ষমতায়, এখন হিন্দুদের রামরাজত্ব। ভারতে যেভাবে হিন্দুরা মুসলিম মেয়েদের ঘর থেকে টেনে নিয়ে ধর্ষণ করে, বাংলাদেশেও হিন্দুরা সেটার অধিকার পেয়ে গেছে ” তবে আমার কিছু বলার নাই।
আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়ই, ২০১৫ সালে ১লা বৈশাখের দিনে টিএসসিতে নারী হেনস্থার ঘটনা ঘটেছিলো। যার প্রতিবাদের মাঠে নেমেছিলো কথিত শুশীল সমাজ, পুলিশ মামলা করেছিলো, ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করেছিলো কয়েকজনকে। কিন্তু এবারের কথিত হোলি পূজার নামে যেভাবে গণনারী হেনস্থা হলো সেটা কি নববর্ষের ঐ নারী হেনস্থার সামনে কিছু ?? কিন্তু এবার কেন কেউ মাঠে নামলো না, কেউ মামলা করলো না, কাউকে গ্রেফতার করা হলো না ???
তবে কি ধরে নেবো বাংলাদেশের মুসলিম নারীরা হিন্দুদের গণিমতের মালে পরিণত হয়েছে ??
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন