২০১৬ সালে ইন্ডিয়ান ফেমিনিস্ট ডট কমে একটা প্রতিবেদন ছাপা হয় (ছবি)। যার শিরোনাম ছিলো- হোলি : নারী বিদ্বেষী, ধর্ষণ ও নিপীড়নের হিন্দু উৎসব।
আসলে ভারতে হিন্দুদের হোলি পূজাকে সবাই নারী নিপীড়নের উপলক্ষ হিসেবেই জানে। এ পূজার ইতিহাসও কিন্তু তাই বলে। কৃষ্ণ রাধাকে যৌন নির্যাতন করায় রাধার সারা শরীরের রক্তে রঞ্জিত হয় এবং সেই রক্ত ঢাকতেই সবাইকে রং ছিটানোর আদেশ দিয়েছিলো কৃষ্ণ, যা আজকে হোলি বা দোল পূজা হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পালন করছে।।
গত বছর ভারতের জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে এক প্রতিবাদে হোলি পূজাকে নারীবিরোধী উৎসব হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছিলো আন্দোলনকারীরা। (http://bit.ly/2n4qFzj)। হোলি পূজায় নারী নিপীড়ন এতটাই কঠিন অবস্থায় পৌছে যে ভারতের অনেক হিন্দুই এ পূজাটিকে নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে।
এ বছর হোলি পূজার দিন দিল্লী ইউনির্ভাসিটির ছাত্রী হল থেকে ছাত্রীদের বের হওয়া নিষিদ্ধ করে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ, কারণ- এ দিন নারী হেনস্থা সব চেয়ে বেশি হয়। (http://bit.ly/2nm6yKk)। এ সম্পর্কে দিল্লী ভার্সিটির প্রোক্টরের পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশনাপত্র দেখতে পারেন- http://bit.ly/2mHRJn7
শুধু দিল্লী নয়, ব্যাঙ্গালুরের অধিকাংশ কলেজ ক্যাম্পাসে হোলি পূজা নিষিদ্ধ করা হয় (http://bit.ly/2mn1Yug)।
ভারতে হোলি উপলক্ষে হিন্দুরা কিভাবে নারীদের হেনস্থা করে তার ভিডিও দেখতে পারেন-
আমি আবার বলছি, হোলি একান্তই হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব, যার ইতিহাসও অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, নারী নির্যাতন ও পীড়নমূলক। অথচ গত কয়েকবছর যাবত হিন্দুরা ও ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া দাবি করছে- হোলি নাকী সার্বজনিন উৎসব। বলাবাহুল্য নারীলোভী এসব কুলাঙ্গার কেন যে হোলি পূজার জন্য দাপাদাপি করে তা হোলি পূজার দিন নারী নিপীড়নের উচ্ছাস দেখলেই বোঝা যায়।
সবশেষ বলবো, ভারতে যেখানে হোলি পূজা নিষিদ্ধের দাবী উঠেছে , বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে হোলি পূজা নিষিদ্ধ হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশে কিভাবে হোলি পূজা চলতে পারে? প্রকাশ্যে মুসলিম নারীদের বেইজ্জতি করে রং মাখানো হতে পারে? অবিলম্বে বাংলাদেশে হোলি পূজা বন্ধ করা হোক। এবং যেসব হিন্দু গত সোমবার ঢাকায় নারীদের উপর নিপীড়ন চালিয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করে ফাঁসির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন