রোমান প্যাগানদের মধ্যে নারীর অবস্থা বর্ণনা করেছি আগের পোস্টে (http://bit.ly/2ncUppU), এবার গ্রিক প্যাগানদের মধ্যে নারীর অবস্থা বর্ণনা করবো। বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছি এই কারণে- আজকে ৮ই মার্চ একদল উদযাপন করছে কথিত নারীদিবস, অন্যদিকে সুপ্রীম কোর্টে স্থাপিত হয়েছে গ্রিকদের বিচারদেবী থেমিস (রোমানদের জাস্টিসিয়া) এর মূর্তি। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠবে- এই দেবী মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে কতটুকু নারীবান্ধব করবে ??
গ্রিক প্যাগানদের মধ্যে নারীর অবস্থান-
১) গ্রিক পুরানমতে পৃথিবীতে শুরুর দিকে সুখী অবস্থায় ছিলো শুধু পুরুষরা। গ্রিক দেবতা জিউস প্রথম সৃষ্টি করে নারীকে (প্রথম নারীর নাম প্যান্ডোরা)। তবে নারী সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিলো প্রমিথিউসের বিরুদ্ধচারণ। অর্থাৎ পুরুষকে কষ্ট/প্রতিশোধ নেয়ার জন্য নারীর সৃষ্টি।
২)গ্রীস পুরাণে নারী ‘পান্ডোরাকে’ মানবের দুঃখ-দুর্দশার কারণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।‘পান্ডোরা’ সম্পর্কে গ্রীকরা যে ধারণা পোষণ করতো, তা ওদের মানসিকতাকে সমানভাবে প্রভাবান্বিত করেছিলো। তাদের দৃষ্টিতে নারী এক নিকৃষ্ট জীব ছিল। সামাজিক ক্ষেত্রে নারীর কোনই মর্যাদা ছিল না এবং সম্মানিত মর্যাদা একমাত্র পুরুষের জন্যই সংরক্ষিত ছিল।https://en.m.wikipedia.org/wiki/Women_in_Greece
৩) গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিস বলে, ‘Woman is the greates source of chaose and disruption in the world’ ‘নারী জগতে বিশৃংখল ও ভাঙ্গনের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস’। গ্রীক ধর্মে নারীরাই হলো শয়তানের প্রতিভু। এবং গ্রীক সভ্যতায় (!) নারী জাতিকে বিশৃঙ্খল ও ভাঙ্গনের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস বলা হতো। http://www.ancient.eu/article/483/
৪) গ্রিসের নারীরা নাগরিক ছিল না। প্রাচীন গ্রিসের নগররাষ্ট্রে নারীদেরও ভোটদানের অধিকার ছিল না।
৫)গ্রিক সভ্যতায় নারী সম্পর্কে ধারণা ব্যক্ত করতে যেয়ে এন্ডরসকি বলেছে: “অগ্নিতে দগ্ধ রোগী ও সর্পদংশিত ব্যক্তির আরোগ্য লাভ সম্ভব। কিন্তু নারীর যাদু প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।”
আজকে নারীবাদীরা অনেক কিছু নিয়ে আন্দোলন করতে পারে, তবে আমার মনে হয় নারীবাদীদের উচিত হবে- সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণে মাঠে নামা। কারণ যে গ্রিক প্যাগানদের মধ্যে নারী হচ্ছে শয়তানের প্রতিভূ, সেই গ্রিকদের বিচারদেবীর মূর্তি কিছুতেই বাংলাদেশের বিচারবিভাগকে নারীবান্ধব করতে পারে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন