অন্য মানুষের জিনিসকে আমরা নিজেদের বলে চালাতে ভারি ভালোবাসি।আকবর প্রজা শোষণের সুবিধার্থে, কৃষকদের গলায় গামছা বেঁধে উৎপাদিত ফসলের ভাগ ছিনিয়ে নিতে চালু করলো তারিখ-ই-ইলাহি। মুসলিমদের হিজরি সালকে মন্ত্র পড়িয়ে, গলায় পৈতে ঝুলিয়ে করা হল সৌরবছর। সেই তারিখ-ই-ইলাহি-ই আজকের তথাকথিত বঙ্গাব্দ ।
এতো গেল বছর শুরু হবার হিসেবের কথা। পয়লা বৈশাখ যাকে বাঙালি সর্বজনীন উৎসবের দাবী করা হয় তা উদযাপনের শুরুর ইতিহাস কি আমরা জানি ? প্রথম ঘটা করে নববর্ষ পালন হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। ব্রিটিশরাজের বিজয় কামনা করে ১৯১৭ সালের পয়লা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করে কলকাতার হিন্দু মহল।
১৯১৭ সালের দিকে যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছিলো তখনকার ভারতবর্ষের হিন্দু ব্রাক্ষ্মনরা সাধারন হিন্দুদের মধ্যে এই কথা ছড়িয়ে দিলো যে মুসলমানরা হিন্দুদের পুরনো সৌরসন ধ্বংশ করে তাদের চাহিদা মত বাংলা সন তৈরি করেছে এবং তারা চাচ্ছিলো সেই সৌরসন আবার প্রণয়ন করতে কিন্তু দির্ঘ ৪০০/৪৫০ বছর ধরে সেই তারিখ গননা না হওয়াতে পুনরায় সেই সন প্রনয়ন করাটা সাধ্য হয়ে উঠেনি তাই হিন্দু ব্রাক্ষ্মনরা সাধারন হিন্দুদের সঙ্গে নিয়ে পহেলা বৈশাখ তারিখ ঠিক করলো যেদিন বিশ্বযুদ্ধে বৃটিশদের জয় কামনা এবং তাদের ভাষ্যমতে হিন্দুদের সন বিকৃত করার দায়ে 'মুসলমানদের ধ্বংশ চেয়ে' মুর্তি-পূজা হোম কীর্তন এবং ভগবান আর্চণার সময় নির্ধারিত করলো এবং পহেলা বৈশাখ তারিখে বেশ ঘটা করে এই আয়োজন সম্পন্য করলো!
১৯৩৮ সাল থেকে পুনরায় ভারতবর্ষের মুসলীমদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিরোধীতার সূত্র ধরে পালিত হয় একই কর্মকান্ড। ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর আবার বেশ কিছুদিন এই উদযাপন বন্ধ থাকে। পরবর্তিতে ১৯৬৭ সাল থেকে পুনরায় আবার যথারীতি পহেলা বৈশাখ পালিত হয় এবং যেটা আজও পালিত হয়ে আসছে!
---মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস:-
১৯১৭ সালে যেদিন পূজা আর্চণা করা হয়েছিলো সেদিন মুসলমানদেরকে বিশ্বের ভয়ংকর প্রানী ডাইনোসরের সাথে তুলনা করে ডাইনোসরের একটা প্রতিকৃতি বানানো হয় এবং যেটাকে সম্মিলিত ভাবে কাঁধে করে নিয়ে গঙ্গা পাড়ে পোড়ানো হয! এখান থেকেই মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন হয়েছে! যেটা পরবর্তিতে খন্ড খন্ড ভাবে পালিত হয়ে আসছিলো এবং পরবর্তিতে ১৯৮৯ সাল থেকে নিয়মিত চলে আসছে এই শোভাযাত্রা!! যেখানে প্রধান আকর্ষণ থাকে বিভিন্ন প্রানীর মুখোশ লাগিয়ে ঘুরে ফেরা।
যে দিবস হিন্দু কতৃক বৃটিশদের পদলেহন আর মুসলিমবিদ্বেষীতায় ভরপুর আজ সে দিবসই মুসলমান পালন করে! নিজেকে অসাম্প্রদায়িক আর বাঙ্গালী প্রমান করতে মুসলমান আজ মুসলিমবিদ্বেষি বৈশাখী পূজায় গণহারে গমন করে!
যে জাতি নিজের ইতিহাস ভুলে গিয়ে পরগাছার মত অন্য জাতির সংস্কৃতি আকড়ে ধরে সে জাতির মত দুর্ভাগা আর কেউ নেই। সে জাতির কপালেই জুটে কাফির-মুশরিক কতৃক লাঞ্চনা আর নির্যাতন। বাংলাদেশের মুসলমান সে পথেই এগুচ্ছে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন