শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫

আজ থেকে তিন বছর পূর্বে এই তারিখটি আমাদের মাঝ থেকে গত হয়েছিল।


মাহবুব আপু
বরাবরের মতই ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গেলাম। নামাজ শেষে মসজিদের ইমাম সাহেব ঘোষণা করলেন উম্মাহর সিংহপুরুষ মুফতি ফজলুল হক আমিনী সাহেব রাতে ইবনে সিনা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। খবরটি শুনার সাথে সাথেই কেমন যেন জ্ঞানহারা হয়ে পড়েছিলাম। বুক ফেটে কান্না এসেছিল। বাধ্য হয়েই চোখের বাঁধকে খুলে দিলাম। অনেক সময় নিয়ে নিরবে নিঃশব্দে অশ্রু প্রবাহিত হল।
শুধু এই পেরেশানিই মনে খোঁচা দিচ্ছিল, কে ধরবে এই জাতির হাল? একে একে সব আকাবিরগনই তো বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। শেষ ভরসা ছিলেন মুফতি আমিনী রহঃ। তিনিও আজ বাংলার মুসলমানদের এই কঠিন মুহূর্তে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। এখন কে ধরবে এই উম্মাহর হাল? কি হবে এই উম্মাহর ভবিষ্যৎ পরিণতি?
ছুটে গিয়েছিলাম সেদিন তাঁর জানাজায় শরীক হতে। লাখো মানুষের সাথে আমিও দাঁড়িয়েছিলাম তাঁর জানাজার কাতারে।
খোদার দরবারে শুধু এই দোয়াই করেছিলাম সেদিন, "হে আল্লাহ! আর যে কেউ নেই আমাদের অভিভাবক। তুমিই আমাদের পথ দেখাও।"
আল্লাহ দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন আহমাদ শফি দাঃ বাঃ কে।
আজ হেফাজতে ইসলামকেও দমিয়ে দিয়ে ভাবা হচ্ছে আমাদের আর কেউ নেই। তবে এতটুকু বিশ্বাস মনে লালন করি, আল্লাহ এই উম্মাহর মাঝ থেকে আরেকজন সিংহপুরুষ তৈরি করবেনই ইনশাআল্লাহ। কিন্তু কে হবে সেই রাহবার?

Wali Ullah Arman ভাইয়ের ভাষায়,
আল্লাহর দ্বীন আল্লাহই হেফাজত করবেন সত্য৷ কিন্তু ব্যঘ্র হুংকারে বাতিলের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে মুফতী ফজলুল হক আমিনী রহঃ এর ন্যায় কাউকে আপাতত পাচ্ছি না যে!!

আল্লাহ হযরতকে জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদা দান করুক এবং আমাদেরকে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে কবুল করুক। আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন