শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

সূরা কাহাফের শানে নুযূল (شان نزول للكهف)

পবিত্র কুরআনের সূরা কাহাফের শানে নুযূল বা সূরা নাযিলের প্রেক্ষাপট :
.
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
.
জনৈক ভ্রাতা প্রশ্ন করল, আদি পিতা হযরত আদম (আ) ব্যতীত পৃথিবীতে আরো যত মানুষ ছিল বা আছে তাদের কেউ মাটির সৃষ্ট নয়—একথা কি সঠিক?
.
আমার জবাব, জনৈক ব্যক্তির এরকম কথার কোনো ভিত্তি নেই। উপরন্তু তার এ বক্তব্য পবিত্র কুরআনের সূরা মুমিনূন এর ১২-১৪ নং আয়াতের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। ফলে তা ঈমান নষ্ট হবার উপক্রম হয়ে যায়।
.
এসব বিভ্রান্তি মূলত আমাদের কম অধ্যায়ন আর স্বল্প বিবেক বুদ্ধির কারণেই হয়ে থাকে। অথচ আদম সন্তান সবাই মাটির সৃষ্ট। তবে আদম (আ) সরাসরি মাটি হতে সৃষ্ট আর আদম সন্তান (নবী রাসূল সহ সবাই) তাদের আদি পিতা (আবুল বাশার) হযরত আদমের (আ) মাধ্যমে পরোক্ষভাবে মাটির নির্যাস হতেই সৃষ্ট। দলিল :
.
ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎ ﺍﻟْﺈِﻧﺴَﺎﻥَ ﻣِﻦ ﺳُﻠَﺎﻟَﺔٍ ﻣِّﻦ ﻃِﻴﻦٍ

অর্থাৎ, আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।
.
ﺛُﻢَّ ﺟَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ ﻧُﻄْﻔَﺔً ﻓِﻲ ﻗَﺮَﺍﺭٍ ﻣَّﻜِﻴﻦ
.
অর্থাৎ, অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।
.
; ﺛُﻢَّ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎ ﺍﻟﻨُّﻄْﻔَﺔَ ﻋَﻠَﻘَﺔً ﻓَﺨَﻠَﻘْﻨَﺎ ﺍﻟْﻌَﻠَﻘَﺔَ ﻣُﻀْﻐَﺔً ﻓَﺨَﻠَﻘْﻨَﺎ ﺍﻟْﻤُﻀْﻐَﺔَ ﻋِﻈَﺎﻣًﺎ ﻓَﻜَﺴَﻮْﻧَﺎ ﺍﻟْﻌِﻈَﺎﻡَ ﻟَﺤْﻤًﺎ ﺛُﻢَّ ﺃَﻧﺸَﺄْﻧَﺎﻩُ ﺧَﻠْﻘًﺎ ﺁﺧَﺮَ ﻓَﺘَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻘِﻴﻦَ
.
অর্থাৎ, এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিন্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুন রূপে দাঁড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত কল্যাণময়।
.
(সূরা মুমিনূন, আয়াত নং ১২-১৪)।
.
উক্ত আয়াতে মানুষকে মাটি হতে আর সে মাটিকে শুক্রাণুরূপে সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করার কথা উল্লেখ রয়েছে। এতে বুঝা গেল, সকল মানুষের শরীর প্রথমত মাটি হতে। এরপর (১৩ নং আয়াতে ছুম্মা শব্দ দ্বারা আরো বুঝা যাচ্ছে যে, উক্ত) মাটিকে শুক্রাণুরূপে পরিণত করে সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করা হয়। উল্লেখ্য হযরত আদম (আ) তিনি সরাসরি মাটি হতে, আর শুক্রাণু হতে হলাম আমরা (বনী আদম) সকলে। অথচ এ শুক্রাণুই হল মাটির নির্যাস।
.
তারিখে বাগদাদ (হাদিস নং ৪৩৫১) কিতাবে একটি হাদিসে উল্লেখ রয়েছে , প্রত্যেক নবজাতক শিশুর নাভিতে মাটির সেই অংশ মিশিয়ে দেয়া হয় যেখানকার মাটি হতে সে সৃষ্ট। একথা রেজভী মতবাদের প্রবর্তক রেজাখান নিজেও স্বীকার করে লিখে গেছেন। তার ভাষ্য নিম্নরূপ :
.
মানুষ যে স্থানের মাটি দ্বারা সৃষ্টি, সে সেইস্থানে দাফন হবে। নবীয়ে আকদাস (দঃ) যে মাটি দ্বারা সৃষ্টি হয়েছেন সেই মাটি দ্বারা ছিদ্দিকে আকবর এবং ফারূকে আযম (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা ) তাঁরা উভয়ও সৃষ্টি হয়েছেন।”
.
(তথ্য সূত্র—আস্সানিয়্যাতুল আনীকা ফতুয়ায়ে আফ্রীকা পৃষ্ঠা নং ৮৪-৮৫ (ঊর্দূ )।
.

আসলে বলতে গেলে, মহানবী (সা) তিনি এক হিসেবে আমাদের মত মানুষ নন আবার আরেক হিসেবে তিনি আমাদের মতই মানুষ।
.
মহানবী (সা) তিনি এক হিসেবে আমাদের মত নন— এর মর্মার্থ হল, তিনি আমাদের মত গুনাহগার ও পাপীতাপী এবং স্বাধারণ মানুষ নন। বরং তিনি একজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। মহান সৃষ্টিকর্তার পরই যার মর্যাদা ও মাহাত্ম্যপূর্ণ অবস্থান। যিনি সৃষ্টিকূলের ভেতর অতুলনীয়। যাঁর প্রতি মুহাব্বত ঈমানের মূলশর্ত।

~
মহানবী (সা) তিনি আরেক হিসেবে আমাদের মতই মানুষ— এর মর্মার্থ হল, তিনি আমাদের ন্যায় আদমজাত বা আদমপুত্র। আমাদের খাবার দাবারের প্রয়োজন হয়, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয়, বিবি বাচ্চার প্রয়োজন হয়, সুখ-দুখ আর হাসি-কান্না ইত্যাদি আমাদের জীবনে যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি মহানবী (সা)-এর জীবনেও ছিল। সুতরাং তিনি আমাদের ন্যায় আদমজাত বা আদমপুত্র হিসেবে তাঁরও সৃষ্টি মূল উপাদান মাটি। যেহেতু হযরত আদম (আ) মানবজাতির আদিপিতা ও মাটি হতে সৃষ্ট। দলিল :

সূরা কাহাফ, আয়াত নং ১১০ : “হে নবী আপনি বলুন! আমি তোমাদের মতই একজন (মাটির সৃষ্ট) মানুষ।”
.

এবার সূরা কাহাফ এর শানে নুযূল দেখুন। আল কাহাফ (আরবি ভাষায় : ﺍﻟﻜﻬﻒ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৮ নম্বর সূরা , এর আয়াত সংখ্যা ১১০ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১১ টি। আল কাহফ সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
এই সূরায় কোরাইশদের তিনটি প্রশ্নের কথা এবং প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই সূরায় হযরত মুসা (আঃ) এবং হযরত খিযির (আঃ) এর ঘটনাটিও বর্ণনা করা হয়েছে।
.

♪সূরা কাহাফ এর বৈশিষ্ট্য :
.
সহিহ মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও মুসনাদে আহমদে হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি সূরা কাহ্ফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করে, সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকবে।
.
মুসনাদে আহমদে হযরত সাহল ইবনে মু’আযের রেওয়ায়েতে আছে যে, রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম ও শেষ আয়াতগুলো পাঠ করে, তার জন্যে তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নূর হয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ সূরা পাঠ করে, তার জন্যে যমীন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয়ে যায়।
.

রূহুল-মা’আনীতে হযরত আনাস (রাঃ) -এর বর্ণিত রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেনঃ সূরা কাহাফ সম্পূর্ণটুকু এক সময় নাযিল হয়েছে এবং সত্তর হাজার ফেরেশতা এর সঙ্গে আগমন করেছেন। এতে এর মাহাত্ম্য প্রকাশ পায়। [১] .
♦শানে নুযূল :
.
ইমাম ইবনে জরীর তাবারী হযরত ইবনে-আব্বাসের রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেনঃ যখন মক্কায় রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) -এর নবুওয়তের চর্চা শুরু হয় এবং কোরাইশরা তাতে বিব্রত বোধ করতে থাকে, তখন তারা নযর ইবনে হারেস ও ওকবা ইবনে আবী মুয়ী’তকে মদীনার ইহুদী পন্ডিতদের কাছে প্রেরণ করে। রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) সম্পর্কে তারা কি বলে, জানার জন্যে।
.
ইহুদী পন্ডিতরা তাদেরকে বলে দেয় যে, তোমরা তাঁকে তিনটি প্রশ্ন করো। তিনি এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে বুঝে নেবে যে, তিনি আল্লাহর রসূল। অন্যথায় বোঝবে, তিনি একজন বাগাড়ম্বরকারী, রসূল নন।
.
(১) তাঁকে ঐসব যুবকের অবস্থা জিজ্ঞাস কর, যারা প্রাচীনকালে শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তাদের ঘটনা কি? কেননা, এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর ঘটনা।
.
(২) তাঁকে সে ব্যক্তির অবস্থা জিজ্ঞেস কর, যে পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এবং সারা বিশ্ব সফর করেছিল। তার ঘটনা কি?
.
(৩) তাঁকে রূহু সম্পর্কে প্রশ্ন কর যে, এটা কি?

উভয় কোরাইশী মক্কায় ফিরে এসে ভ্রাতৃসমাজকে বললঃ আমরা একটি চূড়ান্ত ফয়সালার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফিরে এসেছি। অতঃপর তারা তাদেরকে ইহুদী আলেমদের কাহিনী শুনিয়ে দিল। কোরাইশরা রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর কাছে এ প্রশ্নগুলো নিয়ে হাযির হল।
.
তিনি শুনে বললেনঃ আগামীকাল উত্তর দেব। কিন্তু তিনি ইনশাআল্লাহ্ বলতে ভুলে গেলেন। কোরাইশরা ফিরে গেল। রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) ওহীর আলোকে জওয়াব দেবার জন্যে আল্লাহ্র তরফ থেকে ওহী আসার অপেক্ষায় রইলেন। কিন্তু ওয়াদা অনুয়াযী পর দিবস পর্যন্ত ওহী আগমন করল না; বরং পনের দিন এ অবস্থায় কেটে গেল। ইতিমধ্যে জিবরাঈলও এলেন না এবং কোন ওহীও নাযিল হল না।
.
অবস্থাদৃষ্টে কোরাইশরা ঠাট্টা-বিদ্রূপ আরম্ভ করে দিল। এতে রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) খুবই দুঃখিত ও চিন্তিত হলেন। পনের দিন পর জিবরাঈল সূরা কাহফ নিয়ে অবতর করলেন। এতে ওহীর বিলম্বের কারণও বর্ণনা করে দেয়া হল যে, ভবিষ্যতে কোন কাজ করার ওয়াদা করা হলে ইনশাআল্লাহ্ বলা উচিত।[১]

.
♦প্রশ্ন এবং এর উত্তর :

প্রথম প্রশ্নটি ছিল যুবদের সম্পর্কে। এ সূরায় যুবকদের ঘটনাও পুরোপুরি বর্ণনা করা হয়েছে। তাদেরকে “আসহাবে কাহফ” বা গুহাবাসী বলা হয়।
.
দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এবং সারা বিশ্ব সফরকারী ব্যক্তির সম্পর্কে। এ সূরায় পূর্ব ও পশ্চিমে সফরকারী যুলকারনাইনের ঘটনাও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআন শরীফের সূরা কাহাফের আয়াত নম্বর ৮৩-১০১ অংশে জুলকারনাইন সম্পর্কিত বর্ণনা আছে। নবী হিসেবে জুলকারনাইনের নাম উল্লেখ নেই যদিও কিন্তু তিনি নবী ছিলেন না এমনটিও বলা হয়নি। বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তাঁকে সকল বিষয়ে পথনির্দেশ বা দিকনির্দেশ এবং/অথবা কার্যপোকরণ দিয়েছেন। তিনি এরপর দুটি পথ অনুসরণ করেন। এর মধ্যে এক পথে গিয়ে তিনি ইয়াজুজ মাজুজের হাতে অত্যাচারিত এক জাতির দেখা পান। তিনি তাদের জন্য গলিত তামার তৈরি একটি প্রাচীর বানিয়ে দেন।

সূরা কাহাফ ৮৩-৮৬ নম্বর আয়াতে নিম্নরূপ বর্ণিত আছেঃ “তারা আপনাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুনঃ আমি তোমাদের কাছে তাঁর কিছু অবস্থা বর্ণনা করব। আমি তাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের কার্যোপকরণ দান করেছিলাম। অতঃপর তিনি এক কার্যোপকরণ অবলম্বন করলেন।অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।” [২]
জুলকারনইন পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে বেড়াতেন নির্যাতীত, বঞ্চিত, শাসকের হাতে শোসিত লোকদের মুক্তি দিতেন। কুরআনের বর্ননা অনুযায়ী অরুণাচলে, যেখান থেকে সূর্য উদিত হয় সেখানে ইয়াজুজ, মাজুজের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন জুলকারণাইন। আর সে স্থানটি পাহাড়ের প্রাচীরের মাঝখানে।
সূরা কাহাফের ৯৩ হতে ৯৮ নম্বর আয়াতে জুলকারনাইনের এই প্রাচীর নির্মাণের উল্লেখ আছে। পরবর্তী আয়াতের বিভিন্ন বাংলা অনুবাদে গলিত তামার উল্লেখ আছে; ইংরেজি অনুবাদে তামার স্থলে সীসার উল্লেখ আছে। জুলকারনাইন তাদের প্রতিরোধ প্রাচীর তৈরি করার জন্য উপাদান ও শ্রম সরবরাহ করতে বললেন। তারা নিজেরাই জুলকারনাইনের আদেশ মত দুই পর্বতের মাঝে শক্ত লোহার প্রাচীর বা দ্বার তৈরি করে। [৩] এবং
.
তৃতীয় প্রশ্নটি ছিল “রূহু” সম্পর্কে। তারও জওবাব দেওয়া হয়েছে। [৪]

কিন্তু রূহু সম্পর্কিত প্রশ্নের জওবাব সংক্ষেপে দেয়াই সমীচীন ছিল। তাই সূরা বনী-ইসরাঈলের শেষে আলাদাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এ কারণেই সূরা কাহফকে সূরা বনী-ইসরাঈলের পরে স্থান দেয়া হয়েছে। [৫]
.
তথ্যসূত্র 1. ↑ ১.০ ১.১ তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন।

2. ↑ http://www.usc.edu/schools/college/crcc/engagement/resources/texts/muslim/quran/018.qmt.html
3. ↑ http://quranandtafsir.com/index.php?option=com_content&view=article&id=18 %3Akahf&catid=1%3Aal-quran&Itemid=4&limitstart=9
4. ↑ কুরতুবী, মাযহারী।
5. ↑ সুয়ুতী।
.
♪বহিঃসংযোগ Tafsir Ibn Kathir Al-Kahf at Altafsir.com

Surah Kahf and the Modern Age by Sh Imran Hosein
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/আল_কাহফ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন