শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

খৃষ্টান ইতিহাসজ্ঞ 'ক্যান্টওয়েল স্মিথ'


খৃষ্টান ইতিহাসজ্ঞ 'ক্যান্টওয়েল স্মিথ' কোনোপ্রকার জড়তা বা সংকীর্ণতা ব্যতিরেকে চরম সত্যকে এভাবেই ব্যক্ত করেছেন, "মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -ই প্রকৃত চ্যালেঞ্জ যার সম্মুখিন হতে হয়েছে পশ্চিমা সভ্যতাকে তার গোটা ইতিহাসে!" 

এই খৃষ্টান ইতিহাসবিদ আরও বলেছেন, "নিশ্চয় ইউরোপ ঐ আতঙ্ককে কখনও ভুলতে পারবেনা, যে আতঙ্ক ইউরোপের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে লেগেই ছিল ক্রমাগত পাঁচ শতাব্দী পর্যন্ত - এমতাবস্থায় ইসলাম ইউরোপের সাথে যুদ্ধ করতেই ছিল!"
.
.
ক্যান্টওয়েল স্মিথের উল্লেখিত ঐ আতঙ্ক দ্বারা উদ্দেশ্য হল ওসমানী খিলাফাহর আতঙ্ক, যা কয়েক শ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপকে শান্তিতে ঘুমোতে দেয়নি! ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে বিস্তৃত ছিল ওসমানী খিলাফাহর সীমানা। ক্রুসেডারদের অনিষ্ট থেকে বাঁচাতে এসব সীমান্তে দাপড়িয়ে বেড়াত ওসমানী খিলাফাহর সীমান্ত রক্ষীরা। ভূমধ্যসাগরের তীরে সদা নোঙর করে থাকত ওসমানী খিলাফাহর নৌবহর। আজকের ক্ষমতাধর ইউরোপ তখন ওসমানী খিলাফাহর শক্তি-সাহস, শৌর্য-বীর্য, ক্ষমতা-দাপট, আর হুংকারের সামনে ভয়ে কাঁপত থরথর! 
.
.
ইউরোপীরা এই প্রকৃত সত্যকে অনুধাবন করতে পেরেছিল ঠিকই, তাই বেঈমান মোস্তফা কামাল পাশার মাধ্যমে ওসমানী খিলাফাহর কবর রচনা করে তুরষ্কে তাদের খিলাফাহ 'গনতন্ত্র' কে প্রতিষ্টা করেছে। এবং কালক্রমে মানবাধিকার আর স্বাধীনতার মুলা দেখিয়ে তা বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম ভূখন্ডে বিস্তৃত করে গোটা মুসলিম বিশ্বকে তাদের খিলাফাহর অধীনে নিয়ে মুসলিম উম্মাহকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রেখেছে! মুসলিম উম্মাহ নপুংসক হওয়ার ইহাই প্রকৃত রহস্য। 

সূত্র:
(আল-ইসলাম ফিল আসরিল হাদীস)


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন