শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৭

বিশাল আয়তনের একটি ইসলামি ভূখণ্ড 'পূর্ব তুর্কিস্তান'


আপনি কি জানেন যে, বিশাল আয়তনের একটি ইসলামি ভূখণ্ড 'পূর্ব তুর্কিস্তান' - কে কম্যুনিস্ট চীন দখল করে রেখেছে সেই ১৯৪৯ সাল থেকেই?! অথচ, এই ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় শহর 'কাশগড়' উমাইয়া শাসনামলে ৯৬ হিজরি সনে বিজয় করেছিল মুসলিম মুজাহিদরা! প্রায় ১৩ শ'বছর যেথায় ইসলামের সূর্য ছিল স্বমহিমায় উদিত, আজ ৬৮ বছর যাবৎ সেথায় সেই সূর্য অস্তমিত! ইসলাম সেথায় লাঞ্ছিত-বঞ্চিত, দলিত-মথিত! মুসলিমরা সেথায় নির্যাতিত-নিপীড়িত, উপেক্ষিত-অপমানিত!
.
.
'পূর্ব তুর্কিস্তান'-র বর্তমান নাম- জিনজিয়াং। চীনের একটি প্রদেশ। দখলের দিন থেকে নিয়ে এ যাবৎ চীন পূর্ব তুর্কিস্তান'র প্রায় ৬০ মিলিয়ন মুসলমকে হত্যা করেছে! অর্থাৎ- ইরাক, আফগানিস্থান, চেচনিয়া, বসনিয়া ও ফিলিস্তিনের দশগুণ বেশি! শুধু ১৯৫২ সালেই চীন পূর্ব তুর্কিস্তান'র ১২০ হাজার মুসলিমকে ফাঁসি দিয়েছে। এঁদের বেশিরভাগ ছিলেন বিজ্ঞ আলেম ও মুফতিয়ানে কিরাম। এ কথা বর্ণনা করেছন পূর্ব তুর্কিস্তান'র তৎকালিন গভর্নর 'বুরহান শহীদি'। ১৯৪৯ থেকে নিয়ে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত চীন পূর্ব তুর্কিস্তান'র ২৯ হাজার মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে।
.
.
১৯৯৭ সাল থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত চীন পূর্ব তুর্কিস্তান'র ১২০০ মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে। এর কিছু সংখ্যক কম্যুনিস্ট দলের আস্তানা বা ক্লাব বানিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়; পূর্ব তুর্কিস্তান'র রাজধানী 'উরুমতুশি'- র ৩৭০ টি মাদরাসা ও কুরআন শিক্ষাকেন্দ্রে আগুন লাগিয়ে ভষ্ম করে ছেড়ছে। এমনকি ৫৪ হাজার চাকুরীজীবি ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের সেনাবাহিনীর কষ্টকর কঠিন কাজ করে দেয়ার জন্য প্ররণ করেছে। মসজিদের ইমামদেরকে নাচার জন্য বাধ্য করেছে। 
.
.
শুধু কি তাই?! চীন পূর্ব তুর্কিস্তান'র অসংখ্য-অগণিত পর্দাবৃতা রমণীদের শুধুমাত্র পর্দা প্রত্যাখ্যান না করার অপরাধে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। তদ্রুপ তারা কাশগড়'র শত-সহস্র মুসলিম পুরুষকেও জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছ।
.
.
সারাবিশ্বে মুসলিম উম্মাহর যিল্লতির এ- এক যতকিঞ্চিৎ অবস্থা মাত্র। ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্থান, আরাকান, কাশ্মীর, বসনিয়া, চেচনিয়া, লেবানন, ফিলিপাইন, মালি, চাঁদ, সোমালিয়া, সিনাই, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনের অবস্থা তো বিলকুল চোখের সামনে। বর্তমান বিশ্বে কোন জাতি যদি ইয়াতিম হয়, তাহলে সে জাতি হল মুসলিম জাতি! আর তার কারণ কি- জানেন? কারণ হল, বিশ্বে মুসলিমরা অভিভাবকহীন। তাদের কোন আশ্রয়স্থল নেই। মুসলিমদের কোন খলিফা নেই। কোন খিলাফাহ নেই। আর এর কারণ কি - জানেন? এর কারণ হল, মুসলিম বিশ্বে পশ্চিমা খিলাফাহ - গণতন্ত্র, রাশান খিলাফাহ- সমাজতন্ত্র, পশ্চিমাদের নেমকখোর আরবের রাজতন্ত্রের আধিপত্য। 
.
.
.
সূত্র- প্রসিদ্ধ ফেইসবুক পেইজ (Islamic History) অবলম্বনে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন