রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ঐতিহাসিক চেচনিয়া দিবস


১৯৪৪ সালে এই দিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে রাশিয়ার সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও হিংস্র শাসক জোসেফ স্টালিন এর নির্দেশে ককেশাস অঞ্চলের ইংগুশেটিয়া ও চেচনিয়া থেকে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে গরু বাছুরের মত গাদাগাদি করে মালবাহি ট্রেনে করে, প্রচন্ড শীত বরফচ্ছাদিত সাইবেরিয়া ও কাজাকিস্তানে নির্বাসন দেয়া হয় । দীর্ঘদিন নির্বাসনে থাকার পর রুগ-শোক, দুর্ভিক্ষ থেকে খুব অল্প সংখ্যক লোক জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছিল ।।

তাদের অপরাধ ছিল একটাই, আর তা হল, তারা চেয়েছিল ঈমান, ইসলাম,আমল ও ইজ্জতের জিন্দেগী জীবন যাপন করতে । কিন্তু সেটা সহ্য করতে পারেনি চরম জংগি নাস্তিক রাশিয়ার শ্বেত ভল্লুকেরা ।

আজও চেচনিয়া ইঙ্গুশেটিয়ার মুসিলিমরা এই দিনকে ভারি শ্বাস ফেলে কালো দিবস হিসেবে স্বরন করে ।। তাই বলে কি থেমে গেছে তাদের ঈমান ও স্বাধীনতার স্পৃহা ? না থামেনি , ইমাম শামিল, হাজী মুরাদের উত্তরসূরীরা আজ আবধি চালিয়ে যাচ্ছে ঈমান, ইসলাম ও স্বধীনতার আন্দোলন , যা করেছিলেন তাদের পূর্বপুরুষেরা ।
এ যেন "শীর দেগা নেহি দেগা আমামা"

অবাক হই যখন দেখি বালাদেশের কিছু মানুষরুপী শয়তানগুলো লেলিন, স্টালিনকে মহান বিপ্লবী হেসেবে প্রচার করে ইনিয়ে বিনিয়ে এদেশের মানুষকে তাদের বিষাক্ত মতবাদকে গিলে খাওয়াতে চায় , যারা অগনিত বনী বনি আদমের রক্ত পানকরে, হাড় ও মাংশের উপর পা মাড়িয়ে ক্ষমতার সিড়িতে আরোহন করেছে ।গণহত্যা ও হিংস্রতার প্রতিযোগীতায় এডলফ হিটলার যার ধারে কাছে যেতে পারেনি । আর তাদের মানবতা, মানবধীকার ইত্যাকার আসল রুপ ।।
আল্লাহ আমদের সবাইকে কুফফার চক্রান্ত বুঝার এবং তা থেকে বাচার তাওফীক্ব দান করুন । আমীন ।।

খায়রুদ্দীন বারবারুস



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন