শরীয়তের পক্ষ থেকে মূলত: ছোট-বড় সকল গোনাহ ও পাপ সর্বদা বর্জন করার নির্দেশ এসেছে। আর রামাদান মাস ফযীলতের মাস এবং আল্লাহর ইবাদাতের প্রশিক্ষণ লাভের মাস হওয়ায় এ মাসে সর্বপ্রকার গোনাহের কাজ পরিত্যাগ করা অধিক বাঞ্ছনীয়। তদুপরি রামাদান মাসে সৎকাজের সওয়াব ও নেকী বহুগুণে বৃদ্ধি পায়, তাই রামাদানের সম্মান ও ফযীলতের কারণে এ মাসে সংঘটিত যে কোন পাপের শাস্তি অন্য সময়ের তুলনায় ভয়াবহ হবে এটাই স্বাভাবিক।
এজন্যেই রোযাদারদের উচিত তাকওয়া বিরোধী সকল প্রকার মিথ্যা কথা ও কাজ পরিপূর্ণভাবে বর্জন করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি (রোযা রেখে) মিথ্যা কথা ও সে অনুযায়ী কাজ করা বর্জন করে না তবে তার শুধু খাদ্য ও পানীয় বর্জন করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই”। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৪)
‘‘মিথ্যা কথা ও তদনুযায়ী কাজ’’ কথাটি দ্বারা মূলত: রোযা অবস্থায় উম্মতের সকলকে পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে সাবধান করা হয়েছে। আর ‘‘আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই’’ কথাটি দ্বারা রোযা অসম্পূর্ণ হওয়ার, কিংবা কবুল না হওয়ার অথবা রোযার সওয়াব না হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
অন্য আরেকটি হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘তোমাদের কেউ রোযার দিনে অশ্লীল কথা যেন না বলে এবং শোরগোল ও চেঁচামেচি না করে। কেউ তাকে গালমন্দ করলে বা তার সাথে ঝগড়া করলে শুধু বলবে, আমি রোযাদার ।’’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৫)
উপরোক্ত হাদীস দু’টোর আলোকে সারকথায় আমরা বলতে পারি যে, আমাদের ঈমান, আমল ঠিক রেখে ইসলামী বিরোধী সকল কাজ বিশেষভাবে রামাদানে এবং আমভাবে সর্বদাই বর্জন করতে হবে। তাহলে আমাদের সিয়াম সাধনা হবে অর্থবহ এবং এ সাধনার মূল লক্ষ্য তাকওয়া অর্জন করা হবে সহজসাধ্য ।
একনজরে কিছু বর্জনীয় আমলঃ
(১) বিলম্বে ইফতার করার অভ্যাস বর্জন করতে হবে, সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ইফতার করতে হবে।
(২) সাহরী না খাওয়ার অভ্যাস বর্জন করতে হবে, সাহরী খেতে হবে।
(৩) শেষের দশ দিন কেনা কাটায় ব্যস্ত থাকা যাবে না।
(৪) মিথ্যা বলা ও অন্যান্য পাপ কাজ করা যাবে না।
(৫) অপচয় ও অপব্যয় করা যাবে না।
(৬) তিলাওয়াতের হক আদায় না করে কুরআন খতম করা ঠিক নয়।
(৭) জামা‘আতের সাথে ফরয সালাত আদায়ে অলসতা করা যাবে না।
(৮) বেশি বেশি খাওয়া যাবে না।
(৯) রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাত করা যাবে না।
(১০) বেশি বেশি ঘুমানো যাবে না।
(১১) শুধু অশ্লীল নয় বরং সকল প্রকার ছবি, নাটক দেখা বর্জন করতে হবে।
(১২) বেহুদা কাজে রাত জাগরণ করা যাবে না।
(১৩) বিদ‘আত করা যাবে না।
(১৪) দুনিয়াবী ব্যস্ততায় মগ্ন থাকা যাবে না।
(১৫) কাউকে করা কথা বা গালি দেয়া যাবে না।
(২) সাহরী না খাওয়ার অভ্যাস বর্জন করতে হবে, সাহরী খেতে হবে।
(৩) শেষের দশ দিন কেনা কাটায় ব্যস্ত থাকা যাবে না।
(৪) মিথ্যা বলা ও অন্যান্য পাপ কাজ করা যাবে না।
(৫) অপচয় ও অপব্যয় করা যাবে না।
(৬) তিলাওয়াতের হক আদায় না করে কুরআন খতম করা ঠিক নয়।
(৭) জামা‘আতের সাথে ফরয সালাত আদায়ে অলসতা করা যাবে না।
(৮) বেশি বেশি খাওয়া যাবে না।
(৯) রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাত করা যাবে না।
(১০) বেশি বেশি ঘুমানো যাবে না।
(১১) শুধু অশ্লীল নয় বরং সকল প্রকার ছবি, নাটক দেখা বর্জন করতে হবে।
(১২) বেহুদা কাজে রাত জাগরণ করা যাবে না।
(১৩) বিদ‘আত করা যাবে না।
(১৪) দুনিয়াবী ব্যস্ততায় মগ্ন থাকা যাবে না।
(১৫) কাউকে করা কথা বা গালি দেয়া যাবে না।
প্রিয় পাঠক, রমাদান মাস পাওয়ার মত সৌভাগ্যের বিষয় আর কী হতে পারে! আমরা যদি এ মাসের প্রতিটি আমল সুন্নাহ পদ্ধতিতে করতে পারি তবেই আমাদের রমাদান পাওয়া সার্থক হবে। কেননা হাদীসে এসেছে, ‘‘যে ব্যক্তি রমাদান মাস পেলো অথচ তার গুনাহ মাফ করাতে পারল না সে ধ্বংস হোক’’ [শারহুস সুন্নাহ : ৬৮৯]।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে রমাদান মাসের ফজিলত হাসিল করার তাওফীক দিন এবং আমাদের সকল আমল কবুল করুন এবং আমাদের সবাইকে আরো উত্তম আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন...।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন